মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪ | ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

মিলে মিলে অভিযান, কমানো হলো ২০ শতাংশ ভ্যাট

কমবে কি সয়াবিন তেলের দাম?

প্রতিদিন বাজারে শত শত ট্রাকে ভোজ্যতেল সরবরাহ করা হচ্ছে বলে মিলমালিকরা দাবি করছে। তবে ডিলার এবং ব্যবসায়ীরা বলছেন, মাস পার হয়ে গেলেও পাওয়া যাচ্ছে না তেল। বাধ্য হয়ে সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, শুক্রবার থেকে রশিদ ছাড়া কোনো তেল বিক্রি করা যাবে না। শুধু তাই নয়, মিলমালিকরা পর্যাপ্ত তেলের যে তথ্য দিয়েছে, তা যাচাই করতে মিলে মিলে অভিযান শুরু করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার রূপগঞ্জের তীর ও রূপচাঁদা মিলে অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। কোনো কারসাজি ধরা পড়লে কেউ রেহাই যাবে না। শুধু তা-ই নয়, ব্যবসায়ীদের দাবির মুখে বৃহস্পতিবার ভোজ্যতেলের উপর ২০ শতাংশ ভ্যাট তুলে নেওয়া হয়েছে। তারপরও শঙ্কায় ভোক্তারা। বলছেন, ভোক্তা পর্যায়ে ৫ শতাংশ ভ্যাট প্রত্যাহার করা হয়েছে। আর উৎপাদন তথা মিলমালিকদের জন্য ১৫ শতাংশ।

আন্তর্জাতিক বাজারের দোহাই দিয়ে মিল মালিকরা তেলের দাম বাড়াতে চাইলেও সরকার তাতে সাড়া দেয়নি। বরং সরকার গত ৬ ফেব্রুয়ারি ভোজ্যতেলের দাম নির্ধারণ করে দিয়েছে- খোলা তেল ১৪৩ টাকা লিটার ও প্যাকেটজাত তেল ১৫৮ টাকা। তারপর থেকেই দেশে বাড়তে শুরু করেছে তেলের দাম। এমন অবস্থায় সম্প্রতি বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেছেন, রমজান মাসের আগে আর বাড়ানো হবে না তেলের দাম।

সরকার অনুমোদন করার আগেই বিভিন্ন মিল মালিকরা ২ লিটার ৩৩৫ টাকা এবং ৫ লিটার ৮০০ টাকা তেল ছেড়ে দিয়েছে বাজারে। তারপরও গত সপ্তাহে থেকে বাজারে পাওয়া যাচ্ছে না সয়াবিন তেল। বাধ্য হয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় থেকে বিভিন্ন স্থানে অভিযান শুরু করেছে। প্রতিদিন ধরা পড়ছে মজুদকারিরা।

এমন পরিস্থিতিতে ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন ফেডারেশন অফ বাংলাদেশ চেম্বার্স অফ কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (এফবিসিসিআই) দেশের সব মিলমালিক ও ভোজ্যতেল ব্যবসায়ী নেতাদের নিয়ে ৭ মার্চ মত বিনিময় সভার আয়োজন করে। সভায় মিলমালিকের পক্ষ থেকে বলা হয়, আন্তর্জাতিক বাজারে বেড়ে গেছে তেলের দাম। তাই দেশেও বাড়ানো দরকার। একই সঙ্গে তারা বলেন, দেশে তেলের কোনো সংকট নেই। প্রতি দিন শত শত ট্রাক তেল সরবরাহ করা হচ্ছে।

মিলমালিকদের বক্তব্যের বিরোধিতা করে তেল ব্যবসায়ীরা বলছেন, কোনো কোনো মিল মালিক এক মাস আগে এসও নিয়েও তেল দিচ্ছে না। বাধ্য হয়ে কোনো কোনো ব্যবসায়ী হয়ত তেল লুকিয়ে রাখছে। তাই বাজারে পাওয়া যাচ্ছে না। মিলমালিকরা ঠিকমতো তেল দিলে বাজারে কোনো সংকট হবে না।

এ ব্যাপারে এফবিসিসিআইর সভাপতি জসিম উদ্দিন বলেন, ‘রোজা পর্যন্ত দেশে তেলের কোনো ঘাটতি নেই। তারপরও সয়াবিন তেলের দাম বৃদ্ধি পাচ্ছে। বিশ্ববাজারে আজ বাড়লে দেশে আজকেই কেন দাম বাড়বে? দুই মাস পর বাড়বে। গুটি কয়েক অসাধু ব্যবসায়ীদের জন্য পুরো ব্যবসায়ী সমাজের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হচ্ছে। এফবিসিসিআই এসব ব্যবসায়ীদের দায় নেবে না। ব্যবসা করতে এসেছি। চোর-বাটপারি করতে না। খোলা তেলের মূল্য না থাকায় অনেকে ইচ্ছামতো দাম নিচ্ছে। তাই খোলা তেল বন্ধ করতে হবে। সরকারি নির্ধারিত দামে তেল বিক্রি এবং মিলমালিকদের সরবরাহ ঠিক রাখতে হবে।’

