'ঐক্য' প্যানেলের অঙ্গীকার
‘ই-কমার্স’ ক্রমবর্ধমান সম্ভানাময় খাত। বহুমূখী ব্যবসার সুবিধার, সব ধরনের ব্যবসা খাতের সম্মিলন। দেশীয়-আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে রয়েছে সমস্যা ও সম্ভাবনা। কয়েকদিন পরেই অনুষ্ঠিত হবে সবচেয়ে সম্ভাবনাময় ই-ক্যাবের ২০২২-’২৪ সালের ৪র্থ দ্বি-বার্ষিক কার্যনির্বাহী নির্বাচন। সুসংগঠিত ই-ক্যাব গড়া, সময়ের চাহিদা মেনে ই-কমার্সের উন্নয়নের ব্রত নিয়ে নির্বাচনে যাচ্ছে 'ঐক্য' প্যানেল। দলনেতা, শিক্ষা খাতের নামকরা ব্যক্তিত্ব প্রকৌশলী আবদুল আজিজ নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণা করেছেন। ১৩ জুন, সোমবার সন্ধ্যায় ঢাকার বনানীর হোটেল শেরাটনে নিজেদের ভাবনা ও পরিকল্পনা বলেন।
প্যানেল সদস্য উপস্থিত ছিলেন-সাজ্জাদুল ইসলাম (অংশীদার-ক্রাফটসম্যান সলুশন), তাজুল ইসলাম (আই এক্সপ্রেস লিমিটেড), আরিফ মোহাম্মদ আব্দুস শাকুর চৌধুরী (স্কুপ ইনফোটেক লিমিটেড), সেলিম শেখ (নূরতাজ ডট কম বিডি), সামদানি তাব্রীজ (র্যাপিডো ডেলিভারিজ), ইঞ্জিনিয়ার তৌহিদা হায়দার রিমা (মেনসেন মিডিয়া), আরিফুল ইসলাম ডিপেন (পরান বাজার) ও ছোফায়েত মাহমুদ লিখন (কোরিয়ান মার্ট বিডি.কম)।
ই-কমার্সের বিভিন্ন বিভাগে গত বছরগুলোতে সরকার বিভিন্ন সিদ্ধান্ত নিয়ে নতুন সম্ভাবনা হিসেবে জেগে উঠার সুযোগ দিয়েছেন, তরুণ উদ্যোক্তারা এগিয়ে এসে উদ্যাক্তা হয়েছেন। খাতটি তাদের তৈরি। প্রতিনিধি বাণিজ্য সংগঠন ই-ক্যাব রেখেছে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা। 'ঐক্য' সকল পক্ষের একসঙ্গে কাজ করার মানসিকতা, পরিবেশ তৈরি করবে।
টিম লিডার বলেন, ‘আগামী দুই বছর আমাদের লক্ষ্য, ই-কমার্স সম্প্রসারণ। উদ্যোক্তা, বিনিয়োগ, তথ্য ও প্রশিক্ষণ প্রাপ্তি সহজ ও ই-কমার্সবান্ধব আইন, বাজেট এবং নীতি প্রণয়নে জোরালো ভূমিকা পালন।’
তাদের ইশতেহারে রয়েছে-১. সুসংগঠিত ই-ক্যাব তৈরি, ২. ক্ষুদ্র নারী উদ্যোক্তাদের উন্নয়ন, ৩. উদ্যোক্তা সুরক্ষা ও বিনিয়োগ বাড়ানো, ৪. গ্রামীণ ই-কমার্স ও প্রান্তিক ডেলিভারি সেবাদান, ৫. ই-ট্যুরিজম ও সেবাভিত্তিক ই-কমার্স খাত উন্নয়ন, ৬. ই-কমার্সবান্ধব নীতি, নির্দেশিকা, আইন ও বিধি তৈরিতে কার্যকর ভূমিকা পালন, ৭. ক্রস বর্ডার ই-কমার্স তৈরি।
