সোমবার, ২১ এপ্রিল ২০২৫ | ৮ বৈশাখ ১৪৩২
Dhaka Prokash

প্রস্তাবিত বাজেট 'বাস্তবতা বর্জিত': ফখরুল

প্রস্তাবিত বাজেট 'বাস্তবতা বর্জিত' অভিহিত করে বিএনপি বলেছে, এটা কেবলমাত্র সরকারের আশীর্বাদপুষ্ঠদের জন্য করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল ২০২২-২৩ অর্থ বছরের বাজেট উপস্থাপনের দুই দিন পর শনিবার বিকালে গুলশানে চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে দলের পক্ষ থেকে মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর আনুষ্ঠানিকভাবে এই প্রতিক্রিয়া দেন।

তিনি বলেন, 'এই বাজেট কোনো অর্থেই সাধারণ মানুষের বাজেট নয়। এটা স্রেফ ডলার পাচারকারী ও অর্থ লুটেরাদের বাজেট।' 'এবারের বাজেট বর্তমান কঠিন সময়ের প্রেক্ষিতে সম্পূর্ণ বাস্তবতা বর্জিত একটি বাজেট, এটি কেবলমাত্র সরকারের আশীর্বাদপুষ্টদের জন্যই করা হয়েছে।'

কোনো অথেই বাজেট সাধারণ মানুষের নয়, ডলার পাচারকারী ও অর্থ লুটেরাদের' তার ব্যাখ্যায় মির্জা ফখরুল বলেন, 'পাচারকারীরদের অর্থকে নিরাপদে দেশে ফিরিয়ে আনা কিংবা বিদেশে ভোজ করার বৈধ্যতাতেই এবারের বাজেট প্রনয়ন করা হয়েছে। আরো পরিস্কার অর্থে বললে সরকারের লুটেরা মন্ত্রী, সংসদ সদস্য ও সুবিধাভোগী ব্যবসায়ী স্বজনদের অর্থ পাচার কবার সুযোগ করে দিতেই এটা করা হয়েছে। অথচ সাধারণ মানুষের নিত্য ব্যবহৃত চাল, ডাল, লবন, চিনি, গ্যাস, বিদ্যুত ও পানির মূল্য হ্রাসের কোনো কার্য্করী কৌশল না নিলেই শুধুমাত্র নিজেদের বিত্ত বৈভব বৃদ্ধির লক্ষ্যে এই বাজেট প্রণীত হয়েছে।' বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে ২০২২-২৩ অর্থবছরের জন্য ৬ লাখ ৭৮ হাজার ৬৪ কোটি টাকার বাজেট প্রস্তাব উপস্থাপন করেন অর্থমন্ত্রী।

'পাচারকৃত অর্থ: কর ছাড় প্রস্তাব বাতিল চায় বিএনপি'
পাচারকৃত অর্থ দেশে ফেরাতে 'কর ছাড়' এর প্রস্তাবকে আইনের পরিপন্থি অভিহিত করে তিনি বলেন, 'এই প্রস্তাব কেবল অনৈতিক নয়, এটা রীতিমতো আইনের সাথে সাংঘর্ষিক এবং দুর্নীতি ও অর্থ পাচারকে ক্ষমা ঘোষণার শামিল। এতে বর্তমানে চলমান অর্থ পাচারের মামলাগুলোর ভবিষ্যত অনিশ্চিত হয়ে পড়বে। অর্থ পাচারকারীরা আরো উতসাহিত হবে, টাকা আরো পাচার হওয়ার প্রবণতা তৈরি হবে। এটা অন্যায়, অপরিনামদর্শী ও আত্মঘাতি পদক্ষেপ।'

