শনিবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৫ | ৬ বৈশাখ ১৪৩২
Dhaka Prokash

ভোজ্যতেল ও চিনিতে নৈরাজ্য, সিন্ডিকেটকে দায়ী করছেন খুচরা বিক্রেতারা

চিনির দাম কমানো হয়েছে জানুয়ারিতে। কিন্তু সেই দামে মে মাসেও চিনি পাওয়া যাচ্ছে না। অন্যদিকে, সয়াবিন তেলের দাম বাড়ানো হয়েছে ৪ মে। তার কয়েক ঘণ্টা পর থেকেই বর্ধিত দামে তেল বিক্রি করা হচ্ছে। উভয় ক্ষেত্রেই মিল মালিকদের সিন্ডিকেটকে দায়ী করছেন খুচরা বিক্রেতারা।

খুচরা বিক্রেতারা বলছেন, মিল মালিকদের সিন্ডিকেটের কারণে সরকার নির্ধারিত কম দামে চিনিই পাচ্ছেন না তারা। মিল মালিকদের কাছ থেকে বেশি দামে কেনার কারণে বিক্রিও করতে হবে বেশি দামে। কিন্তু খুচরা ব্যবসায়ীরা বেশি দামে বিক্রি করলে সরকারি সংস্থার জরিমানার সম্মুখীন হতে হয়।

অন্যদিকে, সয়াবিন তেলের দাম লিটারপ্রতি ১২টাকা বাড়ানো হলে বোতলের গায়ে আগের দাম উল্লেখ থাকার পরও বেশি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে। কারণ মিলারদের সিন্ডিকেটের কারনে আগের সয়াবিনও বেশি দামে কিনতে হচ্ছে। তাই বেশি দামেই বিক্রি করতে হচ্ছে। ফলে ভোজ্যতেল ও চিনির বাজার মিল মালিকদের ইচ্ছা-অনিচ্ছার উপর নির্ভরশীল হয়ে পড়েছে বলেই দাবি খুচরা ব্যবসায়ীদের।

রাজধানীর কারওয়ান বাজার, মোহাম্মদপুরের কৃষিমার্কেট, টাউনহলসহ বিভিন্ন বাজারে গেলে এমনই ক্ষোভের চিত্র পাওয়া যাচ্ছে।

এ বিষয়ে জানতে চেয়ে সিটি গ্রুপের পরিচালক বিশ্বজিত সাহার সঙ্গে ঢাকাপ্রকাশ-এর পক্ষ থেকে যোগাযোগ করা হলে সবশুনে কোনো জবাব না দিয়ে ফোন কেটে দেন।

চিনির দাম তিন টাকা কমিয়ে ১০৪ টাকা কেজি ঘোষণা দিলেও সেই নির্ধারিত দামতো দূরের কথা, কিছু বেশি দামেও কোথায় পাওয়া যায় না। অভিযোগ উঠেছে, বেশি দামের আশায় মিলমালিকরা কৃত্রিম সঙ্কট তৈরি করায় এই অবস্থা। তবে কোনো কোনো ডিলার ও পাইকাররা মিল থেকে বেশি দামে কিনে তা খুচরা ব্যবসায়ীদের কাছে বিক্রি করছেন। এ জন্য ভোক্তাদের অনেক বেশি দাম গুনতে হচ্ছে, ১৪০ থেকে ১৫০ টাকা কেজি পর্যন্ত।

অপরদিকে, সয়াবিন তেলের দাম লিটারে ১২ টাকা বাড়িয়ে ১৯৯ টাকা ঘোষণার পর থেকেই বাজারে দাম বাড়তে শুরু করেছে। খুচরা ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, নতুন রেটের তেল না আসলেও বাড়তি দামেই ভোক্তাদের কাছে বিক্রি করতে হচ্ছে।

