যেসব পণ্যের দাম কমতে পারে
অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তাফা কামাল ২০২২-২৩ অর্থবছরের যে বাজেট ঘোষণা করেছেন তাতে বিভিন্ন পণ্যের সম্পূরক শুল্ক, আমদানিশুল্ক অথবা মূল্য সংযোজন কর (মূসক/ভ্যাট) কমানো হয়েছে। ফলে অনেক পণ্য আমদানিতে ব্যয় কমতে পারে। কিছু ক্ষেত্রে দেশে উৎপাদন ও বিক্রির ক্ষেত্রে কর ছাড় দেওয়া হয়েছে। এ কারণে দেশীয় পণ্যেরও দাম কমতে পারে।
বৃহস্পতিবার (৯ জুন) জাতীয় সংসদে দেওয়া ২০২২-২০২৩ অর্থবছরের বাজেট বক্তব্যে দাম কমানোর এই প্রস্তাব করেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।
যেসব পণ্য বা সেবার দাম কমতে পারে
স্বর্ণের দাম কমবে
জুয়েলারি শিল্পের প্রসারে স্বর্ণ আমদানিতে অগ্রিম কর প্রত্যাহার করা হয়েছে। ফলে স্বর্ণাংলাকারের দাম আগের চেয়ে কমতে পারে।
রেস্তোরাঁয় খাবার
শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত (এসি) ও নন-এসি রেস্তোরাঁর উপর ভ্যাট হার যথাক্রমে ১০ শতাংশ ও ৫ শতাংশ এর পরিবর্তে উভয় ক্ষেত্রে ৫ শতাংশ নির্ধারণ করার প্রস্তাব করেছেন অর্থমন্ত্রী। তবে তিন তারকা বা তদূর্ধ্ব মানের হোটেলে অবস্থিত রেস্তোরাঁ এ ছাড় পাবে না।
হুইল চেয়ার
প্রস্তাবিত বাজেটে হুইল চেয়ার আমদানিতে বিদ্যমান সব ধরনের শুল্ককর বিলোপ করার প্রস্তাব করা হয়েছে। শারীরিকভাবে অক্ষম ব্যক্তিদের সুবিধার্থে এই প্রস্তাব করা হয়েছে। ফলে হুইল চেয়ারের দাম কমতে পারে।
মুড়ি ও চিনি
এই পণ্য দুটির ব্যবসায়ী পর্যায়ে ভ্যাট অব্যাহতি প্রদানের প্রস্তাব করা হয়েছে। এ কারণে পণ্য দুটির দাম কমতে পারে।
কাজু বাদাম
কাজু বাদামের আমদানি শুল্ক ২৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ১ শতাংশ করার প্রস্তাব করা হয়েছে। পয়োবর্জ্য শোধনাগারের আমদানি শুল্ক ২৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৫ শতাংশ করার প্রস্তাব করা হয়েছে।
পোলট্রি ও গোখাদ্য
হাঁস-মুরগি ও গবাদি পশুর খাবার তৈরির উপকরণে করছাড় দেওয়ার প্রস্তাব করা হয়েছে। এতে এ সব পণ্যের উৎপাদন ব্যয় কমতে পারে।
রড
বিভিন্ন প্রকার এমএস প্রোডাক্টের ক্ষেত্রে উৎপাদন পর্যায়ে বিদ্যমান সুনির্দিষ্ট করের পরিমাণ প্রতি ক্ষেত্রে টনপ্রতি ২০০ টাকা বৃদ্ধির প্রস্তাব করেছেন অর্থমন্ত্রী। তবে ব্যবসায়ী পর্যায়ের ভ্যাট টন প্রতি ৫০০ টাকার পরিবর্তে ২০০ টাকা নির্ধারণ করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। ফলে রডের দাম কমতে পারে।
এ ছাড়া দেশীয় পর্যায়ে উৎপাদিত ল্যাপটপ, ডেক্সটপ, হার্ডাডিস্ক, সিসিটিভি, তথ্যপ্রযুক্তি পণ্য,দেশীয় ডায়াপার,স্যানিটারি ন্যাপকিন,মাইক্রোবাস, হাইব্রিড গাড়ি,দেশীয় মোটরগাড়ি, দেশীয় মুঠোফোন, দেশীয় টিভি, কলম, পেপার, স্পিনিং মিলের পেপার, মাইক্রোওভেন, ইলেকট্রিক ওভেন, প্রেসার কুকার, ওয়াশিং মেশিন, কৃষিযন্ত্রপাতি, ক্যাপসিকাম,পাওয়ার টিলার, নির্মাণ সামগ্রি দাম কমানোর প্রস্তাব করেছেন অর্থমন্ত্রী। এর ফলে এ সব পণ্যের দাম কমতে পারে।
এনএইচবি/আরএ/