বাড়তি দামের তালিকায় আটা চিনি ও ডাল
সয়াবিন তেলের রেশ না কাটতে না কাটতেই রোজার ঈদের পর শুরু হয়েছে আটা, ডালের দামে ঊর্ধ্বগতি। কারণ ছাড়াই বাড়ছে চিনির দাম। আর বোরো ধানের ভরা মৌসুমে ধান উঠলেও বাড়ছে চালের দাম। তিন দিনের ব্যবধানে রসুনের কেজি বেড়েছে ৫ টাকা। নিত্যপণ্যের কোনটাতেই স্বস্তির বার্তা পাওয়া যাচ্ছে না। রবিবার (২২ মে) রাজধানীর কারওয়ান বাজার ঘুরে এমনই চিত্র পাওয়া গেছে।
কুমিল্লা জোনারেল স্টোরের মুজিবুর রহমান ঢাকাপ্রকাশকে বলেন, ‘২ কেজি আটা ১০০ টাকা। যা কয়েকদিন আগে ৮০ থেকে ৯০ টাকা ছিলো। তা আবার শুধু তীর আটা আছে। অন্য কোম্পানির আটা পাওয়া যায় না। তাই বিক্রিও করতে পারছি না। চিনির দামও বেড়েছে। আগে ৮০ টাকা বিক্রি করা হলেও বর্তমানে ৮২ থেকে ৮৫ টাকা এবং দেশি চিনি ১০০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। তিনি আরও বলেন, ডালও বাড়তি দামে ১৪০ টাকা কেজি বিক্রি করতে হচ্ছে।
এ সময় কারওয়ান বাজারের শাহিন আহমেদ নামে এক ক্রেতা ঢাকাপ্রকাশকে বলেন, ‘খুবই কষ্ট হচ্ছে ধানের ভরা মৌসুমেও বেশি দামে চাল কিনতে হচ্ছে। অন্য নিত্যপণ্যেও নেই সুবাতাস। সব জায়গায় অস্তস্তি। কারণ কয়েক দিন আগে তেলের দাম বেড়েছে। এরপর ডাল, আটা, ডিম। চিনির দামও বেড়েছে। এভাবে সব জিনিসের দাম বাড়তে থাকলে চলব কিভাবে। কারণ আয়তো বাড়েনি। ব্যয় লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে। কোনো সঞ্চয় করা যাচ্ছে না। অনেকে কোনো রকমে জীবন যাপন করলেও অধিকাংশ ভোক্তাদের জীবন চলা কঠিন হয়ে যাচ্ছে।
তার কথার সত্যতা পাওয়া যায় হাজী রাইস এজেন্সিতে। বিক্রেতা মাইনুদ্দিন বলেন, ‘ভরা মৌসুমেও বাড়ছে চালের দাম। বস্তায় একশ থেকে দেড়শ টাকা বেড়ে গেছে। পোলাও চাল ১১০ টাকা কেজির নিচে পাওয়া যায় না। এদিকে মেসার্স সিটি রাইসের বেলায়েতও বলেন, ‘নতুন ধান আসার পরও কমছে না চালের দাম। বাড়তেই আছে।’ ২৮ চাল ৪৮ টাকা, মিনিকেট ৬৫ টাকা বিক্রি করা হচ্ছে। তকে মোটা চাল বাজারে পাওয়া যাচ্ছে না।
মেসার্স রামগঞ্জ রাইস এজেন্সির জসিম ঢাকাপ্রকাশকে বলেন, ‘মিনিকেট ৬০ থেকে ৬৫, ২৮ চাল ৪৮ টাকা ও মোটা চাল ৪৪ টাকা কেজি বিক্রি করা হচ্ছে।’
এদিকে কোরবানির ঈদ আসতে অনেক দেরি থাকলেও কিছু কিছু মসলার দামও ঊর্ধ্বমুখী বলে বিক্রেতারা জানান। আলী হোসেন বলেন, ‘৩৬০০ টাকার জিরার বস্তা ৩৮০০ টাকা হয়ে গেছে। কেজিতে বেড়েছে ৭০ টাকা পর্যন্ত। সিরিয়ার জিরা ৪০০ টাকা ও ভারতের জিরা ৪১০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।’
সপ্তাহের ব্যবধানে পেঁয়াজের ঝাঁজ কমেছে। দাম পাঁচ টাকা কমে ৩৫ থেকে ৪০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। তবে তিন দিনের ব্যবধানে রসুন ১৬০ টাকা থেকে ১৮০-২০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করা হচ্ছে বলে জসিম জানান।
জেডএ/