সোমবার, ১৮ নভেম্বর ২০২৪ | ৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে নানা চ্যালেঞ্জের বাজেট বৃহস্পতিবার

করোনার ক্ষতি পুষিয়ে না উঠতেই রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের দাবানলে বাংলাদেশের অর্থনীতিতেও মারাত্মক প্রভাব পড়েছে। দ্রব্যমূল্যের লাগামহীন ঊর্ধ্বগতি নিম্ন আয়ের মানুষ থেকে শুরু করে শীর্ষ ব্যবসায়ীদেরও কাবু করে দিয়েছে। আইএমএফের শর্ত পূরণে প্রায় খাতে ভর্তূকি তুলে নেওয়ায় মূল্যস্ফীতি ঠেকানো যাচ্ছে না। সরকারও বলছে বিশ্ববাজার টালমাটাল। অপরদিকে জাতীয় নির্বাচন ঘনিয়ে আসায় ভোটারদের সন্তুষ্টির জন্য দৃশ্যমান খাতে বেশি বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। এমন কঠিন পরিস্থিতিতে সরকার আগামী ২০২৩-২৪ অর্থবছরের বাজেট ঘোষণা করতে যাচ্ছে বৃহস্পতিবার (১ জুন)।

প্রস্তাবিত বাজেটের আকার হতে যাচ্ছে প্রায় ৭ লাখ ৬০ হাজার কোটি টাকা। যা মোট জিডিপির প্রায় ১৫ দশমিক ২০ শতাংশ। এটা চলতি (২০২২-২০২৩) অর্থবছরের বাজেটের তুলনায় প্রায় ৮২ হাজার কোটি টাকা বেশি। অর্থনীতিবিদরা বলছেন, বাজেটের আকার আরও বাড়লেও সমস্যা নেই। কিন্তু মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণই বড় চ্যালেঞ্জ। কারণ ডলার সংকটে পণ্যের দাম লাগামহীন হয়ে পড়েছে।

বিভিন্ন সূত্র জানায়, জাতীয় নির্বাচন ঘনিয়ে আসছে। এ জন্য মেট্রোরেলসহ বড় বড় অবকাঠমোতে সরকার চলতি অর্থবছরের মতো আগামী অর্থবছরেও বেশি বেশি করে অর্থ বরাদ্দ দিচ্ছে। এ জন্য বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে (এডিপি) বেশি করে ২ লাখ ৭৪ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ দিয়েছে।

এ জন্য বাজেটের আকারও বেশি করে ধরা হয়েছে ৭ লাখ ৬০ হাজার কোটি টাকা। প্রস্তাবিত বাজেটে রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হচ্ছে পাঁচ লাখ কোটি টাকা। এ জন্য বাজেটে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) লক্ষ্যমাত্রাও বেশি ধরা হচ্ছে। এর আকার হতে যাচ্ছে ৪ লাখ ৩০ হাজার কোটি টাকা। যেখানে চলতি অর্থ বছরে লক্ষ্যমাত্রা ধরা ছিল ৩ লাখ ৭০ হাজার কোটি টাকা। অর্থাৎ রাজস্বের লক্ষ্যমাত্রা ১৬ দশমিক ২০ শতাংশ বাড়ানো হচ্ছে আগামী বাজেটে। তারপরও বিশাল ঘাটতি থাকছে। এটা মেটাতে ব্যাংকের ঋণ নির্ভর করতে হচ্ছে বাজেটে।

অর্থ মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) বেশ কিছু শর্ত রয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে আগামী অর্থবছরে পাঁচ লাখ কোটি টাকার রাজস্ব সংগ্রহের পরিকল্পনা করছে সরকার। এর মধ্যে আয়কর, মূল্য সংযোজন কর (মূসক বা ভ্যাট) ও শুল্ক—এ তিন খাত থেকেই জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে (এনবিআর) সংগ্রহ করতে হবে ৪ লাখ ৩০ হাজার কোটি টাকা। বাকি ৭০ হাজার কোটি টাকার মধ্যে ৫০ হাজার কোটি টাকা সংগ্রহ করা হবে কর ছাড়া নন-ট্যাক্স রেভিনিউ (এনটিআর) বাবদ। আর ২০ হাজার কোটি টাকা এনবিআরবহির্ভূত কর ও অনুদান থেকে ধরা হচ্ছে।