'যেখানে পাচারকারীদের শাস্তির আওতায় আনা এবং তাদের বিরুদ্ধে অবৈধভাবে পাচারকৃত অর্থ দেশে ফেরত আনাই আইনগতভাবে প্রত্যাশিত সেখানে পাচারকারীদের উৎসাহিত করা হচ্ছে। আমরা মনে করি, এটা দুর্নীতির বিরুদ্ধে সরকারের তথাকথিত জিরো টলারেন্স নীতির সাথে সাংঘর্ষিক এবং অসাংবিধানিক। গত ১৪ বছরে সরকারের ঘনিষ্ট লোকজনই বিপুল পরিমান অর্থ বিদেশে পাচার করে নিয়েছে। এখন এই ঘোষণার মাধ্যমে সরকার ওইসব পাচারকারীদের অবৈধ অর্থ বৈধ কতরার ঢালাও সুযোগ দিলো যা রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও নৈতিক যেকোনো মানদন্ডে অগ্রহনযোগ্য। আমরা পাচারকৃত অর্থ বৈধ করার এই ঘোষণার তীব্র নিন্দা জানাই এবং এটি বাতিলের দাবি জানাচ্ছি।'

একই সঙ্গে 'অবিলম্বে পাচারকারীদের চিহ্নিত করে চিহ্নিত করে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন ও তাদের অর্জিত সম্পদ বাজেয়াপ্ত এবং পাচারকারীদের অর্থ ফেরত আনার ব্যবস্থা গ্রহনের দাবি জানান বিএনপি মহাসচিব।

প্রস্তাবিত বাজেটের নানা দিকের সমালোচনা করে তিনি বলেন, 'এই বাজেট হচ্ছে অব দ্যা বিজনেস ম্যান, বাই দ্যা বিজসেন ম্যান এবং ফর দ্যা বিজনেস ম্যান। অর্থাৎ এটি ব্যবসায়ী বান্ধব বাজেট। জনকল্যাণের কোনো কথা এতে স্থান পায়নি। মুল্যস্ফীতিতে জনমানুষের যখন নাভিশ্বাস, তাদেরকে স্বস্তি দেয়ার কোনো কিছুই নেই। করমুক্ত আয়সীমা বাড়েনি, স্বস্তি পায়নি মধ্যবিত্তরা। বাজেটে যেসব পণ্যের আমদানি কর বাড়ানো হয়েছে সেগুলোর ভোক্তা মূলত, মধ্য বিত্তরাই।

'মেডিটেশনের উপরও ৫% কর আরোপ করা হয়েছে। অতিদরিদ্রদের কাচে ১০ টাকা দরে যে সামন্য কিছু চাল বিক্রি হতো তার দাম ১৫ টাকা বাড়ানো হয়েছে। সিন্ডিকেটের কবলে পড়ে সয়াবিন তেল এখন সরকারই নির্ধারণ করে দিলো ২০৫ টাকা। ৩৫ দিনের মাথায় এ নিয়ে দুই দফা সয়াবিন তেলের দাম বাড়লো। সামাজিক নিরাপত্তা, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, কৃষিখাতে ব্যয় বরাদ্ধ যথেষ্ট নয় বলে মন্তব্য করেন বিএনপি মহাসচিব।

ডিজিটাল মুদ্রা চালুর বিষয়ে অর্থমন্ত্রীর বাজেট বক্তব্যের প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, 'এটি একান্তই রেগুলেটরি ব্যাংক তথা বাংলাদেশ ব্যাংকের মুদ্রানীতির বিষয়। অর্থমন্ত্রী কেন্দ্রীয় ব্যাংকের রেগুলেটরি এখতিয়ারে হাত দিতে পারেন না। অথচ দুষ্ট চক্রের কবলে বন্দি ব্যাংক খাত নিয়ে অর্থ মন্ত্রীর কোনো কথা বাজেট বক্তৃতায় বলেনি। মুদ্রাস্ফীতির কথা স্বীকার করলেও মুল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে বাজেটে কোনো সুনির্দিষ্ট প্রস্তাবনা নেই।'

