এবার রেমিট্যান্সের লক্ষ্য ২৬০০ কোটি ডলার: অর্থমন্ত্রী
চলতি বছরে রেমিট্যান্সের (প্রবাসী আয়) লক্ষ্য ধরা হয়েছে ২৬ বিলিয়ন (২৬০০ কোটি) ডলার বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। শনিবার (১ জানুয়ারি) জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের বাংলাদেশকে ‘স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উত্তরণ’ সম্পর্কিত চুড়ান্ত সুপারিশের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকায় স্মারক অনুষ্ঠানের প্রি-ইভেন্ট অনলাইন সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
রেমিট্যান্সে প্রণোদনা বৃদ্ধির ব্যাপারে এক প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী বলেন, পরিকল্পনামন্ত্রী থাকার সময় আমি নিজে একটা স্টাডি করেছি। তাতে দেখেছি সেই সময় আমাদের রেমিট্যান্স যা অর্জন করার কথা, তাতে আমরা মাত্র ৪৯ শতাংশ অর্জন করি ফরমাল চ্যানেলে। আর ইনফরমাল চ্যানেলে বাকিটা আসতো। তখন আমি চিন্তা করলাম এটাকে ফরমাল চ্যানেলে আনতে পারলে আমাদের অর্থনীতি শক্তিশালী হবে। সেই থেকে আমরা উদ্যোগ নেই। তারই অংশ বিশেষ আমরা প্রথম ২০১৯-২০ অর্থবছরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনায় ২ শতাংশ প্রণোদনা দেওয়া শুরু করি।
এরপর লক্ষ্য করলাম উদ্দেশ্য সফল হচ্ছে। কারণ যেখানে আমাদের গড় প্রবাসী আয় ছিল ১৪ শতাংশ, এই প্রণোদনা দেওয়ার পর প্রথম বছরে রেমিট্যান্স বেড়ে হলো ১৮ বিলিয়ন (১৮০০ কোটি ) ডলার। এরপর রেমিট্যান্স আরো বাড়তে থাকে। ২০২০-২১ সালে রেমিট্যান্সের পরিমাণ প্রায় ২৫ বিলিয়ন (২৫০০ কোটি ) ডলারে উন্নীত হয়। এই অর্জন সম্ভব হয়েছে একদিকে প্রক্রিয়া সহজ করেছি অন্যদিকে ২ শতাংশ প্রণোদনা কাজে লেগেছে। তাই এ বছর আমাদের লক্ষ্যমাত্রা ২৬ বিলিয়ন ডলার ধরা হয়েছে।
মন্ত্রী বলেন, ‘এই রেমিট্যান্সটা বাংলাদেশের আর্থ সামাজিক এলাকায় কত বড় ভূমিকা রাখে সেটি অর্থনীতিবিদরা বুঝবেন। জানা যাচ্ছে যেটা পাচ্ছিলাম না সেটা ইনফরমাল চ্যানেলে চলে যাচ্ছিল। সেজন্য প্রণোদনা ২ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ২.৫ শতাংশ করা হয়েছে। ১ জানুয়ারি থেকে এটি কার্যকর হবে। আশা করি এই অর্থবছরে ২৬ বিলিয়ন অর্জন হবে।’
তিনি বলেন, ‘আমদানি বাড়বে, এটা বাড়া ভালো। কারণ এটা বাড়লে রপ্তানিও বাড়বে। আমাদের উদ্দেশ্য হচ্ছে দেশের টাকা দেশে আসুক। এ জন্য যা যা করা দরকার আমরা করব।’
অপর এক প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী আরও বলেন, আমাদের কাঙ্খিত লক্ষ্যপথে আমরা আছি। আমাদের জাতির পিতার দেখানো পথে প্রধানমন্ত্রী আমাদের নিয়ে যাচ্ছেন, সেই স্বপ্নের জায়গায়। আমরা জাতির কাছে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ ২০৩০ সালের মধ্যে দেশকে ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত করব। ২০৩১ সালে উচ্চমধ্যম আয়ের দেশ এবং ২০৪১ সালে উন্নত বিশ্বের কাতারে আমরা পৌঁছাব। এ অর্জন আমরা করব।’
এ সময় বক্তব্য দেন অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সচিব ফাতিমা ইয়াসমিনও।
জেএ/এসআইএইচ