কর পুনর্বিবেচনা করে বাজেটকে সময়োপযোগি করা যাবে: ড. আতিউর রহমান
বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর এবং উন্নয়ন সমন্বয়ের সভাপতি অধ্যাপক ড. আতিউর রহমান বলেছেন, ‘আমদানি-নির্ভরতা কমানোর চাপ এবং করোনা-পরবর্তি অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারের জন্য বরাদ্দ ও চাহিদা-এ দুয়ের মধ্যে ভারসাম্য করে (২০২২-২৩) অর্থবছরের জন্য একটি সতর্কমূলক বাজেট প্রস্তাব করেছে। তবে বাজেটের কিছু কর প্রস্তাব পুনর্বিবেচনার দাবি রাখে।
রাজধানীর বাংলামোটরে উন্নয়ন সমন্বয়ের বাজেট পরবর্তি সংবাদ সম্মেলনে অনলাইনে মূল নিবন্ধ উপস্থাপনকালে তিনি এ কথা বলেন। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন সংস্থার লিড ইকোনমিস্ট রবার্ট শুভ্র গুদা, পলিসি অ্যানালিস্ট জিনিয়া শারমিন, অর্থনীতিবিদ ড. জামাল উদ্দীন এবং সমাজতাত্ত্বিক খন্দকার সাখাওয়াত আলী।
ড. আতিউর রহমান বলেন, ‘নাগরিকদের আর্থসামাজিক সুরক্ষাকে অগ্রাধিকার দিয়ে প্রবৃদ্ধি সচল রাখার মাধ্যমে অন্তর্ভুক্তিমূলক অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধার এগিয়ে নেয়াটিই এ বাজেটের লক্ষ্য। তবে ঢালাওভাবে সকল কোম্পানির জন্য উৎসে কর বাড়ানো, মোবাইল ফোন, ল্যাপটপ ও ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেটের ওপর কর বৃদ্ধি, এবং পাচার করা টাকা দেশে ফিরিয়ে আনার সুযোগ রাখার যে প্রস্তাবগুলো বাজেটে আছে সেগুলো অবশ্যই পুনর্বিবেচনা করার আহ্বান জানান। এছাড়া তিনি এ মূহূর্তে জরুরি নয় এমন ব্যয় আরও সঙ্কুচিত করে সামাজিক নিরাপত্তা, শিক্ষা ও স্বাস্থ্যে বাজেট আরও বাড়ানোর পক্ষে মত দেন।
ড. জামাল উদ্দিন বলেন, কর-জিডিপি অনুপাত বাড়াতে হবে। এনবিআর-এর রাজস্ব আহরণের দক্ষতা বৃদ্ধি করতে হবে। উপজেলা পর্যায় থেকে কার্যকরভাবে কর আহরণের কোন প্রস্তুতি এখন নেই। তা করতে হবে।’
জেডএ/