বাংলাদেশও বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি: বিশ্বব্যাংক

পৃথিবীর অন্যান্য দেশের মতোই বাংলাদেশও অচিন্তনীয় বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি বলে জানিয়েছেন বিশ্বব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) অ্যাক্সেল ভ্যান ট্রটসেনবার্গ।
তিনি বলেন, ‘কোভিড-১৯, ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসন ও জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে সৃষ্ট অনিশ্চয়তা ও চ্যালেঞ্জে। এ সময়ে আমরা বাংলাদেশকে এর উন্নয়ন লক্ষ্যগুলো অর্জনের পথে সহায়তা করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।’
রবিবার (২২ জানুয়ারি) রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত এ অনুষ্ঠানে অর্থমন্ত্রী আহম মুস্তফা কামাল ও বিশ্বব্যাংকের দক্ষিণ এশিয়ার ভাইস প্রেসিডেন্ট মার্টিন রেইজার অংশ নেন।
বিশ্বব্যাংকের ঢাকা অফিসের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে। ‘বাংলাদেশ ও বিশ্বব্যাংকের ৫০ বছরের যাত্রা’ পূর্তি উদযাপন অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
বিশ্বব্যাংকের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বিশ্বব্যাংকের এমডি বাংলাদেশের সঙ্গে ৫০ বছরের ফলপ্রসূ অংশীদারিত্ব উদযাপনকালে বাংলাদেশের প্রতি বিশ্বব্যাংকের সহায়তার অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেন।
তারা বিগত ৫০ বছরে বাংলাদেশের উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি তুলে ধরার এক আলোকচিত্র উদ্বোধন করেন এবং একটি প্যানেল আলোচনায় অংশ নেন।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও উল্লেখ করা হয়েছে গত পাঁচ দশকের অসাধারণ যাত্রায় বিশ্বব্যাংক বাংলাদেশের অবিচল অংশীদার ছিলো। ১৯৭২ সালের আগষ্ট মাসে বাংলাদেশ বিশ্বব্যাংক গ্রুপের সদস্য হয়।
এরপর নভেম্বর মাসে প্রথম প্রকল্প হাতে নেয়। যার মাধ্যমে যুদ্ধ-বিধ্বস্ত বাংলাদেশের পরিবহন ও যোগাযোগ, কৃষি ও শিল্পের পুন:প্রতিষ্ঠা এবং বিদ্যুৎখাতের সহায়তা করার জন্য ৫০ মিলিয়ন ডলারের জরুরি পুনরুদ্ধার ঋণ দেওয়া হয়।
একই সময়ে বিশ্বব্যাংক চারটি প্রকল্প পুনরায় চালু করে। যা স্বাধীনতার আগে অনুমোদিত হয়েছিল। আর স্বাধীনতার পর এ পর্যন্ত বিশ্বব্যাংক বাংলাদেশের উন্নয়ন চ্যালেঞ্জগুলো অতিক্রমে আইডির আওতায় অনুদান, ঋণ ও নমনীয় ঋণ গিসেবে প্রায় ৩৯ বিলিয়ন ডলারের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। ৫৩টি টলমান প্রকল্পে প্রায় ১৫ দশমিক ৩ বিলিয়ন ডলারের অথ্যায়নের মাধ্যমে বর্তমানে বাংলাদেশ সর্ববৃহৎ আইডিএ কর্মসূচির বাস্তবায়ন চলছে এবং বিশ্বব্যাংক বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় উন্নয়ন অংশীদার।
জেডএ/এমএমএ/
