সোমবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৫ | ১৫ বৈশাখ ১৪৩২
Dhaka Prokash

ঈদের আগেই মসলার বাজার গরম, ডলারের মূল্যবৃদ্ধির অযুহাত ব্যবসায়ীদের

ছবি: সংগৃহীত

পবিত্র ঈদুল আজহা বা কোরবানির ঈদের বাকি আছে আর এক মাস। পুরো বছরের তুলনায় এই সময় মশলার চাহিদা বেশি থাকে। আর এর মধ্যেই মসলার বাজার ঊর্ধ্বমুখী। বিশেষ করে এলাচির দাম বাড়ছে লাফিয়ে। এছাড়া অন্যান্য মসলার মধ্যে জিরা, দারুচিনি, লবঙ্গ, ধনিয়া, শুকনা মরিচ ও হলুদের দামও গত বছরের তুলনায় বাড়তি।

ব্যবসায়ীরা বলছেন, আন্তর্জাতিক বাজারে মসলার দাম বৃদ্ধি ও ডলারের মূল্যবৃদ্ধির সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে আমদানি করা সব ধরনের মসলার দাম। তবে বাজার অস্থিতিশীল বলা যাবে না।

শনিবার (১৯ মে) দেশের সবচেয়ে বড় পাইকারি মসলার বাজার পুরান ঢাকার মৌলভীবাজার ও কয়েকটি খুচরা বাজার সরেজমিনে বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, দেড় থেকে দুই মাসের ব্যবধানে প্রায় দ্বিগুণ হয়ে গেছে এলাচির দাম। দুই মাস আগে প্রতিকেজি এলাচির দাম ছিল ২ হাজার ২০০ থেকে ২ হাজার ৪০০ টাকা। খুচরায় এখন তা বেড়ে সর্বোচ্চ ৪ হাজার ২০০ টাকা পর্যন্ত উঠেছে। তবে গত বছরের তুলনায় এলাচির দাম বেড়েছে ৬০ শতাংশের বেশি। জিরার দাম ছয় মাস আগে আরও বেশি ছিল। তখন প্রতিকেজি জিরার দাম হাজার টাকা ছাড়িয়ে গিয়েছিল। সেখান থেকে কিছুটা কমে পাইকারিতে ৭২০ টাকা, খুচরায় ৮২০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। তবে বছর দুয়েক আগেও ঢাকার বাজারে প্রতিকেজি জিরার দাম ছিল ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা। সেই পরিস্থিতিতে ফেরার মতো অবস্থা এখনো হয়নি।

এদিকে বাজারে হলুদ ও শুকনা মরিচের মতো পণ্যের দামও গত বছরের তুলনায় বাড়তি। এ দুটি মসলাজাতীয় পণ্য দেশেও কিছুটা উৎপাদন হয়। তাই পণ্য দুটির বাজার পুরোপুরি আমদানিনির্ভর বলা যাবে না। দেশে উৎপাদিত হলেও হলুদ ও শুকনা মরিচ উল্লেখযোগ্য পরিমাণে আমদানি হয় বলে দাবি ব্যবসায়ীদের।

মৌলভীবাজারে প্রতিকেজি জিরা ৬৩০ থেকে ৭২০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে, যা ১৫ দিন আগেও ছিল ৫৮০ থেকে ৬২০ টাকা। এলাচ প্রতিকেজি ৩ হাজার থেকে ৩ হাজার ৫০০ টাকা, যা রোজার আগে ছিল ২ হাজার ৬০০ থেকে ২ হাজার ৮০০ টাকা কেজি। দারচিনি ১০ কেজির কাটন ৪ হাজার ৫০০ থেকে ৪ হাজার ৮০০ টাকা। সে হিসেবে প্রতিকেজি ৪৫০ থেকে ৪৮০ টাকা। গত কয়েক মাস ধরে দাম একই রয়েছে। দুই মাস আগে প্রতিকেজি গোলমরিচের দাম ছিল ৬০০ থেকে ৬৫০ টাকা। এখন বিক্রি হচ্ছে ৭৬০ থেকে ৮২০ টাকা কেজি। লবঙ্গ প্রতিকেজি ১ হাজার ৭০০ থেকে ১ হাজার ৮০০ টাকা থেকে কমে ১ হাজার ৪০০ থেকে ১ হাজার ৫০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। এটার দাম কমেছে।