এরপর বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ও তেলের বাজার নিয়ন্ত্রণে নড়েচড়ে বসেছে। এর আওতাধীন জাতীয় ভোক্তা সংরক্ষণ অধিদপ্তর গত বুধবার ও বৃহস্পতিবার মিলমালিকসহ ভোজ্যতেল ব্যবসায়ীদের কাছে জানতে চায় আসল কাহিনি কী?

সেখানেও মিলমালিকদের পক্ষ থেকে বলা হয়, দেশে পর্যাপ্ত তেল সরবরাহ করা হচ্ছে। প্রতিদিন প্রায় হাজার ট্রাক তেল সরবরাহ করছে। তাদের এই বক্তব্যের বিরোধিতা করে তেল ব্যবসায়ীরা বলেন, এসও করার মাস পার হলেও মিল থেকে দেওয়া হচ্ছে না তেল। এমনকি কোনো কোনো মিলে ট্রাক প্রতি ৫০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করা হয়। প্রতি ট্রাকে ১১ টন তেল থাকে। এই টাকা দিলেই মিল থেকে পাওয়া যাচ্ছে তেল। এই বাড়তি টাকা ভোক্তাদের পকেট থেকে কাটা হচ্ছে। তাতে এই কয় দিনে ভোক্তাদের কাছ থেকে প্রায় হাজার কোটি টাকা চলে গেছে।

মৌলভীবাজার ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক আজমল হোসেন বাবুল বলেছৈন, ‘মিল মালিকরা চাহিদা মতো সয়াবিন তেল দিচ্ছে না। তারা ঠিকভাবে দিলে রমজান পর্যন্ত অস্থির বাজারকে স্থির করা হবে।’ একই বাজারের গোলাম কিবরিয়াও বলেছেন, ‘মিল মালিকরা ঠিকমতো তেল দিলে দাম বাড়বে না। রমজানে প্রয়োজনে কেনা দামে বিক্রি করব তেল, বাজার স্থিতিশীল হবে।’

জাতীয় ভোক্তা সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ও অতিরিক্ত সচিব এ এইচ এম সফিকুজ্জামান বলেছেন, ‘বছরে ২০ লাখ টন সয়াবিন তেল লাগে। মাসে লাগে এক লাখ ২০ হাজার টন। তবে রমজানে আড়াই লাখ টন লাগে। মিল মালিকরা বলছে তেল আছে, ব্যবসায়ীরা বলছে পাওয়া যাচ্ছে না। এতে কোনো লাভ হবে না উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘শুক্রবার (১১ মার্চ) থেকে ভোজ্যতেল কেনাবেচায় পাকা রশিদ ছাড়া কোনো ব্যবসা করা যাবে না। তা করলেই তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কোনো ছাড় দেওয়া হবে না।’

তিনি আরও বলেন, ‘মিলে মিলে অভিযান হবে। ৬ ফেব্রুয়ারির নির্ধারিত দামের বেশি কেউ তেল বিক্রি করতে পারবে না। খোলা তেল ১৪৩ টাকা আর প্যাকেট তেল লিটারপ্রতি ১৫৮ টাকা। এর বেশি কেউ আদায় করলে রেহাই পাবে না। ধরা পড়লে কেউ ছাড় পাবে না। আর মিলমালিক যে তথ্য দিয়েছে তা যাচাই করতে মিলে মিলে অভিযান পরিচালনা করা হবে।
এরই অংশ বিশেষ বৃহস্পতিবার (১০ মার্চ) থেকেই রূপগঞ্জের তীর ও রূপচাঁদা মিলে অভিযান শুরু হয়েছে। অধিদপ্তরের পরিচালক মনজুর মোহাম্মদ শাহরিয়ারের নেতৃত্বে এই অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযানে এই দুই মিলের সব কিছু দেখা হয়েছে। পর্যালোচনা করে কোনো বিভ্রান্তি ধরা পড়লে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে সূত্র জানায়।