এবার রমজানের আগে থেকেই চিনি নিয়ে চলছে ছিনিমিনি। সরকার গত ৮ এপ্রিল থেকে পরিশোধিত চিনির কেজিতে ৩ টাকা কমিয়ে করেছে ১০৪ টাকা। আর প্যাকেট চিনির দাম ৩ টাকা কমিয়ে নির্ধারণ করা হয়েছে ১০৯ টাকা। কিন্তু সেই দামে তো দূরের কথা রমজান মাস শেষ হলেও প্রায় দোকানে চিনি পাওয়া যাচ্ছে না। আবার কোথাও পাওয়া গেলেও ভোক্তাদের বেশি দাম গুনতে হচ্ছে। মিল থেকেই বেশি দামে বিক্রি করা হচ্ছে বলে ডিলার ও পাইকারি ব্যবসায়ীদের অভিযোগ। এ জন্য খুচরা ব্যবসায়ীও ভোক্তাদের কাছে বেশি দামে ১৪০ থেকে ১৫০ টাকা কেজি বিক্রি করছে।

সর্বশেষ, গত ১ জানুয়ারি চিনির দাম বাড়িয়ে খোলা চিনির দাম নির্ধারণ করা হয়েছিল ১০৭ টাকা কেজি এবং প্যাকেটজাত চিনির দাম নির্ধারণ করা হয়েছিলো ১১২ টাকা কেজি। এরপর দ্রব্যমূল্য ও বাজার পর্যালোচনা করে টাস্কফোর্স সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশনের সুপারিশ অনুযায়ী, পরিশোধিত খোলা চিনির সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ১০৪ টাকা কেজি। প্রতি কেজিতে দাম কমানো হয়েছে তিন টাকা।

কিন্তু সরেজমিনে বাজারে দেখা গেছে উল্টোচিত্র। কারওয়ান বাজাররের মেসার্স রতন স্টোরের মালিক রতন ঢাকাপ্রকাশ-কে ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, আমরা কি মুখে শুধু শুনব দাম কমেছে? আর বেশি দামে কিনতে হবে? তাও ঠিকমতো পাওয়া যায় না। সরকার চিনির কেজিতে তিন টাকা কমানোর ঘোষণা দেওয়ার পর আমরা পাচ্ছি না কেন। সিটিগ্রুপ, মেঘনা, দেশবন্ধুসহ কয়েকটি চিনি কলের কাছে সরকার জিম্মি হয়ে গেছে। ১৭ কোটি মানুষকেও জিম্মি করে রাখছে। তারা যা ইচ্ছা তাই করছে।

রতন স্টোরের সত্ত্বাধিকারী আরও বলেন, রমজান মাসে ভোক্তা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মিটিং করে বললেন, চিনির দাম কমানো হয়েছে। যার যতো লাগবে পাবেন। কিন্তু আমরা চাহিদা মতো তো দূরের কথা ঈদ শেষেও সামান্যতম চিনি পাচ্ছি না। আবার কোনো ডিলার ও পাইকারি ব্যবসায়ীর কাছে পেলেও অনেক বেশি দামে কিনতে হচ্ছে। এভাবে কি ব্যবসা হয়? কেউ টাকা লুট করবে সরকার চুপ করে থাকবে। আর আমরা বেশি দামে কিনে বিক্রি করলে গালি শুনতে হয়। জরিমানা দিতে হয়। মিল মালিকদের ধরতে হবে। না হলে ভোক্তাদের পকেট কাটা বন্ধ হবে না। আমিও ভোক্তা। আবার বেশি দামে কিনতে হচ্ছে। কিন্তু আয় তো আর বাড়েনি। বরং বিক্রি কমে গেছে।

তেলের দামের ব্যাপারে জানতে চাইলে এই খুচরা ব্যবসায়ী আরও বলেন, মিলমালিকরা চিনির দাম কমানোর ঘোষণা দিলেও কমেনি। বরং বেড়েই যাচ্ছে। আবার তেলের দাম বাড়ানোর ঘোষণা দিলে নতুন রেটের তেল মিল থেকে বাজারে আসেনি। কিন্তু কয়েকটি মিল সিন্ডিকেট করে বেশি দামে বিক্রি করছে। এ জন্য পাইকারি ও ডিলাররাও আমাদের কাছে বেশি দাম নিচ্ছে।

