বৃহস্পতিবারের বাজারদর
কমেছে মুরগির দাম
![](https://admin.dhakaprokash24.com/logo/placeholder.jpg)
পোল্ট্রি মুরগির দাম কমে ১৫০ টাকা কেজি, পাকিস্তানি কর্ক ২৫০ থেকে ২৬০ কেজি। ডিমের দামও কমেছে। ডজনে ১০ টাকা কমে ১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। করোনার বিধি-নিষেধে চাহিদা কমে যাওয়ায় দামও কমেছে। তবে চাল, মাছ, খাসি ও গরুর মাংস, আলু, বেগুন টমেটোসহ বিভিন্ন সবজি আগের দামেই বিক্রি হয়। তবে সপ্তাহের ব্যবধানে পেঁয়াজের দাম কেজিতে বেড়েছে দুই থেকে পাঁচ টাকা। বৃহস্পতিবার (২০ জানুয়ারি) রাজধানীর কারওয়ান বাজারসহ বিভিন্ন পাইকারি ও খুচরা বাজার ঘুরে এমনই চিত্র পাওয়া গেছে।
স্থিতিশীল চালের বাজার
মুরগির দাম কমলেও গত সপ্তাহের ধারাবাহিকতায় এই সপ্তাহেও চালের দাম বাড়েনি-কমেনিও। আগের দামেই চাল বিক্রি হচ্ছে বাজারে। কারওয়ান বাজারের মেসার্স কুমিল্লা রাইস এজেন্সির মো. আবুল কাসেম ঢাকাপ্রকাশকে জানান, এই সপ্তাহে কোনো চালের দাম বাড়ে[নি। আগের দামেই মিনিকেট ৬০ থেকে ৬১ টাকা, বিআর-২৮ কেজি ৪৭ থেকে ৪৯ টাকা, পারিজা ৪৪ থেকে ৪৬ টাকা কেজি বিক্রি করা হচ্ছে। একই কথা জানান চাটখিল রাইস এজেন্সির বেলাল হোসেন। তিনি বলেন, আগের দামেই মিনিকেট ৫৮ থেকে ৬০ টাকা, আটাশ ৪৮ থেকে ৪৯ টাকা, নাজির চাল ৬৪ থেকে ৬৮ টাকায় কেজিপ্রতি বিক্রি করা হচ্ছে। এমআর টেড্রার্সের আনিছ খানও বলেন, সব চাল আগের দামে বিক্রি করা হচ্ছে । তবে একই চাল বিভিন্ন বাজারে পাইকারির চেয়ে চার থেকে পাঁচ টাকা বেশি দামে খুচরা বাজারে বিক্রি করা হচ্ছে।
আগের দামেই ডাল, চিনি, আটা, তেল বিক্রি
গত সপ্তাহের মতো পাঁচ লিটার ভোজ্যতেল ৭২০ টাকা, যা গায়ের মূল্য ৭৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আর এক লিটার তেল ১৬০ থেকে ১৭০ টাকায় বিক্রি করা হচ্ছে বলে জানান কারওয়ান বাজারের নিউ সোনারগাঁও জেনারেল স্টোরের রিপন। ইউসুফ জেনারেল স্টোরের সুজনও ঢাকাপ্রকাশকে বলেন, কোনো জিনিসের দাম বাড়েনি-কমেওনি। সব পণ্যই আগের দামে বিক্রি হচ্ছে। চিনি ৭৫ টাকা কেজি, দুই কেজি আটা ৮০ টাকা, ডাল ৯০ থেকে ১১০ টাকা, ছোলা ৭০ টাকায় কেজি বিক্রি করা হচ্ছে। ক্রেতারাও বলছেন, আগের দামে প্রায় পণ্য বিক্রি হচ্ছে। কোনো জিনিসের দাম তেমন বাড়েনি।
আগের দমেই গরু খাসির মাংস
গত সপ্তাহের মতো গরু ও খাসির মাংসের দাম এই সপ্তাহে স্থিতিশীল রয়েছে বলে জানান বিক্রেতারা। কারওয়ান বাজারের জনপ্রিয় খাসির মাংসের দোকানের নুরুল ইসলাম ঢাকাপ্রকাশকে বলেন, আগের সপ্তাহের মতোই এই সপ্তাহে ৯৩০ থেকে ৯৫০ টাকা কেজি বিক্রি করা হচ্ছে। একই বাজারের মেসার্স খোকন এন্টারপ্রাইজের খোকন বলেন, ৫৮০ টাকা গরুর মাংস কেজি বিক্রি করা হচ্ছে। তবে বেশি নিলে ৫৫০ টাকা কেজি রাখা যাবে। কিন্তু সাইনবোর্ডে ৬০০ টাকা কেজি লেখা আছে।
