চাপ এড়াতে বিকল্প পথের অনুরোধ বিকেএমইএ’র
বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের দাম কমলেও দেশে জ্বালানির তেলের অস্বাভাবিক মূল্য বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত সবাইকে হতবাক করেছে। এ সিদ্ধান্তের কারণে নিঃসন্দেহে চাপে পড়বে রপ্তানিমুখী শিল্পখাত।
এ অবস্থা থেকে উত্তরণে সরকার সংশ্লিষ্ট স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে জরুরি ভিত্তিতে আলোচনা করে খাতওয়ারী বিকল্প পরিকল্পনা গ্রহণ জরুরি বলে মনে বলেন বিকেএমইএর সভাপতি এ. কে. এম সেলিম ওসমান।
শনিবার (৬ আগস্ট) এক বিবৃতিতে তিনি এমনটি জানিয়েছেন।
এ. কে. এম সেলিম ওসমান বলেন, ‘পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে জ্বালানি তেলের মূল্য পুনর্বিবেচনা করা হবে বলে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রাণালয় থেকে জানানো হয়েছে। তারপরও ৫ আগস্ট (শুক্রবার) মন্ত্রণালয় প্রজ্ঞাপণ দিয়ে জ্বালানি তেলের অস্বাভাবিক মূল্য বৃদ্ধি করেছে। এতে বাংলাদেশের প্রধানতম রপ্তানিখাত নীট সেক্টরসহ দেশের সামগ্রিক শিল্প খাতে মারাত্বক বিরূপ পরিস্থিতি সৃষ্টি করবে।’
তিনি বলেন, ‘ডিজেলের দাম ৪৩ শতাংশ বৃদ্ধি করে প্রতিলিটার ১১৪ টাকা (অর্থাৎ প্রতি লিটারে ৩৪ টাকা বৃদ্ধি) করা হয়েছে। এ সিদ্ধান্তের প্রভাব সরাসরি বিদ্যুৎ, পরিবহন তথা অন্যান্য উপখাতগুলোতে পরবে নি:সন্দেহে। এরফলে নীট ও পোষাক খাতের প্রতিযোগিতা সক্ষমতাকে হ্রাস করে দিবে। ফলে দেশের নীট পোষাক শিল্প উদ্যোক্তাদের রপ্তানি প্রক্রিয়ায় বিরূপ প্রতিক্রিয়ার সম্মুখীন হওয়ার ব্যাপক সম্ভাবনা থাকছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘দীর্ঘ দুইবছর করোনা মহামারির কারণে বিশ্ব অর্থনীতি প্রায় এক ধরনের দীর্ঘ শ্লথ প্রবৃদ্ধির দিকে এগিয়েছে। যা থেকে আমরাও এখনো বেরোতে পারিনি। তার উপর রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে বিশ্ব অর্থনীতিতে একটি নেতিবাচক প্রভাব পরিলক্ষিত হচ্ছে। এরফলে বিশ্বের কাঁচামাল সরবরাহ চেইনে একটি বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। এর নেতিবাচক প্রভাব সরাসরি নীট সেক্টরসহ দেশের পোষাক শিল্পের উপর পড়েছে।
এই শীর্ষ ব্যবসায়ী আরও বলেন, ‘বিগত কিছু সময় ধরে আমরা কারখানাতে গ্যাসের প্রবাহ ও প্রেসার ঠিকমতো পাচ্ছি না। এর ফলে আমাদের উৎপাদন প্রক্রিয়াকে ব্যহত করছে। এত কিছুর পরেও গত বছর একদফা বিদ্যুতের মূল্য বৃদ্ধি এবং সম্প্রতি গ্যাসের মূল্য বৃদ্ধি করে সরকার। এই সিদ্ধান্ত উদ্যোক্তাদের ব্যাপক চাপে ফেলবে। এখন জ্বালানি তেলের অস্বাভাবিক মূল্য বৃদ্ধি পুরো উৎপাদন প্রক্রিয়ার উপরই একটি মারাত্মক চাপ সৃষ্টি করবে।
জেডএ/এমএমএ/