এদিকে ভোক্তাদের স্বার্থে পাকা রশিদ ছাড়া তেল কেনাবেচা ব্যাপারে চানতে চাইলে কারওয়ান বাজারের মিলু ট্রেডার্সের মালিক মিলু ঢাকাপ্রকাশকে বলেন, ‘প্যাকেটজাত তেলে কোনো সমস্যা নেই। খোলা তেলে এই হয়ে থাকে। তাই শুক্রবার থেকে পাকা রশিদ দেওয়া হবে। কোনো সমস্যা নেই।’

তবে একই বাজারের খুচরা বিক্রেতা মেসার্স ইউসুফ জেনারেল স্টোরের মালিক ইউসুফ জানান, ‘সরকার তো এর আগেও অনেক কিছু বলেছে, তারপরও বাজার নিয়ন্ত্রণে আসেনি। আমরা কেনার চেয়ে সামান্য লাভ করে তেলসহ বিভিন্ন পণ্য বিক্রি করি। এবারও সরকার বলছে, রশিদ ছাড়া পণ্য কেনাবেচা করা যাবে না। প্রথমে পাইকারি ব্যবসায়ীরা মানলেও কয়দিন যাবার পরই আর তারা দিবে না।’

আগে থেকেই রশিদের প্রচলন আছে। তা আবার নতুন করে কার্যকরের ব্যাপারে চানতে চাইলে ভোক্তা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অতিরিক্ত সচিব এ এইচ এম সফিকুজ্জামান ঢাকাপ্রকাশকে বলেন, ‘নিয়ম আছে তা মানতে হবে। মানলে কেউ বেশি দাম নিতে পারবে না। তাই বাজার নিয়ন্ত্রণে এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।’

বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতির সভাপতি মো. হেলাল উদ্দিন বলেছেন, ‘কেউ অনিয়ম করলে তাকে শাস্তির আওতায় আসবে হবে। রশিদ প্রথা মানলে ভোক্তারা নায্যমূল্যে পণ্য পাবেন। তাই ব্যবসায়ীদের তা মানতে হবে।’

জেডএ/এসএ/

Header Ad

কুমিল্লায় ট্রেনের ধাক্কায় অটোরিকশার ৫ যাত্রী নিহত

ছবি: সংগৃহীত

কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলার কালিকাপুর এলাকায় ট্রেনের ধাক্কায় ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার ৫ যাত্রী নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও অন্তত ৩ জন।

মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) সকাল ১০টায় উপজেলার কালিকাপুর রেল ক্রসিংয়ে এ দুর্ঘনা ঘটে।

বুড়িচং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আজিজুল হক জানিয়েছেন, চট্টগ্রাম থেকে ছেড়ে আসা চট্টলা এক্সপ্রেস বুড়িচং উপজেলার কালিকাপুর এলাকায় একটি অবৈধ ক্রসিং দিয়ে পার হওয়ার সময় যাত্রীবাহী অটোরিকশাকে ধাক্কা দেয়। এতে অটোরিকশার চার যাত্রী ঘটনাস্থলেই নিহত হন। হাসপাতালে নেওয়ার পথে আরেক যাত্রীর মৃত্যু হয়। আহত হয়েছেন আরো অন্তত তিনজন।

নিহতরা হলেন- বুড়িচং উপজেলার বাকশিমুল গ্রামের রফিক মিয়া, লুৎফা বেগম, সানু মিয়া, সফরজান বেগম ও সাজু মিয়া।

ওসি আরো জানান, ট্রেনের ধাক্কায় নিহতদের দেহ ছিন্ন-ভিন্ন হয়ে গেছে। রেলওয়ে পুলিশকে খবর দেওয়া হয়েছে। তারা এসে আইনি প্রক্রিয়া শেষ করবেন।

Header Ad

সিএমপি হেফাজতে ইসকনের চিন্ময় কৃষ্ণ, তোলা হবে আদালতে

ছবি: সংগৃহীত

ইসকনের মুখপাত্র চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীকে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) হেফাজতে দিয়েছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।

মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) সকালে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ডিবি) রেজাউল করিম মল্লিক এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীকে চট্টগ্রামে পাঠানো হয়েছে। তিনি বর্তমানে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) হেফাজতে রয়েছেন। সেখানে তার বিরুদ্ধে মামলা রয়েছে।

পুলিশ সূত্রে জানা যায়, চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীকে বর্তমানে সিএমপি কোতয়ালি থানায় রাখা হয়েছে। চট্টগ্রামে তার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহের একটি মামলা রয়েছে। সেই মামলায় মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) দুপুরে চট্টগ্রাম আদালতে তোলা হবে তাকে।