মির্জা ফখরুল বলেন, 'বলা হচ্ছে, দুই বছরে করোনার প্রেক্ষিতে লক্ষ হাজার টাকার ওপরে প্রণোদনা দেয়া হয়েছিলো। আমাদের প্রশ্ন সে টাকা গেল কই? তার মধ্যে একটা টাকাও কী পরিশোধ হয়েছে, জনগন জানতে চায়। শুনি রফতানি নাকি হু হু করে বাড়ছে। তাহলে প্রণোদনার টাকা পরিশোধ হচ্ছে না কেনো?' 'কারা কারা প্রণোদনা পেয়েছে এবং এই পর্যন্ত কি পরিমান টাকা পরিশোধ করেছে তার উপরে সরকারের শ্বেতপত্র চায় জনগন।'

সাবেক স্বাস্থ্য মন্ত্রী স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, প্রস্তাবিত বাজেটে স্বাস্থ্য খাতের বরাদ্ধ সবই গতানুগতিক। করোনাকালে এই খাতে যেসব দূর্বলতাগুলো প্রকাশ পেয়েছে সেগুলো পুরণের জন্য কোনো ধরনের পদক্ষেপ বাজেটে দিক নির্দেশনা নেই।

করোনাকালে সরকারের মন্ত্রীরা যেসব প্রতিশ্রুতির কথা শুনিয়েছিলেন, বাজেটে তার প্রতিফলন হয়নি। আমরা মনে করি, বাজেটে স্বাস্থ্য সেক্টারকে চরমভাবে অবহেলা করা হয়েছে। স্বাস্থ্য সেক্টারে বরাদ্ধ কমেছে। গতবছরে বরাদ্ধ ছিলো ৩২ হাজার ৭৩১ কোটি টাকা। আর এই বছরে বাজেটে দেখানো হয়েছে ৩৬ হাজার ৮৬৩ কোটি টাকা। সামনের অর্থ বছরে বাড়ানো হয়েছে ৪ হাজার ১৩২ কোটি টাকা। যেটা আসলে সঠিক নয়। কারণ ৩৬ হাজার ৮৬৩ কোটি টাকার মধ্যে করোনা মোকাবিলার জন্য রাখা হয়েছিলো ৫ হাজার কোটি টাকা। তাহলে ৫ কোটি বাদ দিলে দেখা যাবে যে, প্রকৃতপক্ষে ৩১ হাজার ৮৬৩ কোটি টাকা বরাদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। এটা জনগনের সাথে প্রতারণা।

সাবেক বানিজ্য মন্ত্রী স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, এই মুহুর্তে বাংলাদেশে মুক্তবাজার অর্থনীতি কাজ করছে না বাংলাদেশে। এখন কাজ করছে আওয়ামী ইকোনমিক মডেল, তাদেরকে উপকার করার জন্য, তাদের দুর্নীতির জন্য, তাদের পকেটে টাকা নেয়ার জন্য, তারা রাষ্ট্রের প্রেট্টোনাইজেশনের ব্যবসা করার জন্য। এভাবে বাংলাদেশের অর্থনীতিটা চলছে।

'আমার মনে হয়, বাংলাদেশে প্রকৃত অর্থে একটা রোখ ইকোনমি প্রসেস মডেল চলছে। বাংলাদেশের সাধারণ মানুষের কাছ থেকে টাকাগুলো নিচ্ছে সব কিছুর দাম বাড়িয়ে। এই টাকাগুলো থেকে তারা (ক্ষমতাসীনরা) কীভাবে সুবিধা নেবে তাকে মাথায় রেখে একটা অর্থনৈতিক মডেল তারা তৈরি করেছে সেই মডেলের ভিত্তিতে আজকের বাজেটটা তৈরি করা হয়েছে।'

সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, নজরুল ইসলাম খান, সেলিমা রহমান ও ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা মশিউর রহমান ও নাসের রহমান উপস্থিত ছিলেন।
এএজেড

