রবিবার, ৩০ মার্চ ২০২৫ | ১৬ চৈত্র ১৪৩১
Dhaka Prokash

তিতাসের ১৬ হাজার অবৈধ গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন

ছবি: সংগৃহীত

অবৈধ গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন করতে গত চারমাসে শিল্প, বাণিজ্যিক ও আবাসিকসহ মোট ১৬ হাজার ১০২টি অবৈধ গ্যাস সংযোগ ও ৩৯ হাজার ৭৬৪টি বার্নার বিচ্ছিন্ন করেছে তিতাস গ্যাস।

বৃহস্পতিবার (২৬ ডিসেম্বর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায় তিতাস৷

গ্যাসের অবৈধ ব্যবহার শনাক্ত এবং উচ্ছেদ অভিযান কার্যক্রম চলমান রয়েছে। অবৈধ গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন করতে তিতাস গ্যাসের আওতাধীন কেরানীগঞ্জ, মুন্সীগঞ্জ, নারায়ণগঞ্জ, সাভার, টঙ্গী, গাজীপুর, ধানমন্ডি, মিরপুর, গুলশান, ময়মনসিংহ, মেঘনাঘাট ও নরসিংদী এলাকায় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে এবং কোম্পানির জনবল নিয়ে অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে।

জানা যায়, চলতি বছরের সেপ্টেম্বর মাস থেকে ২৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত অভিযান পরিচালনা করে ১২৮টি শিল্প, ৭৮টি বাণিজ্যিক ও ১৫ হাজার ৮৯৬টি আবাসিকসহ মোট ১৬ হাজার ১০২টি অবৈধ গ্যাস সংযোগ ও ৩৯ হাজার ৭৬৪টি বার্নার বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে। এই অবৈধ সংযোগ বিচ্ছিন্নের ফলে দৈনিক ১ কোটি ৬ লাখ ২৬ হাজার ২৩৩ ঘনফুট গ্যাস সাশ্রয় হয়েছে, যার মূল্য প্রায় ৪৮,৬৪,১১৯ লাখ টাকা। এছাড়া, অভিযানগুলোতে ৮৬ কিলোমিটার পাইপলাইন অপসারণ করা হয়েছে এবং নভেম্বর মাসে ১ (এক) জনকে কারাদণ্ডও দেওয়াও হয়েছে।

Header Ad
Header Ad

ঈদের আগের দিন গাজীপুরে বন বিভাগের উচ্ছেদ অভিযান

ছবি: সংগৃহীত

গাজীপুরের কালিয়াকৈরের সিনাবহ খন্দকার পাড়া এলাকায় ঈদের আগের দিন বন বিভাগের উচ্ছেদ অভিযানে শতাধিক বসতঘর গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। অভিযানের পর এলাকাজুড়ে নেমে আসে কান্নার রোল, হৃদয়বিদারক পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়। ঈদের আনন্দের বদলে শত শত মানুষ আশ্রয়হীন হয়ে পড়েছে।

রবিবার সকাল ৯টা থেকে ঢাকা বন বিভাগের নেতৃত্বে উচ্ছেদ অভিযান চালানো হয়। অভিযানের শুরুর দিকে এলাকাবাসী বাধা দেওয়ার চেষ্টা করলেও পুলিশের সহযোগিতায় অভিযান পরিচালিত হয়। চারটি বুলডোজারের সাহায্যে একে একে শতাধিক বসতঘর গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়। অনেকেই ঘরের ভেতর থেকে আসবাবপত্র বের করার সুযোগ পাননি, মালামালসহ ঘরবাড়ি ধ্বংস করা হয়।

স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, বন বিভাগ মাত্র একদিন আগে শনিবার বিকেলে মাইকিং করে জানায় যে উচ্ছেদ অভিযান চালানো হবে। এত কম সময়ের মধ্যে ঘরবাড়ি সরিয়ে নেওয়া সম্ভব হয়নি, ফলে তারা অসহায় অবস্থায় পড়েছেন।

এক ভুক্তভোগী বলেন, "কাল ঈদ, আমাদের ঘরে একমুঠো চাল পর্যন্ত নেই। আমরা ছোট ছোট সন্তানদের মুখে খাবার তুলে দিতে চেয়েছিলাম, কিন্তু তার আগেই আমাদের ঘরবাড়ি ভেঙে দিলো।"

আসমা বেগম নামে আরেকজন জানান, "আমরা ঘরবাড়ি তৈরির সময় বন বিভাগের লোকদের সাথে আলোচনা করেই কাজ করেছি। এখন তারা হঠাৎ এসে আমাদের সবকিছু গুঁড়িয়ে দিলো।"

বন বিভাগ সূত্রে জানা যায়, চন্দ্রা রেঞ্জের আওতাধীন সিনাবহ এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে বনভূমি দখল করে বসবাস করা হচ্ছিল। দখলদারদের সরে যেতে নোটিশ দেওয়া হয়েছিল, এরপরও তারা দখল ছাড়েনি বলে উচ্ছেদ অভিযান চালানো হয়েছে।

