‘নেপালের সঙ্গে অগ্রাধিকারমূলক বাণিজ্য চুক্তি সই চুড়ান্ত পর্যায়ে’
দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলের দেশগুলোর মধ্যে আঞ্চলিক বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সম্প্রসারণকে প্রাধান্য দেওয়ার ওপর গুরুত্বারোপ করে বাণিজ্য সচিব তপন কান্তি ঘোষ বলেছেন, ২০২৬ সালে বাংলাদেশ ও নেপালের এলডিসি হতে উত্তোরণ ঘটবে। এমতাবস্থায় দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বৃদ্ধিতে ‘অগ্রাধিকারমূলক বাণিজ্য চুক্তি (পিটিএ)’ সাক্ষরের বিষয়টি বর্তমানে চুড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে। নেপাল সরকারের অনুমোদন পেলে শীঘ্রই তা আনুষ্ঠানিকভাবে সাক্ষর হবে।
‘বাংলাদেশ ও নেপালের মধ্যকার বাণিজ্য এবং বিনিয়োগ সম্ভবনা’ শীর্ষক ডায়ালগ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা জানান। আজ মঙ্গলবার (১৪ ডিসেম্বর) রাজধানীর মতিঝিলে ঢাকা চেম্বার মিলয়ানতনে এ ডায়ালগ অনুষ্ঠিত হয়।
বাণিজ্য সচিব বলেন, বাংলাদেশের ভোক্তা শ্রেণির সংখ্যা অত্যন্ত বেশি এবং বিশেষ করে ভোগ্য পণ্য উৎপাদন খাতে নেপালের উদ্যোক্তারা এদেশে বিনিয়োগ করতে পারে।
তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, আজকের অনুষ্ঠানে স্বাক্ষরিত সহযোগিতা চুক্তির মাধ্যমে দুই দেশের উদ্যোক্তাদের ব্যবসায়িক কার্যক্রম আরো সম্প্রসারিত হবে।
এ সময় ঢাকা চেম্বারের সভাপতি রিজওয়ান রাহমান বলেন, ২০২০-২১ অর্থবছরে বাংলাদেশ ও নেপালের দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যের পরিমাণ ছিল ৭৩ দশমিক ৪৭ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। যেখানে বাংলাদেশের আমদানি-রপ্তানির পরিমাণ ছিল যথাক্রমে ৪ দশমিক ৮১ এবং ৬৮ দশমিক ৬৬ মিলিয়ন মার্কিন ডলার।
এজন্য বাংলাদেশের তৈরি পোষাক, ওষুধ, কৃষিপণ্য প্রক্রিয়াজাতকরণ, পাটপণ্য ও লাইট ইঞ্জিনিয়ারিং খাত-এসব সম্ভাবনাময় খাতে নেপালের প্রতিনিধিদলকে বিনিয়োগের জন্য আহ্বান জানান তিনি।
সিএনআইর সভাপতি বিষ্ণু কুমার আগারওয়াল বলেন, বাংলাদেশ সেবা খাত নির্ভর অর্থনীতি হতে উৎপাদন খাত নির্ভর অর্থনীতির দিকে ধাবিত হচ্ছে। বাংলাদেশি উদ্যোক্তাদের কৃষি, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, বিদ্যুৎ-জ্বালানী, অবকাঠামো, ম্যানুফেকচারিং, তথ্য-প্রযুক্তি খাতে নেপালের বিনিয়োগকারীদের আহ্বান জানান।
নেপাল দূতাবাসের চার্জ ডি এ্যাফেয়ার্স কুমার রায় বলেন, দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলের দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশ অর্থনৈতিক দিক থেকে বেশ শক্তিশালী অবস্থানে রয়েছে। দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য সম্প্রসারণে দুই দেশের বেসরকারি খাতে উদ্যোক্তাদের একযোগে কাজ করার আহ্বান জানান তিনি।
সমুদ্র অর্থনীতি এবং হাইটেক শিল্প উন্নয়নে বাংলাদেশ সরকার গৃহীত সুদূর প্রসারী পরিকল্পনা অত্যন্ত আশাব্যঞ্জক বলে অভিহিত করে তিনি আশা প্রকাশ করেন, বাংলাদেশ শীঘ্রই এ পরিকল্পনার সুফল ভোগ করবে।
সভায় ডিসিসিআই ঊর্ধ্বতন সহ-সভাপতি এন কে এ মবিন, সহ-সভাপতি মনোয়ার হোসেনসহ অন্যান্য সদস্যবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
জেএ/এসআইএইচ/