মঙ্গলবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৫ | ১৫ বৈশাখ ১৪৩২
Dhaka Prokash

মোকাম থেকে খুচরা দামে ফারাক তিনগুণ

আলুর ক্ষেতে (জমিতে) ৫ থেকে ৬ টাকা কেজি আলু। তাও কেনার লোক নেই। জমি থেকে উঠার খরচই উঠছে না। বিঘাতে ১৫ থেকে ২০ হাজার টাকা লোকসান। কারণ প্রতি বিঘা আলু চাষে খরচ হয়েছে ৩০ থেকে ৩৫ হাজার টাকা। বর্তমানে অর্ধেক দামেও কেনার লোক পাওয়া যায় না। তাই কৃষকরা জমি থেকে আলু তুলতেও চাচ্ছে না। একেবারে দিশেহারা কৃষকরা। এভাবেই ক্ষেত ও মোকামে আলুর বাজারের শোচনীয় অবস্থার কথা ঢাকাপ্রকাশকে জানান ঠাকুরগাও জেলার হরিপুর থানার মেদনীসাগর গ্রামের মো. মামুন।

সেই আলু রাজধানীর কারওয়ান বাজারসহ বিভিন্ন আড়তে ১০ থেকে ১১ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। আর খুচরা বাজারে ১৫ থেকে ২০ টাকা। পুরাতন আলু বিক্রি করতে না পারায় দুই হাজার ১১২ কোটি টাকা লোকসান হয়েছে কৃষক, ব্যবসায়ী ও কোল্ডস্টোরেজ মালিকদের। সরকারের উদ্যোগ ছাড়া আলুর দাম বাড়ানো সম্ভব নয়। আলুর মতো টমটোরও খারাপ অবস্থা। ক্ষেত্রে কম দামে বিক্রি হলেও ঢাকাতে দ্বিগুণ দামে বিক্রি করছে খুচরা ব্যবসায়ীরা। বিভিন্ন বাজার ঘুরে ও সংশ্লিষ্টদের সাথে কথা বলে এমনই তথ্য জানা গেছে।

শুধু ঠাকুরগাও নয়, দিনাজপুর, রংপুর, রাজশাহী, মুন্সিগঞ্জসহ সারা দেশে আলুর একই দুরাবস্থা বলে সংশ্লিষ্ট কৃষক ও ব্যবসায়ীরা জানান।

তাদের কথার সত্যতা জানতে যোগাযোগ করা হলে রাজধানীর কারওয়ান বাজারের পাইকারি বাজার জনতা বাণিজ্যলয়ের ইকবাল হোসেন ঢাকাপ্রকাশকে বলেন, ‘ডাইমন্ড আলুর কেজি কেনা হয়েছে ১১ টাকা কেজি। আর বিক্রি করা হচ্ছে ৭০ টাকা পাল্লা (৫ কেজি) বা ১৪ টাকা কেজি। কয়েক দিন থেকে বর্তমানে একটু দাম বেশি। তারপরও লোকসানে চলতে হচ্ছে। মরার মতো অবস্থা। গত ১৯ বছরের ব্যবসা জীবনে এতো খারাপ অবস্থা হয়নি। কারণ হিসেবে মুন্সিগঞ্জের এই আলু ব্যবসায়ী ব্যাখ্যা করে বলেন, ‘বেশি দামে কিনে বেশি দামে বিক্রি করা যায়। বর্তমানে কৃষকরাই তো ক্ষেতে দাম পাই না। তাহলে আমরা কিভাবে বেশি দামে বিক্রি করব।’

বাজার এতো খারাপ অর্থাৎ কম দাম কেন এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ‘পুরাতন আলু এখনো কোল্ডস্টেরেজে। তাইতো নতুন আলু ঢুকানো যাচ্ছে না। তবে লাল আলুর দাম একটু বেশি। মেহেদী হাসান জানান, ‘১৫ টাকা কেজি কিনে ২৫ টাকা কেজি বিক্রি করা হচ্ছে।

