মার্চে মূল্যস্ফীতি বাড়তে পারে, আশঙ্কা পরিকল্পনামন্ত্রীর

কয়েক মাস পর ফেব্রুয়ারি মাসে মূল্যস্ফীতি কমলেও মার্চে বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান।
তিনি বলেন, ‘রমজান মাস সংযমের হলেও অনেক পরিবার খাদ্যপণ্য মজুদ করে। তবে আগে যেভাবে চিৎকার হতো এবার হবে না। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সবাইকে সতর্ক ও সাবধান হতে বলেছেন।’
মঙ্গলবার (২১ মার্চ) একনেক সভা পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে পরিকল্পনা কমিশনের এনইসি সম্মেলন কক্ষে সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় এক হাজার ৭৩০ কোটি টাকা ব্যয়ে ৯ টি প্রকল্পের অনুমোদন দেওয়া হয়।
পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, কার্তিক মাস মঙ্গার হয়। কারণ, এ সময় মানুষের হাতে টান থাকে। তবে বোরোর ভালো ফলন হলে ভয়ংকর কিছু হবে না। এক প্রশ্নের জবাবে পরিকল্পনামন্ত্রী বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি একনেক সভায় স্পষ্ট বলেছেন, অত্যন্ত সতর্ক থাকতে হবে।
সরবরাহের দিকে জোড় দিতে বলা হয়েছে। তবে আগে যেভাবে চিৎকার হতো এবার তা হবে না। কারণ, এক কোটি পরিবারকে কম দামে খাদ্য দেওয়া হচ্ছে। এটা করার কারণে তেমন সমস্যা হবে না, যোগ করেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রীর অনুশাসন উল্লেখ করে পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, কৃষিপণ্যের উৎপাদন, সংরক্ষণ ও প্রক্রিয়াকরণে জোড় দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। কারণ আমদানি নির্ভরতা কমাতে পারলেই স্বস্তি আসবে। দেশে ডাল, পেঁয়াজ, সরিষার তেল আগের চেয়ে উৎপাদন বেড়েছে। দামও কমছে। এ ছাড়া, চিংড়িসহ অন্যান্য দেশি প্রজাতির মাছেও নজর বাড়াতে বলেছেন। দক্ষ প্রযুক্তির দিকে নজর দিতে হবে। কারণ, কম্পিউটার কিনে পড়ে থাকবে তা হবে না।
তিনি আরও বলেন, ‘সার্বিকভাবে বলা যায় ধীরে ধীরে অর্থনৈতিক অবস্থা ভালো করছে। কারণ, রেমিট্যান্স ও রপ্তানি আয় বাড়ছে, বোরোরও বাম্পার ফলন হবে। ভয়ের কিছু নেই।
পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, কোনো প্রকল্পে প্রগতির ছাড়া অন্য কোনো বিদেশি গাড়ি কেনা যাবে না। অতিরিক্ত দায়িত্ব হিসেবে প্রকল্প পরিচালক হওয়া যাবে না। প্রকল্প পরিচালক (পিডি) হলে তাকে পুরো দায়িত্ব পালন করতে হবে।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম, পরিকল্পনাসচিব সত্যজিৎ কর্মকারসহ অন্য সদস্যরা।
জেডএ/এমএমএ/
