মানি লন্ডারিং: পাঁচ বছরে ১ হাজার ৩৩৩ কোটি টাকা জব্দ
মানি লন্ডারিং ও সন্ত্রাসী অর্থায়ন প্রতিরোধে গঠিত বিএফআইইউ এর প্রতিবেদনের ভিত্তিতে চলতি অর্থবছরের এপ্রিল পর্যন্ত ১০ মাসে তদন্তাধীন নয়টি মামলার বিপরীতে ৮৬৬ কোটি টাকা জব্দ করা হয়েছে। আর গত পাঁচ বছরে ৬৩টি তদন্তাধীন মামলার বিপরীতে জব্দ করা হয়েছে ১ হাজার ৩৩৩ কোটি টাকা। এর মধ্যে বাজেয়াপ্ত ঘোষণার পর সরকারি কোষাগারে জমা হয়েছে ১ হাজার ২৭৩ কোটি টাকা।
শনিবার (১৫ জুন) বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ) আয়োজিত এক সেমিনারে এসব তথ্য উপস্থাপন করা হয়।
বিএফআইইউ প্রধান মাসুদ বিশ্বাসের সভাপতিত্বে এতে প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ফজলে কবির। বিশেষ অতিথি ছিলেন অর্থ মন্ত্রনালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব মোহাম্মদ সলীম উল্লাহ।
বাংলাদেশ থেকে পাচার হওয়া অর্থের বিষয়ে জানতে সুইজারল্যান্ডের কেন্দ্রীয় ব্যাংক সুইস ন্যাশনাল ব্যাংকের (এসএনবি) কাছে আবারও তথ্য চেয়ে আবেদন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন বিএফআইইউ এর অতিরিক্ত পরিচালক মো. কামাল হোসেন।
এর আগে বৃহস্পতিবার এসএনবি তাদের বার্ষিক প্রতিবেদনে সুইস ব্যাংকগুলোর কাছে বিভিন্ন দেশের ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের দায় অর্থ্যাৎ গচ্ছিত অর্থ ও সম্পদের তথ্য প্রকাশ করে। ২০২১ সালে সুইজারল্যান্ডের ব্যাংকগুলোতে বাংলাদেশিদের নামে জমা টাকার পরিমাণ ৫৫ শতাংশ বেড়ে হয়েছে ৮৭ কোটি ১১ লাখ সুইস ফ্রাঙ্ক। ১৯৯৬ সালের পর থেকে যা সর্বোচ্চ।
এসএনবির কাছে বাংলাদেশ থেকে পাচার করা অর্থের বিষয়ে চিঠি দেওয়ার কথা জানিয়ে বিএফআইইউ অতিরিক্ত পরিচালক বলেন, পাচার করা অর্থ উদ্ধার জটিল কাজ। বিভিন্ন সময়ে বাংলাদেশের ৬৭ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের অর্থ সম্পর্কে তথ্য পেয়েছে বিএফআইইউ সুইস ন্যাশনাল ব্যাংকের কাছ থেকে।
সেমিনারে দেশে সন্দেহজনক লেনদেন, অর্থপাচার ও সন্ত্রাসে অর্থায়ন রোধের সঙ্গে জড়িত সন্দেহে বিএফআইইউ এর প্রতিবেদনের ভিত্তিতে চলতি বছর এবং আগের বছরগুলোতে বিভিন্ন মামলার বিপরীতে জব্দ ও বাজেয়াপ্ত করা অর্থের তথ্য তুলে ধরা হয়।
জেডএ/এসআইএইচ