সমন্বয়হীনতাই প্রকল্প বাস্তবায়নে বড় সমস্যা
একজন রাস্তা খুড়ে। তা শেষ না হতেই আরেক জন খুড়া শুরু করে। এভাবেই চলছে উন্নয়ন কাজ। এটা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা থেকে শুরু করে সবাই জানে। আমাদের নীতির অভাব নেই। বিভিন্ন মন্ত্রণালয় বিভিন্ন প্রকল্প হাতে নিচ্ছে। কাজও চলছে। কিন্তু সমন্বয়হীনতার কারণে প্রকল্প বাস্তবায়নে বড় সমস্যা থেকে যাচ্ছে। পল্লী কর্ম-সহায়ক ফাউন্ডেশনের (পিকেএসএফ) চেয়ারম্যান ড. কাজী খলীকুজ্জমান আহমদ সোমবার (১৩ ডিসেম্বর) এক কর্মশালায় এসব কথা বলেন।
বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) উদ্যোগে ‘ক্যাপাসিটি বিল্ডিং ট্রেনিং ফর জেনারেটিং জেন্ডার রেসপনসিভ ইনভাইরনমেন্টাল ডাটা ইন ফোকাসিং টু সাসটেইনেবল ডেভলপমেন্ট গোলস’ কর্মশালার আয়োজন করা হয়। রাজধানীর শেরে-ই বাংলা নগরে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে এ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।
বিবিএসের প্রকল্প পরিচালক ও উপ-পরিচালক মো. রফিকুল ইসলামের সঞ্চালনায় কর্মশালায় আলোচক ছিলেন পরিচালক জিয়াউদ্দিন আহমেদ, ইউএন ওমেনের বাংলাদেশ কান্ট্রি অফিসের দিলরুবা হাইদার, মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের অতিরিক্ত পরিচালক ড. শেখ মুসলিমা মুনসহ অন্যরা। কর্মশালায় ৩৫টি মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধিসহ বিভিন্ন শ্রেণি পেশার কর্মকর্তারা অংশগ্রহণ করেন।
পিকেএসএফ চেয়ারম্যান বলেন, প্রকল্প বাস্তবায়ন হচ্ছে, কিন্তু সমন্বয় হচ্ছে না। উন্নয়ন কাজ শুরু হয়ে প্রথমে ব্যয় ছাড়া সংশোধন করা হয়। তারপর কয়েকবার ব্যয় বাড়িয়ে সংশোধন করা হয়। এভাবে বাড়ছে ব্যয়। কিন্তু কাজ শেষ হয়না। এ জায়গা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে।
ড. কাজী খলীকুজ্জমান বলেন, আমরা মূল্যরোধ হারিয়ে ফেলেছি। তাই শুধু চাই চাই। অন্যের ক্ষতি হচ্ছে কি না তা দেখার বিষয় না। বাংলাদেশে ধনী হওয়ার হার সবচেয়ে বেশি। কিন্তু কর দেয় না। তারা শুধু ভর্তূকি চাই। তা পেয়েও যাচ্ছে। তাদের এতো ক্ষমতা যে কেউ কেউ করোনাকালেও দুই তিন বার প্রণোদনা পেয়েছে। অথচ এক কোটি ক্ষুদ্র প্রতিষ্টানে ২০ হাজার কোটি টাকাও ভর্তূকি দেয়া হয়নি। মধ্যম ও ক্ষুদ্রদের জন্য ২০ হাজার কোটি টাকা দেওয়া হয়েছে। তবে মাঝারী উদ্যোক্তারা পেলেও ক্ষুদ্ররা তেমন কিছু পাচ্ছে না। আসল নীতির মধ্যে না পড়লে কাজ হবে না বলে অভিমত প্রকাশ করেন তিনি।
জেডএ/জেডএকে