মার্চে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে কমেছে রপ্তানি আয়

ইউরোপ, আমেরিকার মন্দার ধকলে পড়েছে দেশের তৈরি পোশাক শিল্প। এটা বাংলাদেশের রপ্তানি আয়ে মার্চ মাসে বেশি স্পষ্ট হয়ে উঠেছে।
গত মার্চে ৫০২ কোটি ডলার লক্ষ্যমাত্রা ধরা হলেও অর্জন হয়েছে ৪৬৪ কোটি ৩৯ লাখ ডলার। লক্ষ্য থেকে পিছিয়ে পড়েছে (ঋণাত্মক) সাড়ে ৭ শতাংশ। একইসঙ্গে আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় প্রবৃদ্ধি বা মোট রপ্তানি আয় কমেছে ২ দশমিক ৪৯ শতাংশ।
২০২১-২২ অর্থবছরের মার্চে রপ্তানি হয়েছিল ৪৭৬ কোটি ২২ লাখ ডলার। শুধু তাই নয়, চলতি অর্থবছরের ৯ মাসেও (জুলাই-মার্চ) লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে অর্জন কম হয়েছে ১ দশমিক ২৮ শতাংশ। তবে এ সময়ে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৮ শতাংশ।
রবিবার (২ এপ্রিল) রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) হালনাগাদ প্রকাশিত প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানা গেছে।
প্রতিবেদনে দেখা যায়, মার্চে রপ্তানি আয় ঋণাত্মক হলেও চলতি ২০২২-২০২৩ অর্থবছরের তৃতীয় প্রান্তিকে (জুলাই-মার্চ) রপ্তানি আয়ে ৮ দশমিক ০৭ শতাংশ প্রবৃদ্ধি রয়েছে। এ সময়ে দেশের মোট রপ্তানি আয় হয়েছে চার হাজার ১৭২ কোটি ১৬ লাখ ডলার। যা আগের অর্থবছরের একই সময়ে হয়েছিল তিন হাজার ৮৬০ কোটি ৫৬ লাখ ডলার। ৯ মাসে রপ্তানির লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৪ হাজার ২২৬ কোটি ডলার। তা পূরণ করতে না পারায় ঋণাত্বক হয়েছে ১ দশমিক ২৮ শতাংশ।
তবে তৈরি পোশাকে ৯ মাসেও ইতিবাচক ধারা অব্যাহত রয়েছে। চলতি অর্থবছরে জুলাই থেকে মার্চে টার্গেট ছিল ৩ হাজার ৪১০ কোটি ডলার। অর্জন হয়েছে ৩ হাজার ৫২৫ কোটি ডলার বা বেশি ৩ দশমিক ৩৭ শতাংশ। তবে গত বছরের একই সময়ে অর্জন হয়েছিল ৩ হাজার ১৪৩ কোটি ডলার। এ জন্য এক বছরের ব্যবধানে দেশে মোট রপ্তানি আয় বেড়েছে ১২ দশমিক ১৭ শতাংশ।
শুধু অ্যাগ্রো প্রডাক্টে নেগেটিভ অর্জন হয়েছে ৩২ দশমিক ৩৭ শতাংশ, পাট ও পাটপণ্যে ২৫ শতাংশ। তবে তামাকে ৯ কোটির বিপরেীতে আয় হয়েছে ১৪ কোটি ডলার। ৫৪ শতাংশ বেশি অর্জন হয়েছে।
উল্লেখ্য, ২০২১-২০২২ অর্থবছরে দেশে রপ্তানি আয় আসে ৫ হাজার ২০৮ কোটি ডলার। এ জন্য চলতি অর্থবছরে বেশি করে ৫ হাজার ৮০০ কোটি ডলার রপ্তানির লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে।
জেডএ/এমএমএ/