আগে ৫ লিটারের এমআরপি ছিলো ৯০৪ টাকা উল্লেখ করে রতন বলেন, তখন তা কিনতাম ৮৭০ টাকা। সেই তেল কিনতে হচ্ছে ৯০৬ টাকা। মাত্র ৪ টাকা লাভ করে ৯১০ টাকা বিক্রি করা হচ্ছে। কিন্তু মিল থেকে যে বাড়তি দাম নিচ্ছে সরকার কি করছে? আবার ভোক্তা অধিদপ্তর এসে আমাদের ধরে। বেশি দাম নেওয়ায় জরিমানা করে। কিন্তু যারা সিন্ডিকেট করে বেশি টাকা আদায় করছে তাদের কিছু হয় না কেন?

তাদের বিরুদ্ধে তো সরকার মামলা করেছে। এমন তথ্যের প্রত্যুত্তরে তিনি বলেন, তাহলে তারা আসল দামে মাল দিচ্ছে না কেন?

আন্তর্জাতিক বাজারের অজুহাতে বাংলাদেশ ভেজিটেবল অয়েল রিফাইনার্স অ্যান্ড বনস্পতি ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশন গত ৪ মে প্রতি লিটারে ১২ টাকা দাম বাড়িয়ে ১৯৯ টাকা, ৫ লিটার ৯৬০ টাকা ও খোলা তেল ১৩৫ টাকা লিটার করেছে। সরকারও তা মেনে নিয়েছে। কিন্তু দুই দিন না যেতেই মজুত ফুরিয়ে যাওয়ার অজুহাতে বাজারে দাম বেড়ে গেছে।

একই বাজারের লক্ষীপুর স্টোরের ফরিদ বলেন, চিনি আছে ১৫০ টাকা কেজি। এতো বেশি বলা মাত্র তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, আমগো বলে লাভ কি? গোড়াতে ধরলে সব ঠিক হয়ে যাবে। তারাই বেশি দাম নিচ্ছে। আমরা গালি খাচ্ছি।

কারওয়ান বাজাররের ইউসুফ জেনারেল স্টোরের মো. ইউসুফও ঢাকাপ্রকাশ-কে বলেন, বেশি দামে চিনি কিনে জরিমানা খেতে চাই না। তবে তেলের ব্যাপারে বলেন, আছে। তবে লাভের ধান টিয়ায় খাচ্ছে। মানে আগে ৫ লিটার ৮৭০ টাকায় কিনে ৮৮০ থেকে ৮৯০ টাকা বিক্রি করতাম। এখন গায়ের রেটেই কিনতে হচ্ছে। সেই রেটেই আবার বিক্রি করা হচ্ছে। কারণ বেশি নিলে জরিমানা খেতে হয়।
শুধু এই ব্যবসায়ীই নন, কারওয়ান বাজারের সততা ট্রেডার্স, সালমান ট্রেডার্স, আ. গনি স্টোরসহ অন্যান্য খুচরা ব্যবসায়ীরাও ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, শুধু শুনছি চিনির দাম কমেছে কিন্তু পাচ্ছি তো না। কোথাও পাওয়া গেলেও তা ১৩০ টাকা। মেঘনা গ্রুপের ডিলার জামান ট্রেডার্সের মালিক জামান বলেন, না পারি কইতে না পারি সইতে। মিল থেকেই বেশি দামে চিনি কিনতে হচ্ছে। তাও আবার সহজে পাওয়া যায় না।

