মে মাসে রপ্তানি আয়ে ভাটা
কোনো ক্রমেই রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাব থেকে রক্ষা পাচ্ছে বাংলাদেশ। এপ্রিলে ভালো করলেও বিদায়ী মাসে বড় ধরনের প্রভাব পড়েছে রপ্তানি আয়ে। সদ্য সমাপ্ত মে মাসে বিভিন্ন পণ্য রপ্তানি করে ৩৮৩ কোটি (৩.৮৩ বিলিয়ন) ডলার আয় করেছে বাংলাদেশ। যা এপ্রিল ছিলো রেকর্ড পরিমান ৪৭৩ কোটি ৮৭ লাখ (৪.৭৪ বিলিয়ন) ডলার। এক মাসের ব্যবধানে রপ্তানি আয় কম এসেছে ১৯ দশমিক ১৭ শতাংশ।
মে মাসে এই আয় গত ৯ মাসের মধ্যে সবচেয়ে কম। আর নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে কম ১ দশমিক ৬৪ শতাংশ। তবে ৯ মাসে মোট রপ্তানি আয় লক্ষ্যের চেয়ে বেশি অর্জন হয়েছে ১৮ দশমিক ৩৪ শতাংশ। রপ্তানি আয়েও প্রবৃদ্ধি ধরে রাখা সম্ভব হয়েছে চলতি ২০২১-২২ অর্থবছরের ১১ মাসে। কারণ জুলাই-মে সময়ে পণ্য রপ্তানি থেকে সব মিলিয়ে ৪৭ দশমিক ১৭ বিলিয়ন ডলার আয় হয়েছে। যা গত ২০২০-২১ অর্থবছরের একই সময়ের চেয়ে ৩৪ দশমিক শূন্য ৯ শতাংশ বেশি।
রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) হালনাগাদ প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানা গেছে। ইপিবি বৃহস্পতিবার (২ জুন) রপ্তানি আয়ের এই প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। ইপিবি প্রতিবেদনে দেখা যায়, মে মাসে রপ্তানির লক্ষ্যমাত্রা ধরা ছিল ৩৮৩ কোটি ডলার। আয় হয়েছে ৩১০ কোটি ৮০ লাখ ডলার। কমেছে এক দশমিক ৩৪ শতাংশ। আগের মাস এপ্রিলে আয় হয়েছিল ৪৭৩ কোটি ৮৬ কোটি ডলার। আর গত বছরের মে মাসে আয় হয়েছিল ৩১০ কোটি ৮০ লাখ ডলার।
গত বছরের আগস্টে পণ্য রপ্তানি থেকে ৩৩৮ কোটি ৩০ লাখ ডলার আয় করেছিল বাংলাদেশ। এর পর থেকে প্রতি মাসেই ৪০০ কোটি (৪ বিলিয়ন) ডলারের বেশি রপ্তানি দেশে এসেছে। সবচেয়ে বেশি এসেছিল গত বছরের ডিসেম্বরে, ৪৯০ কোটি ৭৭ লাখ ডলার।
মে মাসে কমলেও জুলাই-মে মাসে পণ্য রপ্তানি থেকে সব মিলিয়ে ৪৭ দশমিক ১৭ বিলয়ন ডলার আয় হয়েছে, যা গত ২০২০-২১ অর্থবছরের একই সময়ের চেয়ে ৩৪ দশমিক শূন্য ৯ শতাংশ বেশি। লক্ষ্যের চেয়ে আয় বেশি এসেছে ১৮ দশমিক ৩৪ শতাংশ। কারণ ১১ মাসের রপ্তানির লক্ষ্য ধরা হয়েছিলো ৪ হাজার ৩৫০ কোটি ডলার।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, রপ্তানি আয়ের প্রায় ৮০ ভাগ আসে পোশাক শিল্প থেকে। তাই যুদ্ধের কারণে পোশাকের প্রধান বাজার ইউরোপ ও আমেরিকায় মূল্যস্ফীতি অনেক বেড়ে গেছে। সে কারণে ওইসব বাজারে প্রভাব পড়েছে রপ্তানি আয়ে। এপ্রিলে অনেক বেশি রপ্তানি আয় হলেও পোশাক শিল্প থেকে মে মাসে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ১৯. ৬১শতাংশ। যা গত বছরের একই সময়ে হয়েছিলো ৩৪.৮৭ শতাংশ।
জেডএ/এএজেড