বিড়িশিল্প ধংসে বিদেশি বহুজাতিক কোম্পানি ষড়যন্ত্রে লিপ্ত
বাংলাদেশের শ্রমিকবান্ধব বিড়িশিল্প ধংসে বিদেশি বহুজাতিক কোম্পানি ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়ে পড়েছে। এ ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছে রাজশাহী বিড়ি শ্রমিক ইউনিয়ন ও কর্মচারী ঐক্য পরিষদ। বৃহস্পতিবার (১০ মার্চ) রাজশাহী চেম্বার অব কমার্স এর সামনে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। মানববন্ধনে বলা হয়, বিদেশি কোম্পানি এদেশের মানুষের ফুসফুস পুড়িয়ে হাজার হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচার করছে।
বাংলাদেশ বিড়ি শ্রমিক ফেডারেশনের যুগ্ম সম্পাদক হারিক হোসেনের সঞ্চালনায় মানববন্ধনে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ বিড়ি শ্রমিক ফেডারেশনের কার্যকরী সভাপতি আমিন উদ্দিন। মানববন্ধনে প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ বিড়ি শ্রমিক ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহমান। বিশেষ অতিথি ছিলেন সহ-সভাপতি নাজিম উদ্দিন, সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল গফুর, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক আবুল হাসনাত লাবলু, প্রচার সম্পাদক শামীম ইসলাম, কার্যকরী সদস্য আনোয়ার হোসেন প্রমুখ।
মানববন্ধনে আগামী বাজেটে বিড়িতে শুল্ক কমানো, বিড়ির উপর অর্পিত অগ্রিম ১০ শতাংশ আয়কর প্রত্যাহার, বিড়ি শ্রমিকদের সুরক্ষা আইন প্রণয়ন, সরেজমিনে পরিদর্শন ব্যতিরেকে বিড়ি কারখানার লাইসেন্স না দেওয়া এবং কাস্টমস্ কর্তৃপক্ষকে নকলবাজদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করার দাবি জানান শ্রমিকরা। মানববন্ধন শেষে রাজশাহী চেম্বার অব কমার্স এর মাধ্যমে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড চেয়ারম্যানের কাছে স্মারকলিপি প্রদান করেন শ্রমিক নেতারা।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, ‘প্রাচীন শ্রমঘন বিড়িশিল্পে দেশের অসহায়, হতদরিদ্র, স্বামী পরিত্যক্তা, নদী ভাঙ্গন কবলিত জনগণ, শারীরিক বিকলঙ্গসহ লাখ লাখ সুবিধা বঞ্চিত শ্রমিক কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করে। অথচ বিদেশি বহুজাতিক কোম্পানির ষড়যন্ত্রে দেশের প্রাচীন শ্রমঘন এ শিল্পটি ধ্বংস করা হচ্ছে। এদেশীয় কিছু দুর্নীতিগ্রস্থ কর্মকর্তা বিদেশি বহুজাতিক কোম্পানীর কাছে সুবিধা পেয়ে বিড়ির উপর মাত্রাতিরিক্ত করের বোঝা চাপিয়ে দিচ্ছে। বিড়ি মালিকরা এই মাত্রাতিরিক্ত করের বোঝা সহ্য করতে না পেরে কারখানা বন্ধ করতে বাধ্য হচ্ছে। ফলে শ্রমিকরা বেকার হয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছে।’
বক্তারা আরও বলেন, ‘বহুজাতিক কোম্পানি এদেশের মানুষের ফুসফুস পুড়িয়ে হাজার হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচার করছে। এছাড়া সিগারেটে অগ্রীম আয়কর ৩ শতাংশ, সেখানে বিড়িতে অগ্রিম আয়কর ১০ শতাংশ ধরা হয়েছে। বৈষম্যমূলক অগ্রিম আয়কর প্রত্যাহারসহ দেশীয় বিড়ি শিল্প নিয়ে সব ধরনের ষড়যন্ত্র বন্ধ করা না হলে আমরা তীব্র আন্দোলন সংগ্রামে যেতে বাধ্য হবো।’
জেডএ/