Header Ad
Header Ad

গ্রীষ্মে স্বাভাবিক থাকবে বিদ্যুৎ সরবরাহ: বিপিডিবি চেয়ারম্যান

ছবি: সংগৃহীত

চলতি গ্রীষ্মে বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক থাকবে বলে আশাবাদ প্রকাশ করেছেন বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (বিপিডিবি) চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার মো. রেজাউল করিম। তিনি জানান, বিদ্যমান সব বিদ্যুৎকেন্দ্র সচল রাখতে কাজ করে যাচ্ছে কর্তৃপক্ষ, যাতে গ্রীষ্মকালে চাহিদা অনুযায়ী বিদ্যুৎ উৎপাদন নিশ্চিত করা যায়।

বার্তা সংস্থা বাসসকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, বর্তমানে গড়ে দৈনিক ১৪,০০০ থেকে ১৪,৫০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হচ্ছে, যেখানে গড় চাহিদা প্রায় ১৫,০০০ মেগাওয়াট। গ্রীষ্মে এই চাহিদা সর্বোচ্চ ১৭,৮০০ মেগাওয়াট পর্যন্ত পৌঁছাতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে, যেখানে উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ১৭,২৬০ মেগাওয়াট।

গত শনিবার দেশে উৎপাদিত বিদ্যুৎ ছিল ১১,৯৭১ মেগাওয়াট, যার বিপরীতে চাহিদা ছিল ১৪,৪৫১ মেগাওয়াট। রবিবার কর্মদিবস হওয়ায় চাহিদা আরও বেড়ে যায়। যদিও গ্রীষ্মে প্রায় ৭৫০ মেগাওয়াট ঘাটতির আশঙ্কা রয়েছে, বিপিডিবি মনে করে এই ঘাটতি কাটিয়ে ওঠা সম্ভব হবে।

চেয়ারম্যান জানান, বিদ্যুৎ বিভ্রাটের পেছনে কারিগরি ত্রুটি বা প্রাকৃতিক দুর্যোগ (যেমন ঝড় বা বৃষ্টিপাত) একটি বড় কারণ। এছাড়া গ্যাসের চাহিদা পূরণে সরকার তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) আমদানি করছে, যা বিদ্যুৎ উৎপাদনের অন্যতম প্রধান জ্বালানি। ইতোমধ্যে স্পট মার্কেট থেকে দুটি কার্গো এলএনজি আমদানির প্রস্তাব অনুমোদন করেছে সরকার। এর আগে মার্চে যুক্তরাষ্ট্রের একটি কোম্পানি থেকেও এলএনজি আনা হয়েছে।

বিদ্যুৎ উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান জানিয়েছেন, লোডশেডিং কমাতে সরকার নানা পদক্ষেপ নিয়েছে। সাশ্রয়ের লক্ষ্যে সরকারি অফিস, ব্যাংক, বাসাবাড়ি ও মসজিদে এসির তাপমাত্রা ২৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে না নামানোর পরামর্শ দিয়েছেন তিনি। এভাবে প্রতিদিন ২,০০০ থেকে ৩,০০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ সাশ্রয় করা সম্ভব হবে।

সরবরাহ ও চাহিদার ভারসাম্য রক্ষায় সরকারের নানা উদ্যোগের কারণে চলতি গ্রীষ্মে বিদ্যুৎ পরিস্থিতি তুলনামূলক স্বস্তিদায়ক থাকবে বলে আশা করা হচ্ছে।

সূত্র: বাসস

Header Ad
Header Ad

পরমাণু কর্মসূচি থেকে না সরার ঘোষণা ইরানের

ছবি: সংগৃহীত

ইরান তার পরমাণু কর্মসূচি থেকে একচুলও সরছে না বলে জানিয়েছে দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। ইরানের আইন ও আন্তর্জাতিক বিষয়ক উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী কাজেম ঘারিবাবাদি সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধ করার অধিকার ইরানের জন্য একটি ‘লাল রেখা’। যুক্তরাষ্ট্রের সাথে পরোক্ষ আলোচনাতেও এই অবস্থান থেকে কোনোভাবেই সরে আসা হবে না।

