সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪ | ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

রবিবার খাদ্য মন্ত্রণালয়ের মিটিং

কারসাজিতে ভরা মৌসুমেও বাড়ছে চালের দাম

বোরো ধানের মৌসুম শেষের দিকে। তারপরও প্রতিদিনই বাড়ছে চালের দাম। ক্রেতারা বলছেন, এভাবে প্রতিদিন চালের দাম বাড়লে আমরা খাব কি? বিক্রেতারা বলছেন, মিলমালিক ও বড় বড় কোম্পানির কারসাজিতে বাড়ছে চালের দাম। তারা মজুত করে রাখছে। বাজারে চাল ছাড়ছে না। টাকা দিলেও ধানের দাম বেশি বলে চাল দিচ্ছে না। শনিবার (২৮ মে) রাজধানীর কারওয়ান বাজারসহ বিভিন্ন বাজার ঘুরে এমনই চিত্র পাওয়া গেছে। এভাবে চালের বাজার লাগামহীন হয়ে পড়ায় রবিবার খাদ্যমন্ত্রণালয়ে জরুরি মিটিং ডাকা হয়েছে। সেখানে বিভিন্ন রাইসমিল মালিকদের উপস্থিত হওয়ার জন্য মন্ত্রণালয় থেকে চিঠি দেওয়া হয়েছে। সংশ্লিষ্ট সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।

আমনের পর এবার বোরো মৌসুমেও ধান উঠা প্রায় শেষ হতে যাচ্ছে। বোরা ধানে উঠার আগে কম চালের দাম বলে ব্যবসায়ীরা জানিয়েছিলেন। কিন্তু নতুন ধান উঠলেও কমছে না চালের দাম। এতে খোদ পাইকারিও খুচরা ব্যবসায়ীরা বিরক্ত। তারা বলছেন, আগে বলা হয়েছিল ধান নেই, নতুন ধান উঠলে কমবে চালের দাম। কিন্তু বোরো ধান উঠা প্রায় শেষ হতে যাচ্ছে। তারপরও নেই কোনো সুখবর। বরং বাড়ছে দাম।

কারওয়ান বাজার, মোহাম্মসদপুরের কৃষিমার্কেটসহ বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে প্রায় দোকানো ঠাসা ঠাসা বস্তায় চাল। চালে ভরে আছে দোকান। কিন্তু তা বাড়তি বা আগের চেয়ে বেশি দামে বিক্রি করা হচ্ছে। এর কারণ কী জানতে চাইলে কারওয়ান বাজারের আল্লাহর দান রাইস এজেন্সির মালিক মো. আব্দুল আওয়াল ঢাকাপ্রকাশ-কে বলেন, ‘প্রতি দিন বাড়ছে চালের দাম। তিন দিনের ব্যবধানে বস্তায় বেড়েছে ৩০০ টাকা। কারণ তিন দিন আগে মিনিকেটের বস্তা ছিলো ২৩০০ টাকা, তা বেড়ে হয়েছে ২৬০০ টাকা। কেজিতে বেড়েছে ৬ টাকা। মিনিকেট চালের দামও বেড়েছে কেজিতে তিন থেকে চার টাকা। কারণ ২১০০ টাকার বস্তা হয়েছে ২৩০০ টাকা। একইভাবে গরীবের চাল নামে পরিচিত মোটা গুটি স্বর্ণার দামও বাড়ছে। তা কোনোক্রমেই কমছে না। তা ৪৮ থেকে ৫২ টাকা কেজি বিক্রি করা হচ্ছে। অনেক ব্যবসায়ীরা আবার দাম বেশি হওয়ায় নেই বলে জানান। অনেকে বলছেন বেশি দামে কিনে অপবাদ নিয়ে বেশি দামে বিক্রি না করাই ভালো।

