পেঁয়াজের দাম নিয়ে নতুন শঙ্কা!
রাজধানীর কারওয়ান বাজার, কৃষিমার্কেটসহ বিভিন্ন বাজারে আগের মতোই পেঁয়াজের সরবরাহ লক্ষ করা গেছে। তবে পেঁয়াজের দাম কেজিতে পাঁচ থেকে আট টাকা বেড়েছে।
এরই মধ্যে কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক জানিয়েছেন, দেশের উৎপাদকরা যাতে ন্যায্যমূল্য পান সেজন্য ভারত থেকে পেঁয়াজের আমদানি সাময়িক বন্ধ করা হয়েছে।
একদিনের ব্যবধানে কেজিতে আট টাকা বেড়ে ৪০ টাকা কেজি খুচরা বিক্রি করছেন ব্যবসায়ীরা। কোথাও আবার ৪৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি করা হচ্ছে।
পেঁয়াজের দাম বাড়ায় ব্যবসায়ীরা শঙ্কায় রয়েছেন। বুধবার (১১ মে) বিভিন্ন বাজার ঘুরে সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে এমন তথ্য পাওয়া গেছে।
কারওয়ান বাজারের মেসার্স মাতৃভাণ্ডারের কালাম শেখ ঢাকাপ্রকাশকে বলেন, ‘বুধবার পেঁয়াজ ৩১ থেকে ৩২ টাকা বিক্রি করা হচ্ছে। গতকাল ছিল ২৭ থেকে ২৮ টাকা কেজি।
এভাবে কেন বাড়ল এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘দেশের পেঁয়াজ ঠিকই আছে। কিন্তু ভারত আমদানি বন্ধ হওয়ায় বাড়া শুরু করেছে। এখনই ব্যবস্থা না নিলে পরিস্থিতি খারাপ হবে।’
এ বাজারের খুচরা ব্যবসায়ী তারেক মিয়া ঢাকাপ্রকাশ-কে বলেন, পেঁয়াজের কেজি ৪০ টাকা, প্রতি পাল্লা ২০০ টাকা। গতকাল বিক্রি করা হয়েছে ৩২ টাকা কেজি, ১৬০ টাকা পাল্লা।
দাম বাড়ার কারণ কী, মজুদ তো আগের মতোই আছে এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘সব কিছু ঠিক। কিন্তু ভারত থেকে আমদানি বন্ধ বলে কথা। কোনোক্রমেই ঠেকানো যাবে না পেঁয়াজের দাম। অল্প সময়ের মধ্যে ১০০ টাকা হয়ে যাবে।’
কৃষি মার্কেটের পাইকারি বাজারেও বেড়েছে পেঁয়াজের দাম। জানতে চাইলে নিউ শাহ আলম ট্রেডার্সের মালিক মো. শাহ আলম বলেন, ‘মোকাম থেকে বাড়তি দাম। তাই বেশি দামেই কিনতে হচ্ছে, বিক্রিও করতে হচ্ছে। মঙ্গলবার (১০ মে) পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছিল কেজিপ্রতি ২৭ থেকে ২৮ টাকা।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা শুধু বস্তাতে ৪০ টাকা আড়তদারি পাচ্ছি। পাবনা, ফরিদপুর ও রাজবাড়ির মোকাম থেকে বেশিরভাগ পেঁয়াজ ঢাকায় আসে। সেসব জায়গায় বাড়লে ঢাকাতেও বেশি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে।’
এর ফলে খুচরা বাজারেও বাড়ছে দাম। এই বাজারের একটু দূরেই ৪০ থেকে ৪৫ টাকা কেজি খুচরা পেঁয়াজ বিক্রি করা হচ্ছে বলে জানান কামাল আহমেদ।
এদিকে রাজধানীর আরেক মোকাম শ্যামবাজারেও বেড়েছে পেঁয়াজের দাম। ওই বাজারের পেঁয়াজ ব্যবসায়ী সমিতির সেক্রেটারি মো. মাজেদ ঢাকাপ্রকাশ-কে বলেন, ‘এখনই পেঁয়াজের ব্যাপারে ব্যবস্থা নিতে হবে। না হলে তেলের দিকেই যাবে। কারণ এক দিনেই পাইকারি ও খুচরা পর্যায়ে আট থেকে ১০ টাকা দাম বেড়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘এভাবে বাড়তে থাকলে পরিস্থিতি খারাপ হবে এবং পরে তেলের মতোই পেঁয়াজ নিয়ে সভা করতে হবে।’
জেডএ/এমএমএ/