সোমবার, ২১ এপ্রিল ২০২৫ | ৮ বৈশাখ ১৪৩২
Dhaka Prokash

কৃচ্ছ্রসাধনের চাপে উন্নয়নে হাতকড়া

চলতি বছরে জানুয়ারি মাসে একনেক সভায় ১০টি প্রকল্পের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। বিশ্ব ব্যাংকের দুর্নীতির তকমার জবাব দিয়ে পদ্মা সেতুর উদ্বোধন করা হয়েছে। ফাস্ট-ট্র্যাকের (মেগা প্রকল্প) মধ্যে বঙ্গবন্ধু ট্যানেল, মেট্রোরেলও আলোর মুখ দেখেছে। কিন্তু করোনা পরিস্থিতি এবং বৈশ্বিক মন্দাবস্থার কারণে কৃচ্ছ্র নীতিতে যেতে বাধ্য হয়েছে সরকার।

অনেক যাচাই-বাছাই করে প্রকল্প নেওয়া হচ্ছে। জরুরি না হলে তা ফেরত দেওয়া হচ্ছে। অর্থও কাটছাঁট করতে বাধ্য হয়েছে। এর প্রভাবে সব রেকর্ড ছাড়িয়ে বিদায়ী বছরে ডিসেম্বর মাসে কোনো প্রকল্প অনুমোদন হয়নি। অর্থ ব্যয়ে একেবারে হাতকড়া দেওয়ার মতো অবস্থা হয়েছে। অর্থ ব্যয় করতে না পারায় বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপি) বাস্তবায়নও কমে গেছে।

ব্যয় সাশ্রয়ে কার্যকর কর্মপন্থা নিরূপণের লক্ষে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে সব মন্ত্রণালয় ও বিভাগের সিনিয়র সচিবদের একগুচ্ছ নির্দেশনা দেওয়া হয়। এরমধ্যে রাজস্ব ব্যয় সংকোচন, উন্নয়ন ব্যয়ের সর্বোত্তম ব্যবহার, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সাশ্রয়, অভ্যন্তরীণ সম্পদ বৃদ্ধি, নিত্যপণ্যের মূল্য সহনশীল পর্যায়ে রাখতে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য বলা হয়। তারপর থেকেই বিভিন্ন মন্ত্রণালয় উন্নয়ন প্রকল্পের গুরুত্ব বুঝে ব্যয় সংকোচনের তালিকা করে।

২৫ শতাংশ অর্থ বরাদ্দ স্থগিত

বছরজুড়েই আলোচনায় ছিল বিশ্ব অর্থনৈতিক পরিস্থিতির কারণে সরকারের কৃচ্ছ্রসাধন নীতি গ্রহণ। গত জুলাই মাসেই গুরুত্ব অনুসারে প্রকল্পগুলোকে তিন শ্রেণিতে ভাগ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এর ভিত্তিতে গত আগস্টে প্রকল্প পুনর্বিন্যাস করে পরিকল্পনা কমিশন। গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্পগুলোকে ‘এ’ শ্রেণিভুক্ত করা হয়। অগ্রাধিকার ভিত্তিতে এই প্রকল্পগুলোর বাস্তবায়ন অব্যাহত আছে। এ রকম ৬৪৬টি প্রকল্প রয়েছে। গুরুত্বের দিক থেকে মধ্যম শ্রেণির প্রকল্পগুলোকে ‘বি’ শ্রেণি করা হয়েছে। এ রকম প্রকল্প আছে ৬৩৬টি। সরকারি অংশের ২৫ শতাংশ বরাদ্দ স্থগিত রাখা হয়েছে এসব প্রকল্পে। আর ‘সি’ শ্রেণিতে থাকা প্রকল্পের পুরো টাকা ছাড়ই আপাতত স্থগিত রাখা হয়েছে। এই শ্রেণির প্রকল্পের সংখ্যা ৮৫টি। ১ হাজার ৪৯৬টি প্রকল্পের বিপরীতে চলতি অর্থবছর এডিপিতে মোট বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ২ লাখ ৫৬ হাজার কোটি টাকা।