তারা বলেছেন, ই-ক্যাবের স্বয়ংসম্পূর্ণ, নিজস্ব কার্যালয়ের ব্যবস্থা করব। এমন একটি কার্যালয়ে সদস্যরা অনায়াসে বসতে পারবেন। সভা-সমাবেশ করবেন। পরিচালকরা বসার জায়গা পাবেন। ই-ক্যাবের স্থায়ী তহবিল গঠন করব। স্বচ্ছতায় পরিচালনা করব। কার্যকর পদক্ষেপগুলো গ্রহণ করব। ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের ‘উদ্যোক্তা কল্যাণ তহবিল’ গঠনে কার্যকর পদক্ষেপ। সেক্রেটারিয়েটের সক্ষমতা বৃদ্ধিতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেব। যারা ই-ক্যাবের জন্য কাজ করেন, সম্মানজনক স্বীকৃতির ব্যবস্থা করব। নির্বাচনে জয়ী-পরাজিত সকল পক্ষকে নিয়ে কাজ করব। ইন্ডাস্ট্রির উদ্যম তরুণ-তরুণীদের স্ট্যান্ডিং কমিটিগুলোতে যুক্ত করব। তাদের সব কাজে সম্পৃক্ত করব। স্বচ্ছতা ও যোগ্যতার ভিত্তিতে ট্রেনিং, মেলা ও ইভেন্টের কার্যাদেশ ক্রমান্বয়ে বিভিন্ন সদস্য কোম্পানি পেতে পারে, জোরালো ভূমিকা রাখব। প্রতিটি কার্যাদেশ দেয়ার আগে সদস্যদের কাছে পৌঁছানোর বাধ্যবাধকতা আরোপ করব। ঢাকার বাইরে বিভাগীয় কমিটি গঠন, প্রয়োজনে আঞ্চলিক কার্যালয়ের ব্যবস্থা করব। অঞ্চলভিত্তিক মেম্বারশিপ বৃদ্ধি ও সেবা প্রদানের ব্যবস্থা করব। সেলার কমিউনিটি, গ্রাহক, এফ-কমার্স উদ্যোক্তা, দেশীয় পণ্য সেবার উদ্যোক্তা-এ ধরনের ভিন্ন, ভিন্ন ই-কমার্স খাতের স্ট্যান্ডিং কমিটি গঠন ও সঠিকদেরকে যুক্ত করব। ই-ক্যাবের আর্থিক আয়-ব্যয়ের স্বচ্ছতা বিধানে নীতিমালা প্রণয়ন করে বাস্তবায়ন করব। পর্যাপ্ত তথ্য, উপাত্ত ও দক্ষ জনবলের ঘাটতিগুলো দূর করতে ই-ক্যাব স্কিল ডেভেলপমেন্ট অ্যান্ড রিসার্চ ইন্সটিটিউট স্থাপন করব। একটি পূর্ণাঙ্গ ই-ক্যাব ইউনিভার্সিটি স্থাপন করব। পলিসি মিটিংগুলোতে সদস্যদের অংশগ্রহণের সুযোগ দেব, তারা অংশগ্রহণ করতে পারবেন। বিদেশ ভ্রমণে বিষয় সংশ্লিষ্টদের অগ্রাধিকার দেব। সদস্যদের দক্ষতা উন্নয়নে কর্মশালা ও প্রশিক্ষণ দে। বিটুবি, বিটুসি, সিটুবি, বিটুজি, জিটুসি, জিটুবি থেকে মার্কেটপ্লেস, অনলাইন শপ, এক্সক্লুসিভ অনলাইন শপ, এফ-কমার্স (ফেসবুক কমার্স), সফটওয়্যার ও অ-বিতরণযোগ্য পণ্য (নন-ডেলিভারিবল প্রডাক্ট), সেবা ফ্লাটফর্মসহ ই-কমাসের সব সমস্যা সমাধান ও উন্নতিকরণ করব।
প্রকৌশলী আব্দুল আজিজ ও ঐক্য প্যানেলের সদস্যরা ঘোষণা করেন, নির্বাচনের আগে ও পরে সবসময় উদ্যোক্তারা তাদের পাশে পাবেন। সমস্যাগুলো সমাধানে সরাসরি মতামত নেবেন। নির্বাচনের আগেও ই-ক্যাবের পাশে ছিলেন উল্লেখ করে সোনারগাঁও বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা ভাইস চেয়ারম্যান বলেন, নির্বাচিত না হলেও সবসময় ই-ক্যাবের পাশে থাকবেন।
ওএস।