একই বাজারের সোনার বাংলা বাণিজ্যলায়ের মো. রাকিম বলেন, ‘বর্তমানে বাড়তি আলুর বাজার। পাইকারী ১০ থেকে ১১ টাকা কেজি বিক্রি করা হচ্ছে। আগে ছিলো ৯ থেকে ১০ টাকা। তবে বাছাই করা খুব ভালো মানেরটা ১৪ থেকে ১৫ টাকা বিক্রি করা হচ্ছে। তিনি আরও বলেন, একই আলু পাশেই প্রতি কেজিতে ৪ থেকে ৫ টাকা বেশি দামে খুচরা বাজারে বিক্রি করা হচ্ছে।

তা জানতে পাশের সুজনের কাছে আলু কতো টাকা কেজি এমন প্রশ্নের উত্তরে বলেন,’১৬ টাকা, বাছাই করা বেশি ভালোটা ২০ টাকা কেজি। পাইকারিতে কম। তাহলে খুচরাইিএতো বেশি কেন? এমন উত্তরে তিনি বলেন, বেশি দামে কেনা। সঙ্গে বিভিন্ন খরচা আছে। লাভ তো করতে হবে। একই কথা জানান আবুদল খালেক। তিনি ঢাকাপ্রকাশকে বলেন, রাত থেকে সকাল ৮টার মধ্যে আড়তদারের বিক্রির পরে পাইকারি ১১ টাকা কেজি ও খুচরা ১৬ টাকা কেজি আলু বিক্রি করা হয়।

আলুর এতো খারাপ বাজার কেন? জানতে চাইলে ঠাকুরগাওয়ের মামুন বলেন, ‘এবার আলুর আবাদ বেশি হয়েছে। সরবরাহ বেশি। আবার পুরাতন আলুই কোল্ডস্টোরেজে থেকে গেছে। সেগুলোও লোকসান করে কম দামে বিক্রি করতে হচ্ছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘ প্রতি ট্রাকের ভাড়া ২২ থেকে ২৩ হাজার টাকা। প্রতি বস্তায় ৬০ থেকে ৬৫ কেজি আলু ধরে। তাতে প্রতি কেজিতে খরচ পড়ে দেড় থেকে এক টাকা ৭৫ পয়সা। সঙ্গে ঢাকাতে আড়ৎদারী এক টাকা এবং বস্তা ও মজুরিতে আরও এক টাকা খরচ হয় প্রতি কেজি আলুতে। এভাবে সব ঝামেলা মোকাবেলা করে ঢাকার বিভিন্ন আড়তে আলু পৌছাতে হয়। তারপরও চাহিদা নেই। নিতে চাই না। প্রতি কেজি আলু ঢাকায় ১০ কেজিও বিক্রি হয় না।

তাহলে এভাবেই ক্ষেতে পড়ে থাকবে আলু, দাম বাড়বে না? এমন প্রশ্নের উত্তরে মামুন বলেন, ‘ মাস খানেক পর আলু একটু আরও পুষ্ট হবে। তখন কোল্ডস্টোরেজে রাখার মতো হবে। স্টক করা শুরু করলে একটু দাম বাড়তে পারে। বাজার কিছুটা চড়া হতে পারে।’

কৃষি বিপণন অধিদফতরের সূত্র মতে, কৃষক পর্যায়ে এক কেজি আলু উৎপাদনে খরচ হয় ৭ টাকা ৬০ পয়সা। সেই পণ্য উৎপাদনকারী থেকে ভোক্তা পর্যায়ে আসতে বেশ কয়েকটি ধাপ পেরুতে হয়। এর মধ্যে রয়েছে- স্থানীয় ব্যবসায়ী, স্থানীয় মজুদদার, স্থানীয় খুচরা বাজার, ব্যাপারি, পাইকারি ব্যবসায়ী, কেন্দ্রীয় বাজার বা টার্মিনাল, আড়তদার, প্রক্রিয়াজাতকারী, খুচরা বাজার, খুচরা ব্যবসায়ী। এছাড়া বিভিন্ন স্থানে চাঁদাবাজিও রয়েছে।