আওয়ামী লীগ ২০০৯ সালে সরকার গঠন করেই শেখ হাসিনার নেতৃত্বে পিছিয়ে পড়া বাংলাদেশকে এগিয়ে নিতে অন্য প্রকল্পের সঙ্গে বড় বড় ১০টি প্রকল্প বাস্তবায়নে উদ্যোগ নিয়েছে। যা ফাস্ট-ট্র্যাক (মেগা প্রকল্প) নামে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে তদারকি করা হচ্ছে। দ্রুত বাস্তবায়নে প্রতি অর্থবছরে অনেক অর্থও বরাদ্দ দেওয়া হচ্ছে। এসব প্রকল্প অধিকাংশ বর্তমানে দৃশ্যমান। বিশ্বব্যাংকের দুর্নীতির অপবাদের জবাব দিয়ে সবাইকে তাক লাগিয়ে উদ্বোধন করা হয়েছে পদ্মা সেতু। এ ছাড়া, স্বপ্নের বঙ্গবন্ধু ট্যানেল (পাতাল সেতু) ও রাজধানীতে মেট্রোরেলও চালু করা হচ্ছে।

বিদায়ী বছরেও বিভিন্ন উন্নয়ন কাজ শেষে করতে দেড় হাজারের বেশি প্রকল্পে আড়াই হাজার কোটি টাকার বেশি বরাদ্দও দেয় সরকার। কিন্তু রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাবে সবকিছু এলোমেলো হয়ে গেছে। বাধ্য হয়ে সরকার ব্যয় সংকোচন করছে। এর প্রভাবে উন্নয়ন কাজও পিছিয়ে পড়েছে। বিভিন্ন মন্ত্রণালয় থেকে আসছে না তেমন নতুন প্রকল্প।

পরিকল্পনা কমিশন সূত্র মতে, বছর খানেক আগেও প্রকল্প অনুমোদনে প্রতি সপ্তাহেই হতো জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) বৈঠক। কিন্তু সেই চিত্র পাল্টে গেছে।

গত ৪ জানুয়ারি মাসে একনেক সভায় সারা দেশের ভূমিহীন, গৃহহীন, ছিন্নমূল ও অসহায় ৪ লাখ ৮৬ হাজার পরিবারকে পাকা ঘর করে দেওয়ার জন্য আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পটি চতুর্থ সংশোধন করা হয়। এটিসহ ১০টি প্রকল্প অনুমোদন দেওয়া হয়েছে ওই সভায়। এরপরই কমতে থাকে একনেক সভা। প্রতিমাসে হচ্ছে গড়ে একটি। অন্যদিকে একনেকে প্রকল্পও উঠছে খুব কম। ফেরত পাঠানো হচ্ছে মন্ত্রণালয় ও বিভাগগুলো থেকে আসা অনেক প্রকল্প প্রস্তাব। মূলত সরকারি ব্যয়ে কৃচ্ছ্রসাধন নীতির কারণেই দেখা যাচ্ছে এমন চিত্র।