মোহাম্মদপুর টাউনহলের মনির জেনারেল স্টোরের আনোয়ার হোসেন ও একতা জেনারেল স্টোরের সুমনও জানালেন একই তথ্য। তারা ঢাকাপ্রকাশ-কে বলেন, চিনি নেই। সহজে পাওয়া যাচ্ছে না। আবার পাওয়া গেলেও দাম বেশি। যতোই দিন যাচ্ছে দাম বাড়ছেই। কি হয়েছে যে সরকার নিয়ন্ত্রণ করতে পারছে না। এভাবে চলতে পারে না। ব্যবসা করব কিভাবে। তেল দাম বাড়ানোর ঘোষণা আসার সঙ্গে সঙ্গেই আগের দাম লেখা তেলই বেশি দামে কিনতে হচ্ছে। তাই বিক্রিও করতে হচ্ছে বেশি দামে।

এদিকে কৃষিমার্কেটের সিটি এন্টারপ্রাইজের আবু তাহের ও বিক্রমপুরের জসিমও বলেন, চিনি তো নেই। দেশে হচ্ছে কি? সরকার বলছে চিনি দাম কমিয়েছি। কিন্তু বাজারে পাওয়া যাচ্ছে না। মিলে যে চিনি উৎপাদন হচ্ছে সেগুলো যাচ্ছে কোথায়? তেলের ব্যাপারে জানতে চাইলে একইভাবে ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, নতুন রেটের তেল আসেনি। তারপরও আগের কম দামের তেল হাওয়া। কৃষিমার্কেটে পাওয়ায় যায় না।

চিনি ও তেলের ব্যাপারে ব্যবসায়ীদের সঙ্গে ভোক্তাদের মধ্যেও চরমভাবে ক্ষোভ দেখা দিয়েছে। টাউনহলে জুয়েল নামে এক বেসরকারি ব্যাংক কর্মকর্তা বলেন, আমাদের বেতন বাড়েনি। কিন্তু এ দোকান সে দোকান ঘুরে বেশি দামেই চিনি কিনতে হচ্ছে। এভাবে সিন্ডিকেট করে রাঘব-বোয়ালরা টাকা লুট করছে, পকেট কাটছে সরকারের দেখা উচিত।

শুধু এই ভোক্তা নয় প্রায় বাজারের ভোক্তাদের একই অভিযোগ, গত বছর তেল লুকিয়ে বেশি দামে বিক্রি করা হয়েছে। এবার চিনি নিয়ে চলছে ছিনিমিনি। দুই দিন থেকে আবার শুরু হয়েছে তেল নিয়ে খেলা। বাড়তি দামের রেট না আসলেও বেশি দামে কিনতে হচ্ছে।

খুচরা ব্যবসায়ী ও ভোক্তাদের অভিযোগের ব্যাপারে জানতে চাইলে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এ এইচ এম সফিকুজ্জামান ঢাকাপ্রকাশ-কে বলেন, রমজান মাসে ব্যবসায়ীদের বলেছিলাম যার যতো চিনি লাগবে চাইলে মিল থেকে দেওয়া হবে। কিন্তু এভাবে দাম বাড়লেও কোনো ব্যবসায়ী অভিযোগ করেনি।

ব্যবসায়ীরা বলেছেন, মিডিয়াতে তো প্রায় দিন খবর হচ্ছে ভোক্তা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক তা দেখেন না?- এমন জবাবে এ এইচ এম সফিকুজ্জামান বলেন, এটা নিয়ে আমরা কাজ করছি। আজও ঢাকার বাইরে আছি।

এর চেয়ে বেশি কিছু জানতে চাইলে মহাপরিচালক বাণিজ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলার পরমার্শ দিয়ে বলেন, উনি এর ভালো ব্যাখ্যা দিতে পারবেন। মিলমালিকদের ধরা হচ্ছে না এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, আমরা প্রায় খাতের সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে সভা করে বাড়তি দামের ব্যাপারে ব্যাখ্যা চাচ্ছি। তাদের মতামত নিয়ে সরকারের কাছে দামের ব্যাপারে সুপারিশ করছি। কর্পোরেটদের বিরুদ্ধে মামলাও হয়েছে। প্রতিযোগিতা কমিশন সেটা করেছে। কাজেই কর্পোরেটদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয় না সেটা বলা যাবে না।