সার্বিক ব্যাপারে জানতে ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআইর সিনিয়র সহ-সভাপতি মো. মোস্তফা আজাদ চৌধুরী বাবু ঢাকাপ্রকাশকে বলেন, ‘আলুর দাম কম থাকলে সরকারের ভালো। তাইতো গত আগষ্ট থেকে কৃষিমন্ত্রী, বাণিজ্যমন্ত্রীসহ বিভিন্ন সংস্থার কাছে বারবার ধরনা দেওয়া হয়েছে। তারপরও কোনো উদ্যোগ নেয়নি। পুরাতন ৪০ লাখ বস্তা আলু ফেলে দিতে হয়েছে। প্রতি বস্তায় আলু ছিলো গড়ে ৬০ কেজি। আট টাকা কেজি ধরলে এসব আলুতে দুই হাজার ১১২ কোটি টাকা লোকসান হয়েছে কৃষক, ব্যবসায়ী ও কোল্ডস্টোরেজের। তারপরও সরকারের মাথা ব্যথা নেই। ক্ষোভ প্রকাশ করে তিনি বলেন, ‘২০২০ সালে দাম বাড়লে তখন র্যাব, ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে জরিমানা করতে ব্যস্ত হয়ে পড়ে। কিন্তু বর্তমানে উৎপাদন খরচের অর্ধেকও দাম নেই তাতে কোনো মাথা ব্যথা নেই।’

অপর এক প্রশ্নের জবাবে সাতটি কোল্ডস্টোরেজের এই মালিক বলেন, ‘সরকার সুযোগ না দিলে এক সময়ে কৃষক আলু চাষ করা বন্ধ করে দিবে। তখন ভারতসহ বিভিন্ন দেশ থেকে আমদানি করে বেশি দামে ভোক্তাদের কিনতে হবে। অনেকে এটা চাচ্ছে বলেই কোনো উদ্যোগ নেই না।’ তিনি আরও বলেন সারা দেশে প্রায় চারশটি কোল্ডস্টোরেজ রয়েছে। তাতে সব আলু ধরবে না। সরকারের উদ্যোগ ছাড়া বাড়বে না আলুর দাম।’

আলুর পথেই টমেটো:
এদিকে টমোটোর দামের অবস্থাও আলুর মতো। রাজশাহীর গোদাগাড়ীর কৃষক ও ব্যবসায়ী শাহজাহান বলেন, বৃষ্টিতে অনেক টমোটোর ক্ষতি হয়েছে। এছাড়া মৌসুম শেষ হয়ে আসছে। তারপরও কম দামেই বিক্রি হচ্ছে টমোটো। আড়তে ১০ থেকে ১২ টাকার বেশি কেজি নিতে চাই না। শুধু গোদাগাড়িতে নয়, বানেশ্বরসহ অন্যান্য বাজারেরও একই দশা। কম দামে বিক্রি হচ্ছে টমেটো।

কিন্তু সেই টমেটো রাজধানীর বিভিন্ন পা্ইকারি ও খুচরা বাজারে দ্বিগুণ দামে অর্থাৎ ৩০ টাকা কেজি পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে। সরেজমিনে এমনই চিত্র পাওয়া গেছে। কারওয়ান বাজারের খুচরা ব্যবসায়ী মো. আনোয়ার এ প্রতিবেদককে জানান, ‘পাইকারী কেনা হয়েছে ২০ টাকা কেজি। খুচরা বিক্রি করা হচ্ছে ৩০ টাকা। সময় শেষ হয়ে আসছে। তাই দাম আর কমবে না।

টমোটোর খুচরা-পাইকারি দামের ব্যাপারে একই বাজারের চাঁদপুর বাণিজ্যালয়ের মেহেদী হাসানও জানান.‘পাইকারী কেনা হয়েছে ১৫ টাকা কেজি। তা খুচরা বিক্রি করা হচ্ছে ২২ থেকে ২৫ টাকা কেজি। একই কাজারের খুবচরা ব্যবসায়ী করিম বলেন, ‘৩৫০ টাকা ক্যারেট (৩০ কোজি) টমেটো কেনা হয়েছে। তাতে প্রতি কেজিতে ১২ টাকার কম হয়। তা খুচরা ২০ টাকা কেজি বিক্রি করা হচ্ছে। আর নৌকিব বলেন, ৪০০ টাকা ক্যারেট (৩০ কোজি) কিনে ১১০ টাকা পাল্লা (৫ কোজি) বা ২২ টাকা কেজি বিক্রি করা হচ্ছে। তাতে লাভ খুব বেশি নেই।‘