আসছে বাজেটে অভ্যন্তরীণ খাত থেকে সরকার দেড় লাখ কোটি টাকা সংগ্রহ করবে, যার ৮০ শতাংশ বা ১ লাখ ২০ হাজার কোটি টাকাই ব্যাংক ঋণের মাধ্যমে নেওয়া হবে। বাকি ৩০ হাজার কোটি টাকা নেওয়া হবে সঞ্চয়পত্র ও বন্ড ব্যবস্থা থেকে। আর বিদেশি ঋণ ও অনুদান থেকে নেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে ১ লাখ ৫ হাজার কোটি টাকা।

বাজেট প্রসঙ্গে সিপিডির সম্মানীয় ফেলো অধ্যাপক মোস্তাফিজুর রহমান ঢাকাপ্রকাশ-কে জানান, জিডিপির তুলনায় আমাদের বাজেটের সাইজ খুবই বেশি না। বিভিন্ন অবকাঠামোর উন্নয়নসহ জনগণের কল্যাণে বাজেটের আকার আরও বেশি ১২ লাখ কোটি টাকা হওয়া দরকার। নিম্ন আয়ের মানুষকে আরও সহায়তা দিতে হবে। আইএমএফের শর্তে ভর্তূকি তুলে নেওয়ায় মূল্যস্ফীতি লাগামহীন হয়ে যাচ্ছে। সরকারকে এটা নিয়ে ভাবতে হবে। কোনোক্রমেই কৃষি ভর্তূকি কমানো যাবে না। মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে জ্বালানিখাতে ভর্তূকি বিবেচনা করতে হবে। সম্পদের অপচয় ও দুর্নীতি বন্ধে সরকারি প্রকল্পে ব্যয় কমাতে হবে।

বেসরকারি গবেষণা সংস্থা পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের (পিআরআই) নির্বাহী পরিচালক ড. আহসান এইচ মনসুরও বলেন, বাজেটে সাধারণ মানুষের ক্রয় ক্ষমতার কথা অবশ্যই ভাবতে হবে। ডলার সংকটে পণ্যের পরিমাণ না বাড়লেও দাম ঠিকই বাড়ছে। বাজার স্বাভাবিক করতে প্রয়োজনে টাকার অবমূল্যায়ন করে ডলারের দাম আরও বাড়তে হবে। কারণ ইউক্রেন-রাশিয়ার যুদ্ধের প্রভাবে সংকট ভয়াবহ হয়ে গেছে। সামষ্টিক অর্থনীতিতে এত বড় চ্যালেঞ্জে আর কখনো পড়েনি বাংলাদেশ। রপ্তানি ছাড়া আপাতত স্বস্তির সূচক খুব একটা নেই। সংকট মোকাবিলায় কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখে বাজেট ঘোষণা করতে হচ্ছে সরকারকে। আগামী অর্থবছরের বাজেট হতে হবে ব্যতিক্রমধর্মী ও ঝুঁকি মোকাবিলার বাজেট। কেননা মূল্যস্ফীতি কমানো ও বাজেটের ঘাটতি অর্থায়নই বড় চ্যালেঞ্জ হবে।

তবে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেছেন, এটা নির্বাচনের বাজেট না। জনতুষ্টিরও না। জনকল্যাণের জন্যই বাজেট দেওয়া হচ্ছে। কারণ মানুষ ভালো থাকবে এটা সরকার চায়। সেই আলোকে সারা দেশের মানুষের জন্য সরকার কাজ করছে। সবার ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ দেওয়া হয়েছে। রাস্তাঘাট করা হয়েছে। আগামীর বাজেটও সেভাবে তৈরি করছে সরকার যাতে সবাই এর সুফল পায়।

