পাওয়া গেল না বিদেশ ভ্রমণের টাকা বৃদ্ধির ব্যাখ্যা
মোংলা বন্দর হতে চাঁদপুর-মাওয়া-গোয়ালন্দ হয়ে পাকশী পর্যন্ত নৌ-রুটের নাব্যতা উন্নয়ন প্রকল্পে কর্মচারীদের বেতন ১৪৯ কোটি টাকা কমালেও ভ্রমণ ভাতাসহ বিভিন্ন খাতে ব্যয় বাড়নো হয়েছে ৩৩৪ কোটি টাকা। কিন্তু ভ্রমণভাতা বাড়ানোর কোনও ব্যাখ্যা পাওয়া গেলো না সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের কাছে। প্রকল্পটি মঙ্গলবার (৭ ডিসেম্বর) জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় অনুমোদন দেওয়া হয়।
প্রকল্পটি নিয়ে গত সোমবার (৬ ডিসেম্বর) ‘বেতন কমিয়ে বাড়ানো হলো ভ্রমণ ভাতা’ শিরোনামে ঢাকাপ্রকাশ-এ -একটি রিপোর্ট প্রকাশিত হয়।
একনেক সভা শেষে এ বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান এ ব্যাখ্যা দেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট সদস্য (সচিব) মো. মামুন-আল-রশীদ আহবান জানান। সচিব জানান, মূল প্রকল্পে কর্মজারীদের জন্য যে ব্যয় ধরা হয়েছিলো সেভাবে হয়নি, কম হয়েছে। তাই সংশোধনের সময় তারা (নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয়) খরচ কমিয়েছে। এ সময় তিনি বিদেশ ভ্রমনের টাকা বৃদ্ধির ব্যাপারে কোনো ব্যাখ্যা দেননি।
তবে পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নান বলেন, আন্ত:মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে কমিটি করে মোংলা বন্দর হতে চাঁদপুর-মাওয়া-গোয়ালন্দ হয়ে পাকশী পর্যন্ত নৌ-রুটের নাব্যতা উন্নয়ন প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করতে নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। একই সাথে কাজের মান ঠিক রাখতে ও টাকা কাজে লাগাতেও নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। একনেক সভা শেষে সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা জানান ।
মঙ্গলবার (৭ ডিসেম্বর) রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সম্মেলন কক্ষে এ সভা হয়। গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি সংযুক্ত হয়ে সভায় সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সভায় প্রায় সাড়ে সাত হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে ১০ প্রকল্পের অনুমোদন দেওয়া হয়।
সভায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অনুশাসন তুলে ধরে পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম বলেন, সারাদেশে ৫৬০টি মডেল মসজিদ নির্মাণ করা হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী বলেন আমাদের ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র থেকে ইসলামিক শিক্ষা দিতে হবে। যেন যুবকরা জঙ্গিবাদে ঝুঁকে না পড়ে। দক্ষিণাঞ্চলে বেশি করে ধান চাষ করতে হবে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী আমাদের নির্দেশনা দিয়েছেন সঠিকভাবে প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে হবে। ভালো হতে হবে কাজের মান। যে টাকা ব্যয় হয় তা যেন যথাযথভাবে ব্যয় হয়। পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেন, পানির কাজে সবাই বিশেষঞ্জ নয়। নদী ড্রেজিং করে নদীর পানির নাব্যতা ঠিক রাখতে হবে। তাই সমন্বয় করে কাজ করতে প্রধানমন্ত্রী নির্দেশ দিয়েছেন। শিল্পের জন্য কৃষি জমি ব্যবহার করা যাবে না।
এসময় উপস্থিত ছিলেন-পরিকল্পনা বিভাগের সচিব প্রদীপ রঞ্জন চক্রবর্তী, পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের সচিব ড. শাহনাজ আরেফিন, পরিকল্পনা কমিশনের কৃষি, পানি সম্পদ ও পল্লী প্রতিষ্ঠান বিভাগের সদস্য (সচিব) রমেন্দ্র নাথ বিশ্বাস, আর্থ-সামাজিক অবকাঠামো বিভাগের সদস্য (সচিব) মোসাম্মৎ নাসিমা বেগম।