এছাড়া শুকনা মরিচ প্রতিকেজি ৩০০ থেকে ৩৮০ টাকা। এক মাস আগে যেটা কেজিতে ২০ টাকা করে কম ছিল। আস্তো হলুদ প্রতিকেজি ২৬০ থেকে ৩৫০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে, যা দুই মাস আগে ছিল ২২০ থেকে ২৬০ টাকা কেজি। ধনিয়া প্রতিকেজি ২৪০ টাকা থেকে কমে ১৯৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। প্রতিকেজি আদা ২১০ থেকে ২৮০ টাকা বিক্রি হচ্ছে, যা এক মাস আগেও ছিল ১৬৫ থেকে ১৮০ টাকা। রসুন প্রতিকেজি ১৬০ থেকে ১৮২ টাকা থেকে বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ২১০ থেকে ২৩০ টাকা কেজি। পেঁয়াজ ৫০ থেকে ৫৫ টাকা কেজি থেকে বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ৬৪ থেকে ৭০ টাকা কেজি।

এদিকে খুচরা বাজারে প্রতিকেজি জিরা ৮০০ টাকা, এলাচ ৩ হাজার ২০০ থেকে ৪ হাজার ২০০ টাকা, দারচিনি ৫০০ থেকে ৫৫০ টাকা, গোলমরিচ ৯০০ থেকে ১০০০ টাকা, লবঙ্গ ১ হাজার ৫০০ থেকে ১ হাজার ৬০০ টাকা, শুকনা মরিচ ৩২০ থেকে ৪০০ টাকা, আস্তো হলুদ ৩০০ থেকে ৩৮০ টাকা, ধনিয়া ২৪০ টাকা, আদা ২২০ থেকে ২৪০ টাকা, রসুন ২৩০ থেকে ২৫০ টাকা ও পেঁয়াজ ৬৫ থেকে ৭০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হতে দেখা গেছে।

এ বিষয়ে বাংলাদেশ পাইকারি গরম মসলা ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি এনায়েত উল্লাহ গণমাধ্যমকে বলেন, ভারতসহ যে-সব দেশ মসলাজাতীয় পণ্য রপ্তানি করে সেখানে খরার কারণে উৎপাদন কম হয়েছে। ফলে সরবরাহের তুলনায় চাহিদা বেশি। এছাড়া আন্তর্জাতিক বাজারে সব ধরনের মসলার দাম বেড়েছে। একইসঙ্গে ডলারের দাম দিন দিন বাড়ছেই। যেহেতু মসলা আমাদের আমদানির ওপর নির্ভর করতে হয়। তাই ডলারের দামের সঙ্গে পণ্যের দামও ওঠানামা করে। মসলা জাতীয় পণ্যের মধ্যে সবচেয়ে বেশি দাম বেড়েছে এলাচ, জিরা, গোলমরিচের। অন্যান্য পণ্য সহনীয় পর্যায়ে রয়েছে। সামনে কোরবানির ঈদ মসলার চাহিদা বেড়ে যাবে। এদিকে আমদানি খরচও বেড়েছে সেই প্রভাব দেশের বাজারে পড়েছে। যদি শুল্কায়নের ক্ষেত্রে বছরব্যাপী একই নীতি অনুসরণ করা যায়, তাহলে মসলার বাজার আরও স্থিতিশীল হবে বলে মনে করেন এ ব্যবসায়ী নেতা।

ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) বাজারদরের তালিকা অনুযায়ী, ছোট আকারের এলাচির খুচরা দাম কেজি প্রতি ৩ থেকে ৩ হাজার ৮০০ টাকা। এক বছর আগে (গত কোরবানির ঈদ বাজারে) ছিল ১ হাজার ৬০০ থেকে ২ হাজার ৬০০ টাকা। সেই হিসেবে এক বছরের ব্যবধানে বাজারে এলাচির দাম বেড়েছে ৬২ শতাংশ। বাজারে বড় আকারের এলাচির দাম আরেকটু বেশি। খুচরা বাজারে বড় আকারের প্রতিকেজি এলাচি সর্বোচ্চ ৪ হাজার ২০০ টাকায়ও বিক্রি হচ্ছে।

