‘জিনিসপত্রের দাম বাড়লেও অস্বস্তিতে নেই মূল্যস্ফীতি’

পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম বলেন, উৎসবের কারণে চাহিদা বৃদ্ধি ও উৎপাদন খরচ তাড়িত কারণে বিভিন্ন নিত্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধি পাচ্ছে। এ ছাড়া, আমদানিকৃত পণ্যের কারণে মূল্যস্ফীতি বাড়ছে। তবে কয়েক মাস থেকে কমছে মূল্যস্ফীতি। অস্বস্তিতে নেই দেশের মূল্যস্ফীতি।
জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভা পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। সভায় ১২ হাজার ১৭৬ কোটি টাকা ব্যয়ে ৮টি প্রকল্পের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
এর মধ্যে বিদেশি ঋণ হচ্ছে ৮ হাজার ৯১২ কোটি টাকা। বাকি অর্থ সরকার নিজস্ব কোষাগার থেকে ব্যয় করবে। একনেক চেয়ারপারসন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে পরিকল্পনা কমিশনের এনইসি সম্মেলন কক্ষে রবিবার (১১ মার্চ) এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সামষ্টিক অর্থনীতির বিভিন্ন তথ্য-উপাত্ত তুলে ধরে পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রথা অনুযায়ী সব একনেক সভায় সামষ্টিক অর্থনীতির চিত্র তুলে ধরা হয়। আজকেও তেমনটা হয়েছে। বিলাসি পণ্যের লাগান টেনে ধরায় আমদানি কমেছে। ব্যালান্স অফ পেমেন্টের ঘাটতি আগের চেয়ে অনেক কমেছে। জুলাই থেকে জানুয়ারি পর্যন্ত তা ৫ বিলিয়ন ডলারে নেমে এসেছে। যা গত বছরের একই সময়ে অনেক বেশি ছিল।
সার্বিকভাবে ঋণ প্রবাহ বেড়েছে। ডলারের চাহিদা মেটাতে টাকার অবমূল্যায়ন করা হয়েছে ২৪ শতাংশ সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী বলেন, মূল্যস্ফীতি অস্বস্তিতে নেই। কারণ অনেক পণ্যের দাম কমছে। যেমন পেঁয়াজের দাম কমেছে। তবে লেবুর দাম বেড়েছে এটা সত্য। চাহিদার কারণে কোনো কোনো পণ্যের দাম বাড়া-কমা নির্ভর করছে।
তারপরও মূল্যস্ফীতি গত ফেব্রুয়ারি মাসে ৮ দশমিক ৭ শতাংশ হয়েছে। ডিম ও মুরগির দাম বৃদ্ধির ব্যাপারে অপর এক প্রশ্নের জবাবে ড. শামসুল আলম বলেন, অর্থনীতির একটা সূত্র আছে- সরবরাহের তুলনায় চাহিদা বৃদ্ধি পেলে দামও বেড়ে যায়। এ ছাড়া, ফিডের দাম অনেক বেড়ে গেছে। এভাবে উৎপাদন খরচ তাড়িত কারণে কোনো কোনো পণ্যের দাম বাড়ছে।
জেডএ/এমএমএ/
