দুর্যোগ প্রবণ এলাকার সাড়ে ২৩ শতাংশ মানুষ এখনো অশিক্ষিত
দেশের দুর্যোগ প্রবণ এলাকায় কোনো ধরণের শিক্ষাই গ্রহণ করেনি ২৩ দশমিক ৫০ শতাংশ মানুষ। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) ‘বাংলাদেশ ডিজাস্টার রিলেটেড স্ট্যাটিস্টিকস (বিডিআরএস) ২০২১: ক্লাইমেট চেঞ্জ অ্যান্ড ন্যাশনাল ডিজাস্টার পাসপেকটিভ’ জরিপের প্রতিবেদনে এসব তথ্য উঠে এসেছে।
‘পরিবেশ, জলবায়ু পরিবর্তন ও দুর্যোগ পরিসংখ্যান শক্তিশালীকরণ’ শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় এ জরিপটি পরিচালনা করা হয়।
জরিপে উল্লেখ করা হয়েছে, প্রথম থেকে পঞ্চম শ্রেণি পাশের হার হচ্ছে ৩৪ দশমিক ১৮ শতাংশ, ৬ষ্ঠ থেকে ৯ম শ্রেণি ২৩ দশমিক ৬৭ শতাংশ, এসএসসি ও এইচএসসি পাশ ১৪ দশমিক ৪৮ শতাংশ এবং স্নাতক বা স্নাতকোত্তর পাশের হার মাত্র ৩ দশমিক ২৬ শতাংশ।
রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে মঙ্গলবার (২৯ মার্চ) প্রতিবেদনটি প্রকাশ করা হয়েছে। পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের সচিব ড. শাহনাজ আরেফিনের সভাপতিত্বে এ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান। বিশেষ অতিথি ছিলেন পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব কামরুল হাসান এবং বাংলাদেশ সেন্টার ফর অ্যাডভান্সড স্টাডিজের নির্বাহী পরিচালক ড. আতিক রহমান। অনুষ্ঠানে বিস্তারিত তুলে ধরেন বিবিএসের মহাপরিচালক মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম ও প্রকল্প পরিচালক রফিকুল ইসলাম।
বাংলাদেশের ৬৪ জেলার ১১টি প্রধান দুর্যোগ প্রবণ এলাকা থেকে খানাভিত্তিক তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করা হয়। প্রতি জেলা হতে কমপক্ষে এক হাজার ৩৮০টি খানার তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করা হয়েছে। জরিপে ৩ কোটি ৪১ লাখ ১২ হাজার ৯১০ মানুষ অংশগ্রহণ করে।
জরিপে উল্লেখ করা হয়েছে, এখনো দুর্যোগ এলাকায় কাঁচা ঘরে বাস করে ৫৯ দশমিক ১৩ শতাংশ, ২৯ দশমিক ১৫ শতাংশ আধাপাকা, ১০ দশমিক ৭১ শতাংশ পাকা, ঝুপড়ি শূন্য দশমিক ৯৩ শতাংশ এবং অন্যান্য দশমিক শূন্য ৮ শতাংশ। অন্যদিকে বিডিআরএস ২০১৫ জরিপে দুর্যোগ প্রবণ এলাকার খানার প্রধান ঘর ৭০ দশমিক ৩১ শতাংশ কাঁচা, ১৭ দশমিক ৪৪ শতাংশ অর্ধপাকা, ১০ দশমিক ১৯ শতাংশ পাকা, ঝুপড়ি ১ দশমিক ৯৫ শতাংশ এবং অন্যান্য ০ দশমিক ১১ শতাংশ চিহ্নিত করা হয়েছিল।
দুর্যোগ প্রবণ এলাকার খানার খাবার পানির উৎস: এ জরিপে দুর্যোগ প্রবণ এলাকার খানার খাবার পানির নিরাপদ উৎস ৯৬ দশমিক ০৪ শতাংশ, ৩ দশমিক ৯৬ শতাংশ পানির উৎস পুকুর, কূপ, খাল, নদীর বৃষ্টির পানি।
টয়লেট (পায়খানা) ফ্যাসিলিটি: এ জরিপে দুর্যোগ প্রবণ এলাকায় মোট পাকা পায়খানা (ওয়াটার সিল ও সিল বিহীন) ৫২ দশমিক ৪৩ শতাংশ, কাঁচা পায়খানা ৪৫ দশমিক ৪৮ শতাংশ এবং খোলা জায়গা ব্যবহার করে ২ দশমিক ০৯ শতাংশ বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
জেডএ/