এর আগে, সোমবার (২৫ নভেম্বর) বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে বাংলাদেশ সনাতন জাগরণ মঞ্চের মুখপাত্র ও চট্টগ্রামের পুণ্ডরীক ধামের অধ্যক্ষ চিন্ময় কৃষ্ণ দাশ ব্রহ্মচারীকে রাজধানীর বিমানবন্দর এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ।

জানা যায়, গত ২৫ অক্টোবর চট্টগ্রামে সমাবেশ করে বাংলাদেশ সনাতন জাগরণ মঞ্চ। চিন্ময় কৃষ্ণ দাস এই মঞ্চেরও মুখপাত্র। ওই সমাবেশের পরপরই চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের বিরুদ্ধে জাতীয় পতাকা অবমাননার অভিযোগ এনে চট্টগ্রামে একটি রাষ্ট্রদ্রোহের মামলা করেন বিএনপি নেতা ফিরোজ খান (পরে বহিষ্কৃত)।

সম্প্রতি বাংলাদেশ সনাতন জাগরণ মঞ্চ ও বাংলাদেশ সম্মিলিত সংখ্যালঘু জোট নামে দুটি সংগঠন ‘বাংলাদেশ সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের’ ব্যানারে কর্মসূচি পালন শুরু করে। নতুন এই জোটের মুখপাত্র করা হয় চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে।

Header Ad

মুরগির বাচ্চায় সিন্ডিকেট, দৈনিক হাতিয়ে নিচ্ছে ৯ কোটি টাকা

ছবি: সংগৃহীত

আগামী ১৫ দিনের মধ্যে দেশের বাজারে মুরগীর বাচ্চার অতিরিক্ত দাম স্থিতিশীল করে সিন্ডিকেট ভাঙতে না পারলে এবং প্রান্তিক খামারিদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে কার্যকর পদক্ষেপ না নেয়, তাহলে ঠাকুরগাঁও জেলার সব প্রান্তিক খামার বন্ধ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে এক গণ বিবৃতি দেয় পোল্ট্রি অ্যাসোসিয়েশনের (বিপিএ) এর সভাপতি মো. সুমন হাওলাদার। তিনি বলেন, দেশের বাজারে মুরগির বাচ্চার অতিরিক্ত দাম রেখে ক্রেতার পকেট থেকে প্রতিদিন ৯ কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়া হচ্ছে।

মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) সকালে বাংলাদেশ পোল্ট্রি অ্যাসোসিয়েশনের (বিপিএ) পক্ষ থেকে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এসব কথা বলা হয়েছে।

সংগঠনের সভাপতি মো. সুমন হাওলাদারের সই করা বিবৃতিতে বলা হয়েছে, প্রান্তিক খামারিদের সুরক্ষায় সরকারের জরুরি হস্তক্ষেপের আহ্বান জানাচ্ছি। যদি আগামী ১৫ দিনের মধ্যে সিন্ডিকেট ভাঙতে এবং প্রান্তিক খামারিদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে কার্যকর পদক্ষেপ না নেয় তাহলে ঠাকুরগাঁও জেলার সব প্রান্তিক খামার বন্ধ করার কঠিন সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

তিনি আরও জানান, গত ১৫ সেপ্টেম্বর ডিম ও মুরগির দাম বেঁধে দেয় সরকার। তখন একটি মুরগির বাচ্চার দাম ছিল ৩০-৩৫ টাকা। অথচ পরবর্তী সময়ে মুরগির বাচ্চা উৎপাদনকারী কর্পোরেট কোম্পানিগুলো মুরগির বাচ্চার সংকট তৈরি করে ১৬ সেপ্টেম্বর থেকে আজ পর্যন্ত ৬০-১১০ টাকায় বিক্রি করছে।

তিনি দাবি মতে, প্রতিদিন সব জাতের মুরগির বাচ্চা ৩০ লাখ উৎপাদন করা হয়। যদি একটি মুরগির বাচ্চায় গড়ে ৩০ টাকা করে বেশি নেওয়া হয় তাহলে প্রতিদিন ৯ কোটি টাকা প্রান্তিক খামারিদের কাছ থেকে অতিরিক্ত মুনাফা করছে কোম্পানিগুলো। বাংলাদেশের পোল্ট্রি খাত বর্তমানে একটি গভীর সংকটের মধ্যে রয়েছে। দেশের শীর্ষ মুরগির বাচ্চা উৎপাদনকারী কোম্পানিসহ (কাজী ফার্মস, নাহার অ্যাগ্রো, প্যারাগন গ্রুপ, নারিশ পোলট্রি অ্যান্ড হ্যাচারি, সিপি বাংলাদেশ) আরও ১০-১২টি কর্পোরেট কোম্পানি সিন্ডিকেট করে পোল্ট্রি সেক্টরে
একচেটিয়া আধিপত্য বিস্তার করেছে। এ সিন্ডিকেটের হাত থেকে প্রান্তিক খামারিদের রক্ষা করে বন্ধ খামারগুলোকে উৎপাদনে ফিরিয়ে আনতে হবে।