অন্য মসলার মধ্যে টিসিবির তালিকা অনুযায়ী, বাজারে প্রতিকেজি দারুচিনির দাম এখন ৫০০ থেকে ৫৮০ টাকা। এক বছর আগে যা ছিল ৪৫০ থেকে সর্বোচ্চ ৫২০ টাকা। এক বছরের ব্যবধানে দাম বেড়েছে ১১ শতাংশ। বর্তমানে লবঙ্গ বিক্রি হচ্ছে প্রতিকেজি ১ হাজার ৬০০ টাকা থেকে ১ হাজার ৮০০ টাকায়। গত বছরের এ সময়ে ছিল ১ হাজার ৪০০ থেকে ১ হাজার ৫০০ টাকা। সেই হিসেবে এক বছরের ব্যবধানে লবঙ্গের দাম বেড়েছে ১৭ শতাংশ। বাজারে ধনিয়ার কেজি এখন ২০০ থেকে ২৪০ টাকা। এক বছর আগে ছিল ১৩০ থেকে ১৬০ টাকা। সেই হিসেবে ধনিয়ার দাম এক বছরে বেড়েছে ৫২ শতাংশ। প্রতিকেজি তেজপাতার দাম এখন ১৫০ থেকে ২০০ টাকা। গত বছরের তুলনায় যা ২৫ শতাংশ বেশি। প্রতিকেজি জিরার দাম এখন বাজারে সর্বোচ্চ ৮৫০ টাকা। গত বছরে একই সময়ে যা ছিল সর্বোচ্চ ৮০০ টাকা।

টিসিবির হিসেবে, বাজারে প্রতিকেজি আমদানি করা শুকনা মরিচ বিক্রি হচ্ছে ৪৪০ থেকে ৫০০ টাকায়। গত বছর এ সময়ে দাম ছিল ৪২০ থেকে ৪৬০ টাকা। সেই হিসেবে এক বছরের ব্যবধানে শুকনা মরিচের দাম বেড়েছে ৭ শতাংশ। আর আমদানি করা হলুদের দাম গত বছর ছিল প্রতিকেজি ১৯০ থেকে ১৩০ টাকা। এবার তা বেড়ে হয়েছে ২৮০ থেকে ৩৫০ টাকা। এক বছরের ব্যবধানে দাম বেড়েছে ৫০ শতাংশ।

Header Ad
Header Ad

পাকিস্তানে সামরিক হামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে ভারত: নিউইয়র্ক টাইমস

ছবি: সংগৃহীত

কাশ্মিরের পেহেলগামে সাম্প্রতিক সন্ত্রাসী হামলার পর ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনা চরমে পৌঁছেছে। মার্কিন সংবাদমাধ্যম নিউইয়র্ক টাইমস জানিয়েছে, ভারত এখন পাকিস্তানে সামরিক পদক্ষেপের প্রস্তুতি নিচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ইতিমধ্যে বিশ্বের এক ডজনেরও বেশি দেশের নেতাদের সঙ্গে ফোনে কথা বলেছেন এবং দিল্লিতে কূটনৈতিকদের সঙ্গে আলোচনা চালাচ্ছেন। তবে এসব আলোচনা মূলত অভিযানের যৌক্তিকতা তুলে ধরতেই হচ্ছে বলে জানানো হয়েছে।

কাশ্মির সীমান্তে দুই দেশের মধ্যে গুলিবিনিময় অব্যাহত রয়েছে। কাশ্মিরে ব্যাপক ধরপাকড় চলছে এবং শত শত মানুষকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

ভারত পাকিস্তানের বিরুদ্ধে অতীতের সন্ত্রাসবাদে জড়িত থাকার ইতিহাস তুলে ধরলেও এবারকার হামলায় সরাসরি জড়িত থাকার প্রমাণ এখনো প্রকাশ করেনি। পাকিস্তান সরকার সব ধরনের অভিযোগ অস্বীকার করেছে।

বিশ্লেষকরা সতর্ক করেছেন, যেহেতু ভারত ও পাকিস্তান উভয়েই পরমাণু শক্তিধর দেশ, তাই সামরিক সংঘাত বড় ধরনের বিপর্যয়ে রূপ নিতে পারে।

