রপ্তানি আয়ের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন

ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধে বিশ্ব অর্থনীতিতে ধকল লাগলেও বাংলাদেশের রপ্তানি আয় কিছুটা হলেও লক্ষ্য ছাড়িয়েছে। ২ হাজার ৭১৯ কোটি ডলারের বিপরীতে আয় হয়েছে ২ হাজার ৭৩১ কোটি ডলার।
আগের অর্থবছরের চেয়ে প্রবৃদ্ধি বেশি হয়েছে ১০ শতাংশের বেশি। কৃষিখাত ও পাটজাত পণ্যে লক্ষ্য অর্জন করতে না পারলেও তৈরি পোশাকখাত লক্ষ্য ছাড়িয়ে প্রবৃদ্ধি বেশি হয়েছে। এরফলে ইতিবাচক ধারা রেখেছে বছরের শেষ মাস ডিসেম্বর।
বিদায়ী মাসে ৫৩৬ কোটি ৫১ লাখ ৯০ হাজার ডলারের পণ্য রপ্তানি হয়েছে, প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৯ দশমিক ৩৩ শতাংশ। রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) হালনাগাদ প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানা গেছে।
সোমবার (২ জানুয়ারি) রপ্তানি আয়ের এই প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়েছে। সারা বিশ্ব টালমাটাল পরিস্থিতির মধ্যে থাকলেও বছরের শেষ মামে বাংলাদেশের রপ্তানির আশা দেখিয়েছে।
ইপিবির প্রতিবেদনে দেখা যায় ২০২২-২০২৩ অর্থবছরের প্রথম ছয় মাসে ২ হাজার ৭১৯ কোটি ডলারের বিপরীতে ২ হাজার ৭৩১ কোটি ১২ ডলারের পণ্য রপ্তানি হয়েছে। বেশি অর্জন হয়েছে দশমিক ৪৪ শতাংশ।
এই রপ্তানি আয় আগের অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় ১০ দশমিক ৫৮ শতাংশ বেশি। কারণ ওই সময়ে রপ্তানি আয় হয়েছিলো ২ হাজার ৪৬৯ কোটি ডলার।
বাংলাদেশের প্রধান রপ্তানি আয়ে মুখ্য ভূমিকা রেখে চলা তৈরি পোশাক খাত ডিসেম্বরেও ভালো করেছে। গত ছয় মাস মিলিয়ে পোশাক রপ্তানিতে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ১৫ দশমিক ৫৬ শতাংশ।
ছয় মাসে এ খাতে মোট রপ্তানি হয়েছে ২ হাজার ২৯৯ কোটি ৬৬ লাখ ডলারের পণ্য। এর মধ্যে নিট পোশাক ১২৬৫ কোটি ৯৬ লাখ ডলার (১৩ দশমিক ৪২ শতাংশ প্রবৃদ্ধি) উভেন পোশাক এক হাজার ৩৩ কোটি ৭০ লাখ ডলার (১৮ দশমিক ২৯ শতাংশ প্রবৃদ্ধি) এসেছে।
এর বাইরে চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য রপ্তানি হয়েছে ৬৩ কোটি ৭২ লাখ ডলারের, তাতে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ১৩ শতাংশ। আগের অর্থবছরের প্রথম ছয় মাসে রপ্তানি হয়েছিল ৫৬ কোটি ৩৬ লাখ ডলার।
পাট ও পাটজাত পণ্য রপ্তানি হয়েছে মাত্র ৪৮ কোটি ৫৮ লাখ ডলারের; যা আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ১৭ দশমিক ৬৫ শতাংশ কম। আগের অর্থবছরের প্রথম ছয়মাসে ৫৯ কোটি ডলারের পাট ও পাটজাত পণ্য রপ্তানি হয়েছিল।
কৃষিপণ্য রপ্তানিও ২৩ দশমিক ২৬ শতাংশ কমেছে; এই খাত থেকে রপ্তানি হয়েছে ৫০ কোটি ১৯ লাখ ডলার। আগের অর্থবছরের ৬৫ কোটি ৪০ লাখ ডলারের কৃষিপণ্য রপ্তানি করেছিল বাংলাদেশ।
রপ্তানি এই তিনটি খাত বছরের শেষে এক বিলিয়ন ডলারের ঘর অতিক্রম করতে পারে বলে বিভিন্ন সময় প্রাক্কলন দেখিয়েছেন বিশ্লেষকরা।
ছয় মাসে মোট ১০ কোটি ডলারের পণ্য রপ্তানির মাধ্যমে ৪১ শতাংশ প্রবৃদ্ধি পেয়েছে প্লাস্টিক খাত। গত অর্থবছরের প্রথম ছয় মাসে রপ্তানি হয়েছিল ৭ কোটি ডলারের প্লাস্টিক পণ্য।
উল্লেখ্য, চলতি অর্থবছরে সরকার রপ্তানির লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে ৫ হাজার ৮০০ কোটি ডলার। যা আগের অর্থবছরে ছিলো ৫ হাজার ২০৮ কোটি ডলার।
জেডএ/এমএমএ/
