শুক্রবার, ২৮ মার্চ ২০২৫ | ১৪ চৈত্র ১৪৩১
Dhaka Prokash

সিন্ডিকেটের কবজায় লাগামহীন আদার দাম

বাংলাদেশে আদার বার্ষিক চাহিদা প্রায় ৩ লাখ ১০ হাজার মেট্রিক টন। উৎপাদন হয়েছে প্রায় দুই তৃতীয়াংশ, ১ লাখ ৯৩ হাজার মেট্রিক টন। রমজানে চাহিদা ছিল প্রায় ৫০ হাজার টন। ঈদের আগে খুচরা পর্যায়ে চায়না আদা বিক্রি হয়েছে ২৯০ টাকা কেজি ও দেশিটা ১৪০ টাকা। কিন্তু এক মাসের ব্যবধানে সিন্ডিকেটের জালে বর্তমানে তা লাগামহীন হয়ে গেছে।

৬০০ টাকা কেজিতেও পাওয়া যায় না চায়না আদা। তবে ভারত ও মিয়ানমারের আদা ৩৫০ টাকার বেশি কেজি বিক্রি করা হচ্ছে। বাজারে আদার সংকট সৃষ্টি করে আড়তদার থেকে শুরু করে খুচরা বিক্রেতারা যে যেভাবে পারছে ইচ্ছামতো দাম আদায় করছে ভোক্তাদের কাছ থেকে। এদিকে জিরার দাম হু হু করে বাড়ছে। মাসের ব্যবধানে কেজিতে ২০০ থেকে ৩০০ টাকা বেড়ে গেছে।

বুধবার (২৪ মে) রাজধানীর কারওয়ান বাজারসহ বিভিন্ন বাজার ঘুরে সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে এমনই চিত্র পাওয়া গেছে।

হঠাৎ করে আদার বাজার বেসামাল হওয়ার ব্যাপারে জানতে চাইলে জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এএইচএম সফিকুজ্জামান ঢাকাপ্রকাশ-কে বলেন, ভোক্তার স্বার্থ আমরা দেখি। যখনই কোনো জিনিসের দাম বেড়ে যায় আমরা বাজার তদারকি করি। অস্বাভাবিক কিছু পেলে তাদের শাস্তির আওতায় আনি। আদার ব্যাপারে কাজ করা হচ্ছে। কেউ জড়িত থাকলে এবং ধরা পড়লে তাদেরও শান্তি দেওয়া হবে। জিরার দামও হঠাৎ বেড়ে যাওয়ায় পাইকারি বাজার মৌলভীবাজারে আজ অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে।

সরেজমিনে গেলে কারওয়ান বাজারের মেসার্স বিক্রমপুর স্টোরের পাইকারি বিক্রেতা আসাদ ঢাকাপ্রকাশ-কে জানান, কোয়ালিটি বুঝে আদার দামও কম বেশি। চায়না আদা ৬০০ টাকা কেজিও পাওয়া যায় না। কয়েকদিন ধরে এ অবস্থা। তবে মিয়ানমার ও ভারতের আদা ৩০০ টাকা কেজি। আর পাল্লা (৫ কেজি) ১৪৫০ থেকে ১৫০০ টাকা বিক্রি করা হচ্ছে। খুচরা নিলে একটু বেশি। যেটা ভালো না দাম কম। তবে দেশি আদা পাওয়া যায় না। এজন্য আদার দাম বেড়েই যাচ্ছে। এসব শ্যামবাজার থেকে আনা। সেখানে ২৬০ টাকা কেজি কেনা।

অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ঈদের আগে দেশিটা ১৪০ থেকে ১৫০ টাকা ও চায়নাটা ২৭০ থেকে ২৯০ কেজি বিক্রি করা হয়েছে। বর্তমানে দেশি আদা নেই। আবার চায়না এলসি খুলছে না। তাই সংকট আদার। সংকটের কারণে আজও আদা আনা হয়নি। তবে আমদানি বেশি হলে দাম কমে যাবে।

দাম কমার ব্যাপারে এই পাইকারি ব্যবসায়ী বলেন, এত দাম আগে কখনো দেখিনি। দেশি আদার চাষ বাড়লে দাম এত হবে না।

হঠাৎ করে চাহিদা তো বাড়েনি? তাহলে মাসের ব্যবধানে দ্বিগুণেরও বেশি দাম কেন? এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, আমরা যে দরে কিনি কিছু লাভ করে বিক্রি করি পাইকারি পর্যায়ে। আমাদের করার কিছু নেই।

