শুক্রবার, ৭ মার্চ ২০২৫ | ২২ ফাল্গুন ১৪৩১
Dhaka Prokash

ব্যাংক লেনদেনে মিথ্যা তথ্য দিলে ৩ বছরের জেল

ব্যাংক লেনদেনে মিথ্যা তথ্য দিলে তিন বছরের কারাদণ্ড ও ৫০ লাখ টাকা জরিমানার বিধান রেখে ‘পেমেন্ট অ্যান্ড সেটেলমেন্ট সিস্টেমস আইন-২০২১’-এর খসড়ার চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম সোমবার (১৩ ডিসেম্বর) এসব তথ্য জানান।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে সচিবালয়ে মন্ত্রিসভার বৈঠকে এ খসড়া অনুমোদন করা হয়। বৈঠকে গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সে যুক্ত হন প্রধানমন্ত্রী।

বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম। তিনি বলেন, ‘যেসব পেমেন্ট এবং সেটেলমেন্ট হচ্ছে ব্যাংকে, সেখানে কোনো আইন ছিল না। কিছু রেগুলেশন দিয়ে পরিচালিত হতো। বর্তমান অবস্থায় ডিজিটাল লেনদেন হওয়ার কারণে এ আইন নিয়ে আসা হয়েছে।

তিনি বলেন, ‘এই খসড়া আইনে ৪৭টি ধারা রয়েছে। তবে একটি বিষয় পরিষ্কার হওয়া দরকার, ক্রিপ্টোকারেন্সি বা ভার্চুয়াল মুদ্রা এ খসড়া আইনে যুক্ত করা হয়নি। ক্রিপ্টোকারেন্সি কোনো কারেন্সি নয়। বাংলাদেশ ব্যাংকও একে স্বীকৃতি দেয়নি। এটা খেয়াল রাখতে হবে।’

মন্ত্রিপরিষদ সচিব আরও বলেন, ‘খসড়া আইনের ৩৮ নম্বর ধারায় যারা বিভিন্ন রকমের অপরাধ করবে, তাদের শাস্তির ব্যবস্থা রয়েছে। আর ৩৯ ধারাতে ব্যাংক, কোম্পানির মাধ্যমে গৃহীত বা সংঘটিত অপরাধের ক্ষেত্রে এ কোম্পানির মালিক, পরিচালক, কোম্পানির প্রধান নির্বাহী, ব্যবস্থাপক, সচিব বা অন্য কোনো কর্মকর্তার সংশ্লিষ্টতা থাকলে তাদেরকে পদ থেকে বাংলাদেশ ব্যাংকে অপসারণের বিধান রাখা হয়েছে। খসড়া আইনে কিছু বিশেষ বিধান রাখা হয়েছে। কীভাবে লেনদেন হবে, পরিশোধ হবে, পরিচালনা হবে এবং সেবা কীভাবে দেওয়া হবে, সেগুলো ৪ এবং ৫ নম্বর ধারায় উল্লেখ করা হয়েছে। ৪ ধারার বিধান লঙ্ঘন করলে তাকে ৫ বছরের কারাদণ্ড এবং অনধিক ৫০ লাখ টাকা অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ড দিতে পারবে।’ তবে খসড়া আইনটি নগদ, বিকাশসহ মোবাইল ব্যাংকিংয়ের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয় বলেও জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব।

তিনি বলেন, ‘পেমেন্টের যে ব্যবস্থাপনা, সে বিষয়ে কোনো আইন ছিল না। কিছু রেগুলেশনের অধীনে করা হতো। এখানে দেখা যাচ্ছে, এটি ডিজিটাল হয়ে যাচ্ছে। এসব বিধিবিধানগুলোর মধ্যে ছিল না। সে জন্য পুরো পদ্ধতিকে আলাদা করে আইনে আনা হয়েছে।’

জেডএ/এএন

Header Ad
Header Ad

নির্বাচন নিয়ে গড়িমসি করলে সরকারের প্রতি জনগণের অনাস্থা আসবে: রিজভী

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবীর রিজভী । ছবি: সংগৃহীত

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবীর রিজভী বলেছেন, জনগণ অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছে। নির্বাচন কমিশন যদি যথাযথভাবে দায়িত্ব পালন করে, তাহলে আগামী ডিসেম্বর নয়, বরং জুন-জুলাই মাসেই জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়া সম্ভব। তবে এ নিয়ে অনর্থক গড়িমসি করলে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রতি জনগণের আস্থা নষ্ট হবে।

শুক্রবার (৭ মার্চ) সকালে রাজশাহীর ভুবন মোহন পার্কে এক দোয়া ও আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। 'আমরা বিএনপি পরিবার' আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থান, আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর গুলিতে আহত রাজশাহীর নেতাকর্মী এবং চাঁপাইনবাবগঞ্জের শহীদ পরিবারদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানো হয়।