ইরান ও সৌদি আরব মধ্যস্থতার চেষ্টা করছে। যুক্তরাষ্ট্র প্রকাশ্যে ভারতের সন্ত্রাসবিরোধী লড়াইয়ের প্রতি সমর্থন জানালেও, দক্ষিণ এশিয়ার প্রতি তাদের মনোযোগ সীমিত বলেই মনে করা হচ্ছে।

বিশ্লেষকরা বলছেন, ২০১৯ সালের ঘটনার তুলনায় এবার প্রমাণের স্বচ্ছতা কম, আর “রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্ট” নামে একটি অজ্ঞাত গোষ্ঠী হামলার দায় স্বীকার করলেও ভারত এটিকে পাকিস্তানভিত্তিক সংগঠনের ছায়া গোষ্ঠী বলে মনে করছে।

ভারতীয় সরকারের ওপর অভ্যন্তরীণ চাপ রয়েছে এবং মোদি সরকার “বড় ধরনের কিছু” করার পরিকল্পনায় এগোচ্ছে বলেও ধারণা করা হচ্ছে।

Header Ad
Header Ad

ঢাকায় অটোরিকশা ও চার্জিং স্টেশন বন্ধে ডিএনসিসির অভিযান শুরু হতে যাচ্ছে

ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ জানিয়েছেন, রাজধানীর প্রধান সড়কগুলো থেকে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা সরাতে শিগগিরই অভিযান চালানো হবে। শনিবার (২৬ এপ্রিল) মিরপুর পল্লবীতে রাস্তা, ফুটপাত ও নর্দমা নির্মাণ কাজের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।

এজাজ জানান, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) ইতোমধ্যে অবৈধ অটোরিকশা তৈরির ওয়ার্কশপ ও চার্জিং স্টেশনের তালিকা প্রস্তুত করেছে। তালিকাভুক্ত স্থাপনাগুলোর বিরুদ্ধে শিগগিরই যৌথ অভিযান চালানো হবে।

এছাড়া, ডিএনসিসি প্রশাসক আবাসিক এলাকাগুলোতে অবৈধ অটোরিকশা ও বাণিজ্যিক কার্যক্রম বন্ধে বাড়ির মালিক সমিতিগুলোকেও সক্রিয় ভূমিকা রাখতে আহ্বান জানান।

অনুষ্ঠানে তিনি জলাধার রক্ষার ওপর গুরুত্বারোপ করে নাগরিকদের জমি কেনার আগে মৌজা ম্যাপ যাচাই করার অনুরোধ জানান।

পল্লবীর ইস্টার্ন হাউজিং এলাকার উন্নয়নের বিষয়ে তিনি বলেন, সাতটি প্যাকেজে রাস্তা, নর্দমা ও ফুটপাত নির্মাণ শেষ হলে এলাকাটির জলাবদ্ধতা কমবে এবং যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নত হবে। পাশাপাশি বর্ষায় বড় গাছ লাগিয়ে এলাকা সবুজায়নের উদ্যোগ নেয়ারও আহ্বান জানান তিনি।

উদ্বোধন অনুষ্ঠানে ডিএনসিসির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারাও উপস্থিত ছিলেন।

Header Ad
Header Ad

চাঁদা না দিলে রেলের কমান্ড্যান্টকে বদলির হুমকির অভিযোগ দুই ছাত্র প্রতিনিধির বিরুদ্ধে (ভিডিও)

ছবি: সংগৃহীত

ঢাকার রেলওয়ে নিরাপত্তাবাহিনীর কমান্ড্যান্টের কাছে চাঁদা দাবী করার অভিযোগ উঠেছে দুই ছাত্র প্রতিনিধির বিরুদ্ধে। চাঁদা না দিলে রেলের কমান্ড্যান্টকে বদলির হুমকিও দেয়া হয়েছে।সম্প্রতি তাদের কথোপকথনের একটি কল রেকর্ড ফাঁস হয়েছে।

অভিযুক্তরা হলেন রেলপথ মন্ত্রনালয়ের ছাত্র প্রতিনিধি মেহেদী হাসান এবং রেজাউল করীম। 

