বাজেটে তামাক পণ্যের ওপর ধার্য কর হতাশাব্যঞ্জক
আগামী (২০২২-২৩) অর্থবছরের বাজেটে সিগারেট, বিড়ি এবং ধোঁয়াবিহীন তামাক পণ্যে করের যে প্রস্তাব করা হয়েছে তা হতাশাব্যঞ্জক বলে মনে করছেন সংসদ সদস্যরা। মঙ্গলবার (২১ জুন) বেসরকারি গবেষণা সংস্থা উন্নয়ন সমন্বয়ের আয়োজনে ঢাকায় বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের সেমিনার কক্ষে বাজেট-পরবর্তি আলোচনায় সংসদ সদস্যরা এ অভিমত ব্যক্ত করেন।
আলোচনায় অংশগ্রহণকারি সংসদ সদস্যরা হলেন, উম্মে ফাতেমা নাজমা, উম্মে কুলসুম স্মৃতি, ডা. সামিল উদ্দিন আহম্মেদ শিমুল, মো. আফতাব উদ্দিন সরকার, মো. হারুনুর রশীদ, মো সাইফুজ্জামান, শিরীন আখতার এবং ফজলে হোসেন বাদশা।
অনলাইনে যুক্ত হয়ে বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ বাংলাদেশ ব্যংকের সাবেক গভর্নর এবং উন্নয়ন সমন্বয়ের সভাপতি অধ্যাপক ড. আতিউর রহমান বলেন, তামাক-বিরোধী সংগঠনগুলো সম্মিলিতভাবে প্রস্তাব করেছিলো যেন তামাক পণ্যের দাম একটু একটু করে না বাড়িয়ে আসন্ন অর্থবছরে এক ধাক্কায় অনেকখানি বাড়ানো হয়, যাতে জনগণের মধ্যে বিশেষত নিম্ন আয়-শ্রেণির পরিবারগুলোর মধ্যে তামাক ব্যবহারের মাত্রা উল্লেখযোগ্য মাত্রায় কমিয়ে আনা যায়। পাশাপাশি কর আহরণের সুবিধার জন্য বিদ্যমান শতাংশ-ভিত্তিক সম্পূরক শুল্কের পরিবর্তে সুনির্দিষ্ট সম্পূরক শুল্ক আরোপের প্রস্তাবনাও ছিলো। কিন্তু প্রস্তাবিত বাজেটে শুল্ক হার আগের মতোই রেখে বিভিন্ন স্তরের সিগারেটের দাম অতি-সামান্য বাড়ানো হয়েছে এবং সুনর্দিষ্ট সম্পূরক শুল্ক আরোপ করা হয়নি। এতে করে তামাক পণ্যে কার্যকর করারোপের সম্ভাব্য সুফল থেকে দেশ বঞ্চিত হবে।
শুধু তাই নয়, প্রস্তাবিত বাজেটে সিগারেটের ঘোষিত মূল্যের চেয়ে বেশি দামে সিগারেট ইতোমধ্যেই বাজারে বিক্রি হচ্ছে। ফলে কর প্রস্তাব অপরিবর্তিত থাকলে সিগারেট কোম্পানির বিক্রি বৃদ্ধির পাশাপাশি কর ফাঁকি দেয়ার সুযোগও বেড়ে যাবে।
শিরীন আখতার এমপি বলেন, অন্তত ১০০ জন সংসদ সদস্য বাজেট অধিবেশন শুরুর আগেই অর্থমন্ত্রীর কাছে তামাক পণ্যে কার্যকর করারোপের প্রস্তাবকে সমর্থন জানিয়ে চিঠি দিয়েছেন। এরপরও এই প্রস্তাবনাগুলো বাজেটে প্রতিফলিত না হওয়ায় তিনি “লজ্জাজনক” মনে করেন। ফজলে হোসেন বাদশা বলেন, ‘তামাক-বিরোধী সংসদ সদস্যসহ অন্য সকল অংশীজনের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় অচিরেই বাংলাদেশে তামাক পণ্যে কার্যকর করারোপ সম্ভব।