সুমন হাওলাদার বলেন, সিন্ডিকেটের কারণে ফিড ও মুরগির বাচ্চার দাম অস্বাভাবিকভাবে বাড়ছে। যা প্রান্তিক খামারিদের উৎপাদন খরচ ব্যাপকভাবে বাড়িয়ে দিচ্ছে। উৎপাদন খরচের তুলনায় ডিম ও মুরগির বিক্রয় মূল্য অত্যন্ত কম থাকায় প্রান্তিক খামারিরা তাদের উৎপাদিত পণ্যের ন্যায্য মূল্য পাচ্ছেন না। এ সংকটের কারণে বহু প্রান্তিক খামারি তাদের ব্যবসা বন্ধ করতে বাধ্য হচ্ছেন। যা দেশের খাদ্য নিরাপত্তা এবং অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতার জন্য বড় হুমকি।

এ অবস্থায় দেশের পোল্ট্রি শিল্প রক্ষায় বাংলাদেশ পোল্ট্রি অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে বেশকিছু দাবিও জানানো হয়েছে। সেগুলো হচ্ছে–

১. ফিড এবং মুরগির বাচ্চার বাজারে সিন্ডিকেট বন্ধ করে প্রতিযোগিতামূলক পরিবেশ তৈরি করতে হবে।

২. কর্পোরেট কোম্পানির বাণিজ্যিক ডিম এবং মুরগি উৎপাদন বন্ধ করতে হবে।

৩. প্রান্তিক খামারিদের জন্য সহজ শর্তে জামানতবিহীন ঋণ সুবিধা এবং বিশেষ প্রণোদনা চালু করতে হবে।

৪. সরকারকে কঠোরভাবে বাজার মনিটরিং করতে হবে। যাতে ডিম, মুরগি এবং পোল্ট্রি উপকরণের দাম নিয়ন্ত্রণে থাকে।

৫. ফিডের দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে পোল্ট্রি ফিড উৎপাদনে আরও প্রতিযোগিতামূলক পরিবেশ তৈরি করতে হবে।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

কুমিল্লায় ট্রেনের ধাক্কায় অটোরিকশার ৫ যাত্রী নিহত
সিএমপি হেফাজতে ইসকনের চিন্ময় কৃষ্ণ, তোলা হবে আদালতে
মুরগির বাচ্চায় সিন্ডিকেট, দৈনিক হাতিয়ে নিচ্ছে ৯ কোটি টাকা
দেশের বাজারে স্বর্ণের নতুন দাম আজ থেকে কার্যকর
খালেদা জিয়াকে উমরাহ পালনের আমন্ত্রণ সৌদির
লঘুচাপটি নিম্নচাপে পরিণত, চার সমুদ্র বন্দরে সতর্কতা জারি
ইসকন নেতা চিন্ময়ের মুক্তির দাবিতে বাংলাদেশ সীমান্তে অবরোধের হুমকি পশ্চিমবঙ্গ বিজেপির
বিশ্ববাজারে ৩ শতাংশেরও বেশি কমলো স্বর্ণের দাম
সব ছাত্রসংগঠনের সমন্বয়ে ‘জাতীয় ছাত্র সংহতি সপ্তাহ’ পালনের ঘোষণা
গাজায় একদিনে ২৪ জন নিহত
৯ বছর পর খালেদা জিয়ার সঙ্গে সৌদি রাষ্ট্রদূতের সাক্ষাৎ
ইসকন নেতা চিন্ময়কে গ্রেপ্তার নিয়ে যা বললেন প্রেস সচিব
বেনাপোলে টানা ৪ দিন বন্ধ রয়েছে দূরপাল্লার সকল পরিবহন
৮ হাজার শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে পুলিশের মামলা
ঋণ দেওয়ার নামে শাহবাগে লোক জড়ো করা মোস্তফা আমীন আটক
সেন্ট মার্টিনে পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচলের অনুমতি
আইপিএলে দল পেলেন না মুস্তাফিজুর রহমান
টাঙ্গাইলে আওয়ামী লীগ নেতা আজাহার গ্রেফতার
চলতি মৌসুমে দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা আজ নওগাঁয়
নির্লজ্জ দলাদলির পরিণতি দেশবাসী দেখেছে: তারেক রহমান