দেশি ও বৈদেশিক বিনিয়োগ বৃদ্ধি আবশ্যক: ডিসিসিআই

অস্থির বৈদেশিক অর্থনৈতিক পরিস্থিতিতে চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় বাংলাদশে স্থানীয় ও বিদেশি বিনিয়োগের উপর গুরুত্বারোপ করা প্রয়োজন বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই)-এর সভাপতি ব্যারিস্টার মো. সামীর সাত্তার।
প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান ফজুলর রহমানের সঙ্গে মঙ্গলবার (২৪ জানুয়ারি) সৌজন্য সাক্ষাতে তিনি এ অভিমত ব্যক্ত করেন।
ঢাকা চেম্বারের সভাপতি কোম্পানি আইন ১৯৯৪ সহ অন্যান্য আইন এর উল্লখেযোগ্য সংস্কারের পরার্মশ দিয়ে বলেন, ব্যবসায়ী কথা মাথায় রেখে সংশোধনী আনতে হবে। যাতে করে ব্যবসায়ীরা বাংলাদশে সহজে বাণিজ্যিক চুক্তি কার্যকর করতে পারে এবং যে কোনো বাণিজ্যিক বিরোধ দ্রুত সমাধান করতে পার। এ জন্য একটি পৃথক ‘কর্মাশিয়াল কোর্ট’ স্থাপন করা দরকার।
ডিসিসিআিই সভাপতি বলেন, এলডিসি উত্তরণ পরবর্তী সময়ে ডাবল ডিজিট প্রবৃদ্ধি অর্জনের জন্য আমাদেরকে অবশ্যই ব্যবসা-বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সহায়ক পরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে। এই পরিবর্তনশীল অর্থনৈতিক প্রেক্ষাপটে বাংলাদশেকে টেকসই অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি এবং একটি সুদৃঢ় বেসরকারিখাত তৈরির উপরও মনোনিবেশ করা প্রয়োজন।
প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা বলেন, করোনা মহামারি এবং রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের ফলে বৈশ্বিক অর্থনীতি একটি সংকটকালীন সময় অতিক্রম করছ। এই পরস্থিতিতি,বৈশ্বিক বিনিয়িোগ এবং বৈশ্বিক বাণিজ্য প্রবাহ বাংলাদশের কাঙ্ক্ষিত অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারে সহায়ক ভূমকিা পালন করব। তিনি স্থানীয় ও ব্যাকওয়ার্ড লিংকেজ শিল্পের সম্প্রসারণের লক্ষ্যে বিনিয়োগ বৃদ্ধির উপর জোর দেন।
বিডা’র ওএসএস সেবার বিষয়ে তিনি বলেন, বাণিজ্যিক কার্যক্রমকে সহায়তার লক্ষ্যে স্থানীয় ও বৈদেশিক বিনিয়োগকারীদের জন্য একটি সমন্বিত এবং কার্যকর প্ল্যাটফর্ম হিসেবে ওএসএসকে গড়ে তোলার লক্ষ্যে বিডা’র প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। একই সঙ্গে, জিডিপিতে রাজস্বের অবদান বাড়াতে তিনি রাজস্ব আহরণ বৃদ্ধির লক্ষ্যে করজাল সম্প্রসারণের উপর গুরুত্বারোপ করেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন ডিসিসিআই ঊর্ধ্বতন সহ-সভাপতি এসএম গোলাম ফারুক আলমগীর (আরমান), সহ-সভাপতি মো. জুনায়েদ ইবনে আলীসহ অন্যরা।
জেডএ/এমএমএ/