শুধু এই ব্যবসায়ী নয়, কারওয়ান বাজারের অন্যান্য পাইকারি ব্যবসায়ীদেরও একই কথা- আদা নেই। দেশি আদা থাকলে এত দাম বাড়ত না।

তিনি আরও জানান, আদার মতোই জিরার দামও লাগামহীন হয়ে গেছে। প্রায় দিন আদার দাম বাড়ছে। ঈদের আগে ৭০০ টাকা কেজি বিক্রি করা হলেও বর্তমানে ৯৫০ টাকা কেজি বিক্রি করা হচ্ছে।

আদার ব্যাপারে জানতে চাইলে ওই বাজারের পাশের খুচরা বিক্রেতা আবুল জানান, আদার দাম বেশি। ২৮০ থেকে ৩০০ টাকা কেজি। এটা মিয়ানমার ও ভারতের। চায়নাটা পাওয়া যায় না। আবার কোথাও পাওয়া গেলেও দাম অনেক বেশি, ৬০০ টাকার উপরে। তবে পেঁয়াজ ৭০ টাকা কেজি, রসুন ১৩০ থেকে ১৪০ টাকা কেজি বিক্রি করা হচ্ছে।
এরশাদ নামে অপর খুচরা ব্যবসায়ী জানান, ঈদের আগে ২৮০ টাকা চায়না আদা বিক্রি করা হলেও মাসের ব্যবধানে দ্বিগুণ হয়ে গেছে। বর্তমানে ২৮০ থেকে ৩০০ টাকা কেজি বিক্রি করা হচ্ছে। কয়েকদিন আগে ৩৫০ টাকার বেশি বিক্রি করা হয়েছে।

তিনি আরও জানান, আদার দাম লাগামহীন হলেও পেঁয়াজের কেজি ৭০ থেকে ৭৫ টাকা ও রসুন ১৫০ থেকে ১৬০ টাকা কেজি বিক্রি করা হচ্ছে। কিন্তু সেই আদা বিভিন্ন পাড়া-মহাল্লায় ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা কেজি বিক্রি করা হচ্ছে বলে জানান ব্যবসায়ীরা।

আমদানিকৃত প্রায় কৃষিপণ্যই রাজধানীর শ্যামবাজারের আড়তে আসে। সেখান থেকেই বিভিন্ন বাজারে পাইকারি পর্যায়ে বিক্রি হয়। সেই বাজারেও বেশি দামে আদা বিক্রি করা হচ্ছে বলে জানান আড়তদাররা।

হঠাৎ দাম বৃদ্ধির ব্যাপারে জানতে চাইলে শ্যামবাজার কৃষিপণ্য আড়ত বণিক সমিতির সভাপতি মো. সাইদ ঢাকাপ্রকাশ-কে বলেন, মাল কম। আবার ব্যাংক এলসিও খুলছে না। চায়না থেকে একবারে বন্ধ রয়েছে। তাই দাম বাড়ছে। আজ (বুধবার) মিয়ানমারের আদা ২৪০ থেকে ২৬৫ টাকা কেজি বিক্রি করা হচ্ছে। দেশিটা নেই। চায়নাটা ৩৫০ টাকার উপরে। বাড়তি দাম।

কী করলে দাম কমবে এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, প্রচুর পণ্য আসলে দাম কমে যাবে। আদা, পেঁয়াজ কাঁচামাল। বেশি দিন থাকে না। কিছু নষ্টও হয়। এজন্য আড়তের সঙ্গে পাইকারি ও খুচরায় দামের পার্থক্য ৮০ থেকে ১০০ টাকাও হচ্ছে। অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এগুলো পচনশীল পণ্য। ধরে রাখা যায় না। আমরা সামান্য লাভে বিক্রি করে থাকি।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সূত্র উল্লেখ করে এক প্রতিবেদনে ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআই জানিয়েছে, দেশে আদার চাহিদা প্রায় ৩ দশমিক ১০ লাখ টন। রমজানে চাহিদা প্রায় ৫০ হাজার টন। এবার ১ দশমিক ৯৩ লাখ টন উৎপাদন হয়েছে। তার আগের বছরে উৎপাদন হয়েছে ১ দশমিক ৯১ লাখ টন। দুই মাস আগে অর্থাৎ ২২ মার্চ আন্তর্জাতিক বাজারে আদার টন ছিল ৫৪৬ ডলার।

এদিকে সরকারি প্রতিষ্ঠান টিসিবিও বলছে, মাসের ব্যবধানে আদার দাম কেজিতে ১৪০ থেকে ১৫০ টাকা বেড়েছে। কারণ বুধবার ৩২০ থেকে ৩৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করা হচ্ছে আদা। যা এক মাস আগে বিক্রি হয়েছে ১৮০ থেকে ২০০ টাকায়।