জেডএ/

Header Ad
Header Ad

নওগাঁয় ডাকাত দলের ৩ সদস্যসহ ৮ জন গ্রেপ্তার, উদ্ধার লুণ্ঠিত মালামাল

ছবি : ঢাকাপ্রকাশ

নওগাঁয় আন্তঃজেলা ডাকাত দলের ৩ সক্রিয় সদস্যসহ ৮ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ (ডিবি)। এদের মধ্যে বাকি ৫ জন চোরাই মালামাল ক্রয়-বিক্রয়ের সঙ্গে জড়িত। গ্রেপ্তারকৃতদের কাছ থেকে ১টি অটো চার্জার ভ্যান এবং ১৯টি অটো চার্জার ভ্যানের ব্যাটারিসহ ১৫০ কেজি খুচরা যন্ত্রাংশ উদ্ধার করা হয়েছে।

রোববার (২৭ এপ্রিল) নওগাঁ এবং রাজশাহীর জেলার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়।

সোমবার (২৮ এপ্রিল) দুপুরে নওগাঁ জেলা পুলিশ কর্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অর্থ ও প্রশাসন) ফারজানা হোসেন এসব তথ্য জানান।

গ্রেপ্তারকৃত ডাকাত দলের সদস্যরা হলেন, জেলার পোরশা উপজেলার সোভাপুর গ্রামের মৃত আব্দুল হাকিমের ছেলে আব্দুল জব্বার (৪০) চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুর উপজেলার পাথরপূজার গ্রামের আব্দুর রহমানের ছেলে নুরুজ্জামান (৪০) এবং নওগাঁর সাপাহার উপজেলার ধবলডাঙ্গা গ্রামের ইব্রাহিমের ছেলে মোহাম্মদ সেলিম (৩০)।

গ্রেপ্তারকৃত চোরাই মালামাল ক্রয়-বিক্রয় চক্রের সদস্যরা হলেন, জেলার মান্দা উপজেলার উত্তর কাঞ্চন গ্রামের আলম খানের ছেলে শহিদ খান (৩৪) একই গ্রামের পরেশ আলী মৃধার ছেলে কাওছার আলী মৃধা (২৪), উপজেলার কালিকাপুর গ্রামের তমিজউদদীন মোল্লার ছেলে আব্দুল মতিন মোল্লা (৫০), কামারকুড়ি গ্রামের মৃত ময়েন উদ্দিনের ছেলে জিয়াউর রহমান (৪২) এবং শ্রীরামপুর গ্রামের মৃত সোলায়মান মন্ডলের ছেলে আজিজুল মন্ডল(৬৪)।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ফারজানা হোসেন বলেন, বুধবার (২৩ এপ্রিল) রাত অনুমানিক ৮ টার দিকে সাপাহার থানার নোচনাহার বাজার থেকে সাদিকুল ইসলাম (৩২) নামে এক অটো চার্জার ভ্যান চালক তার নিজের অটো চার্জার ভ্যান চালিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন। ফেরার পথে সাপাহার থানাধীন ইলিমপুর মোড় হইতে হরিপুর বাজারগামী রোডে ইলিমপুর ব্রীজের নিকট পৌছাতেই রাস্তার পাশে ওৎপেতে থাকা ০৪ জন অজ্ঞাতনামা ব্যক্তি তার অটো চার্জার ভ্যান থামিয়ে তাকে ভ্যান থেকে টেনে নামায় এবং তার গলার চাকু ধরে হত্যার ভয় দেখিয়ে পাশের আম বাগানে নিয়ে এলোপাতাড়ি ভাবে মারপিট করে।

পরবর্তীতে তারা সাদিকুলের অটো চার্জার ভ্যানটি ছিনতাই করে নিয়ে যায়। অপর আরো একটি ঘটনায় একই ডাকাত দল গত শুক্রবার (২৫ এপ্রিল) দিবাগত রাত ৩ টার দিকে পোরশা থানার সরাইগাছি - আড্ডা আঞ্চলিক মহাসড়কের মশিদপুর এলাকায় এক অটো চার্জার ভ্যান চালককে আটক করে। তাকে এলোপাতাড়ি মারপিট করে হত্যার ভয় দেখিয়ে তার অটো চার্জার ভ্যান ছিনতাই করে নিয়ে যায়।

