ফেব্রুয়ারিতে একমাত্র তামাকে রপ্তানি লক্ষ্যমাত্রা অর্জন

তামাক ছাড়া প্রায় সব পণ্যের রপ্তানিতে নেতিবাচক চিত্র দেখা গেছে গত মাসে। চলতি অর্থবছরের ফেব্রুয়ারি মাসে ৪৮১ কোটি ডলার রপ্তানির লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে রপ্তানি করা গেছে ৪৬৩ কোটি ডলারের পণ্য। রপ্তানি কমেছে ৩ দশমিক ৬৮ শতাংশ।
২০২১-২২ অর্থবছরের ফেব্রুয়ারিতে রপ্তানি লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে রপ্তানি হয়েছিল ৪২৯ কোটি ৪৫ লাখ ডলারের পণ্য। যা চলতি ফেব্রুয়ারির তুলনায় ৭ দশমিক ৮১ শতাংশ বেশি।
বৃহস্পতিবার (২মার্চ) প্রকাশিত রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) হালনাগাদ প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
ইপিবি’র প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, চলতি ২০২২-২৩ অর্থবছরের প্রথম আট মাসে (জুলাই-ফেব্রুয়ারি) রপ্তানির লক্ষ্য ধরা হয়েছিল ৩ হাজার ৭২৪ কেটি ৪০ লাখ ডলার। এর বিপরীতে ৩ হাজার ৭০৮ কোটি ডলারের পণ্য রপ্তানি হয়েছে। যা দেশীয় মুদ্রায় ৩ লাখ ৮৫ হাজার ৬৩২ কোটি টাকার সমান।
গত বছরে একই সময়ে আয় হয়েছিল ৩ হাজার ৩৮৪ কোটি ডলার। সে তুলনায় চলতি অর্থ বছরের প্রথম আট মাসে রপ্তানি আয় বেড়েছে ৯ দশমিক ৫৬ শতাংশ বেশি।
ইপিবি’র তথ্যানুযায়ী, চলতি অর্থবছরের প্রথম আট মাসে তৈরি পোশাক খাতে ৩ হাজার ৫ কোটি ২০ লাখ ডলারের বিপরীতে আয় হয়েছে ৩ হাজার ১৩৬ কোটি ১৮ লাখ ডলার। গত বছরের তুলনায় হয়েছে ৪ দশমিক ৩৬ শতাংশ বেশি। আর প্রবৃদ্ধি হয়েছে ১৪ শতাংশের বেশি। গত বছর একই সময়ে রপ্তানি আয় এসেছিল ২ হাজার ৭৪৯ কোটি ৭০ লাখ ডলার।
তবে ইপিবি’র প্রতিবেদন অনুযায়ী, তৈরি পোশাক ছাড়া সবচেয়ে বেশি রপ্তানি আয় হয়েছে তামাক পণ্যে। এ পণ্যে রপ্তানি বেড়েছে ৬২ শতাংশ। তামাক রপ্তানিতে চলতি অর্থবছরে লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল সাড়ে ১২ কোটি ডলারের। অর্থবছরের গত আট মাসে রপ্তানি লক্ষ্যমাত্রা ছিল আট কোটি ডলার। রপ্তানি হয়েছে ১৩ কোটি ৩ লাখ ডলার। অর্থাৎ আট মাসে তামাক রপ্তানি থেকে আয় হয়েছে ৬২ দশমিক ৪৪ শতাংশ। যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি। আর গত বছরের তুলনায় ৫২ দশমিক ৮৮ শতাংশ বেশি। গত বছরের একই সময়ে তামাক রপ্তানি থেকে আয় হয়েছিল আট কোটি ৫২ লাখ ডলার।
তৈরি পোশাক ও তামাক ছাড়া অন্য প্রায় সব পণ্য রপ্তানির ক্ষেত্রে সূচক ছিল নিম্নমুখি। এর মধ্যে গ্লাসে ৫৩ শতাংশ, আয়রণ স্টিলে ৬২ শতাংশ, ভেজিটেবলে ৪৩ দশমিক ৪৯ শতাংশ, র’জুটে ৩০ শতাংশ, নীট ফেব্রিকে ৪৪ শতাংশ, হোম টেক্সটাইলে ৩৯ শতাংশ ফার্ণিচারে ২৯ শতাংশ, চামড়া ও চামড়াজাত পণ্যে ৯ দশমিক ৯৮ শতাংশ, ফ্রুটসে ৯১ দশমিক ৩৭ শতাংশ রপ্তানি আয় হয়েছে। যা নেতিবাচক। এ ছাড়া, ফেব্রুয়ারিতে হিমায়িত খাদ্যসহ অন্যান্য পণ্যের রপ্তানিতেও আয় কমে গেছে।
জেডিএ/এনএইচবি/এমএমএ/