শুধু বড় বড় বাজারে নয়, রাজধানীর বিভিন্ন অলিগলির ছোট দোকানেও দেখা গেছে বেশি দাম ছাড়া পাওয়া যাচ্ছে না চিনি। আবার আগের কম রেটের তেল বেশি দামে বিক্রি করা হচ্ছে।

আরইউ/এএস

Header Ad
Header Ad

লাল কাপড়ে ঢাকা হবে দেশের সব পলিটেকনিকের ফটক

আন্দোলনের অংশ হিসেবে দেশের পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীরা আজ শনিবার (১৯ এপ্রিল) দেশব্যাপী নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের সামনে অথবা গুরুত্বপূর্ণ স্থানে ‘প্ল্যাকার্ড হাতে মানববন্ধন’ কর্মসূচি পালন করার ঘোষণা দিয়েছেন। তারা এই কর্মসূচির নামকরণ করেছেন ‘রাইজ ইন রেড’।

গতকাল শুক্রবার (১৮ এপ্রিল) রাতে ‘কারিগরি ছাত্র আন্দোলন, বাংলাদেশ’ নামক একটি ফেসবুক পেজে এই ঘোষণা দেওয়া হয়। শিক্ষার্থীরা এই পেজের মাধ্যমেই তাদের আন্দোলনের বিভিন্ন আপডেট জানিয়ে আসছেন।

ফেসবুক পেজে বলা হয়েছে, আজ শনিবার তাদের কর্মসূচির নাম ‘রাইজ ইন রেড’ ঘোষণা করা হলো।

তারা জানিয়েছে, আজ সকাল সাড়ে ১১টা থেকে সারাদেশের সকল পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে একযোগে শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি পালিত হবে।

এই কর্মসূচির অধীনে কুমিল্লার ন্যক্কারজনক ঘটনার প্রতিবাদে এবং কারিগরি শিক্ষার্থীদের অধিকার নিশ্চিত না হওয়ায় প্রতিটি পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের প্রধান ফটক অনির্দিষ্টকালের জন্য লাল কাপড় দিয়ে ঢেকে দেওয়া হবে।

পাশাপাশি, কারিগরি সেক্টরের বৈষম্য দূরীকরণ এবং তাদের ছয় দফা দাবি বাস্তবায়নের লক্ষ্যে সাধারণ মানুষের ভোগান্তি এড়িয়ে মহাসড়কের দুই পাশে অথবা গুরুত্বপূর্ণ স্থানে শিক্ষার্থীরা প্ল্যাকার্ড হাতে মানববন্ধন করে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ও সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করবেন বলে জানানো হয়েছে।

 

Header Ad
Header Ad

৬০ বছর বয়সে বিয়ে করলেন বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষ

ছবি: সংগৃহীত

৬০ বছর বয়সে বিয়ে করলেন পশ্চিমবঙ্গ বিজেপির সাবেক সভাপতি এবং লোকসভার সাবেক সংসদ সদস্য দিলীপ ঘোষ। শুক্রবার এ বিয়ে সম্পন্ন হয়। পাত্রী তার দলের মহিলা মোর্চার নেত্রী রিঙ্কু মজুমদার। বয়স ৪৭ বছর।

বাইপাসের নিউটনের আবাসিক এলাকায় ঘরোয়াভাবে হিন্দু রীতি মেনে মন্ত্রচ্চারণ, মালা বদল, সিঁথিতে সিঁদুর দিয়ে বাগদান সম্পন্ন করেন দিলীপ। বিয়েতে পরেছিলেন হলুদ পাঞ্জাবি আর সাদা পাজামা। আর কনে সাজে রিঙ্কু পরেছিলেন লাল রঙের বেনারসি। বিয়ের অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিতদের মধ্যে ছিলেন কিছু বন্ধু-বান্ধব আর গোটা কয়েক আত্মীয়-স্বজন।