দীর্ঘ দিনের অভিজ্ঞতার আলো তিনি আরও বলেন মিলমালিকদের ও বড় বড় কোম্পানির সিন্ডিকেটে আটকে যাচ্ছে চাল। তাইতো তারা সহজে পাইকারি ব্যবসায়ীদের চাল দিচ্ছে না। টাকা দিয়েও চাল পাওয়া যাচ্ছে না। এজন্য বাজারে চালও কমে যাচ্ছে।’ শুধু ওই ব্যবসায়ী নয়, হাজী রাইস এজেন্সি, কুমিল্লা রাইস এজেন্সিসহ প্রায় সকল চাল ব্যবসায়ীরা বলছেন, সরকারের কঠোর পদক্ষেপ ছাড়া কমবে না চালের দাম। কারণ মিলমালিকরা সহজে চাল দিচ্ছে না।

এদিকে কৃষিমার্কেটের প্রত্যাশা রাইস এজেন্সির মো, মাঈন উদ্দিনও ঢাকাপ্রকাশ-কে বলেন, প্রতি দিনই বাড়ছে চালের দাম। এটা কোথায় ঠেকবে বলা মুসকিল। আমরা প্রতিদিন বাড়তি দামে চাল কিনছি। তাই বেশি দামে বিক্রি করা হচ্ছে।’ তিনি আরও বলেন, মিলমালিকরা বলছে, বাড়তি চালের দাম। তাই বেশি দামে কিনতে হচ্ছে। কিন্তু বিক্রি কম হচ্ছে। কারণ ভোক্তারা হিমসিম খাচ্ছে বাড়তি দারের কারণে। সরকার ইচ্ছা করলে এটা বন্ধ করতে পারে। চালের মিলে অভিযান চালাতে হবে। একই সঙ্গে আমদানি করতে হবে। তবেই কমতে পারে চালের দাম।

এদিকে সব চালের দাম বাড়ায় বিপাকে পড়েছেন, নিম্ন আয়ের মানুষ। তারা বলছেন, এভাবে চালসহ সব জিনিসের দাম বাড়তে থাকলে আমরা খাব কি? জেসমিন নামে এক বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত ক্রেতা ঢাকাপ্রকাশ-কে বলেন, ‘চালসহ আটা, ডিম, চিনি, তেলের দাম বেড়ে গেছে। এভাবে প্রায় জিনিসের দাম বেড়েই যাচ্ছে। একবার বাড়লে আর কমে না। সরকারের উচিৎ যেভাবে হোক চালসহ সব জিনিসের দাম কমাতে হবে। চালেরমিলে মনিটরিং করতে হবে। সিন্ডিকেট ভাঙ্গতে হবে। এ সময় মো. হানিফ নামেও আর একজন বিক্রেতা বলেন, বেড়েই যাচ্ছে সব জিনিসের দাম। একেবারে লাগামহীন হয়ে পড়েছে চালসহ নিত্যপণ্যের দাম। আমরা তাহলে খাব কি? যাব কোথায়? তিনি আরও বলেন, যেভাবে ব্যয় বাড়ছে তাতে আয়তো আর বাড়ে না। বাধ্য হয়ে খাবারের মধ্যে সমন্বয় করতে হচ্ছে। ব্যাখা করে তিনি বলেন, ধরুন আগে সপ্তাহে দুই ডজন ডিম খেতাম। বর্তমানে এক জডন খাচ্ছি। চালও কম খেয়ে সবজির দিকে নজর দিতে হচ্ছে।’

রাজধানীতে চালের বাজার নিয়ন্ত্রণহীন হয়ে পড়ায় নওগা, রাজশাহী, দিনাজপুরসহ বিভিন্ন জেলায় খোজ নিয়ে জানা গেছে প্রতি মন ধান ১১০০ থেকে ১২০০ টাকা বিক্রি করা হচ্ছে। জানতে চাইলে নওগার নিয়মতপুরের কমিপুর গ্রামের বাবু বলেন, ‘আগে কম দাম ছিলো। বর্তমানে বেড়ে সর্বোচ্চ ১১৬০ টাকা মন ধান বিক্রি করা হয়েছে। সাধারণত প্রতি মন ধানে ২৫ কেজি চাল হয়। এতে প্রতি কেজির দাম ৪৬ থেকে ৪৭ টাকা হয়। সেই চাল ঢাকায় মিনিকেট নামে ৬৪ থেকে ৬৬ টাকা, আর আটাশ নামে ৫২ থেকে ৫৫ টাকা কেজি বিক্রি করছেন ব্যবসায়ীরা।