উল্লেখ্য, চলতি ২০২২-২০২৩ অর্থবছরে বাজেটের আকার ছিল ৬ লাখ ৭৮ হাজার ৬৪ কোটি টাকা, যা মোট জিডিপির প্রায় ১৫ দশমিক ৩৮ শতাংশ। ওই বাজেট ২০২১-২০২২ অর্থবছরের বাজেটের তুলনায় ৭৪ হাজার ৩৮৩ কোটি টাকা বেশি ছিল। ৬ এপ্রিল অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের সভাপতিত্বে বাজেটের সার্বিক ব্যাপারে একটি বৈঠক হয়েছে। সেখানে বাজেটের আকার ও রাজস্ব আয়ের বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে। এরই অংশ বিশেষ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অনুমোদনের পর সব প্রস্তুতি নিয়ে ১জুন চ্যালেঞ্জের বাজেট সংসদে উপস্থাপন করতে যাচ্ছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। বাজেট সাধারণত জুন মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহের বৃহস্পতিবারে পেশ করা হয়। কিন্তু এবার কোরবানির ঈদ ঘনিয়ে আসায় প্রথম সপ্তাহে বাজেট পেশ করা হচ্ছে।

জেডএ/আরএ/

Header Ad

নিখোঁজের চারদিন পর নদী থেকে শিশুর মরদেহ উদ্ধার

ছবি: সংগৃহীত

গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে নিখোঁজের চারদিন পর নদী থেকে মহিম বাবু নামে ছয় বছরের এক শিশুর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।

রবিবার (১৭ নভেম্বর) সন্ধ্যা সাড়ে ৬ টার দিকে মরদেহটি উদ্ধার করে গোবিন্দগঞ্জ থানা পুলিশ। মাহিম উপজেলার নাকাইহাট ইউনিয়নের গ্রামের খুকশিয়া গ্রামের মাজেদুল ইসলামের ছেলে। শিশুটি গত বৃহস্পতিবার দুপুরের পর থেকে নিখোঁজ ছিল।

স্বজনরা জানান, নিখোঁজের পর থেকে আত্মীয়-স্বজনের বাড়ীসহ বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুঁজি করেও মাহিমের কোন সন্ধান পাওয়া যচ্ছিলো না। এরই এক পর্যায়ে রবিবার বিকেলে আনুমানিক ৪টার দিকে বাড়ীর পার্শ্ববর্তী নলেয়া নদীতে একটি শিশুর মরদেহ ভেসে ওঠার খবর পান তারা। মাহিমের পরিবারের লোকজন সেখানে গিয়ে লাশটি মাহিমের বলে শনাক্ত করে।

খবর পেয়ে গোবিন্দগঞ্জ থানার একদল পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহটি উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে।

গোবিন্দগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বুলবুল ইসলাম বলেন, পানিতে পড়ে শিশু মাহিমের মৃত্যু হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এ ঘটনায় গোবিন্দগঞ্জ থানায় একটি ইউডি মামলা দায়ের হয়েছে।

Header Ad

নির্বাচনের ট্রেন যাত্রা শুরু করেছে: প্রধান উপদেষ্টা

ছবি: সংগৃহীত

নির্বাচনের ট্রেন যাত্রা শুরু করেছে, এটা আর থামবে না। কিন্তু যেতে যেতে আমাদের অনেকগুলো কাজ সেরে ফেলতে হবে বলে জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। এই ট্রেন শেষ স্টেশনে কখন পৌঁছাবে সেটা নির্ভর করবে কত তাড়াতাড়ি আমরা রেল লাইনগুলো বসিয়ে দিতে পারি। আর তা হবে রাজনৈতিক দলসমূহের ঐক্যমত্যের মাধ্যমে।

অন্তর্বর্তী সরকারের ১০০ দিন পূর্তি উপলক্ষে রোববার (১৭ নভেম্বর) সন্ধ্যা সাতটায় জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে তিনি একথা জানান।

নির্বাচন কবে হবে এই প্রশ্ন সবার মনেই আছে জানিয়ে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, আপনারা লক্ষ্য করেছেন নির্বাচন আয়োজনের লক্ষ্যে আমরা প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে শুরু করেছি। কয়েকদিনের মধ্যে নির্বাচন কমিশন গঠন হয়ে যাবে। তারপর থেকে নির্বাচন আয়োজন করার সমস্ত দায়িত্ব তাদের ওপর বর্তাবে।