রিজভী বলেন, "আমরা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে তত্ত্বাবধায়ক সরকার মনে করি। এ সরকারকেই জাতীয় নির্বাচন দিতে হবে। জাতীয় নির্বাচনের আগে অন্য কোনো নির্বাচন গ্রহণযোগ্য হবে না।"

তিনি আরও বলেন, "নির্বাচন কমিশন যদি সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন করে এবং সরকারের সদিচ্ছা থাকে, তবে যথাসময়ে নির্বাচন আয়োজন সম্ভব। কিন্তু নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় রাজনৈতিক প্রভাব খাটানো হলে তা জনগণের ভোটাধিকার হরণ করবে এবং অনাস্থার সৃষ্টি করবে।"

Header Ad
Header Ad

তারেক রহমানের ১৯তম কারাবন্দি দিবস আজ

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। ছবি: সংগৃহীত

আজ ৭ মার্চ, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ১৯তম কারাবন্দি দিবস। ২০০৭ সালের এই দিনে, বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে এক কালো অধ্যায় শুরু হয় যখন অবৈধ এক-এগারো সরকার ভোররাতে তাকে ঢাকার বাসভবন থেকে বিনা ওয়ারেন্টে আটক করে।

সেই সময় তারেক রহমানের বন্দি হওয়া শুধু একজন নেতার নয়, বরং দেশের ১৮ কোটি মানুষের রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও সামাজিক মুক্তির স্বপ্নকে বন্দি করা হয়েছিল। তার বিরুদ্ধে পরে ১৩টি মিথ্যা ও ষড়যন্ত্রমূলক মামলা দায়ের করা হয় এবং ১৯৭৪ সালের বিশেষ ক্ষমতা আইনে ডিটেনশন দেয়া হয়। তাকে ছয় দফায় ১৩ দিনের রিমান্ডে নিয়ে অমানবিক শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করা হয়।

এরপরও তাকে দেশ ও রাজনীতি ছেড়ে দেওয়ার জন্য চাপ দেওয়া হয়, কিন্তু দেশের প্রতি তার অনড় ভালোবাসা ও দায়বদ্ধতা তাকে কোনো প্রস্তাবে রাজী হতে বাধ্য করেনি। ২০০৭ সালের ২৮ নভেম্বর, আদালতে দাঁড়িয়ে তিনি তার উপর করা অমানবিক নির্যাতনের বিবরণ তুলে ধরেন।

নির্যাতনের কারণে তার শারীরিক অবস্থা খারাপ হতে থাকে এবং যথাযথ চিকিৎসা না পাওয়ায় ২০০৮ সালের ৩১ জানুয়ারি তাকে পিজি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। মেডিকেল বোর্ডের পরামর্শে তার উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশ পাঠানোর প্রয়োজনীয়তা ওঠে।

তার স্বাস্থ্যের আরও অবনতি হলে তার মুক্তি ও উন্নত চিকিৎসার জন্য দেশে বড় ধরনের আন্দোলন শুরু হয়। সরকারের চাপেই তাকে শর্তসাপেক্ষে মুক্তি দেওয়া হয়, তবে তিনি নিঃশর্ত মুক্তির জন্য অনড় অবস্থানে ছিলেন। শেষে, ২০০৮ সালের ৩ সেপ্টেম্বর তিনি বিদেশ যাওয়ার সুযোগ পান।

আজও, লন্ডনে চিকিৎসাধীন থাকলেও, তিনি দেশ ও দলের সাথে কোনোভাবে বিচ্ছিন্ন হননি। হাজার মাইল দূর থেকেও তিনি নিয়মিত সাংগঠনিক কর্মকাণ্ডে সক্রিয় রয়েছেন। গভীর রাত পর্যন্ত জেগে তিনি সংগঠনের শীর্ষ নেতৃবৃন্দসহ তৃণমূলের নেতাকর্মীদের সাথে কথা বলেন। ফ্যাসিবাদ বিরোধী আন্দোলনে নেতাকর্মীদের একসূত্রে গেঁথে তিনি অভুতপুর্ব সাফল্য দেখান। তার দিক নির্দেশণায় ফ্যাসিস্ট হাসিনা বিরোধী আন্দোলন এদেশের গণ-মানুষের আন্দোলনে পরিণত হয়। যার প্রতিফলন ঘটেছে চব্বিশের গণঅভ্যুত্থানে ফ্যাসিস্ট হাসিনার পলায়নের মাধ্যমে।

Header Ad
Header Ad

জাতীয় নাগরিক পার্টিকে ধনীরা অর্থ সহায়তা দিয়েছেন: নাহিদ ইসলাম

জাতীয় নাগরিক পার্টির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম। ছবি: সংগৃহীত

জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)-এর আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম জানিয়েছেন, তাদের দলকে বিভিন্ন ধনী ব্যক্তি আর্থিক সহায়তা প্রদান করছেন। এছাড়া, ভবিষ্যতে ক্রাউডফান্ডিংয়ের মাধ্যমে অর্থ সংগ্রহের পরিকল্পনা করা হয়েছে, যার মাধ্যমে দলের জন্য তহবিল গঠন করা হবে।

এটি নাহিদ ইসলামের প্রথম সাক্ষাৎকার ছিল, যা তিনি রয়টার্সকে দিয়েছেন। ২৬ বছর বয়সী এই তরুণ নেতা সাক্ষাৎকারে দলের নতুন অফিস স্থাপন, নির্বাচনী তহবিল সংগ্রহ, দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি, আইনশৃঙ্খলা এবং নির্বাচনী সংস্কারসহ নানা বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন।

নাহিদ ইসলাম জানান, “ধনী ব্যক্তিরা আমাদের দলকে আর্থিক সহায়তা দিচ্ছেন এবং আমরা শিগগিরই একটি নতুন অফিস স্থাপনের জন্য ক্রাউডফান্ডিংয়ের পরিকল্পনা করছি।” এছাড়া, আসন্ন নির্বাচনের জন্য একটি তহবিল গঠনেরও উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।

তবে তিনি জাতীয় নির্বাচনের পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। নাহিদ ইসলাম বলেন, “বর্তমান আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি এবং পুলিশিং ব্যবস্থা এমনভাবে রয়েছে, যা দেখে আমি মনে করি না যে, এ বছর জাতীয় নির্বাচন আয়োজন করা সম্ভব হবে।” তিনি আরও বলেন, “অন্তর্বর্তীকালীন সরকার এখনও জনগণের নিরাপত্তা পুরোপুরি নিশ্চিত করতে সক্ষম হয়নি এবং দেশ এখনো অস্থিতিশীল।”

এদিকে, এনসিপি নেতার মতে, দলটি যেকোনো সময় নির্বাচনের জন্য প্রস্তুত। তবে, ভোটের আগে “জুলাই বিপ্লবের ঘোষণা” নিয়ে সকল রাজনৈতিক দল এবং ছাত্রনেতাদের মধ্যে ঐকমত্য পৌঁছানো অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তিনি বলেন, “এটি বাংলাদেশি জনগণের আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন হবে এবং গত বছর সহিংসতায় নিহত এক হাজার মানুষের স্মরণে প্রণয়ন করা হবে।”

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

নির্বাচন নিয়ে গড়িমসি করলে সরকারের প্রতি জনগণের অনাস্থা আসবে: রিজভী
তারেক রহমানের ১৯তম কারাবন্দি দিবস আজ
জাতীয় নাগরিক পার্টিকে ধনীরা অর্থ সহায়তা দিয়েছেন: নাহিদ ইসলাম
নিষিদ্ধ হিযবুত তাহরীরের মিছিল, পুলিশের লাঠিচার্জ-সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ
১৬ মাস পর ব্রাজিল দলে ফিরে যা জানালেন নেইমার
মাগুরায় ৪র্থ শ্রেণির ছাত্রীকে ধর্ষণ: মামলা না হলেও অভিযুক্ত হিটু মিয়া আটক
আজ ঐতিহাসিক ৭ মার্চ
রাজধানীতে নিষিদ্ধ সংগঠন হিজবুত তাহরীরের তিন সদস্য গ্রেপ্তার
দুপুরে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার ‘না’, রাতেই সাবেক এমপির বাড়িতে ছাত্রদের ‘অভিযান’
পোশাক নিয়ে হেনস্তা: মামলা প্রত্যাহার করে নিলো ঢাবির সেই ছাত্রী
ঈদে বাসের অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু ১৪ মার্চ
সিরিয়ায় আসাদ অনুগতদের সঙ্গে সরকারি বাহিনীর ব্যাপক সংঘর্ষ, নিহত ৪৮
‘বিএনপি আগামীতে সুন্দর ও বৈষম্যহীন বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করবে’
জুলাই আন্দোলনের সময় সেনাবাহিনীকে সতর্ক করেছিল জাতিসংঘ
চিত্রনায়িকা পরীমণির সাবেক স্বামী সৌরভ গ্রেপ্তার
সেন্ট্রাল আফ্রিকান রিপাবলিকের রাষ্ট্রপতি পদকে ভূষিত হলেন সেনাপ্রধান
তৃতীয় বিয়ে করলেন অভিনেতা মিলন, পাত্রী কে?
ইউপি চেয়ারম্যানের অ্যাকাউন্টে সাড়ে ১৪ হাজার কোটি টাকা লেনদেন, দুদকের মামলা
লাইফ সাপোর্টে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য আরেফিন সিদ্দিক
যশোর সীমান্ত থেকে ৫ কোটি ১২ লাখ টাকার ভারতীয় মালামাল জব্দ