ডিসেম্বরে অনুমোদন হয়নি কোনো প্রকল্প

পরিকল্পনা কমিশন সূত্র মতে, বিভিন্ন মন্ত্রণালয় থেকে আসা প্রকল্প প্রস্তাব যাচাই-বাছাই শেষে অনুমোদনের জন্য একনেকে উত্থাপন করে পরিকল্পনা কমিশন। এই অনুমোদনের ভিত্তিতেই এডিপি বাস্তবায়ন কার্যক্রম শুরু হয়। সপ্তাহের প্রতি মঙ্গলবার একনেক সভা হয়ে থাকে। কিন্তু এখন তা আর প্রতি সপ্তায় হচ্ছে না। সর্বশেষ একনেক বৈঠক হয়েছে গত ২২ নভেম্বর। এরপর ডিসেম্বরে কোনো একনেক সভা হয়নি। গত পাঁচ মাসে মাত্র পাঁচটি একনেক সভা হয়েছে। অনুমোদন হয়েছে মাত্র ৪৫টি প্রকল্প। যেগুলোতে অর্থ বরাদ্দ প্রায় ৩০ হাজার কোটি টাকা। যেখানে গত বছরের একই সময়ে ১৮টি একনেক সভা হয়েছে। মূলত অন্যান্য বছরে ব্যাপকভাবে অর্থ বরাদ্দ পেলেও এবারে তার ভিন্ন চিত্র দেখা গেছে উন্নয়ন কাজে।

করোনা পরিস্থিতি এবং বৈশ্বিক মন্দাবস্থার কারণে কৃচ্ছ্র নীতিতে যেতে বাধ্য হয়েছে সরকার। অনেক যাচাই-বাছাই করে প্রকল্প নেওয়া হচ্ছে। জরুরি না হলে তা ফেরত দেওয়া হচ্ছে। ব্যয় সাশ্রয়নীতি গ্রহণের পর থেকেই নতুন প্রকল্পের ক্ষেত্রে নেওয়া হচ্ছে বাড়তি সতর্কতা। পুরোনো প্রকল্প সংশোধনের ক্ষেত্রে বেশি টাকার বিষয় থাকলে তা আমলে নেওয়া হচ্ছে না। প্রকল্প প্রস্তাবের ক্ষেত্রে খুঁটিনাটি বিষয় যুক্ত করতে বলা হচ্ছে। এসব কৌশলের কারণে একনেক পর্যায়ে নতুন বা সংশোধনীর জন্য খুব বেশি প্রকল্প আসতে পারছে না। ফলে একনেক বৈঠকও অনিয়মিত হয়ে পড়েছে। আগে যেভাবে কর্মব্যস্ততা ছিলো, সব সময় ব্যস্ত থাকতে হতো সেরকম দৃশ্য নেই পরিকল্পনা কমিশনে। যে কয়টি একনেক বৈঠক হচ্ছে, সেখানে প্রকল্প সংখ্যাও থাকছে স্বাভাবিকের চেয়ে অনেক কম। কম টাকার ছোট প্রকল্পগুলোই কেবল বিবেচনায় নেওয়া হচ্ছে।

এদিকে সরকারের কৃচ্ছ্রসাধন নীতির প্রভাবে এডিপির বাস্তবায়নেও ধীরগতি নেমে এসেছে বছরটিতে। গত নভেম্বর পর্যন্ত চলতি ২০২২-২৩ অর্থবছরের পাঁচ মাসে বাস্তবায়নের হার ছিল ১৮ শতাংশ। এখনো এক শতাংশ অর্থ ব্যয় করতে পারেনি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগ। যেখানে করোনা পরিস্থিতির মধ্যেও ৫৬টি মন্ত্রণালয় ও বিভাগ এই সময়ের চেয়ে বেশি হারে এডিপির বাস্তবায়ন হয়েছিল।

জেডএ/এমএমএ/

Header Ad
Header Ad

গ্রীষ্মে স্বাভাবিক থাকবে বিদ্যুৎ সরবরাহ: বিপিডিবি চেয়ারম্যান

ছবি: সংগৃহীত

চলতি গ্রীষ্মে বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক থাকবে বলে আশাবাদ প্রকাশ করেছেন বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (বিপিডিবি) চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার মো. রেজাউল করিম। তিনি জানান, বিদ্যমান সব বিদ্যুৎকেন্দ্র সচল রাখতে কাজ করে যাচ্ছে কর্তৃপক্ষ, যাতে গ্রীষ্মকালে চাহিদা অনুযায়ী বিদ্যুৎ উৎপাদন নিশ্চিত করা যায়।