ভরা মেীসুমেও চালের বাজার লাগামহীন কেন তা জানতে যোগাযোগ করা হলে বাংলাদেশ অটো রাইসমিল এ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক কে এম লায়েক আলী ঢাকাপ্রকাশ-কে বলেন, ‘কেন বাড়ছে চালের দাম তা জানাতে খাদ্যমন্ত্রীর সঙ্গে রবিবার মিটিং আছে সেখানে জানানো হবে। বাজারে খোজ নিলেই জানা যাবে এর কারণ। অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন,‘ধানের দাম বাড়ছে তাই চালের দামও বাড়ছে। এটাই সোজা কথা। ধানের দাম বাড়িয়ে কম দামে চাল মিলবে না।’
এএজেড

Header Ad

বেনাপোলে টানা ৪ দিন বন্ধ রয়েছে দূরপাল্লার সকল পরিবহন

বেনাপোলে টানা ৪ দিন বন্ধ রয়েছে দূরপাল্লার সকল পরিবহন। ছবি: ঢাকাপ্রকাশ

যশোরের বেনাপোল স্থলবন্দর থেকে চতুর্থ দিনের মত দূরপাল্লার সব পরিবহন বাস বন্ধ রয়েছে। বাস মালিক সমিতি পূর্ব ঘোষনা অনুযায়ী সোমবার (২৫ নভেম্বর) সাতক্ষীরা থেকে ঢাকাগামী সকল দূরপাল্লার বাস বন্ধ রেখেছে।

এতদিন বেনাপোল থেকে দূরপাল্লার বাস বন্ধ থাকলেও ভারত ফেরত অনেক পাসপোর্ট যাত্রী ১২ কিলোমিটার দূরে নাভারন সাতক্ষীরা মোড় থেকে সাতক্ষীরা রুটের গাড়ি ধরে বাড়ি ফিরছিলেন।সোমবার থেকে সেটাও বন্ধ করে দিয়েছে মালিক সমিতি।

এতে প্রতিদিন ভারত ফেরত হাজার হাজার যাত্রী চরম দুর্ভোগে পড়েছেন। যাত্রীদের চেকপোস্টে না নিতে দিয়ে গভীর রাতে পৌর বাস টার্মিনালে নামাতে বাধ্য করার অভিযোগে শুক্রবার রাত থেকে বেনাপোলের দূরপাল্লার সব বাস বন্ধ রেখেছে মালিক সমিতি।

বেনাপোল পরিবহন ম্যানেজার সমিতির সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান বলেন,"আমাদের দাবি-দাওয়া না মানায় পরিবহন মালিকরা তাদের গাড়ি এই রুটে চালাবে না বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। আজ সোমবার থেকে সাতক্ষীরা রুটও বন্ধ করে দিয়েছে মালিক সমিতি।"

সাতক্ষীরা কে লাইন পরিবহনের জামতলা কাউন্টার প্রধান আনোয়ার হোসেন বিদ্যুৎ বলেন,বেনাপোলের সমস্যার সমাধান না হওয়ায় সাতক্ষীরা থেকে দূরপাল্লার পরিবহণের সকল বাস বন্ধ করে দিয়েছে মালিক সমিতি।পরবর্তী নির্দেশ না পাওয়া পর্যন্ত আমরা কোন টিকিট বিক্রি করছি না।

এদিকে হঠাৎ করে বেনাপোল থেকে দূরপাল্লার যাত্রীবাহী বাস চলাচল বন্ধ থাকায় আটকা পড়েছেন ভারত থেকে আসা হাজার হাজার পাসপোর্টধারী যাত্রী। গন্তব্যে যেতে তারা প্রাইভেটকার, মাইক্রোবাস,ট্রেন ব্যবহার করছেন। এতে ভোগান্তি,সময় অপচয়ের পাশাপাশি খরচও বেশি হচ্ছে বলে যাত্রীরা অভিযোগ করেছেন।

