জ্বালানি তেলের দাম বিশ্ববাজারে সর্বোচ্চ
ইউক্রেনে রুশ হামলা জেরে বিশ্ববাজারে তেলের দাম দুই মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ। রাশিয়া থেকে তেল আমদানির ওপর ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) সর্বশেষ নিষেধাজ্ঞা জারির পর তেলের দাম আবার বেড়েছে।
এদিকে ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের ফলেই রাশিয়া থেকে চীন, ভারত ও নেপাল স্বল্পমূল্যে তেল কেনা শুরু করেছে। বাংলাদেশও তেল কিনতে ভারতের পরামর্শ চেয়েছে।
সোমবার (৩০ মে) রাতে ব্রাসেলসে একটি সম্মেলনে সমুদ্রপথে রাশিয়ার তেল পরিবহনের উপর সর্বসম্মত নিষেধাজ্ঞা জারি করে ইইউর দেশগুলো।
এ বিষয়ে তারা নিয়ে চুক্তিও করে ইইউর নেতারা। এ সিদ্ধান্তের কারণে এখন থেকে রাশিয়ার দুই-তৃতীয়াংশ তেল ইউরোপে রপ্তানির পথ বন্ধ হয়ে গেল। কারণ, রাশিয়ার তেলের দুই-তৃতীয়াংশ সমুদ্রপথেই ইউরোপে যায়।
সংবাদ মাধ্যম বিবিসি জানিয়েছে, ইইউর নতুন নিষেধাজ্ঞা জারির পরই বিশ্ববাজারে বাড়তে থাকে তেলের দাম।
মঙ্গলবার (৩১ মে) সকালে প্রতি ব্যারেল ব্রেন্ট ক্রুডের দাম ১২৩ ডলারের ওপরে উঠেছিল। ইউক্রেন যুদ্ধ ও করোনার বিধিনিষেধ তুলে নেওয়ার পর সাম্প্রতিক সময়ে বিশ্বব্যাপী তেল ও গ্যাসের দাম বেড়েছে। ক্রমবর্ধমান জ্বালানির খরচে ইউরোপের ভোক্তা ও ব্যবসা-বাণিজ্যের উপর চাপ তৈরি হয়েছে। রাশিয়াকে চাপে রাখতে পশ্চিমা দেশগুলো রাশিয়ার জ্বালানি সরবরাহ বন্ধ করতে নানা উদ্যোগ নিচ্ছে।
বর্তমানে ইউরোপীয় ইউনিয়নের আমদানি করা তেলের ২৭ শতাংশ ও গ্যাসের ৪০ শতাংশ আসে রাশিয়া থেকে। এর মাধ্যমে রাশিয়া বছরে প্রায় ৪২ হাজার ৯০৯ কোটি ডলার বা ৪০০ বিলিয়ন ইউরো আয় করে।
ইইউ কমিশনের প্রেসিডেন্ট চার্লস মিশেল জানিয়েছেন, এ সিদ্ধান্তের কারণে ইউক্রেন যুদ্ধ পরিচালনায় রাশিয়ার খরচে টান পড়বে। কারণ, যুদ্ধের জন্য যে বিপুল খরচ হয়, তার একটা অংশ আসে ইউরোপে রাশিয়ার তেল বিক্রির আয় থেকে।
অন্যদিকে, তেল রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা দিলেও এখন পর্যন্ত রাশিয়া থেকে গ্যাস আমদানির ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা জারি করেনি ইইউ। শুধু রাশিয়া থেকে জার্মানিতে যাওয়া নতুন একটি গ্যাস পাইপলাইনের পরিকল্পনা স্থগিত হয়েছে।
এমএমএ/