তিনি বলেন, একটি নির্বাচন কমিশন গঠন করে দিলেই নির্বাচন আয়োজনে আমাদের দায়িত্ব শেষ। রাষ্ট্র ব্যবস্থায় সংস্কার আমাদের এই সরকারের অন্যতম অঙ্গীকার। আপনারাই আমাদেরকে এই ম্যান্ডেট দিয়েছেন। যে ছয়টি সংস্কার কমিশন আমরা শুরুতে গঠন করেছিলাম তারা ইতোমধ্যে তাদের কার্যক্রম অনেক দূর এগিয়ে নিয়েছে। যার মধ্যে একটি হলো নির্বাচন সংস্কার কমিশন। নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য এই কমিশনের সুপারিশমালা অত্যন্ত জরুরি। তাদের প্ল্যাটফর্মে যান। আপনার মতামত খোলাখুলিভাবে তুলে ধরুন। আপনি দেশের মালিক। আপনি বলে দিন আপনি কি চান। কীভাবে চান।

তিনি আরও বলেন, নির্বাচন নিয়ে আপনাদের সকল বক্তব্য বিনাদ্বিধায় বলতে থাকুন। সবার মনের কথা তুলে ধরুন। আমার অনুরোধ সংস্কারের কথাটাও একই সঙ্গে বলুন। সংস্কারকে পাশ কাটিয়ে যাবেন না। নির্বাচনের কথা বলার সঙ্গে নির্বাচন ও অন্যান্য ক্ষেত্রে সংস্কারের কথাটিও বলুন। সংস্কার হলো জাতির দীর্ঘ মেয়াদি জীবনী শক্তি। সংস্কার জাতিকে বিশেষ করে আমাদের তরুণ-তরুণীদের নতুন পৃথিবী সৃষ্টির সুযোগ দেবে। জাতিকে বঞ্চিত করবেন না।

নির্বাচন আয়োজনে যে সংস্কার কমিশনের সুপারিশমালায় রাজনৈতিক দলসমূহ এবং দেশের সব মানুষের মতামত অপরিহার্য সে কমিশন হলো সংবিধান সংস্কার কমিশন। এই সুপারিশমালার কোন অংশ সকলের কাছে গ্রহণযোগ্য হবে তার ভিত্তিতে নির্বাচনী আইন সংশোধন করতে হবে। সমান্তরালভাবে ভোটার তালিকা হালনাগাদ করার প্রক্রিয়া চলতে থাকবে, বলেন তিনি।

ড. ইউনূস বলেন, আমি নিশ্চিত নই, সংস্কার প্রস্তাবসমূহ বাস্তবায়নের সুযোগ আমরা কতটুকু পাবো। তবে আমি আপনাদের কথা দিচ্ছি, আপনারা সুযোগ দিলে প্রয়োজনীয় কিছু অত্যাবশ্যকীয় সংস্কার কাজ শেষ করেই আমরা আপনাদের কাঙ্ক্ষিত নির্বাচন আয়োজন করবো। ততদিন পর্যন্ত আমি আপনাদের ধৈর্য্য ধারণ করার অনুরোধ করবো। আমরা চাইবো, আমরা যেন এমন একটি নির্বাচন ব্যবস্থা সৃষ্টি করতে পারি যা যুগযুগ ধরে অনুসরণ করা হবে। এর ফলে সাংবাৎসরিক রাজনৈতিক সংকট থেকে আমাদের দেশ রক্ষা পাবে। এজন্য প্রয়োজনীয় সময়টুকু আমি আপনাদের কাছে চেয়ে নিচ্ছি। নির্বাচনী সংস্কারের সিদ্ধান্ত হয়ে গেলে খুব দ্রুত আপনারা নির্বাচনের রোডম্যাপও পেয়ে যাবেন।

তিনি বলেন, অন্তর্বর্তী সরকার সৃষ্টি হয়েছে রাজনীতিকে নীতির কাঠামোয় আনার জন্য, এবং রাজনীতির জন্য নতুন পরিবেশ সৃষ্টির নিবিড় আকাঙ্ক্ষা থেকে। এই আকাঙ্ক্ষা পূরণ করা থেকে জাতিকে বঞ্চিত করবেন না।

Header Ad

ঢাবি ছাত্রদলের ৬ নেতাকে অব্যাহতি

ছবি: সংগৃহীত

সদ্যঘোষিত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) ছাত্রদলের পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে থেকে ছয়জনকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।

