অভ্যন্তরীণ মৎস উৎপাদনে আর জোর দিতে হবে

মৎস ও প্রাণি সম্পদ সচিব ড. মুহাম্মদ ইয়ামিন চৌধুরী বলেন, করোনাকালও মাছের উৎপাদন ও সরবরাহে কোন ব্যাঘাত ঘটেনি। বাজারে নিরবচ্ছিন্নভাবে সরবরাহ করা হয়েছে। তাই তাত্বিকভাবে কোনো কথা না বলে বাস্তবভিত্তিক তথ্য তুলে ধরতে হবে। দেশের স্বার্থে অভ্যন্তরীণ মৎস উৎপাদনে আরও জোর দিতে হবে।
রোববার (৩০ জানুয়ারি) অংশীজন কর্মশালায় ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
শেরে বাংলা নগরে পরিকল্পনা কমিশনের এনইসি সম্মেলন কক্ষে মৎস ও প্রাণি সম্পদ সাব সেক্টরের কৃষি সেক্টর এ অংশীজন কর্মশালার আয়োজন করে। কর্মশালায় ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে পরিকল্পনা মন্ত্রনালয়ের সচিব প্রদীপ রঞ্জন চক্রবর্তী বলেন, বছর ভিত্তিক অর্থাৎ কোন বছরে কি কাজ করা হবে তার অ্যাকশন প্লান করা উচিৎ। মূল প্রবন্ধে যা উল্লখ করা হয়নি। সরকারি কাজ সরকারের সিদ্ধান্তের আলোকে করতে হবে। এতে সভাপতিত্ব করেন পরিকল্পনা কমিশনের ভৌত অবকাঠামো বিভাগের সদস্য (সচিব) মো. মামুন-আল-রশীদ। এ সময় মামুন-আর রশীদ বলেন, গাইডলাইন অনুযায়ী সব কাজ কোয়ালিটি সম্পন্ন করা যায় না। তাই বাস্তবতার আলোকে কাজ করতে হবে। অ্যাকশন প্লানে কোন ঘাটতি থাকলে সেদিকে গুরুত্ব দিতে হবে। অগ্রাধীকার দিয়ে কাজ করতে হবে। প্রকল্পের দিকে তাকিয়ে থাকলে চলবে না। মৎস উৎপাদনে বাংলাদেশ তৃতীয় হযেছে। সবার প্রচেষ্টা থাকলে প্রথম হওয়া ব্যাপার না। ব্যাপকভাবে প্রচার চালাতে হবে।
এতে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন মাওলানা ভাসানী বিঞ্জান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. মো. সিরাজুল ইসলাম। অধ্যাপক সাদিকুল ইসলাম বলেন, মাছের খাদ্যের দাম খামারীদের সাধ্যের রাইরে চলে যাচ্ছে। কোয়ালিটি ফিড (ভালো খাবার) পাওয়া যাচ্ছে বাজারে। দেশের বাইরে আমাদের মাছের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। তাই রপ্তানির দিকে আরও নজর দিতে হবে। মৎস অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. খন্দকার মাহবুবুর বলেন, সম্পদের বাইরে শিল্প করে লাভ নেই। সরকার সর্বাধিক গুরুত্ব দিচ্ছে মৎসে। তাই মেরিন ফিশারিজের দিকেও গুরুত্ব দেওযা হচ্ছে।
মৎস গবেষণা ইস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. ইয়াহিয়া মাহমুদ বলেন, উৎপাদন বৃদ্ধির কথা বলা হলেও চাষীদের সহায়তা দেওয়া হচ্ছে না। বর্তমানে মাছের খাবারের দাম খুবই বেশি। তাদের কম দামে খাবার দিতে না পারলে সামনে বিপর্যয় নেমে আসবে। বর্তমানে অভ্যন্তরিণ মাছের আহরণ কমে যাচ্ছে। তা আহরণে গুরুত্ব দিতে হবে। কারণ ধানী জমি কমে যাচ্ছে। আর নষ্ট করা যাবে না। উপজেলা পর্যায়ে সবাইকে সম্পৃক্ত করতে হবে।
জেডএ/