এসজি

Header Ad
Header Ad

স্বাধীনতার নেতা বঙ্গবন্ধুর কোনও ভুলত্রুটি নেই: বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী

বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী। ছবি : ঢাকাপ্রকাশ

কৃষক শ্রমিক জনতালীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বীরউত্তম বলেছেন- জয় বাংলার কোন ভুলত্রুটি নেই। স্বাধীনতার নেতা বঙ্গবন্ধুর কোনও ভুলত্রুটি নেই। বঙ্গবন্ধু ও জিয়াউর রহমানকে অস্বীকার করলে এবং আমাকে অস্বীকার করলে স্বাধীনতাই বেহাত হবে।

বঙ্গবীর বলেন- জাতীয় স্মৃতিসৌধে ‘জয় বাংলা’ স্লোগান দেওয়ায় গ্রেফতারবরণ করতে হয়, এর আগেই আমার মৃত্যু হওয়া ভালো ছিল। কারণ ‘জয় বাংলা’ স্লোগান কারও দলের নয়। আমাদের অনেকের ভুলত্রুটি নিশ্চয়ই আছে, কিন্তু স্বাধীনতার কোনও ভুলত্রুটি নেই।

শুক্রবার (২৮ মার্চ) বিকালে টাঙ্গাইলের বাসাইল উপজেলা কৃষক শ্রমিক জনতালীগের ইফতার ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

কাদের সিদ্দিকী বলেন- অনেকের সাথে আমার মিলে না। এই দেশে স্বাধীনতা যুদ্ধে আমাদের সবার অবদান আছে, রক্ত আছে, ঘাম আছে।’
 
তিনি আরও বলেন- রাষ্ট্রপতির ইফতার মাহফিলে আমাকে সম্মানিত করা হয়েছে। রাষ্ট্রপতি নিজে এসে আমাকে তার টেবিলে নিয়ে বসিয়েছিলেন। আমি এ জন্য তাদেরকে ধন্যবাদ জানাই। আল্লাহ’র চেয়ে শ্রেষ্ঠ বিচারক আর কেউ নেই। আমি এটা বিশ্বাস করে এ পর্যন্ত এসেছি। বাকী সময় বিশ্বাস করেই যাব। সম্মান দেওয়া আর সম্মান নেওয়ার মালিক আল্লাহ।

উপজেলা কৃষক শ্রমিক জনতালীগের সভাপতি রাহাত হাসান টিপুর সভাপতিত্বে এ সময় উপস্থিত ছিলেন- কালিহাতী উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান শামীম আল মনছুর, সখীপুর উপজেলা কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সাধারণ সম্পাদক ছানোয়ার হোসেন সজিব, বাসাইল উপজেলা কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সাধারণ সম্পাদক আশরাফুজ্জামান প্রমুখ।  

Header Ad
Header Ad

সুন্দরবনে রেড অ্যালার্ট: ঈদের ছুটি বাতিল, শিকার ও অগ্নিকাণ্ড প্রতিরোধে কঠোর নজরদারি

ছবি: সংগৃহীত

হরিণ শিকার ও অগ্নিকাণ্ড প্রতিরোধে সুন্দরবনে রেড অ্যালার্ট জারি করেছে বন বিভাগ। এ কারণে জরুরি প্রয়োজন ছাড়া বনরক্ষীদের এবারের ঈদের ছুটি বাতিল করা হয়েছে। বন বিভাগ জানিয়েছে, প্রতিবছর ঈদের ছুটির সময় সুন্দরবনে চোরা শিকারিদের দৌরাত্ম্য বেড়ে যায়, বিশেষ করে হরিণ শিকারীরা অত্যন্ত সক্রিয় হয়ে ওঠে। তবে এবার ঈদের আগেই শিকারিরা আরও বেশি তৎপর হয়ে উঠেছে, যা বন বিভাগের জন্য উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

অপরদিকে, সম্প্রতি বাগেরহাটের পূর্ব সুন্দরবনের চাঁদপাই রেঞ্জের টেপার বিল ও শাপলার বিল এলাকায় ভয়াবহ দুটি অগ্নিকাণ্ড ঘটে। এতে প্রায় ছয় একর বনভূমির সুন্দরীসহ বিভিন্ন প্রজাতির গাছপালা পুড়ে যায়। বন বিভাগের ধারণা, মৌসুমী মাছ শিকারীরা এ ধরনের অগ্নিসংযোগের সঙ্গে জড়িত। প্রতিবছরই শুষ্ক মৌসুমে এ ধরনের অগ্নিকাণ্ড ঘটে, যা বনাঞ্চলের জন্য মারাত্মক হুমকিস্বরূপ। হরিণ শিকার ও অগ্নি-সন্ত্রাস প্রতিরোধেই এবার বন বিভাগ সর্বোচ্চ সতর্কতা গ্রহণ করেছে।

