দেশে মন্দার ঢেউ লাগবে না: প্রতিমন্ত্রী

কোনো কিছুই অতিরঞ্জন করা হয় না উল্লেখ করে পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম বলেছেন, গত ছয় মাসে আগের বছরের তুলনায় রেমিট্যান্স ও রপ্তানি আয় বেড়েছে। কাজেই মন্দার ঢেউ লাগবে না দেশে। মন্দার তালিকাতেও বাংলাদেশ নেই। তথ্যের ফিগারের ভিত্তিতে এসব বলা হচ্ছে। পণ্যের দাম বৃদ্ধি বিশ্ব সমস্যা। হতাশ হবার কিছু নেই।
মঙ্গলবার (১৭ জানুয়ারী) একনেক সভা শেষে গণমাধ্যমকর্মীদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি এসব কথা বলেন।
রাজধানীর আগারগাঁওয়ে পরিকল্পনা কমিশনের এনইসি সম্মেলন কক্ষে প্রধানমন্ত্রী ও একনেক চেয়ারপার্সন শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় ১০ হাজার ৬৮৩ কোটি টাকা ব্যয়ে ১১টি প্রকল্পের অনুমোদন দেওয়া হয়।
বেড়েই যাচ্ছে পণ্যের দাম, মূল্যস্ফীতিও রেকর্ড বেড়েছে। এমন প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী বলেন, অর্থনীতিতে শুধু এক রিজার্ভ বিবেচ্য বিষয় নয়। আমদানি, রপ্তানি রেমিট্যান্স এবং সরকারের ঋণও দেখার বিষয়। আকু পেমেন্ট করার পর গত ১১ জানুয়ারি রিজার্ভ কমে ৩২ দশমিক ৫১ বিলিয়ন ডলারে নেমেছে। এটা শঙ্কার কিছু নেই। কারণ গত জুলাই থেকে ডিসেম্বর-এই ছয় মাসে এত কিছুর পরও দুই বিলিয়নের বেশি রপ্তানি আয় বেড়েছে। চলতি অর্থবছরে এই ছয় মাসে ২৭ দশমিক ৩১ বিলিয়ন ডলার দেশে এসেছে। যেখানে গত বছরের একই সময়ে এসেছিলো ২৪ দশমিক ৬৯ বিলিয়ন ডলার। রেমিট্যান্সও প্রায় আড়াই বিলিয়ন ডলার বেশি এসেছে গত ছয় মাসে। কাজেই এটা বলা যায়, বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো আমাদের দেশে মন্দার ঢেউ লাগবে না।
অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ইউকেতে সাড়ে ১৩ শতাংশ মূল্যস্ফীতি হয়েছে। আমাদের তো ডাবল অংকে পৌছায়নি, ৯ এর নিচে আছে। পণ্যের দাম বৃদ্ধি বিশ্ব সমস্যা। তারপরও কৃষিখাতে দাম বাড়াই না। জিডিপির ৬ শতাংশ ভর্তূকি দিচ্ছে হচ্ছে। এই বিশাল ভর্তূকির দিতে গিয়ে তেল, বিদ্যুৎসহ কিছু ক্ষেত্রে মূল্য সমন্বয় করতে হচ্ছে।
সভায় পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেন, আমরা বর্তমান অর্থনৈতিক অবস্থার একটি চিত্র একনেক সভায় উপস্থাপন করি। তাতে সব কিছু তুলে ধরা হয়েছে। এতে প্রধানমন্ত্রী সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন।
জেডএ/এএস