বিয়ের পর দিলীপ ঘোষ বলেন, ‌‘এতদিন তো অনেক কিছুর দায়িত্ব পালন করেছি, স্বামীর দায়িত্ব পালন করার সুযোগ প্রথমবার হলো। এটাই অনুশীলন করছি। দেখা যাক কী হয়! এটা তো বিয়েরই একটা অঙ্গ। এটা আমাকেই করতে হবে, অন্য কেউ করতে পারবে না।’

তিনি আরও বলেন, ‘মায়ের জন্যই তো সব। তার ৮৪ বছর বয়স। আমায় কাজে বাইরে যেতে হয়। সে সময় তাকে পানি পান করানোর লোক পাওয়া যায় না। কয়েকবার এরকম ঘটনা ঘটেছে যে, মা অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন। তখন ইনিই (রিঙ্কু) মাকে এসে দেখতো। তারপরেই ইনিই (রিঙ্কু) আমায় বলেছিলেন, আমি আবার জীবনের সংসারী হতে চাই। সাথী চাই। আমি বলেছিলাম, খুব ভালো, করে ফেলো। তখন ইনি বলেছিলেন, না আপনাকেই বিয়ে করতে চাই, আপনি রাজি আছেন কিনা? তখন আমি বলেছিলাম, একটু সময় নিতে দাও। বিষয়টা আমি হজম করি আগে। তারপর ১-২ মাস সময় লেগে গেছে বুঝতে।’

ছবি: সংগৃহীত

বিয়ে উপলক্ষে দিলীপ ঘোষের নিউটাউনের বাড়িতে শুভেচ্ছা বার্তা পাঠিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি। সঙ্গে পাঠিয়েছেন একটি ফুলের তোড়া এবং মুখ্যমন্ত্রীর নিজের হাতের লেখা একটি শুভেচ্ছা বার্তার কার্ড। যাতে লেখা—‘শ্রীমতি রিঙ্কু মজুমদারের সঙ্গে আপনার বিবাহবন্ধনের কথা জেনে আনন্দিত হলাম। জীবনের এই নতুন অধ্যায়ের সূচনায় রিঙ্কু দেবী ও আপনাকে আমার অনেক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। মঙ্গলময় ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করি, আপনাদের যৌথ জীবন সুখের হোক। ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন।’

বিয়ের পর মধুচন্দ্রিমা নিয়ে মুখ খুলেছেন দিলীপের সঙ্গিনী। রিঙ্কু জানিয়েছেন, তার পাহাড় পছন্দ। নিরিবিলি কোনো পাহাড়ি এলাকায় দিলীপের সঙ্গে ঘুরতে যাওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে। সেটা দার্জিলিং হতে পারে আবার হিমাচল প্রদেশের সিমলার কথাও ভাবা হয়েছে। তবে কোথায় যাবো এখনো সিদ্ধান্ত নিইনি।

দিলীপের বাগদান অনুষ্ঠানে একেবারে ঘরোয়া খাওয়া-দাওয়ার আয়োজন করা হয়েছিল। পদের মধ্যে ছিল সাদা ভাত, মাছের মাথা দিয়ে মুখ ডাল, কাতলা মাছের কালিয়া, নবরত্ন তরকারি, চাটনি-পাপড়, দই-মিষ্টি।

দিলীপ ঘোষ ছোটবেলা থেকেই ভারতের হিন্দুত্ববাদী সংগঠন রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। আন্দামান দ্বীপপুঞ্জে প্রচারকের দায়িত্ব ছিলেন। ২০১৪ সালে রাজ্য বিজেপির সভাপতি করা হয় তাকে।

 

