‘আইইউবি-এলবিএসএল ট্রেডিং ল্যাব’ হচ্ছে
বাংলাদেশের কোনো সরকারী ও বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথম ডিডিটাল ফিনানশিয়াল ট্রেডিং ল্যাবরেটরি বা আথিক ব্যবসায়িক গবেষণাগার চালু করছে অন্যতম সেরা বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয় ইন্ডিপেনডেন্ট ইউনিভাসিটি, বাংলাদেশ (আইইউবি)। ঢাকার বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার স্থায়ী ক্যাম্পাসে তাদের সঙ্গে এজন্য সমঝোতা চুক্তিতে আবদ্ধ হয়েছে শ্রীলংকা ও বাংলাদেশের যৌথ উদ্যোগে প্রতিষ্ঠিত ‘লংকা-বাংলা সিকিউরিটিজ লিমিটেড (এলবিএসএল)’।
দুই প্রতিষ্ঠানের এই নব গবেষণাগারের নাম ‘আইইউবি-এলবিএসএল ট্রেডিং ল্যাব।’ পরিচালিত হবে আইইইবি স্কুল অব বিজনেস স্কুল অ্যান্ড এন্টাপ্রেনিউরশিপের অধীনে, এলবিএসএলের সহযোগিতায়।
আইইউবির ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান আবদুল হাই সরকার ও এলবিএসএল চেয়ারম্যান মোহাম্মদ এ. মঈনের উপস্থিতিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষে উপাচার্য অধ্যাপক ড. তানভীর হাসান ও এসবিএসএলের পক্ষে ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ নাসির উদ্দিন চৌধুরী চুক্তিতে স্বাক্ষর প্রদান করেছেন।
আবদুল হাই সরকার এরপর বলেছেন, ‘আমাদের ছাত্র, ছাত্রীরা যদি শিক্ষাজীবন শেষ হওয়ার আগেই হাতে-কলমে বিভিন্ন বিষয়ে কাজ শিখতে পারে, তাহলে পাশ করার পর তাদের জন্য ক্যারিয়ার শুরু করা খুব সহজ হবে। এ কারণেই আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর দূরত্ব কমিয়ে কাজ শুরু করতে হবে। আমি আমাদের পাশে দাঁড়ানোর জন্য এলবিএসএলকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
অনুভূতি জানাতে গিয়ে এলবিএসএলের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ এ. মঈন বলেছেন, ‘যে কোনো দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে শিল্পায়ন ও পুঁজিবাজারের নিবিড় সম্পর্ক থাকে। বাংলাদেশের অন্যতম সেরা বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয় আইইউবির সঙ্গে শ্রীলংকার অন্যতম সেরা যৌথ আর্থিক প্রতিষ্ঠান এলবিএসএলের নতুন, চমৎকার ও অভিনব এই অংশীদারিত্ব পুঁজিবাজার ছাড়িয়ে বৃহত্তর পর্যায়ে সহযোগিতার পথ উন্মুক্ত করবে বলে আমি বিশ্বাস করি।’
আইইউবি জানিয়েছে, ‘স্কুল অফ বিজনেস অ্যান্ড এন্ট্র্রাপ্রেনিউরশিপ’র ‘ইন্ডাস্ট্রি-অ্যাকাডেমিয়া কোলাবোরেশন ইনশিয়েটিভজ’র অংশ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হচ্ছে ‘আইইউবি-এলবিএসএল ট্রেডিং ল্যাব’।
তারা জানিয়েছেন, আইইউবির স্কুল অব বিজনেসের অর্নাস ও নানা গবেষণায় যুক্ত ছাত্র, ছাত্রী এবং অধ্যাপকরা তাদের এই ল্যাবরেটরিটিতে বিভিন্ন বর্ষেও ট্রেডিং বা ব্যবসায়িক লেনদেন নিয়ে নানা ধরণের গবেষণা তাদের শিক্ষক ও বিশেষজ্ঞ ব্যাংকার ও আর্থিক ব্যক্তিত্বদের মাধ্যমে করতে পারবেন। এছাড়াও লংকা-বাংলা ফাইনান্স এবং কমার্শিয়াল ব্যাংক অব সিলনের কর্মকর্তাদের মাধ্যমে সিকিউরিটি অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের ঢাকা এবং চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে হাতে-কলমে কাজ করতে পারবেন।
আইইউবির উপাচার্য অধ্যাপক ড. তানভীর হাসান বলেছেন, ‘আমাদের পুঁজিবাজার ছোট। এই পুঁজিবাজারগুলোতে কিছু সমস্যা থেকেই যায়। সেগুলো দূর করতে দেশী বিনিয়োগকারীদের জ্ঞান এবং দক্ষতা বাড়ানোর কোনো বিকল্প নেই। ফলে বিনিয়োগের আগে ঝুঁকিগুলোও তারা ভালোভাবে বুঝতে পারেন। সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন বাংলাদেশের বিনিয়োগকারীদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থাও করছেন। অবশ্যই প্রশংসনীয় উদ্যোগ। আমরা আমাদের ভবিষ্যত কারিগরদের তৈরি করছি বলে আইইউবিতে ট্রেডিং ল্যাব স্থাপন করায় আইইইউবি কতৃপক্ষ ও এলবিএসএলের উধ্বতন কর্মকর্তাদের আমি আন্তরিক ধন্যবাদ প্রদান করছি।’
‘আইইউবি- এলবিএসএল ট্রেডিং ল্যাব স্থাপন অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য দিয়েছেন আইইউবির অন্যতম ট্রাস্টি তৌহিদ সামাদ, এলবিএসএলের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা খন্দকার সাফাত রেজা, আইইউবির উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খান, গবেষণাগারের তত্বাবধায়ক আইইউবি স্কুল অব বিজনেস অ্যান্ড এন্টারপ্রেনারশিপের ডিন অধ্যাপক ড. মেহেরুন আহমেদ এবং ফাইন্যান্সের সহযোগী অধ্যাপক ও বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ড. সামিউল পারভেজ আহমেদ প্রমুখ।
স্কুলের বিভিন্ন বিভাগ ও কোর্সের ছাত্র, ছাত্রী এবং অধ্যাপক, কর্মকর্তা, কর্মচারীরা এই সময় উপস্থিত ছিলেন।
ওএস।