সুন্দরবন বিভাগ ও কোস্টগার্ড সূত্রে জানা গেছে, গত ১২ মার্চ থেকে ২৭ মার্চ পর্যন্ত বন ও বনসংলগ্ন এলাকা থেকে ৩০৮ কেজি হরিণের মাংস, দুটি হরিণের মাথা, দুটি চামড়া, আটটি পা এবং বিপুল পরিমাণ ফাঁদ উদ্ধার করা হয়েছে। এসব অভিযানে সাতজন চোরাশিকারিকে আটক করা হয়েছে। কোস্টগার্ড পশ্চিম জোন ও বন বিভাগ যৌথভাবে এসব অভিযান পরিচালনা করেছে।

পূর্ব সুন্দরবনের শরণখোলা রেঞ্জের সহকারী বন সংরক্ষক (এসিএফ) রানা দেব জানিয়েছেন, ঈদ উপলক্ষে চোরাশিকারিদের তৎপরতা বেড়ে যায়, তাই হরিণসহ বন্যপ্রাণী শিকার প্রতিরোধে শরণখোলা রেঞ্জের সকল স্টেশন ও টহল ফাঁড়ির বন কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সর্বোচ্চ সতর্ক থাকতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। টহল কার্যক্রম আরও জোরদার করা হয়েছে।

এ প্রসঙ্গে বাগেরহাটের সুন্দরবন পূর্ব বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) কাজী মুহাম্মদ নুরুল করিম বলেন, "সুন্দরবনে রেড অ্যালার্ট জারি করা হয়েছে। হরিণ ও বন্যপ্রাণী শিকার এবং অগ্নিকাণ্ড প্রতিরোধে পূর্ব সুন্দরবনের শরণখোলা ও চাঁদপাই রেঞ্জের সকল কর্মকর্তা-কর্মচারীর ঈদের ছুটি সীমিত করা হয়েছে। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া কাউকে ছুটি দেওয়া হবে না।"

বন বিভাগের পক্ষ থেকে সুন্দরবনের সকল স্টেশন ও টহল ফাঁড়ির কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নজরদারি বাড়ানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি, বিশেষ টহল কার্যক্রম পরিচালনারও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, যাতে চোরাশিকারি ও অগ্নি-সন্ত্রাসীদের কার্যকলাপ প্রতিহত করা যায়।

বন বিভাগের এই পদক্ষেপের ফলে সুন্দরবনে অবৈধ শিকার ও আগুন লাগানোর প্রবণতা হ্রাস পাবে বলে সংশ্লিষ্টরা আশা করছেন।

Header Ad
Header Ad

বাংলাদেশের জন্য চীন থেকে ২.১ বিলিয়ন ডলারের বিনিয়োগ, ঋণ ও অনুদানের প্রতিশ্রুতি

ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশ চীনা সরকার এবং দেশটির বিভিন্ন সংস্থার কাছ থেকে ২ দশমিক ১ বিলিয়ন ডলারের বিনিয়োগ, ঋণ এবং অনুদানের প্রতিশ্রুতি পেয়েছে। প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের চীন সফরের সময় বিভিন্ন দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে এই প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়।

শুক্রবার (২৮ মার্চ) প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে পাঠানো এক বিবৃতিতে জানানো হয়, ঢাকায় চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন এবং বাংলাদেশের কর্মকর্তারা এই চুক্তির বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

বিবৃতিতে বলা হয়, প্রায় ৩০টি চীনা কোম্পানি বাংলাদেশের বিশেষ চীনা শিল্প অর্থনৈতিক অঞ্চলে এক বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগের অঙ্গীকার করেছে। প্রধান উপদেষ্টার বিনিয়োগ আহ্বানের পর এই প্রতিশ্রুতি আসে।

এছাড়া, চীন মোংলা বন্দর আধুনিকীকরণ প্রকল্পে ৪০০ মিলিয়ন ডলার ঋণ, চীনা শিল্প অর্থনৈতিক অঞ্চলের উন্নয়নে ৩৫০ মিলিয়ন ডলার, এবং প্রযুক্তিগত সহায়তা হিসেবে ১৫০ মিলিয়ন ডলার বরাদ্দ দেওয়ার পরিকল্পনা করেছে। বাকি অর্থ অনুদান ও অন্যান্য ঋণ সহায়তা হিসেবে আসবে।

চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন এই সফরকে “একটি গুরুত্বপূর্ণ সফর” বলে উল্লেখ করেন।

বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিডা) এবং বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষের (বেজা) নির্বাহী চেয়ারম্যান আশিক চৌধুরী বলেন, এই সফর চীনা বিনিয়োগ বৃদ্ধির নতুন দিগন্ত উন্মোচন করতে পারে।

দ্বিপাক্ষিক বৈঠকের সময় অধ্যাপক ইউনূস চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংকে বাংলাদেশে চীনা বেসরকারি কোম্পানিগুলোর বিনিয়োগের জন্য “সবুজ সংকেত” দেওয়ার অনুরোধ জানান। প্রেসিডেন্ট শি আশ্বাস দেন যে, চীনা কোম্পানিগুলো তাদের উৎপাদন কেন্দ্র বৈচিত্র্যময় করতে চাইলে বাংলাদেশে স্থানান্তরের জন্য তিনি উৎসাহিত করবেন।

শুক্রবার অধ্যাপক ড. ইউনূস ও আশিক চৌধুরী বেইজিংয়ে বিশ্বের ১০০টিরও বেশি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন। সেখানে উন্নত টেক্সটাইল, ওষুধশিল্প, হালকা প্রকৌশল ও নবায়নযোগ্য জ্বালানি খাতে বিনিয়োগের আহ্বান জানানো হয়। তারা তিনটি ইন্টারঅ্যাকটিভ সেশনে বক্তব্য রাখেন।

আশিক চৌধুরী বলেন, "এখন পর্যন্ত আমরা অত্যন্ত ইতিবাচক সাড়া পেয়েছি। এটি কেবল সময়ের ব্যাপার।"

সূত্র: বাসস।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

স্বাধীনতার নেতা বঙ্গবন্ধুর কোনও ভুলত্রুটি নেই: বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী
সুন্দরবনে রেড অ্যালার্ট: ঈদের ছুটি বাতিল, শিকার ও অগ্নিকাণ্ড প্রতিরোধে কঠোর নজরদারি
বাংলাদেশের জন্য চীন থেকে ২.১ বিলিয়ন ডলারের বিনিয়োগ, ঋণ ও অনুদানের প্রতিশ্রুতি
বাংলাদেশের জন্য ৫০ বছরের পানি ব্যবস্থাপনার মাস্টারপ্ল্যান চাইলেন অধ্যাপক ইউনূস
হাসপাতাল ছেড়ে বাসায় ফিরলেন তামিম ইকবাল
চুয়াডাঙ্গায় সর্বোচ্চ ৩৯.৮ ডিগ্রি তাপমাত্রা রেকর্ড, সহজে মিলছে না বৃষ্টি
জেলা প্রশাসকদের প্রতি ১২ নির্দেশনা দিলেন প্রধান উপদেষ্টা
জুমার নামাজের সময় শক্তিশালী ভূমিকম্প, মিয়ানমারে মসজিদ ধসে নিহত অন্তত ২০
ঈদে রাজধানীর নিরাপত্তায় ৪২৬ জন ‘অক্সিলারি ফোর্স’ নিয়োগ
যমুনা সেতু মহাসড়কে নেই যানজট, নির্বিঘ্নে বাড়ি ফিরছে উত্তরের মানুষ (ভিডিও)
টাঙ্গাইলে ৪০ দিন জামাতে নামাজ আদায় করে পুরস্কৃত ২১ কিশোর-তরুণ
থাইল্যান্ডে ভূমিকম্প: মুহূর্তেই ধসে পড়ল নির্মাণাধীন বহুতল ভবন
মিয়ানমারে ভয়াবহ ভূমিকম্প, ধসে পড়ল ভবন ও সেতু
ঢাকা-বেইজিংয়ের মধ্যে ৯ চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর
সমালোচনার মুখে প্রসিকিউটর আফরোজ পারভীন সিলভিয়ার নিয়োগ বাতিল
ঢাকা-চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে ভূমিকম্প
মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রণালয়ের অধীনে জুলাই অভ্যুত্থান অধিদপ্তর গঠন
‘ইদ’ থেকে ‘ঈদ’ বানানে ফিরছে বাংলা একাডেমি: আসিফ মাহমুদ
গাজীপুরে দাঁড়িয়ে থাকা ট্রাকে পিকআপের ধাক্কা, নিহত ২
কাশ্মিরে বিচ্ছিন্নতাবাদীদের হামলায় ৪ ভারতীয় পুলিশ সদস্য নিহত