পাচার অর্থ দেশে আনার পক্ষে বিজিএমইএ
দেশের সংকটকালে বিদেশি মুদ্রার রিজার্ভ সন্তোষজনক রাখতে প্রচুর ডলার প্রয়োজন উল্লেখ করে পোশাক শিল্পমালিকদের শীর্ষ সংগঠন বিজিএমইএর সভাপতি ফারুক হাসান বলেন, 'এ অবস্থায় বিভিন্ন সময়ে যারা দেশ থেকে বিদেশে অর্থ পাচার করেছেন তারা সরকারের দেওয়া সুযোগে কর দিয়ে দেশে অর্থ ফেরত আনতে চাইলে সেটাকে সমর্থন করি।' সোমবার (১৩ জুন) সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব তথ্য জানান। রাজধানীর ওয়েস্টিন হোটেলে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
উল্লেখ্য, জাতীয় সংসদে বৃহস্পতিবার অর্থমন্ত্রী ২০২২-২৩ অর্থবছরের যে বাজেট প্রস্তাব করেন তাতে বিদেশে পাচার হওয়া অর্থ ফিরিয়ে আনতে আয়কর অধ্যাদেশে নতুন বিধান যুক্ত করার প্রস্তাব করা হয়েছে। সে অনুযায়ী, বিদেশে অবস্থিত কোনো সম্পদের ওপর কর পরিশোধ করা হলে আয়কর কর্তৃপক্ষসহ সরকারের কেউ এ বিষয়ে কোনো প্রশ্ন তুলবে না বলে অর্থমন্ত্রী উল্লেখ করেছেন।
বাজেট ঘোষণার পর থেকেই ব্যবসায়ী শিল্পপতিদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআইসহ বিভিন্ন ব্যবসায়ী সংগঠন এই সুবিধার বিরোধিতা করে বলছে, এটা অসর্ম্থনযোগ্য ও অনৈতিক। এতে ভালো ব্যবসায়ীরা উৎসাহ হারাবে। এ অবস্থায় দেশের ৮০ শতাংশ রপ্তানি আয়ের প্রধান খাত বিজিএমইএ বিষয়টিতে সমর্থন দিল।
অর্থ পাচার রোধে বিজিএমইএ কোনো ব্যবস্থা নেবে কি না- এমন প্রশ্নের উত্তরে সংগঠনের সভাপতি ফারুক হাসান বলেন, 'অর্থ পাচার শুধু ওভার ইনভয়েসিং-আন্ডার ইনভয়েসিংয়ের মাধ্যমে হয় না। নানা প্রক্রিয়ায় হয়। অর্থ পাচার বন্ধে সরকার যে ব্যবস্থা নেবে বিজিএমইএ তাকে সমর্থন করবে।'
নতুন বাজেটে অর্থমন্ত্রী পোশাক রপ্তানির উপর উৎসে কর দশমিক ৫০ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ১ শতাংশ করার প্রস্তাব করেছেন। এ ব্যাপারে বিজিএমইএ সভাপতি বলেন, 'পোশাক রপ্তানির উপর উৎসে কর ১ শতাংশ করা হলে বর্তমান বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে শিল্পের জন্য অত্যন্ত দুরুহ হবে'। কারণ বর্তমানে অস্থির সময়ে বিশ্ব বাণিজ্য পরিস্থিতি পোশাক শিল্পের জন্যও বেশ কিছু চ্যালেঞ্জ তৈরি করেছে।
এ পরিস্থিতিতে উৎসে কর বৃদ্ধির প্রস্তাব পোশাক শিল্পের টিকে থাকার সংগ্রামটি আরও কঠিন করে তুলবে। তাই পোশাক শিল্পে উৎসে কর বর্তমানে যে অবস্থায় রয়েছে, সে অবস্থায় রাখতে প্রধানমন্ত্রী ও অর্থমন্ত্রীকে অনুরোধ জানান তিনি। এ সময় বিজিএমইএ সহাসভাপতি শহীদউল্লাহ আজিমসহ সংগঠনের শীর্ষ নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
জেডএ/এএজেড