আগামীর বাজেট হবে জনবান্ধব: অর্থমন্ত্রী

অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেছেন, আসন্ন বাজেট হবে জনবান্ধব। এ বাজেট হবে জনগণের। আগামীতে এমনভাবে বাজেট প্রণয়ন করা হবে যাতে কোনো ধরনের ঋণ নেওয়া না লাগে।
বৃহস্পতিবার (১৩ এপ্রিল) রাজধানীর হোটেল সোনারগাঁওয়ে ‘জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের পরামর্শক কমিটির ৪৩তম সভায়’ প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (এফবিসিসিআই) এ সভার আয়োজন করে।
এফবিসিসিআই সভাপতি মো. জসিম উদ্দিনের সঞ্চালনায় সভায় সভাপতিত্ব করেন এনবিআর চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম। এসময় উপস্থিত ছিলেন এফবিসিসিআইসহ বিভিন্ন সেক্টরের শীর্ষ ব্যবসায়ী নেতা এবং জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের কর্মকর্তারা।
সভায় এফবিসিসিআই থেকে বলা হয়, পর্যাপ্ত যাচাই-বাছাই না করে যেসব খাতে কর অব্যাহতি সুবিধা দেওয়া হয়েছে সেসব খাতের প্রদত্ত অব্যাহতির প্রভাব, অব্যাহতির মেয়াদ, অব্যাহতির রাজস্ব গুরুত্ব যাচাই না করে জাতীয় বিদ্যমান সংকটের সময় এসব বিষয়ে অতি সতর্কতার সঙ্গে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে হবে। সভায় আয়কর সীমা ৩ লাখ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৪ লাখ করার প্রস্তাব করা হয়। পাশাপাশি নারী ও সিনিয়র নাগরিকদের জন্য নির্ধারিত সাড়ে ৩ লাখ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৪ লাখ ৫০ হাজার করারও প্রস্তাব করা হয়।
জসিম উদ্দিন বলেন, জীবন যাত্রার ব্যয়, মূল্যস্ফীতি এবং সামগ্রিক অর্থনৈতিক পরিস্থিতি বিবেচনা করা- এ দাবি যৌক্তিক। এসময় তিনি আন্তর্জাতিক লেনদেনের ভারসাম্য বজায় রাখার লক্ষ্যে আমদানি সীমাবদ্ধ করার জন্য তালিকাভুক্ত পণ্য বা সেবার উপর নিয়ন্ত্রণমূলক শুল্ক আরোপের প্রস্তাব করেন। একইসঙ্গে করমুক্ত রেয়াতি হারে বিদ্যুৎ, পানি, গ্যাস সরবরাহের সংস্থানেরও দাবি জানান তিনি। পণ্য উৎপাদনের লক্ষ্যে আমদানি করা উপকরণের ক্ষেত্রে ৩ শতাংশ আগাম কর ধাপে ধাপে প্রত্যাহারের দাবি জানানো হয়। কারণ আগাম করের ফলে শিল্প উৎপাদন খরচ বৃদ্ধি পায়।
জেডএ/এসজি