রবিবার ইরানের সংসদের জাতীয় নিরাপত্তা ও পররাষ্ট্র নীতি কমিশনের এক বৈঠকে এই মন্তব্য করেন ঘারিবাবাদি। বৈঠকে তিনি ইতালির রোমে তেহরান-ওয়াশিংটনের মধ্যে অনুষ্ঠিত দ্বিতীয় দফার পরোক্ষ আলোচনা সম্পর্কে আইনপ্রণেতাদের বিস্তারিত অবহিত করেন।

কমিটির মুখপাত্র ইব্রাহিম রেজাই জানিয়েছেন, ঘারিবাবাদি আলোচনার মূল বিষয়গুলো তুলে ধরেছেন। বৈঠকে তিনি পুনরায় জোর দিয়ে বলেছেন, ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরান পারমাণবিক অস্ত্র তৈরি করতে চায় না এবং দেশটির পরমাণু কার্যক্রম সম্পূর্ণরূপে শান্তিপূর্ণ উদ্দেশ্যে পরিচালিত হচ্ছে।

ঘারিবাবাদি আরও বলেন, আলোচনার অন্যতম প্রধান বিষয় ছিল ইরানের ওপর আরোপিত বিভিন্ন নিষেধাজ্ঞা—বিশেষ করে মার্কিন কংগ্রেসের আইন এবং সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নির্বাহী আদেশ। ইরান চায়, এসব নিষেধাজ্ঞা যেন সম্পূর্ণরূপে এবং কার্যকরভাবে প্রত্যাহার করা হয়। শুধুমাত্র প্রতীকীভাবে নয়, বরং ইরানি জনগণের জন্য বাস্তব অর্থনৈতিক সুফল নিশ্চিত করতে হবে।

সূত্র: প্রেস টিভি

Header Ad
Header Ad

পর্যটকদের ভ্যাটের অর্থ ফেরত দেবে সৌদি সরকার

ছবি: সংগৃহীত

পর্যটকদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ এক সিদ্ধান্ত নিয়েছে সৌদি আরব সরকার। এখন থেকে সৌদিতে অবস্থানকালে পণ্য ও সেবার উপর পরিশোধিত ১৫ শতাংশ মূল্য সংযোজন কর (ভ্যাট) দেশে ফেরার সময় ফেরত পাবেন পর্যটকরা। সংশ্লিষ্ট ভ্যাট বিধিমালায় প্রয়োজনীয় সংশোধনী এনে এই নিয়ম গত ১৮ এপ্রিল থেকে কার্যকর করা হয়েছে।

নতুন নিয়ম অনুযায়ী, অনুমোদিত সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানগুলো পর্যটকদের জন্য প্রদত্ত উপযুক্ত পণ্য ও সেবার উপর শূন্য শতাংশ হারে ভ্যাট আরোপ করবে এবং সৌদি আরব ত্যাগের সময় পরিশোধিত ভ্যাটের অর্থ ফেরত দেবে। এতে পর্যটকদের ভ্রমণ ব্যয় হ্রাস পাবে এবং সৌদির পর্যটন খাত আরও চাঙা হবে বলে আশা করা হচ্ছে।

সৌদি আরবের জাকাত, ট্যাক্স ও কাস্টমস কর্তৃপক্ষ (জেডএটিসিএ) জানিয়েছে, কর ফেরতের পুরো প্রক্রিয়া পরিচালনার জন্য এক বা একাধিক অনুমোদিত সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানকে দায়িত্ব দেওয়া হবে। এসব প্রতিষ্ঠান পর্যটকদের পক্ষে কর ফেরতের আবেদন এবং তা কার্যকর করবে। তবে নিয়ম লঙ্ঘন বা অনিয়ম হলে, পর্যটক ও সেবাদাতা—উভয়ই ফেরত নেওয়া অর্থের জন্য যৌথভাবে দায়ী হবেন।

জিসিসিভুক্ত (গালফ কো-অপারেশন কাউন্সিল) দেশগুলোর পর্যটকরাও এই কর ছাড়ের সুবিধা পাবেন। তবে এই সুবিধা চলমান থাকবে যতদিন না পর্যন্ত ইলেকট্রনিক সার্ভিস আইন কার্যকর হয়। জেডএটিসিএ’র গভর্নর এই কর ফেরতের প্রক্রিয়া ও নিয়মাবলি নির্ধারণ করবেন।

