হলমার্ক দেখে সোনার গহনা কিনতে বাজুসের আহ্বান
হলমার্ক দেখে মানসম্মত সোনার গহনা কিনতে ক্রেতাদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন-বাজুস। সংগঠনটি বলেছে-সঠিক মানের সোনার গহনা ক্রয় ও বিক্রয় নিশ্চিত করতে ক্রেতা এবং বিক্রেতাদের এগিয়ে আসতে হবে। এই লক্ষ্যে ক্রেতাদের মান যাচাই করে সোনার গহনা কেনার অনুরোধ করেছেন বাজুস নেতারা।
বুধবার (১ জুন) রাজধানীর বসুন্ধরা সিটি শপিং কমপ্লেক্সের লেভেল ১৯-এ বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন-বাজুস স্ট্যান্ডিং কমিটি অন এন্টি স্মাগলিং অ্যান্ড ল এনফোর্সমেন্ট আয়োজিত ‘স্বর্ণের মানোন্নয়ন শীর্ষক মতবিনিময় সভায় বক্তারা এসব কথা বলেন। এতে সভাপতিত্ব করেন বাজুস স্ট্যান্ডিং কমিটি অন এন্টি স্মাগলিং অ্যান্ড ল এনফোর্সমেন্ট্রে চেয়ারম্যান ও সংগঠনের সাবেক সভাপতি এনামুল হক খান দোলন।
সভায় বাজুসের সাবেক সভাপতি এম এ ওয়াদুদ খান বলেন, ‘দেশে যে সব সোনার মান নিয়ন্ত্রণে ল্যাব রয়েছে, তা আরও উন্নত করা জরুরি। এ সব ল্যাব আধুনিকায়ন করতে হবে। হলমার্ক ছাড়া সোনার গহনা বিক্রি করা যাবে না।
বাজুসের সাবেক সভাপতি কাজী সিরাজুল ইসলাম বলেন, ‘যারা নিম্মমানের সোনার গহনা বিক্রি করছে, তাদের ওপর নজরদারি করতে হবে। বাজুসের একটি মনিটরিং ঠিম গঠন করে সোনার মানোন্নয়ন করতে হবে।
বাজুসের সাবেক সভাপতি ডা. দিলিপ কুমার রায় বলেন, ‘যে কোন মূল্যে সোনার মান ঠিক করতে হবে। সোনার গহনার ক্রেতাদের ঠকানো যাবে না। দেশের সকল জুয়েলারি প্রতিষ্ঠানে সর্বোচ্চ মানের গহনা বিক্রি করতে হবে।
বাজুসের সাবেক সভাপতি ও সংগঠনের স্ট্যান্ডিং কমিটি অন এন্টি স্মাগলিং অ্যান্ড ল এনফোর্সমেন্ট্রে চেয়ারম্যান এনামুল হক খান দোলন বলেন, এখন থেকে কোন জুয়েলারি প্রতিষ্ঠান হলমার্ক ছাড়া সোনার গহনা বিক্রি করবেন না, আবার ক্রেতারাও কিনবেন না। সঠিক মানের সোনার গহনা ক্রয় ও বিক্রয় নিশ্চিত করতে হবে। ক্রেতাদেরও মান যাচাই করে সোনার গহনা কেনার অনুরোধ করছি। এই খাতে প্রতারকদের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করবে বাজুস।
বাজুসের সহসভাপতি আনোয়ার হোসেন বলেন, নিম্মমানের সোনার গহনা তৈরির সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিতে হবে। কোন চোরাকারবারির দায়িত্ব বাজুস নেবে না। বাজুসের সহসভাপতি এম এ হান্নান আজাদ বলেন, যে সব জুয়েলারি প্রতিষ্ঠান নিম্মমানের সোনার গহনা বিক্রি করে, তাদের আইনি পদক্ষেপ ও শাস্তির আওতায় নিয়ে আসতে হবে। দেশের বাজারে সোনার গহনার আর্ন্তজাতিক মান নিশ্চিত করতে হবে।
সভায় বক্তব্য দেন, বাজুস সাধারণ সম্পাদক দিলিপ কুমার আগরাওয়ালা, বাজুসের সহ-সম্পাদক সমিত ঘোষ, বাজুসের সহ-সম্পাদক ও সংগঠনের স্ট্যান্ডিং কমিটি অন এন্টি স্মাগলিং অ্যান্ড ল এনফোর্সমেন্ট্রে ভাইস-চেয়ারম্যান বিধান মালাকার, বাজুসের সহ-সম্পাদক জয়নাল আবেদিন খোকন ও লিটন হাওলাদার, বাজুসের কোষাধক্ষ্য উত্তম বণিক, বাজুসের কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য বাবুল মিয়া, পবিত্র চন্দ্র ঘোষ, রিপনুল হাসান, বাজুস স্ট্যান্ডিং কমিটি অন এন্টি স্মাগলিং এন্ড ল এনফোর্সমেন্ট্রে সদস্য সচিব ইকবাল উদ্দিন।
জেডিএ/