বার্তা সংস্থা বাসসকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, বর্তমানে গড়ে দৈনিক ১৪,০০০ থেকে ১৪,৫০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হচ্ছে, যেখানে গড় চাহিদা প্রায় ১৫,০০০ মেগাওয়াট। গ্রীষ্মে এই চাহিদা সর্বোচ্চ ১৭,৮০০ মেগাওয়াট পর্যন্ত পৌঁছাতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে, যেখানে উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ১৭,২৬০ মেগাওয়াট।

গত শনিবার দেশে উৎপাদিত বিদ্যুৎ ছিল ১১,৯৭১ মেগাওয়াট, যার বিপরীতে চাহিদা ছিল ১৪,৪৫১ মেগাওয়াট। রবিবার কর্মদিবস হওয়ায় চাহিদা আরও বেড়ে যায়। যদিও গ্রীষ্মে প্রায় ৭৫০ মেগাওয়াট ঘাটতির আশঙ্কা রয়েছে, বিপিডিবি মনে করে এই ঘাটতি কাটিয়ে ওঠা সম্ভব হবে।

চেয়ারম্যান জানান, বিদ্যুৎ বিভ্রাটের পেছনে কারিগরি ত্রুটি বা প্রাকৃতিক দুর্যোগ (যেমন ঝড় বা বৃষ্টিপাত) একটি বড় কারণ। এছাড়া গ্যাসের চাহিদা পূরণে সরকার তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) আমদানি করছে, যা বিদ্যুৎ উৎপাদনের অন্যতম প্রধান জ্বালানি। ইতোমধ্যে স্পট মার্কেট থেকে দুটি কার্গো এলএনজি আমদানির প্রস্তাব অনুমোদন করেছে সরকার। এর আগে মার্চে যুক্তরাষ্ট্রের একটি কোম্পানি থেকেও এলএনজি আনা হয়েছে।

বিদ্যুৎ উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান জানিয়েছেন, লোডশেডিং কমাতে সরকার নানা পদক্ষেপ নিয়েছে। সাশ্রয়ের লক্ষ্যে সরকারি অফিস, ব্যাংক, বাসাবাড়ি ও মসজিদে এসির তাপমাত্রা ২৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে না নামানোর পরামর্শ দিয়েছেন তিনি। এভাবে প্রতিদিন ২,০০০ থেকে ৩,০০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ সাশ্রয় করা সম্ভব হবে।

সরবরাহ ও চাহিদার ভারসাম্য রক্ষায় সরকারের নানা উদ্যোগের কারণে চলতি গ্রীষ্মে বিদ্যুৎ পরিস্থিতি তুলনামূলক স্বস্তিদায়ক থাকবে বলে আশা করা হচ্ছে।

সূত্র: বাসস

Header Ad
Header Ad

পরমাণু কর্মসূচি থেকে না সরার ঘোষণা ইরানের

ছবি: সংগৃহীত

ইরান তার পরমাণু কর্মসূচি থেকে একচুলও সরছে না বলে জানিয়েছে দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। ইরানের আইন ও আন্তর্জাতিক বিষয়ক উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী কাজেম ঘারিবাবাদি সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধ করার অধিকার ইরানের জন্য একটি ‘লাল রেখা’। যুক্তরাষ্ট্রের সাথে পরোক্ষ আলোচনাতেও এই অবস্থান থেকে কোনোভাবেই সরে আসা হবে না।

রবিবার ইরানের সংসদের জাতীয় নিরাপত্তা ও পররাষ্ট্র নীতি কমিশনের এক বৈঠকে এই মন্তব্য করেন ঘারিবাবাদি। বৈঠকে তিনি ইতালির রোমে তেহরান-ওয়াশিংটনের মধ্যে অনুষ্ঠিত দ্বিতীয় দফার পরোক্ষ আলোচনা সম্পর্কে আইনপ্রণেতাদের বিস্তারিত অবহিত করেন।

