রানং ও চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সমঝোতা
থাইল্যান্ডের রানং বন্দর কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বাংলাদেশের চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের একটি সমঝোতা স্মারক সই হয়েছে।
মঙ্গলবার (২১ ডিসেম্বর) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সোমবার (২০ ডিসেম্বর) ভার্চুয়াল প্ল্যাটফর্মে সমঝোতা স্মারক সই হয়। চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সদস্য (প্রশাসন ও পরিকল্পনা) মো. জাফর আলম এবং থাইল্যান্ডের বন্দর কর্তৃপক্ষ থেকে ড. চামনান চেরিথ তাদের নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের পক্ষে সমঝোতা স্মারকে সই করেন।
এ সমঝোতা স্মারক বঙ্গোপসাগরে দুই দেশের মধ্যে সামুদ্রিক যোগাযোগ বৃদ্ধির মাধ্যমে বাংলাদেশ ও থাইল্যান্ডের মধ্যে বাণিজ্য সহজতর করবে বলে আশা করা হচ্ছে। এটি বিমসটেক অঞ্চলসহ প্রতিবেশী দেশগুলির সঙ্গে বৃহত্তর সংযোগ বাড়ানোর জন্য বাংলাদেশের বৃহত্তর দৃষ্টিভঙ্গির অংশ বলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়।
সমঝোতা স্মারকটি উভয় পক্ষের ব্যবসায়ী সম্প্রদায়কে আরও বাণিজ্য ও বিনিয়োগের সুযোগ অন্বেষণ করতে উৎসাহিত করবে। এ ছাড়া বন্দর ব্যবস্থাপনা, অপারেশন, তথ্যপ্রযুক্তি, যোগাযোগ, বন্দর সংযোগ, উপকূলীয় শিপিং, বন্দর-সম্পর্কিত শিল্প এবং বিনিয়োগ প্রচারে তথ্য বিনিময় ও সহযোগিতার মাধ্যমে উভয় বন্দর কর্তৃপক্ষ উপকৃত হবে।
আশা করা যায় যে, সমঝোতা স্মারকের অধীনে, রানং বন্দর ও বাংলাদেশের চট্টগ্রাম বন্দরের মধ্যে উপকূলীয় শিপিং, থাইল্যান্ড ও বাংলাদেশের মধ্যে বাণিজ্যের জন্য পরিবহন সময় এবং খরচ কমানোর মাধ্যমে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যকে আরও শক্তিশালী করতে ব্যাপক অবদান রাখবে। সমঝোতা স্মারক সইয়ের ফলে দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান চমৎকার সম্পর্ক আরও জোরদার হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
এসময় বাংলাদেশের পক্ষ থেকে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সচিব, থাইল্যান্ডে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মহাপরিচালক (দক্ষিণ পূর্ব এশিয়া), চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান ও বাংলাদেশে নিযুক্ত থাইল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত ভার্চুয়ালি যুক্ত ছিলেন।
আরইউ/এসএন