রবিবার (১৭ নভেম্বর) সন্ধ্যায় বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের দপ্তর সম্পাদক (সহ-সভাপতি পদমর্যাদা) মো. জাহাঙ্গীর আলম স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

ছাত্রদলের সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব ও সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দীন নাছির ওই ছয়জনকে অব্যাহতি দেওয়ার নির্দেশনা দিয়েছেন বলে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে।

এতে আরো বলা হয়, গত ১৪ নভেম্বর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের পূর্ণাঙ্গ কমিটি প্রকাশ করা হয়।

কমিটি ঘোষণার পর কিছু অভিযোগ উত্থাপিত হলে কেন্দ্রীয় সংসদের পক্ষ থেকে অভিযোগগুলো তদন্তের জন্য কমিটি গঠন করা হয়। তদন্ত কমিটির রিপোর্টের ভিত্তিতে ছয়জনকে পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।

অব্যাহতিপ্রাপ্তরা হলেন- সহ-সাংগঠনিক সম্পাদকের পদ পাওয়া সাইফুল ইসলাম রিমন ও মাহাদী ইসলাম নিয়ন, জেন্ডার ন্যায্যতা ও সমতাবিষয়ক সম্পাদক সৈয়দা সুকাইনা নাফিসা তরঙ্গ, সহ-পরিবেশ ও জলবায়ুবিষয়ক সম্পাদক ইমরান হোসেন এবং সদস্য আব্দুল্লাহ আল মামুন ও রায়হান হোসেন।

গত ১৪ নভেম্বর ২৪২ সদস্যবিশিষ্ট ঢাবি শাখা ছাত্রদলের পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করা হয়।

এ কমিটিতে নিষিদ্ধঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগের একাধিক কর্মী এবং বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়াকে নিয়ে বিদ্রুপকারী এক শিক্ষার্থী পদ পেয়েছেন বলে অভিযোগ ওঠে।

ওই দিনই ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সংসদের সহ-সভাপতি জহির রায়হান আহমেদ ও এবিএম ইজাজুল কবির রুয়েলের নেতৃত্বে দুই সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনের ভিত্তিতেই এই ছয়জনকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। তদন্ত কমিটির কাজ চলমান থাকবে বলেও বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

নিখোঁজের চারদিন পর নদী থেকে শিশুর মরদেহ উদ্ধার
নির্বাচনের ট্রেন যাত্রা শুরু করেছে: প্রধান উপদেষ্টা
ঢাবি ছাত্রদলের ৬ নেতাকে অব্যাহতি
গাইবান্ধায় আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি কারাগারে
নখের পাশে চামড়া ওঠে কেন, করণীয় কী?
মেট্রোরেলের এমআরটি-৫ প্রকল্পে ব্যয় কমলো ৭ হাজার কোটি টাকা
সন্ধ্যায় জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেবেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস
সাবেক স্পিকার শিরীন শারমিন ও তাঁর স্বামীর পাসপোর্ট আবেদন স্থগিত
বন্ধু ছাঁটাই করার দিন আজ
বিমানবন্দর থেকে দেশ টিভির ব্যবস্থাপনা পরিচালক আরিফ হাসান গ্রেফতার
মাওলানা ভাসানী সাম্রাজ্যবাদবিরোধী সংগ্রামের প্রেরণাদাতা: তারেক রহমান
ইসরায়েলের পাঁচ সামরিক ঘাঁটিতে হিজবুল্লাহর রকেট হামলা
পরীক্ষায় ফেলের হতাশা থেকে স্কুলে হামলা, নিহত ৮
মজলুম জননেতা মাওলানা ভাসানীর ৪৮তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ
উত্তরের জনপদে শীতের আমেজ, পঞ্চগড়ে তাপমাত্রা নেমেছে ১৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস
নতুন প্রেমে মজেছেন অভিনেত্রী আশনা হাবিব ভাবনা
এক ম্যাচ হাতে রেখেই টি-টোয়েন্টি সিরিজ নিশ্চিত অস্ট্রেলিয়ার
ইলন মাস্কের সঙ্গে বৈঠকের কথা নাকচ করেছে ইরান
সড়ক দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত ইসলামি বক্তা আব্দুল হাই সাইফুল্লাহ
পাকিস্তানে বিচ্ছিন্নতাবাদীদের হামলায় ৭ সেনা নিহত