নিয়মাবলির মধ্যে থাকবে—পর্যটকদের কর ফেরতের ধাপসমূহ, পর্যটক হিসেবে স্বীকৃতি পাওয়ার শর্ত, কোন পণ্য এই সুবিধার আওতায় আসবে, ন্যূনতম ক্রয়মূল্য, কোন বিক্রেতারা সুবিধা দিতে পারবেন এবং কর ফেরতের আবেদন পদ্ধতি।

অন্যদিকে, সংশোধিত ভ্যাট বিধিমালায় বলা হয়েছে, যদি কোনো ব্যবসা কার্যক্রম অন্যের কাছে হস্তান্তর করা হয়, তাহলে নতুন মালিককে ৩০ দিনের মধ্যে জেডএটিসিএ-কে তা জানাতে হবে। তবে পূর্ববর্তী মালিকের রেজিস্ট্রেশন বাতিল হয়ে থাকলে এ নিয়ম প্রযোজ্য হবে না। এমনকি রেজিস্ট্রেশন বাতিল হলেও, আগের মালিক পুরনো কর সংক্রান্ত দায়-দেনা থেকে অব্যাহতি পাবেন না এবং তাকে প্রয়োজনীয় নথিপত্র সংরক্ষণ করতে হবে।

সূত্র: সৌদি গেজেট

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

গ্রীষ্মে স্বাভাবিক থাকবে বিদ্যুৎ সরবরাহ: বিপিডিবি চেয়ারম্যান
পরমাণু কর্মসূচি থেকে না সরার ঘোষণা ইরানের
পর্যটকদের ভ্যাটের অর্থ ফেরত দেবে সৌদি সরকার
আজ কাতার যাচ্ছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস
ভুল বোঝাবুঝিতে গাজায় ১৪ জরুরি সেবাদাতা কর্মীকে হত্যা!
জেলা প্রশাসকের দফতরে স্মারকলিপি দিল আওয়ামী লীগ
বিয়ের আশ্বাসে স্বামীর ১১ লাখ টাকা নিয়ে ঘর ছাড়লেন নারী, প্রেমিকের ফাঁদে পড়ে দলবেঁধে ধর্ষণের শিকার
বিয়ে না করেই পঞ্চাশে অন্তঃসত্ত্বা অভিনেত্রী, তোলপাড় নেটদুনিয়া
পারভেজের মৃত্যুতে গ্রামের বাড়িতে মাতম, পাগলপ্রায় মা-বাবা ও একমাত্র বোন
বাংলাদেশের হয়ে খেলতে রাজি কিউবা মিচেল
আসিফ মাহমুদ ও মাহফুজ আলমের পদত্যাগ দাবি করলেন নুর
২০২৫ শেষ হওয়ার আগেই ৫০ সেঞ্চুরিতে দেশের প্রথম এনামুল হক
ভিসা বাতিল করায় ট্রাম্পের বিরুদ্ধে ভারতীয় ও চীনা শিক্ষার্থীদের মামলা
একনেকে ২৪ হাজার কোটি টাকার ১৬ প্রকল্প অনুমোদন
বিগত ৩ নির্বাচনের সঙ্গে জড়িতদের বিচার চায় এনসিপি
এপ্রিলে ১৯ দিনেই প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্স ২১ হাজার কোটি টাকা ছাড়াল
দুইবারের বেশি প্রধানমন্ত্রী না হওয়া নিয়ে বিএনপির অভিমত
ফাইয়াজের মামলায় আইন মন্ত্রণালয়ের এখতিয়ার নেই: আসিফ নজরুল
ভারতের উত্তরপ্রদেশে এক ছাত্রীকে ৭ দিন ধরে আটকে ২৩ জন মিলে ধর্ষণ!
বিরামপুরে পিকআপের ধাক্কায় এসএসসি পরীক্ষার্থীর মর্মান্তিক মৃত্যু