কমেছে ডিম, মুরগির দাম
গত সপ্তাহের ১০৫ থেকে ১১০ টাকা ডজন প্রতি ডিম বিক্রি করা হলেও ২৭ জানুয়ারি কম দামে সর্বোচ্চ ১০০ টাকা ডজন বলে জননী মুরগীর আড়তের আব্দুল ওহাব ঢাকাপ্রকাশকে জানান। তিনি বলেন, দেশি মুরগি আগের দামেই ৪৫০ টাকা কেজি বিক্রি করা হচ্ছে। তবে গত সপ্তাহে ব্রয়লার ১৭০ থেকে ১৮০ টাকা বিক্রি করা হলেও বর্তমানে ১৫০ থেকে ১৬০ টাকা কেজি এবং ২৭০ থেকে ২৮০ টাকার পাকিস্তানি কর্ক কেজি প্রতি ২৫০ থেকে ২৬০ টাকায় বিক্রি করা হচ্ছে। তবে চার্টে একটি বেশি দাম লেখা থাকছে। ভাই ভাই মুরগীর আড়তের জাফরউল্লাহ বলেন, করোনার বিধিনিষেধে বর্তমানে বিভিন্ন অনুষ্ঠান কমে গেছে। তাই চাহিদাও কমে যাওয়ায় দাম কমছে।
এদিকে আগের মতো মাছের বাজার স্থিতিশীল বলে জানান বিক্রেতারা। কারওয়ান বাজারের মাছ ব্যবসায়ী রতন বলেন, আকার ভেদে রুই ও কাতল ২০০ থেকে ৪৫০ টাকা কেজি, চিংড়ি আকার ভেদে ৫০০ থেকে ৮০০ টাকা, চাষের সিং মাছ ৪০০ টাকা, দেশি সিং ৭০০ টাকা কেজি প্রতি, চাষের কই ৩০০ টাকা, দেশিটা ৫০০ টাকা, দেশি শৈল ৫০০ থেকে ৭০০ টাকা কেজি প্রতি, সিং ৩০০ থেকে ৬০০ টাকা, বোয়াল ৬০০ থেকে ৯০০ টাকা এবং আইড় মাছ আকারভেদে ৪০০ থেকে ১২০০ টাকা কেজি প্রতি বিক্রি হতে দেখা যায়। এ ছাড়া রুই ও কাতলা ২৫০ থেকে সর্বোচ্চ ৪৫০ টাকা ও ইলিশ মাছ ৭০০ থেকে ১২০০ টাকা কেজি প্রতি বিক্রি করা হচ্ছে বলে জানান বিক্রেতারা।
বেড়েছে পেঁয়াজের দাম, স্থিতিশীল সবজির বাজার
শীতকাল সবজির ভরা মৌসুম হওয়ায় প্রতি সপ্তাহে কোনো না কোনো পণ্যের দাম কমছে। তবে পাইকারি পর্যায়ে যেভাবে কমছে খুচরা ব্যবসায়ীরা সেভাবে কম দামে বিক্রি করছে না। বিশেষ করে আলু পাইকারি বাজারে ১০ থেকে ১১ টাকা কেজি প্রতি বিক্রি করা হলেও তা পাইকারি বাজারে ২০ টাকায় কেজি বিক্রি করা হচ্ছে। টমেটোরও একই দশা। পাইকারিতে ১৫ থেকে ২০ টাকা কেজি প্রতি হলেও খুচরা পর্যায়ে তা ২৫ থেকে ৩০ টাকায় বিক্রি করা হচ্ছে।
রমজান ট্রেডার্সের আলি হোসেন বলেন, গত সপ্তাহে প্রতি পাল্লা পেঁয়াজ ১৩০ টাকা (৫ কেজিতে এক পাল্লা) বা কেজি ২৬ টাকায় বিক্রি করা হলেও বৃহস্পতিবার দুই টাকা বাড়িয়ে ২৮ টাকা কেজি বিক্রি করা হচ্ছে। সেই পেঁয়াজ বিভিন্ন বাজারে ৩৫ থেকে ৩৮ টাকা কেজি প্রতি বিক্রি হচ্ছে।
তবে আগের মতোই দেশি রসুন কেজি প্রতি ৫০ টাকা ও চায়না রসুন ১২০ টাকা, দেশি আদা ১০০ ও চায়নাটা ১২০ টাকা, শিম ৪০ থেকে ৫০ টাকা, বেগুণ ৪০ থেকে ৫০, প্রতি পিস ফুল ও বাধা কপি ২৫ থেকে ৩০ টাকা, গাজর কেজি ৪০ টাকা, শসা ৩০ টাকা, মরিচ ৩০ থেকে ৪০ টাকা কেজি, সাকের আটি ৮ থেকে ১০ টাকা বিক্রি করা হচ্ছে বলে জানান বিক্রেতারা। তবে একই আদা, রসুন ও পেঁয়াজ বিভিন্ন বাজারে বেশি দামে বিক্রি হতে দেখা যায়।
জেডএ/এসআইএইচ
![Header Ad](https://admin.dhakaprokash24.com/images/single-post-anniversary.jpeg)