Header Ad
Header Ad

চুয়াডাঙ্গা সীমান্তে ১২ কেজি রূপার গয়না জব্দ

ছবি: ঢাকাপ্রকাশ

চুয়াডাঙ্গার মুন্সিপুর সীমান্তে অভিযান চালিয়ে ১২ কেজি ভারতীয় রূপার তৈরী গহনা জব্দ করেছে বিজিবি। শুক্রবার (১৮ এপ্রিল) রাতে রূপার তৈরি গয়নাগুলো উদ্ধার করা হয়। জব্দ করা গয়নার আনুমানিক বাজারমূল্য ২৭ লাখ ১৯ হাজার ৪৭০ টাকা।

চুয়াডাঙ্গা-৬ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল নাজমুল হাসান জানান, মুন্সীপুর সরদার পাড়া সীমান্ত দিয়ে চোরাকারবারীরা ভারত থেকে বাংলাদেশে পাচারের চেষ্টার সময় রূপার গয়নাগুলো জব্দ করা হয়। স্কচটেপ দিয়ে মোড়ানো ২১টি প্যাকেটে ছিল এসব গয়না, যার ওজন ১২ কেজি ২০০ গ্রাম। জব্দ করা গয়নার আনুমানিক বাজারমূল্য ২৭ লাখ ১৯ হাজার ৪৭০ টাকা।

এ ঘটনায় সুবেদার আবুল বাশার বাদী হয়ে দামুড়হুদা মডেল থানায় একটি সাধারণ ডাইরি করেছেন। জব্দ করা রূপার গয়নাগুলো পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে চুয়াডাঙ্গা ট্রেজারি অফিসে জমা দেওয়া হবে।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

লাল কাপড়ে ঢাকা হবে দেশের সব পলিটেকনিকের ফটক
৬০ বছর বয়সে বিয়ে করলেন বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষ
চুয়াডাঙ্গা সীমান্তে ১২ কেজি রূপার গয়না জব্দ
ফয়জুল করীমকে বরিশালের মেয়র ঘোষণার দাবি
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে অংশ নেওয়া বাংলাদেশি যুবক নিহত
গোবিন্দগঞ্জে সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আটক
বাংলাদেশি যুবককে ধরে নিয়ে বিএসএফের হাতে তুলে দিল ভারতীয়রা
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে এনসিপির বৈঠক শনিবার
বাংলাদেশের সঙ্গে বৈঠক নিয়ে বিজ্ঞপ্তিতে যা জানাল পাকিস্তান
গাজায় ইসরায়েলের বিমান হামলা, শিশুসহ একই পরিবারের ১৩ জন নিহত
ভারতীয় ক্রিকেটাররা আমাকে নগ্ন ছবি পাঠাত, অভিযোগ ট্রান্সজেন্ডার ক্রিকেটারের
১৮৭ জনকে নিয়োগ দেবে শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর
গাইবান্ধায় আগুনে পুড়লো ৫ দোকান, ৩০ লক্ষাধিক টাকার ক্ষতি
রোহিঙ্গা সংকট সমাধানের পথে বড় সমস্যা আরাকান আর্মি: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা
টঙ্গীতে ফ্ল্যাট বাসা থেকে দুই শিশুর রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধার
মালয়েশিয়ায় ১৬৫ বাংলাদেশিসহ ৫০৬ অবৈধ অভিবাসী আটক
ভেঙে গেল পরীমনি-সাদীর প্রেম? রহস্যময় পোস্টে তোলপাড় নেটদুনিয়া
বগুড়া বিমানবন্দর চালুর প্রস্তুতি চূড়ান্ত, জুলাই থেকেই শুরু হতে পারে ফ্লাইট চলাচল
বেনজীরকে বোট ক্লাব থেকে বহিষ্কার, ৩২ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ
ঢাকায় আবারও আওয়ামী লীগের ঝটিকা মিছিল, ড. ইউনূসের পদত্যাগ দাবি