চন্দ্রা রেঞ্জ কর্মকর্তা শহিদুল ইসলাম বলেন, "সরকারের নির্দেশক্রমে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। তবে ঈদের আগের দিন অভিযান চালানো কতটা যৌক্তিক, তা নিয়ে প্রশ্ন থেকে যায়। ঈদের পরও আমরা পুনরায় অভিযান পরিচালনা করবো।"

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, "যারা ঘর তুলেছে, তারা টাকা দিয়ে থাকতে পারে, কিন্তু আমি ব্যক্তিগতভাবে কোনো টাকা নেইনি।"

অনেক ভুক্তভোগীর দাবি, তাদের জমির বৈধ কাগজপত্র থাকা সত্ত্বেও বন বিভাগ কোনো যাচাই না করেই তাদের বসতভিটা ভেঙে দিয়েছে। আব্দুল জলিল নামে এক ব্যক্তি বলেন, "আমার বাড়ি শত বছরের পুরোনো, আমার জমির কাগজপত্র সঠিক রয়েছে। কিন্তু তারা কিছু না দেখেই আমার ঘর ভেঙে দিয়েছে।"

উচ্ছেদ অভিযানের সময় এলাকাবাসী ক্ষিপ্ত হয়ে বন বিভাগের লোকজনকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। একপর্যায়ে বন বিভাগের এফডিএম (নৌ চালক) মিনহাজির ওপর হামলা চালানো হয়, এতে তার মাথা ফেটে যায়। পরে বন বিভাগের অন্য কর্মকর্তারা তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠান।

বন বিভাগ জানিয়েছে, দখলদারদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে এবং বনভূমি পুনরুদ্ধারে নিয়মিত অভিযান চালানো হবে। তবে ঈদের আগের দিন এ ধরনের উচ্ছেদ অভিযান কতটা ন্যায়সংগত, তা নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলো অন্তত এক সপ্তাহ সময় পেলে তারা ঘরবাড়ি সরিয়ে নিতে পারত বলে মনে করছেন অনেকে।

স্থানীয়দের দাবি, সরকার ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ যেন মানবিক দৃষ্টিকোণ থেকে এ ধরনের অভিযানের সময় ও প্রক্রিয়া পুনর্বিবেচনা করে। বিশেষত ধর্মীয় উৎসবের সময় এমন কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হলে তা সাধারণ মানুষের ওপর চরম দুর্ভোগ বয়ে আনে।

Header Ad
Header Ad

ঈদুল ফিতরের ছুটিতে দুই দিনে রাজধানী ছাড়লেন ৪১ লাখ মানুষ

ছবি: সংগৃহীত

পরিবার-পরিজনের সঙ্গে ঈদুল ফিতরের আনন্দ ভাগাভাগি করতে রাজধানী ঢাকা ছেড়েছেন প্রায় ৪১ লাখ মানুষ। মোবাইল অপারেটর কোম্পানিগুলোর দেওয়া সিম মবিলিটির তথ্য বিশ্লেষণ করে এ পরিসংখ্যান পাওয়া গেছে।

তথ্য অনুযায়ী, গত ২৮ ও ২৯ মার্চ দুই দিনে মোট ৪০ লাখ ৯৪ হাজার ৬২১ জন ঢাকা ছেড়েছেন। এর মধ্যে ২৮ মার্চ রাজধানী ছেড়েছেন ১৮ লাখ ৯৯ হাজার ৫৩৭ জন, আর ২৯ মার্চ এই সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ২১ লাখ ৯৫ হাজার ৮৪ জনে।

উল্লেখ্য, চাঁদ দেখার ওপর নির্ভর করে আগামী ৩১ মার্চ (সোমবার) বা ১ এপ্রিল (মঙ্গলবার) মুসলমানদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব পবিত্র ঈদুল ফিতর উদযাপিত হওয়ার কথা রয়েছে। তবে সরকার ৩১ মার্চ ঈদ ধরে এই দিনসহ পাঁচ দিনের ছুটি নির্ধারণ করেছে, যা ২৯ মার্চ (শনিবার) থেকে শুরু হয়ে ২ এপ্রিল (মঙ্গলবার) পর্যন্ত চলবে।

এছাড়া, ৩ এপ্রিল (বুধবার) অফিস খোলা থাকার কথা থাকলেও সরকার নির্বাহী আদেশে এই দিনকেও ছুটি ঘোষণা করেছে। এরপর ৪ ও ৫ এপ্রিল (শুক্র ও শনিবার) সাপ্তাহিক ছুটি থাকায় সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা টানা ৯ দিনের ছুটি ভোগ করবেন।

এত দীর্ঘ ছুটিতে ঢাকা ছেড়ে যাওয়া মানুষের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে, যা ঈদ শেষে রাজধানীতে ফিরতি যাত্রাকে ব্যস্ত করে তুলবে।