কমিটির মুখপাত্র ইব্রাহিম রেজাই জানিয়েছেন, ঘারিবাবাদি আলোচনার মূল বিষয়গুলো তুলে ধরেছেন। বৈঠকে তিনি পুনরায় জোর দিয়ে বলেছেন, ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরান পারমাণবিক অস্ত্র তৈরি করতে চায় না এবং দেশটির পরমাণু কার্যক্রম সম্পূর্ণরূপে শান্তিপূর্ণ উদ্দেশ্যে পরিচালিত হচ্ছে।

ঘারিবাবাদি আরও বলেন, আলোচনার অন্যতম প্রধান বিষয় ছিল ইরানের ওপর আরোপিত বিভিন্ন নিষেধাজ্ঞা—বিশেষ করে মার্কিন কংগ্রেসের আইন এবং সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নির্বাহী আদেশ। ইরান চায়, এসব নিষেধাজ্ঞা যেন সম্পূর্ণরূপে এবং কার্যকরভাবে প্রত্যাহার করা হয়। শুধুমাত্র প্রতীকীভাবে নয়, বরং ইরানি জনগণের জন্য বাস্তব অর্থনৈতিক সুফল নিশ্চিত করতে হবে।

সূত্র: প্রেস টিভি

Header Ad
Header Ad

পর্যটকদের ভ্যাটের অর্থ ফেরত দেবে সৌদি সরকার

ছবি: সংগৃহীত

পর্যটকদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ এক সিদ্ধান্ত নিয়েছে সৌদি আরব সরকার। এখন থেকে সৌদিতে অবস্থানকালে পণ্য ও সেবার উপর পরিশোধিত ১৫ শতাংশ মূল্য সংযোজন কর (ভ্যাট) দেশে ফেরার সময় ফেরত পাবেন পর্যটকরা। সংশ্লিষ্ট ভ্যাট বিধিমালায় প্রয়োজনীয় সংশোধনী এনে এই নিয়ম গত ১৮ এপ্রিল থেকে কার্যকর করা হয়েছে।

নতুন নিয়ম অনুযায়ী, অনুমোদিত সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানগুলো পর্যটকদের জন্য প্রদত্ত উপযুক্ত পণ্য ও সেবার উপর শূন্য শতাংশ হারে ভ্যাট আরোপ করবে এবং সৌদি আরব ত্যাগের সময় পরিশোধিত ভ্যাটের অর্থ ফেরত দেবে। এতে পর্যটকদের ভ্রমণ ব্যয় হ্রাস পাবে এবং সৌদির পর্যটন খাত আরও চাঙা হবে বলে আশা করা হচ্ছে।

সৌদি আরবের জাকাত, ট্যাক্স ও কাস্টমস কর্তৃপক্ষ (জেডএটিসিএ) জানিয়েছে, কর ফেরতের পুরো প্রক্রিয়া পরিচালনার জন্য এক বা একাধিক অনুমোদিত সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানকে দায়িত্ব দেওয়া হবে। এসব প্রতিষ্ঠান পর্যটকদের পক্ষে কর ফেরতের আবেদন এবং তা কার্যকর করবে। তবে নিয়ম লঙ্ঘন বা অনিয়ম হলে, পর্যটক ও সেবাদাতা—উভয়ই ফেরত নেওয়া অর্থের জন্য যৌথভাবে দায়ী হবেন।

জিসিসিভুক্ত (গালফ কো-অপারেশন কাউন্সিল) দেশগুলোর পর্যটকরাও এই কর ছাড়ের সুবিধা পাবেন। তবে এই সুবিধা চলমান থাকবে যতদিন না পর্যন্ত ইলেকট্রনিক সার্ভিস আইন কার্যকর হয়। জেডএটিসিএ’র গভর্নর এই কর ফেরতের প্রক্রিয়া ও নিয়মাবলি নির্ধারণ করবেন।

