সিলেটের বন্যাদুর্গত এলাকার মানুষের পাশে ‘স্বপ্ন’
সিলেট-সুনামগঞ্জের আশপাশের সব রাস্তা, বাড়ি সব জায়গায় এখন থই থই পানি। তার মধ্যে ত্রানের আশায় মহাসড়কের দিকে তাকিয়ে আছে শত শত মানুষ। সবার চোখ এখন যানবাহনের দিকে, অসহায় এসব মানুষদের একটাই আশা, যদি কেউ খাবার নিয়ে এগিয়ে আসে।
অন্যদিকে পানিতে বন্দী থাকা মানুষের চোখে মুখেও এখন কিছু প্রশ্ন- খাবার কে আনবে, কখন আসবে খাবার। এমন অসহায় বন্যাদুর্গত কয়েক হাজার মানুষের জন্য শুকনা খাবার, পানি এবং ওষুধ নিয়ে হাজির হয়েছে দেশের সেরা রিটেইল চেইন শপ ‘স্বপ্ন’র কর্মীরা।
হাওরের সেনপুর এলাকা থেকে আশ্রয়স্থলে আসা একজন মধ্য বয়সী মহিলা ত্রাণ নেবার সময় জানালেন, বাড়ি ঘর সব ডুবে গেছে। আগের দিন রাত থেকে কিছু খাওয়া হয়নি। গলাও শুকিয়ে গেছে। খাওয়ার পানিও পাচ্ছেন না।
সিলেটের সুনামগঞ্জ, ছাতক, দোলার হাওরের চেচান স্কুল, সেনুপর, চান্দের বাড়ি, ভোলাগঞ্জসহ আশপাশের কয়েকটি গ্রাম ঘুরে এমন অসহায় মানুষদের সঙ্গে কথা বলে ট্রলার কওে রিমোট এলাকায় ত্রাণসহায়তা দেবার চেষ্টা করছে স্বপ্ন'র কর্মীরা। লক্ষ্য করলে দেখা যাবে, স্বেচ্ছাসেবক টিমের শরীরে স্বপ্ন'র লগো সম্বলিত লাল রঙের টি শার্ট ও টুপিতে লেখা আছে-‘মানুষ বাঁচলে বাঁচবে স্বপ্ন’।
ত্রাণ সহায়তার এই কাজে স্বপ্ন’র পক্ষ থেকে উপস্থিত আছেন স্বপ্ন’র রিটেইল এক্সপ্যানশন বিভাগের পরিচালক সামসুদ্দোহা শিমুল, স্বপ্ন’র হেড অব করপোরেট অ্যাফেয়ার্স অ্যান্ড হেড অব ইমপ্লয়ি ওয়েলফেয়ার ডা. সোহেল মঈনউদ্দিন শৈবাল, মিজানুর রহমান লিটন, জি.এম, কর্পোরেট অ্যাফেয়ার্স, মুহাম্মদ তামিম খান, এ.জি.এম, কর্পোরেট অ্যাফেয়ার্স, স্বপ্ন’র রিজিওনাল হেড অব অপারেশন আবদুল্লাহ আল মাহবুব, স্বপ্ন’র রিজিওনাল ম্যানেজার অব অপারেশন আজিম উদ্দিন, স্বপ্ন’র মো : জাকির হোসেন, সিনিয়র ম্যানেজার, কোয়ালিটি অ্যাসুরেন্স অ্যান্ড অডিটসহ অনেকে।
প্রসঙ্গত, উজানের ঢল আর অতিবৃষ্টিতে সিলেট ও সুনামগঞ্জ অঞ্চলে ভয়াবহ বন্যার কবলে পড়ে। স্মরণকালে ভয়াবহ এ বন্যায় চরম দুর্ভোগে পড়েছেন সিলেট-সুনামগঞ্জের মানুষ। এই দুই জেলার প্রায় ৮০ ভাগ এলাকা তলিয়ে গেছে। এতে আশ্রয়, খাবার, বিশুদ্ধ খাবার পানির সংকট দেখা দিয়েছে। বানের জলে ভেসে গেছে গবাদিপশুসহ হাঁস-মুরগি।
এমএমএ/