Header Ad
Header Ad

ঈদেও রেহাই নেই গাজার, ইসরায়েলি হামলায় নিহত ৯

ছবি: সংগৃহীত

অবরুদ্ধ গাজায় এবারও ঈদের আনন্দ নেই। ঈদের দিনেও দখলদার ইসরায়েলি বাহিনীর হামলা থেকে রক্ষা পায়নি নিরীহ ফিলিস্তিনিরা। সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা জানিয়েছে, ঈদের সকালে ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় কমপক্ষে ৯ জন নিহত হয়েছেন, যাদের মধ্যে পাঁচজন শিশু।

ধ্বংসস্তূপের মধ্যেই ঈদের নামাজ আদায় করেছেন গাজার মুসল্লিরা। নামাজ চলাকালীন সময়েও গুলির শব্দ শোনা গেছে। ফিলিস্তিনি তথ্য কেন্দ্র এ সংক্রান্ত একটি ভিডিও প্রকাশ করেছে, যেখানে ঈদের নামাজের সময় গোলাগুলির শব্দ এবং ধ্বংসযজ্ঞের দৃশ্য দেখা যায়।

ঈদের আগের দিন শনিবার (২৯ মার্চ) গাজার বিভিন্ন এলাকায় ইসরায়েলি হামলায় এক শিশুসহ অন্তত ১৭ জন নিহত হয়েছেন এবং বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন। রবিবার ঈদুল ফিতরের সকালেও ইসরায়েলি বাহিনী বোমা হামলা চালায়, যার ফলে উৎসবের পরিবর্তে গাজা জুড়ে বইছে শোকের মাতম।

দীর্ঘ ১৫ মাসের সামরিক অভিযানের পর আন্তর্জাতিক চাপের মুখে গত ১৯ জানুয়ারি ইসরায়েল গাজায় যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়। এরপর প্রায় দুই মাস তুলনামূলক শান্তি বজায় থাকলেও গাজা থেকে সেনা প্রত্যাহার নিয়ে হামাসের সঙ্গে মতবিরোধের জেরে চলতি মাসের তৃতীয় সপ্তাহ থেকে ফের বিমান হামলা শুরু করে ইসরায়েল।

গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, ১৮ মার্চ থেকে শুরু হওয়া নতুন ইসরায়েলি বিমান হামলায় এ পর্যন্ত ৯২১ জন ফিলিস্তিনি নিহত এবং ৩০৫৪ জন আহত হয়েছেন। চলতি বছরের জানুয়ারিতে কার্যকর হওয়া যুদ্ধবিরতি চুক্তি ইতোমধ্যে ইসরায়েল সম্পূর্ণভাবে লঙ্ঘন করেছে।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

ঈদের আগের দিন গাজীপুরে বন বিভাগের উচ্ছেদ অভিযান
ঈদুল ফিতরের ছুটিতে দুই দিনে রাজধানী ছাড়লেন ৪১ লাখ মানুষ
ঈদেও রেহাই নেই গাজার, ইসরায়েলি হামলায় নিহত ৯
প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সেনাবাহিনী প্রধানের সৌজন্য সাক্ষাৎ
বাংলাদেশের আকাশে চাঁদ দেখা গেছে, সোমবার উদযাপিত হবে পবিত্র ঈদুল ফিতর
ফিলিস্তিনের আল-আকসায় ঈদের নামাজে মুসল্লিদের ঢল
খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানকে ঈদের আমন্ত্রণ জানালেন প্রধান উপদেষ্টা
ধ্বংসস্তূপের মধ্যে গাজাবাসীর ঈদুল ফিতরের নামাজ
জাতীয় ঈদগাহে পাঁচ স্তরের নিরাপত্তা নিশ্চিত: ডিএমপি কমিশনার
৮ বছর পর পরিবারের সঙ্গে লন্ডনে ঈদ উদযাপন করলেন খালেদা জিয়া
ইসরাইলে হুথি বিদ্রোহীদের ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলা
তিস্তা প্রকল্প নিয়ে ইতিবাচক প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে চীন
কারাগারে ঈদ: জেলে বন্দি নেতারা কেমন কাটাবেন ঈদের দিন?
শিল্পকলায় ‘চাঁদ রাতের আনন্দ অনুষ্ঠান’ থাকছে মাইজভান্ডারী গানের পরিবেশনা  
নিজেদের নয়, প্রকৃতিকে ঈদ উপহার দেওয়া উচিৎ : পরিবেশ উপদেষ্টা  
যমুনা সেতুতে ২৪ ঘণ্টায় ৪৫ হাজার ৪৭৮টি যান পারাপার  
রেলের কেউ কালোবাজারিতে জড়াতে সাহস পায়নি : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা    
রাজধানীতে কখন কোথায় ঈদ জামাত
জাতীয় ঈদগাহে ঈদের নামাজ পড়বেন প্রধান উপদেষ্টা  
ছোট সাজ্জাদকে গ্রেপ্তারের জেরে প্রাইভেটকারে এলোপাতাড়ি গুলি, নিহত ২