‘তামাকপণ্যে কার্যকর করারোপে সমন্বিত উদ্যোগ দরকার’
প্রধানমন্ত্রী ২০৪০ সালে তামাকমুক্ত বাংলাদেশের যে লক্ষ্য ঘোষণা করেছেন তা বাস্তবায়নের জন্য তামাকপণ্যে কার্যকর করারোপের বিকল্প নেই। চলতি অর্থবছরে তামাকপণ্যে কার্যকর করারোপের দাবিগুলো পুরোপুরি প্রতিফলিত না হলেও আসন্ন ২০২২-২৩ অর্থবছরের বাজেটে তা করা গেলে একদিকে তামাকের ব্যবহার কমবে, অন্যদিকে তামাকপণ্য থেকে করও বাড়বে। তবে এ জন্য আইন প্রণেতা, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড, তামাক-বিরোধী সামাজিক সংগঠনসহ সব পক্ষকে সমন্বিতভাবে কাজ করতে হবে।
বৃহস্পতিবার (৬ জানুয়ারি) রাজধানীর বাংলামটরে বিশ্ব সাহিত্য কেন্দ্রে ‘তামাকপণ্যে কার্যকর করারোপ: আগামীর পথনকশা’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে বক্তারা এ সব অভিমত ব্যক্ত করেন।
বেসরকারি গবেষণা সংস্থা উন্নয়ন সমন্বয় এর আয়োজন করে। বৈঠক পরিচালনা করেন বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ, বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর এবং উন্নয়ন সমন্বয় এর সভাপতি অধ্যাপক ড. আতিউর রহমান।
ড. আতিউর রহমান বলেন, তামাকপণ্যে কার্যকর করারোপের ক্ষেত্রে চ্যালেঞ্জ ও সম্ভাবনা দুটোই বিবেচনায় রেখে এগিয়ে যেতে হবে। রাজস্ব বোর্ডের ওপর কর আহরণের চাপ অব্যাহত রয়েছে। তবে তামাকপণ্যে কার্যকর করারোপ করা গেলে তামাকের ব্যবহার কমার পরও তা থেকে আহরিত কর বাড়ানো সম্ভব।
সংসদ সদস্য (এমপি) নাজমা আকতার বলেন, ‘সংসদ সদস্যরা বছরের শুরু থেকেই তামাকের ওপর কর প্রস্তাব নিয়ে সোচ্চার থাকলে আসছে বাজেটে এ বিষয়ে ইতিবাচক পরিবর্তন আনা খুবই সম্ভব।’
ড. সামিল উদ্দিন আহম্মেদ শিমুল বলেন, ‘তামাকের ওপর কর বাড়ানোর পাশাপাশি পুরো সমাজে তামাক-বিরোধি সচেতনতা বাড়ানোর উদ্যোগগুলোর অব্যাহত রাখতে হবে।’
এসএম শাহজাদা বলেন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ সকল প্রতিষ্ঠানের কার্যালয়কে ধূমপানমুক্ত রাখার জন্য শক্তিশালি উদ্যোগের প্রয়োজন রয়েছে।
আবদুল মান্নান এমপি বলেন, কৃষকরা যে তামাক চাষের পরিবর্তে অন্য অর্থকরি ফসলের দিকে আগ্রহী হন সে জন্য নীতি ও উদ্যোগ নিলে দ্রুত সুফল পাওয়া সম্ভব।
জেডএ/এমএমএ/