বেনাপোল চেকপোস্টে কথা হয় ভারত ফেরত যাত্রী নেত্রকোনার জিতেন সাহা, নারায়নগঞ্জের সাদ্দাম হোসেন টিপু, ঢাকার ফজলুর রহমান শেখ, লাল্টু হোসেন ও বিনয় পালের সাথে।

নেত্রকোনার জিতেন সাহা বলেন, তিন জন মিলে একটি প্রাইভেট নিয়ে যশোর যাচ্ছি।সেখান থেকে বাস ধরে বাড়ি যাবো।ভারত থেকে দেশে ফিরে এখন দেখছি 'দূর্ভোগের শেষ নেই'।

যশোর জেলা বাস মালিক সমিতির সভাপতি মুসলিম উদ্দিন পাপ্পু জানান, বেনাপোল চেকপোস্টে বন্দর ভেহিক্যাল টার্মিনাল চালু হওয়ায় কমে গেছে গাড়ির জট। বাস চলাচলে কোন যানজট হয়না। ভারত বাংলাদেশের আমদানি রপ্তানি পণ্যবাহী ট্রাকের কারনে সৃষ্টি হত যানজটের। দূরপাল্লার যাত্রীদের নিরাপত্তা ও দুর্ভোগের বিষয়টি কর্তৃপক্ষের বিশেষ বিবেচনার দাবী জানান মুসলিম উদ্দিন পাপ্পু।

বেনাপোলে যানজট নিরসনে পৌর বাস টার্মিনাল ব্যবহারে নির্দেশনা দেয় জেলা প্রশাসন। পরিবহন কর্তৃপক্ষ পৌর বাস টার্মিনাল ব্যবহারে সহমত পোষন করে দিনের বাসগুলো ছাড়ছিল সেখান থেকেই। যাত্রীদের নিরাপত্তা ও সুবিধায় রাতের বাস চেকপোস্ট টার্মিনালে এসে যাত্রী নামিয়ে দিয়ে বাস যাচ্ছিল পৌর টার্মিনালে। এরই মধ্যে হঠাৎ করে ২২ নভেম্বর গভীর রাতে ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা বাসের যাত্রী পৌর বাস টার্মিাালে নামিয়ে নেওয়া হয়। বাস প্রবেশে দেওয়া হয বাধা। এরই প্রতিবাদে বাস চলাচল বন্ধ রাখে মালিক সমিতি। টানা চার দিন দুর পাল্লার পরিবহন চলাচল বন্ধে ভারত বাংলাদেশ যাতায়াতকারী যাত্রীরা পড়ছেন সীমাহীন ভোগান্তিতে। এর সুরাহা চান ভুক্তভোগী যাত্রীরা।

Header Ad

৮ হাজার শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে পুলিশের মামলা

ছবি: সংগৃহীত

রাজধানীর ড. মাহবুবুর রহমান মোল্লা কলেজসহ বিভিন্ন কলেজের ৮ হাজার শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে ভাঙচুর ও গুলিভর্তি ম্যাগাজিন চুরির অভিযোগে মামলা করেছে পুলিশ। সোমবার (২৫ নভেম্বর) সূত্রাপুর থানার সাধারণ নিবন্ধন শাখারুম সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

এর আগে গতকাল রোববার (২৪ নভেম্বর) সূত্রাপুর থানার উপপরিদর্শক এ কে এম হাসান মাহমুদুল কবীর বাদী হয়ে মামলাটি করেন।

ঢাকার অ্যাডিশনাল চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জিয়াদুর রহমানের আদালত তা গ্রহণ করেন। আগামী ২৪ ডিসেম্বরের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন আদালত।

মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, গতকাল ২৪ নভেম্বর ড. মাহবুবুর রহমান মোল্লা কলেজসহ বিভিন্ন কলেজের সাত-আট হাজার শিক্ষার্থী বেআইনি জনতাবদ্ধে মারাত্মক অস্ত্র-শস্ত্রসহ দাঙ্গা সৃষ্টি করে সরকারি সম্পত্তি ভাঙচুর করে। সরকারি অস্ত্রের (পিস্তল) গুলিভর্তি ম্যাগাজিন চুরি, সরকারি ডিউটিতে ব্যবহৃত এপিসি গাড়ি ভাঙচুর করে ক্ষতিসাধন করে।

কর্তব্যরত পুলিশ সদস্যদের ওপর আক্রমণ করা, জীবননাশের হুমকি দেওয়া এবং ত্রাস সৃষ্টির মাধ্যমে অন্তর্ঘাতমূলক কাজ করে। এছাড়া পুলিশের এপিসি কার ও ডিউটিরত পুলিশের মোটরসাইকেল ভাঙচুর করে দুই লাখ ৭০ হাজার টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে।

এতে পেনাল কোড ১৯৭৪ সালের বিশেষ ক্ষমতা আইনের ১৫(৩) ধারার অপরাধ আনা হয়েছে।

Header Ad

ঋণ দেওয়ার নামে শাহবাগে লোক জড়ো করা মোস্তফা আমীন আটক

মোস্তফা আমীন। ছবি: সংগৃহীত

‘বিনা সুদে এক লাখ টাকা ঋণের প্রলোভন দেওয়া অহিংস গণঅভ্যুত্থান বাংলাদশের আহ্বায়ক আ ব ম মোস্তাফা আমীনকে আটক করেছে পুলিশ। সোমবার (২৫ নভেম্বর) সন্ধ্যায় তাকে আটক করা হয়।

‘বিদেশে পাচার করা অর্থ দেশে ফিরিয়ে জনপ্রতি এক লাখ টাকা ঋণ দেওয়া হবে, এজন্য শাহবাগে বিশাল সমাবেশে জড়ো হতে হবে।’ এমন কথা বলে রাজধানীর শাহবাগে লক্ষাধিক মানুষের সমাবেশের চেষ্টা করে পরিস্থিতি অস্থিতিশীল করার অভিযোগ উঠেছে অহিংস গণঅভ্যুত্থান বাংলাদশ নামের একটি সংগঠনের বিরুদ্ধে।

এই অভিযোগে সংগঠনটির আহ্বায়ক মোস্তফা আমীনকে আটক করে পুলিশ।

এসব অসহায় মানুষদের বলা হয়েছিল সোমবার (২৫ নভেম্বর) সকাল ১০টায় রাজধানীর শাহবাগে একটি গুরুত্বপূর্ণ সভা হবে, যেখানে ঋণ সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। মূলত ঢাকায় একটি সমাবেশ করার উদ্দেশ্যেই এরকম প্রলোভন দেওয়া হয় বলে জানা গেছে।

সভায় আসা ব্যক্তিদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, মোস্তাফা আমিন নামে এক ব্যক্তির মিটিং আছে সকাল ১০টায়। এ কথা বলে তাদের ফরম পূরণ করিয়ে ঢাকায় নিয়ে আসেন। মোস্তাফা ফরওয়ার্ড পার্টির আহ্বায়ক বলে জানা গেছে।

আরও জানা গেছে, এনজিও সংস্থার পরিচয়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে কিছু ব্যক্তি মানুষকে বিনা সুদে ঋণ দেওয়ার আশ্বাস দেন। যারা বলেছেন, ঢাকায় গেলে বিনা সুদে ১ থেকে ১০ লাখ টাকা করে ঋণ দেওয়া হবে। অনেকের কাছ থেকে এ জন্য ১ হাজার টাকা করেও নিয়েছে। এ আশ্বাসের পরিপ্রেক্ষিতে তারা গাড়িতে করে ঢাকায় এসেছেন।

