ধান উঠায় কমছে চালের দাম
ঈদের পর সয়াবিন তেলের দাম নতুন করে নির্ধারণ করার পর হঠাৎ বাজার থেকে উধাও হয়ে যায়। তবে সারাদেশে অভিযান পরিচালনার পর আবার বাজারে ফিরেছে তেল। বর্তমানে প্রায় সব কোম্পানির তেল পাওয়া যাচ্ছে বাজারে। অপরদিকে ঈদের পর থেকে বাড়তে থাকে পেঁয়াজের দাম। যা ৪০ থেকে ৪৫ টাকা কেজিতে আটকে গেছে। তবে ক্ষেতের ধান উঠতে থাকায় কমতে শুরু করেছে ২৮ চালের দাম। কেজিতে দুই থেকে চার টাকা কমেছে। মাছ, মাংস আগের মতো বিক্রি হচ্ছে। আর ডিমের দাম বেড়ে ১১০ টাকা ডজন বিক্রি করা হচ্ছে। শনিবার রাজধানীর কারওয়ান বাজার ঘুরে এমনই চিত্র পাওয়া গেছে।
কারওয়ান বাজারের মেসার্স চাটখিল স্টোরের করিম বলেন, ‘৫ লিটার রূপচাঁদা ৯৮০ টাকা, লিটার ১৯৮ টাকা বিক্রি করা হচ্ছে। তবে বসুন্ধরার তেল এখনো পাওয়া যায় না। তিনি আরও বলেন, ‘ আগের দামেই ৮০ টাকা কেজি চিনি, ১০০ থেকে ১৩০ টাকা ডাল বিক্রি করা হচ্ছে।
তবে একই বাজারের আল্লাহর দান স্টোরের আবুল কালাম বলেন, ‘চালের দাম কমতে শুরু করেছে। নতুন করে ধান উঠতে থাকায় সরবরাহ বেশি বেড়েছে। এতে চালের দাম কমতে শুরু করেছে। কেজিতে চার টাকা কমে বর্তমানে ২৮ চাল ৪৬ থেকে ৪৮ টাকা কেজি দরে বিক্রি করা হচ্ছে। যা আগে ৪৮ থেকে ৫২ টাকা বিক্রি করা হতো। তবে মিনিকেট আগের মতোই ৬৪ টাকা ও মোটা স্বর্ণ চাল ৪০ থেকে ৪২ টাকা বিক্রি করা হচ্ছে।’
এ সময় ক্রেতা দিদারুল ইসলাম ঢাকাপ্রকাশকে বলেন, ‘আগের এলসি করা তেল নতুন দামে বিক্রি করছে মিলমালিকরা। এতে ক্রেতাদের পকেট থেকে অনেক টাকা চলে গেছে। বাড়তি দামে কিনতে হচ্ছে। এটা ঠিক হয়নি।’
এদিকে রমজানের ঈদের আগের মতোই মাছ, মাংস বিক্রি করা হচ্ছে বলে বিক্রেতারা জানান। তারা বলছেন, সরবরাহ কমলে দাম বেড়ে যায়। তবে এখনো বাড়েনি কোনো মাছ, মাংসের দাম। আগের মতোই গরুর মাংস ৭০০ টাকা কেজি, খাসির মাংস ৯৫০ টাকা বিক্রি করা হচ্ছে। অপরদিকে মাছও আগের মতো বিক্রি কচ্ছে বলে বিক্রেতারা জানান। তবে ঈদের পর হঠাৎ করে ডিমের দাম ডজনে ১৫ টাকা বেড়ে ১১০ টাকা বিক্রি করা হচ্ছে বলে রুবেল জানান।
মো. ফজলুর রহমান নামে অবসরপ্রাপ্ত এক সরকারি কর্মকর্তা বলেন, ‘বেশি দামে বিক্রি করায় ভোক্তাদের পকেট থেকে বেশি টাকা চলে যাচ্ছে। তবে সরকার আগে কঠোর হলে এমন পরিস্থিতি হতো না। তিনি আরও বলেন, এলসি ওপেন করলে তারপর দাম বাড়ে। কিন্তু দেখলাম ঈদের পরই সরকার ও মিলমালিকরা ঘোষণা দিলো বাড়তি তেলের দাম। ওমনি তেলের দাম বেড়ে গেল।’
এদিকে বাজারে গত সপ্তাহে ভারতের পেঁয়াজ আমদানির ঘোষণা করার পরই ২৮ থেকে ৩৫ টাকা কেজির পেঁয়াজ হয়ে গেছে ৪০ থেকে ৪৫ টাকা কেজি। বিভিন্ন বাজারে ঘুরে এমনই চিত্র দেখা গেছ। তবে পাইকারি বাজারে পাল্লা ১৯০ থেকে ২০০ টাকা বিক্রি করছেন পাইকারি ব্যবসায়ীরা। তবে রসুনের দামও বেড়ে ১৩০ থেকে ১৪০ টাকা কেজি ও দেশি রসুনের দাম বেড়ে ১০০ টাকা কেজি বিক্রি করা হচ্ছে।
আমির বলেন, ‘কয়েক দিনের ব্যবধানে বটবটির দাম বেড়ে ৬০ টাকা কেজি, বেগুণ ৫০ থেকে ৬০ কেজি বিক্রি করা হচ্ছে। তবে করলা, পটল, শসা, সজিনা কম দামে বিক্রি করা হচ্ছে।’
জেডএ/