ভাইরাল হওয়া ওই কল রেকর্ড থেকে জানা যায়, রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনীর চট্টগ্রাম বিভাগের কমান্ড্যান্ট মো. শহীদ উল্লাহর কাছে ১০ লক্ষ টাকার বিনিময়ে তাকে ঢাকায় নিয়ে যাওয়ার প্রস্তাব দেয় ওই ২ সমন্বয়ক। তবে এটি করবে না যদি বর্তমানে ঢাকায় কর্মরত রেলওয়ে নিরাপত্তাবাহিনীর কমান্ড্যান্ট মোহাম্মদ শফিকুল ইসলাম তাদের দাবীকৃত টাকা তাদের বুঝিয়ে দেয়।

এ বিষয়ে কমান্ড্যান্ট শফিকুল ইসলামের সাথে এর আগেও বেশ কয়েকবার আলোচনা হয়েছিল ওই দুই সমন্বয়কের।

রেকর্ডে শোনা যায়- কমান্ড্যান্ট শফিকুল ইসলাম ছাত্র প্রতিনিধি মেহেদী হাসানকে বলছেন, ‘‘আমি তো ওইদিন আপনার সামনেই বললাম কোর্টের মধ্যে থেকে যে টাকাটা জমা হয় ওইটা তোলার জন্য। ওইটা না হলে দুই লাখ টাকা দিতে পারবো না, আমার কোন ইনকাম সোর্সও নাই। কমান্ড্যান্ট মো. শহীদ উল্লাহর যেহেতু বলছে তার কাছ থেকে দশ লাখ টাকা নিয়া নেন। সে মাত্র গেছে।’’

ছাত্র প্রতিনিধি মেহেদী বলছে, না। ‘‘সমস্যা নেই আপনার সাথে যে কথা হয়েছে নির্জন (রেজাউল ইসলামের ডাক নাম) ভাইয়ের, ওইটা দিলেই হবে। তাহলে ওইটা হচ্ছে কবে? কালকে?’’

শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘‘কোর্ট থেকে টাকাটা উঠানোর সাথে সাথে আমি দিয়ে দিবো। যদিও আমার কষ্ট হইতেছে। কারণ এর বাইরে তো আমার কাছে টাকা নেই।’’

এরপর মেহেদী ফোন ধরিয়ে দেয় আরেক ছাত্র সমন্বয়ক রেজাউলকে, ফোন দিয়ে বলে শফিক ভাই কথা বলবে। এরপর মেহেদী তার মুঠোফোনটি রেজাউলকে দিয়ে দেয়।

এ সময় শফিকুল ইসলাম রেজাউল করীমকে বলেন, ‘‘ভাই কালকে তো আপনার রেস্ট হাউজে গেলাম। গিয়ে বললাম না, আমি কি কালকে আসবো? কোর্টের বেঞ্চ সহকারী বললো আমি লিখে একাউন্টে পাঠাইছি। আমি জানাবো, জানালে আপনি আসবেন, আজকে এখনো জানায়নি কোর্টে যাওয়ার জন্য। জানাইলে আমি আসবো।’’

ছাত্র সমন্বয়ক রেজাউল বলছে- ‘‘এখন ভাই আপনি দেখেন , ওইটা আমার কাছে কিছু বইলেন না। কোন বিষয় কি করবেন। সেইটা আপনার বিষয়। আপনি যেমন বলেছেন সেইটাই করা হয়েছে। এখন কিভাবে কি করবেন সেটা আপনার বিষয় ?’’

এদিকে ফাঁস হওয়া কল রেকর্ড সম্পর্কে জানতে চাইলে কমান্ড্যান্ট মো. শফিকুল ইসলাম বলেন- হ্যাঁ, ওই কল রেকর্ডটি আমাদের। আমাকে কমলাপুর রেস্ট হাউজে ডেকে নিয়ে ৫ লক্ষ টাকা চেয়েছিলো ছাত্র প্রতিনিধি রেজাউল।

তিনি আরো বলেন, রেজাউল আমাকে বলেছিলো উপদেষ্টাকে আমরা যা বলি, উপদেষ্টা তাই শোনে। চট্রগ্রামে উপদেষ্টা যখন গিয়েছিলো তখন কমান্ড্যান্ট শহীদুল্লাহ শহীদ ঢাকায় আসার জন্য আমাদের কাছে ১০ লক্ষ টাকা অফার করেছে। আপনি ৫ লক্ষ টাকা দিলে আপনাকে ঢাকাতে রাখবো। না হয় শহীদুল্লাহকে নিয়ে আসবো।

