বছরের প্রথম মাসেই এলো সাড়ে ২৬ হাজার কোটি টাকার রেমিট্যান্স
ছবিঃ সংগৃহীত
চলতি বছরের প্রথম মাস জানুয়ারিতে ২১৮ কোটি ৫২ লাখ ডলারের রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা।দেশীয় মুদ্রায় (প্রতি ডলার ১২২ টাকা হিসাবে) যার পরিমাণ ২৬ হাজার ৬৫৯ কোটি ৪৪ লাখ টাকা।
এর আগের মাস ডিসেম্বরে এসেছিলো রেকর্ড ২৬৩ কোটি ৯০ লাখ ডলার। সে হিসাবে এক মাসের তুলনায় প্রবাসী আয় কমেছে ৪৫ কোটি ডলার। বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্রে এ তথ্য পাওয়া গেছে।
রোববার (০২ ফেব্রুয়ারি) বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে। হিসেব অনুযায়ী দেশে প্রতিদিন গড়ে রেমিট্যান্স এসেছে ৭ কোটি ৫ লাখ ডলার।
হালনাগাদ প্রতিবেদনে কেন্দ্রীয় ব্যাংক জানায়, গত জানুয়ারি মাসে দেশে রেমিট্যান্স এসেছে ২১৮ কোটি ৫২ লাখ ৩০ মার্কিন ডলার। আর গত বছরের ডিসেম্বরে দেশে এসেছিল ২৬৩ কোটি ৮৭ লাখ ৮০ হাজার মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স, যা দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ। একক মাস হিসাবে আগে কখনোই এত পরিমাণ রেমিট্যান্স আসেনি। এ হিসেবে জানুয়ারি মাসে রেমিট্যান্স প্রবাহ কমেছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, জানুয়ারিতে রাষ্ট্র মালিকানাধীন ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ৫১ কোটি ১১ লাখ ৩০ হাজার ডলার। এ ছাড়া বিশেষায়িত ব্যাংকের মাধ্যমে ১১ কোটি ৬০ লাখ ৪০ হাজার ডলার, বেসরকারি ব্যাংকের মাধ্যমে ১৫৫ কোটি ১৫ লাখ ৭০ হাজার ডলার ও বিদেশি খাতের ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে রেমিট্যান্স এসেছে ৬৪ লাখ ৯০ হাজার ডলার।
হালনাগাদ প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, প্রবাসীরা ২৬ থেকে ৩১ জানুয়ারি দেশে পাঠিয়েছেন ৫০ কোটি ৯২ লাখ ৬০ হাজার ডলার। জানুয়ারির ১৯ থেকে ২৫ তারিখ পর্যন্ত দেশে এসেছে ৪৬ কোটি ৯০ লাখ ৯০ হাজার মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স। ১২ থেকে ১৮ জানুয়ারি প্রবাসীরা দেশে রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন ৪০ কোটি ২ লাখ ৭০ হাজার মার্কিন ডলার। জানুয়ারির ৫ থেকে ১১ তারিখ পর্যন্ত দেশে এসেছে ৫০ কোটি ৯৮ লাখ ৮০ হাজার মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স। আর বছরের প্রথম ৪ দিনে প্রবাসীরা রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন ২২ কোটি ৬৭ লাখ ৩০ হাজার ডলার।
উল্লেখ্য, ২০২৪ সালে দেশে রেমিট্যান্স এসেছে মোট ২ হাজার ৬৮৮ কোটি ৯১ লাখ মার্কিন ডলার। এর মধ্যে গত বছরের জানুয়ারিতে ২১১ কোটি ৩১ লাখ ৫০ হাজার, ফেব্রুয়ারিতে ২১৬ কোটি ৪৫ লাখ ৬০ হাজার, মার্চে ১৯৯ কোটি ৭০ লাখ ৭০ হাজার, এপ্রিলে ২০৪ কোটি ৪২ লাখ ৩০ হাজার, মে মাসে ২২৫ কোটি ৪৯ লাখ ৩০ হাজার, জুনে ২৫৩ কোটি ৮৬ লাখ, জুলাইতে ১৯১ কোটি ৩৭ লাখ ৭০ হাজার, আগস্টে ২২২ কোটি ৪১ লাখ ৫০ হাজার, সেপ্টেম্বরে ২৪০ কোটি ৪৭ লাখ ৯০ হাজার, অক্টোবরে ২৩৯ কোটি ৫০ লাখ ৮ হাজার, নভেম্বরে ২১৯ কোটি ৯৫ লাখ ১০ হাজার এবং ডিসেম্বরে এসেছে ২৬৩ কোটি ৮৭ লাখ ৮০ হাজার মার্কিন ডলার।