জানা গেছে, ঢাকার বিভিন্ন বস্তি ও আশপাশের এলাকা থেকে সমাবেশে লোক জড়ো করার উদ্দেশে কয়েকদিন ধরে নানা কর্মসূচি পালন করে অহিংস গণঅভ্যুত্থান বাংলাদেশ সংগঠনের নেতারা। এ ছাড়াও শুক্রবার (২২ নভেম্বর) জাতীয় প্রেস ক্লাবের মাওলানা আকরম খাঁ হলে সংবাদ সম্মেলন করে সংগঠনটি। সেখানে সোমবার সমাবেশের কথা জানানো হয়।

ঢাকায় আসা মানুষের কাছে অহিংস গণঅভ্যুত্থান বাংলাদেশ সংগঠনের ব্যানার, ফেস্টুন ও লিফলেট পাওয়া যায়। তাদের হাতে ফেস্টুনে লেখা ছিল, ‘লুণ্ঠিত অর্থ উদ্ধার করব, বিনা সুদে পুঁজি নেব’।

জানা গেছে, বিনা সুদে ঋণ দেওয়ার নামে ঢাকায় সমাবেশে লোকজন জড়ো করার নেপথ্যে কাজ করেছেন ফরওয়ার্ড পার্টির আহ্বায়ক ও অহিংস আন্দোলন বাংলাদেশের প্রধান সংগঠক আ ব ম মোস্তাফা আমীন ও সদস্য সচিব মো. মাহবুবুল আলম চৌধুরী।

সংগঠনের নেতারা কয়েকদিন আগে থেকেই ঢাকায় মানুষ জমায়েতের পরিকল্পনা করছিলেন। মোস্তাফা আমীন গত ১৫ নভেম্বর তার ফেসবুক অ্যাকাউন্টে স্ট্যাটাস দেন, ‘স্মরণকালের সর্ববৃহৎ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে ২৫ নভেম্বর ২০২৪ শাহবাগ মোড়ে, সকাল ১০টায়। ইতিহাসে নাম লিখান।’

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

বেনাপোলে টানা ৪ দিন বন্ধ রয়েছে দূরপাল্লার সকল পরিবহন
৮ হাজার শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে পুলিশের মামলা
ঋণ দেওয়ার নামে শাহবাগে লোক জড়ো করা মোস্তফা আমীন আটক
সেন্ট মার্টিনে পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচলের অনুমতি
আইপিএলে দল পেলেন না মুস্তাফিজুর রহমান
টাঙ্গাইলে আওয়ামী লীগ নেতা আজাহার গ্রেফতার
চলতি মৌসুমে দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা আজ নওগাঁয়
নির্লজ্জ দলাদলির পরিণতি দেশবাসী দেখেছে: তারেক রহমান
মোল্লা কলেজের সার্টিফিকেট-ল্যাপটপ লুট, ক্ষতি ৭০ কোটি টাকা: অধ্যক্ষ
ইসকন নেতা চিন্ময় কৃষ্ণ দাস গ্রেপ্তার
সাত কলেজের স্নাতক পরীক্ষা স্থগিত
সংঘর্ষের ঘটনায় যাত্রাবাড়ী-ডেমরা এলাকায় ৬ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন
পার্থ টেস্টে অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়ে রেকর্ড জয় ভারতের
বদলগাছীতে বাসের ধাক্কায় ৭ মাসের অন্তঃসত্ত্বা নারী নিহত, আহত ২
মামলা না নিলে ওসিকে এক মিনিটে বরখাস্ত করে দেবো: ডিএমপি কমিশনার
মাদ্রাসা শিক্ষার্থীকে যৌন নিপীড়নের মামলায় যুবকের যাবজ্জীবন
বিগ ব্যাশ খেলার অনুমতি পেলেন রিশাদ
শাকিব খানের সঙ্গে আইটেম গানে নুসরাত
রাজধানীর মোল্লা কলেজে হামলা-ভাঙচুর, শিক্ষার্থীদের দখলে সড়ক
ওয়ানডে সিরিজেও অনিশ্চিত মুশফিক