২০৪১ সালের লক্ষ্য অর্জনে সব ব্যবসায়ীকে কাজ করতে হবে
বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেছেন, ২০৪১ সালের লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে দেশের সব ব্যবসায়ী সমাজকে একযোগে দলমত নির্বিশেষে কাজ করতে হবে। বাংলাদেশের অর্থনীতি দীর্ঘদিন ধরে একটি কৃষি নির্ভর অর্থনীতি। কৃষিখাতের আধুনিকায়নের মাধ্যমে উৎপাদিত পণ্যের বহুমুখীকরণ নিশ্চিত করতে পারলেই আমাদের অর্থনীতির বিকাশ আরও বেগবান হবে।
শনিবার, ১১ ডিসেম্বর ঢাকা উত্তরে (গুলশানে) ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই)-এর নিজস্ব স্থানে শাখা অফিস ‘ডিসিসিআই গুলশান সেন্টার’-এর উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে এফসিবিসিসিআই সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন বিশেষ অতিথি ছিলেন।
এ সময় বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ‘দেশের অর্থনীতিকে আরও গতিশীলের পাশাপাশি উচ্চ প্রবৃদ্ধি নিশ্চিতকল্পে আমাদের এসএমই খাতের উপর আরও জোরারোপ করতে হবে।’
মন্ত্রী আশা প্রকাশ করে বলেন, ‘নতুন স্থাপিত ডিসিসিআই গুলশান সেন্টার ঢাকা চেম্বারের সদস্যবৃন্দের পাশাপাশি ব্যবসায়ী সমাজকে সেবা প্রদান করতে সক্ষম হবে।’
এফবিসিসিআই সভাপতি বলেন, ‘লজিস্টিক খাতে আমরা বেশ পিছিয়ে রয়েছি। তবে বৈদেশিক বিনিয়োগ আকর্ষণ করতে আমাদের এ খাতের উপর আরও মনোনিবেশ করা প্রয়োজন।’
তিনি বলেন, ‘ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে যানজট নিরসন এবং সমুদ্র বন্দরগুলোতে সেবার মান উন্নয়ন ও দ্রুতকরণ নিশ্চিত করা সম্ভব হলে ব্যবসায় ব্যয় হ্রাস পাবে। যা আমাদের অর্থনীতির প্রবৃদ্ধিকে গতিশীল করবে।’
এফবিসিসিআই সভাপতি দেশের সকল চেম্বার এবং এসোসিয়েশন গুলোর দক্ষতা ও সক্ষমতা বৃদ্ধিতে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতা কামনা করেন।
তিনি আরও বলেন, ‘এলডিসি হতে বাংলাদেশের উত্তরণ পরবর্তী সময়ের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় আমাদের বেশি হারে খাতভিত্তিক ব্যবসা-বাণিজের ওপর আরও বেশি হারে জোরারোপ করতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘ডিসিসিআই গুলশান সেন্টার, ঢাকা চেম্বারের সদস্যদের পাশাপাশি সব ব্যবসায়ীদের বৃহত্তর স্বার্থে নিরলসভাবে কাজ করবে।’
ঢাকা চেম্বারের সভাপতি রিজওয়ান রাহমান বলেন, ডিসিসিআই-এর নিজস্ব অফিস স্পেসে স্থাপিত ‘ডিসিসিআই গুলশান সেন্টার’ চেম্বারের সদস্যবৃন্দের মেম্বারশিপ সংক্রান্ত সেবা প্রদানের পাশাপাশি ব্যবসা-বাণিজ্য বিষয়ক তথ্য প্রাপ্তির উৎসস্থল হিসেবে কাজ করবে। বাংলাদেশের অর্থনীতির কাঙ্খিত উন্নয়ন নিশ্চিতকল্পে দেশের সব ব্যবসায়ী সম্প্রদায় একযোগে কাজ করছে। সামনের দিনগুলোতে তাদের এ বন্ধন আরও জোরালো হবে।’
ডিসিসিআই সভাপতি বলেন, ‘আমাদের এসএমই খাত অর্থনীতির মূল চালিকাশক্তি এবং এলডিসি পরর্বতী চ্যালেঞ্জ ও অর্থনীতিকে বেগবান করতে আমাদের এ খাতের উপর আরও জোরারোপ করা প্রয়োজন ‘
অনুষ্ঠানে ঢাকা চেম্বারের ঊর্ধ্বতন সহ-সভাপতি এন কে এ মবিন, মনোয়ার হোসেনসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন।
জেডএ/এএন