তিনি আরও বলেন, এই দুই ঘটনায় পোরশা এবং সাপাহার থানায় আলাদা দুইটি মমলা হয়। মামলার পর থেকেই পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ (ডিবির) একটি বিশেষ টিম অভিযান অব্যাহত রাখে। গতকাল (২৭ এপ্রিল) নওগাঁ এবং রাজশাহী জেলার বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালিয়ে ৩ জন ডাকাত এবং চোরাই ভ্যানের মালামাল ক্রয়-বিক্রয়ের সঙ্গে জড়িত এমন ৫ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়।

ফারজানা হোসেন আরও বলেন, গ্রেফাতারকৃত ডাকাতদের মধ্যে মোহাম্মদ সেলিম (৩০) বহুল আলোচিত সাপাহার উপজেলা জামায়াতের সেক্রেটারি আব্দুল্লাহ হিল কাফি হত্যা মামলার অন্যতম প্রধান আসামী। সেলিমের বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় ৮টি চুরি এবং ডাকাতির মামলা রয়েছে। এছাড়াও ডাকাত আব্দুল জব্বারের বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় ১০ টি এবং ডাকাত নুরুজ্জামানের বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় ৪ টি চুরি এবং ডাকাতির মামলা রয়েছে। আসামীদের বিজ্ঞ আদালতের মাধ্যমে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রিমান্ড আবেদন করা হবে।

সংবাদ সম্মেলনে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার(ক্রাইম অ্যান্ড অপস্) সুমন রঞ্জন সরকার জেলা গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক (ওসি ডিবি) আব্দুল মান্নানসহ পুলিশের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

Header Ad
Header Ad

নিজের মূত্র পান করেছিলেন বলিউড অভিনেতা পরেশ রাওয়াল

বলিউড অভিনেতা পরেশ রাওয়াল। ছবি: সংগৃহীত

বলিউডের বর্ষীয়ান অভিনেতা পরেশ রাওয়াল সম্প্রতি এক বিস্ময়কর অভিজ্ঞতার কথা প্রকাশ করেছেন। ‘ঘাতক’ ছবির শুটিং চলাকালে হাঁটুর মারাত্মক আঘাতের পর দ্রুত সেরে ওঠার জন্য তিনি নিজের মূত্র পান করেছিলেন বলে জানিয়েছেন।

রাকেশ পান্ডের সঙ্গে একটি দৃশ্যের শুটিং চলাকালে এ দুর্ঘটনা ঘটে। আঘাতের পর পরিচালক তিন্নু আনন্দ ও অভিনেতা ড্যানি দেনজোংপা তাকে দ্রুত মুম্বাইয়ের নানাবতী হাসপাতালে নিয়ে যান।

হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় নিজের ক্যারিয়ার নিয়ে গভীর উদ্বেগে ছিলেন পরেশ রাওয়াল। তখনই প্রয়াত অ্যাকশন ডিরেক্টর বীরু দেবগণ তাকে পরামর্শ দেন প্রতিদিন সকালে নিজের মূত্র পান করার জন্য। বীরু দেবগণের যুক্তি ছিল, বহু যোদ্ধা শরীরের দ্রুত আরোগ্যের জন্য এমন পদ্ধতি অনুসরণ করতেন। পরেশ রাওয়াল সাম্প্রতিক এক সাক্ষাৎকারে জানান, তিনি তখন এমন এক মানসিক অবস্থায় ছিলেন যে সুস্থতার জন্য যেকোনো কিছু করতে রাজি ছিলেন।

 

বলিউড অভিনেতা পরেশ রাওয়াল। ছবি: সংগৃহীত

নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে টানা ৩০ দিন নিজের মূত্র পান করেন পরেশ। পরে চিকিৎসকরা তার স্বাস্থ্য পরীক্ষা করে চমকপ্রদ ফলাফল পান। চিকিৎসকদের মতে, তার চোট সারাতে যেখানে আড়াই মাস সময় লাগার কথা ছিল, সেখানে তিনি মাত্র দেড় মাসেই পুরোপুরি সুস্থ হয়ে ওঠেন।