তিনি আরো বলেন, ‘আমি এই ঘটনার স্বাক্ষী প্রমান রাখার জন্য প্রথমে রাজি হয়ে যাই, এক লক্ষ টাকা বলি এবং পরে দুই লক্ষ টাকা বলি। যোগাযোগ দীর্ঘায়িত করি তথ্য প্রমানের জন্য। আর এই রেকর্ডটি আমিই করি এবং অফিসিয়াল হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে দেই। আজ (মঙ্গলবার) ডিজি মহোদয়ের সাথে সাক্ষাত করে আইনগত ব্যবস্থা নিবো।’

এই ব্যাপারে জানতে অভিযুক্ত ছাত্র প্রতিনিধি মেহেদী ও রেজাউলের মুঠোফোনে একাধিকবার চেষ্টা করেও তাদের সাথে যোগাযোগ সম্ভব হয়নি।

চাঁদা দাবির বিষয়ে ছাত্র প্রতিনিধি আশিকুর রহমানের সাথে কথা হলে তিনি বলেন, আমরা সকলেই একটি টিমে কাজ করি। আমি চাঁদা চেয়েছি এমন প্রমাণ কেউ দিতে পারবে না। আমি মেহেদী ও রেজাউলের সাথে জড়িত নই।

তবে কমান্ড্যান্ট মো. শফিকুল ইসলাম জানান- ‘আশিকুর রহমান, মেহেদী ও রেজাউলের যোগসাজসে এই চাঁদা দাবি করা হয়েছে।’

সংবাদ সূত্র: রেল নিউজ ২৪

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

পাকিস্তানে সামরিক হামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে ভারত: নিউইয়র্ক টাইমস
ঢাকায় অটোরিকশা ও চার্জিং স্টেশন বন্ধে ডিএনসিসির অভিযান শুরু হতে যাচ্ছে
চাঁদা না দিলে রেলের কমান্ড্যান্টকে বদলির হুমকির অভিযোগ দুই ছাত্র প্রতিনিধির বিরুদ্ধে (ভিডিও)
বলিউডে সেনারা হিরো, বাস্তবে কেন জিরো ভারতীয় বাহিনী!
কুমিল্লায় বজ্রপাতে স্কুলছাত্রসহ নিহত ৪
মে মাসে শেখ হাসিনার বিচার শুরু হচ্ছে: প্রধান উপদেষ্টা
ঢাকাসহ সারাদেশে বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে
সবাই মিলে গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করাই লক্ষ্য: আলী রীয়াজ
ইশরাককে মেয়র ঘোষণা করে গেজেট প্রকাশ
কাশ্মীর সীমান্তে ভারত-পাকিস্তানের ফের গোলাগুলি
টস হেরে ফিল্ডিংয়ে বাংলাদেশ, একাদশে ৩ পরিবর্তন
দেশে ফিরেছেন প্রধান উপদেষ্টা
টটেনহামকে উড়িয়ে প্রিমিয়ার লিগের চ্যাম্পিয়ন লিভারপুল
শেখ হাসিনাকে ‘চুপ’ রাখতে পারবেন না মোদি
রেফারির কাছে ক্ষমা চাইলেন মাদ্রিদের ডিফেন্ডার আন্তনিও রুদিগার
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নবীন শিক্ষার্থীদের শুভেচ্ছা উপহার দিলেন ছাত্রদল নেতা
দুর্নীতির অভিযোগ তুলে দুই উপদেষ্টার পদত্যাগ দাবি
নওগাঁয় গ্রাহকের আমানতের টাকা ফেরত না দেওয়ায় জাতীয় পার্টি’র নেতাকে গণধোলাই
পাকিস্তানের পাশাপাশি বাংলাদেশকেও পানি না দেওয়ার আহ্বান বিজেপি এমপির
এসআই নিয়োগের ফলাফল প্রকাশ, ৫৯৯ জনকে প্রাথমিক সুপারিশ