নিয়মাবলির মধ্যে থাকবে—পর্যটকদের কর ফেরতের ধাপসমূহ, পর্যটক হিসেবে স্বীকৃতি পাওয়ার শর্ত, কোন পণ্য এই সুবিধার আওতায় আসবে, ন্যূনতম ক্রয়মূল্য, কোন বিক্রেতারা সুবিধা দিতে পারবেন এবং কর ফেরতের আবেদন পদ্ধতি।

অন্যদিকে, সংশোধিত ভ্যাট বিধিমালায় বলা হয়েছে, যদি কোনো ব্যবসা কার্যক্রম অন্যের কাছে হস্তান্তর করা হয়, তাহলে নতুন মালিককে ৩০ দিনের মধ্যে জেডএটিসিএ-কে তা জানাতে হবে। তবে পূর্ববর্তী মালিকের রেজিস্ট্রেশন বাতিল হয়ে থাকলে এ নিয়ম প্রযোজ্য হবে না। এমনকি রেজিস্ট্রেশন বাতিল হলেও, আগের মালিক পুরনো কর সংক্রান্ত দায়-দেনা থেকে অব্যাহতি পাবেন না এবং তাকে প্রয়োজনীয় নথিপত্র সংরক্ষণ করতে হবে।

সূত্র: সৌদি গেজেট

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

গ্রীষ্মে স্বাভাবিক থাকবে বিদ্যুৎ সরবরাহ: বিপিডিবি চেয়ারম্যান
পরমাণু কর্মসূচি থেকে না সরার ঘোষণা ইরানের
পর্যটকদের ভ্যাটের অর্থ ফেরত দেবে সৌদি সরকার
আজ কাতার যাচ্ছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস
ভুল বোঝাবুঝিতে গাজায় ১৪ জরুরি সেবাদাতা কর্মীকে হত্যা!
জেলা প্রশাসকের দফতরে স্মারকলিপি দিল আওয়ামী লীগ
বিয়ের আশ্বাসে স্বামীর ১১ লাখ টাকা নিয়ে ঘর ছাড়লেন নারী, প্রেমিকের ফাঁদে পড়ে দলবেঁধে ধর্ষণের শিকার
বিয়ে না করেই পঞ্চাশে অন্তঃসত্ত্বা অভিনেত্রী, তোলপাড় নেটদুনিয়া
পারভেজের মৃত্যুতে গ্রামের বাড়িতে মাতম, পাগলপ্রায় মা-বাবা ও একমাত্র বোন
বাংলাদেশের হয়ে খেলতে রাজি কিউবা মিচেল
আসিফ মাহমুদ ও মাহফুজ আলমের পদত্যাগ দাবি করলেন নুর
২০২৫ শেষ হওয়ার আগেই ৫০ সেঞ্চুরিতে দেশের প্রথম এনামুল হক
ভিসা বাতিল করায় ট্রাম্পের বিরুদ্ধে ভারতীয় ও চীনা শিক্ষার্থীদের মামলা
একনেকে ২৪ হাজার কোটি টাকার ১৬ প্রকল্প অনুমোদন
বিগত ৩ নির্বাচনের সঙ্গে জড়িতদের বিচার চায় এনসিপি
এপ্রিলে ১৯ দিনেই প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্স ২১ হাজার কোটি টাকা ছাড়াল
দুইবারের বেশি প্রধানমন্ত্রী না হওয়া নিয়ে বিএনপির অভিমত
ফাইয়াজের মামলায় আইন মন্ত্রণালয়ের এখতিয়ার নেই: আসিফ নজরুল
ভারতের উত্তরপ্রদেশে এক ছাত্রীকে ৭ দিন ধরে আটকে ২৩ জন মিলে ধর্ষণ!
বিরামপুরে পিকআপের ধাক্কায় এসএসসি পরীক্ষার্থীর মর্মান্তিক মৃত্যু