বর্তমানে পেশাগত জীবনেও ব্যস্ত সময় পার করছেন পরেশ রাওয়াল। শিগগিরই তিনি প্রিয়দর্শনের পরিচালনায় নির্মিত হরর-কমেডি 'ভূত বাংলা' ছবিতে অক্ষয়কুমার ও টাবুর সঙ্গে অভিনয় করবেন। পাশাপাশি ‘হেরা ফেরি ৩’-তেও পুরনো সহ-অভিনেতা অক্ষয়কুমার ও সুনীল শেঠির সঙ্গে আবার পর্দা ভাগ করবেন।

 

Header Ad
Header Ad

নাহিদ ইসলামকে বাংলাদেশের আগামীর প্রধানমন্ত্রী বললেন হাসনাত আব্দুল্লাহ

নাহিদ ইসলামকে বাংলাদেশের আগামীর প্রধানমন্ত্রী বললেন হাসনাত আব্দুল্লাহ। ছবি: সংগৃহীত

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলামকে বাংলাদেশের আগামীর প্রধানমন্ত্রী হিসেবে উল্লেখ করেছেন এনসিপির মূখ্য সংগঠক (দক্ষিণাঞ্চল) হাসনাত আব্দুল্লাহ।

সোমবার (২৮ এপ্রিল) বিকেলে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে নিজের ভেরিফায়েড পেজে নাহিদ ইসলামের জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানিয়ে তিনি এ মন্তব্য করেন।

ফেসবুক পোস্টে হাসনাত আব্দুল্লাহ লেখেন, "শুভ জন্মদিন। বাংলাদেশের আগামীর প্রধানমন্ত্রী নাহিদ ইসলাম।" তার এই মন্তব্য সামাজিক মাধ্যমে আলোচনার জন্ম দিয়েছে।

 

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

নওগাঁয় ডাকাত দলের ৩ সদস্যসহ ৮ জন গ্রেপ্তার, উদ্ধার লুণ্ঠিত মালামাল
নিজের মূত্র পান করেছিলেন বলিউড অভিনেতা পরেশ রাওয়াল
নাহিদ ইসলামকে বাংলাদেশের আগামীর প্রধানমন্ত্রী বললেন হাসনাত আব্দুল্লাহ
কিছু লোডশেডিং না হলে ভর্তুকি বেড়ে যাবে: বিদ্যুৎ উপদেষ্টা
গণপিটুনির পর কারাগারে ইমামের মৃত্যু, গাজীপুরের পূবাইলে চাঞ্চল্য
ইশরাক হোসেনকে মেয়র হিসেবে শপথ না পড়াতে লিগ্যাল নোটিশ
পাকিস্তানের পাশে দাঁড়িয়ে ৭টি অস্ত্রবাহী বিমান পাঠালো তুরস্ক
বিএনপির ৩ সংগঠনের নতুন কর্মসূচি ঘোষণা
পাঁচ জেলায় বজ্রপাতে ১১ জনের মৃত্যু
জামিন পেলেন মডেল মেঘনা আলম
জুলাই গণ-অভ্যুত্থান অধিদপ্তর গঠন করলো সরকার
নিরীহ কাউকে মামলা দিয়ে হয়রানি করা যাবে না: আইজিপি
পাকিস্তানে সামরিক হামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে ভারত: নিউইয়র্ক টাইমস
ঢাকায় অটোরিকশা ও চার্জিং স্টেশন বন্ধে ডিএনসিসির অভিযান শুরু হতে যাচ্ছে
চাঁদা না দিলে রেলের কমান্ড্যান্টকে বদলির হুমকির অভিযোগ দুই ছাত্র প্রতিনিধির বিরুদ্ধে (ভিডিও)
বলিউডে সেনারা হিরো, বাস্তবে কেন জিরো ভারতীয় বাহিনী!
কুমিল্লায় বজ্রপাতে স্কুলছাত্রসহ নিহত ৪
মে মাসে শেখ হাসিনার বিচার শুরু হচ্ছে: প্রধান উপদেষ্টা
ঢাকাসহ সারাদেশে বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে
সবাই মিলে গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করাই লক্ষ্য: আলী রীয়াজ