মঙ্গলবার, ৮ এপ্রিল ২০২৫ | ২৫ চৈত্র ১৪৩১
Dhaka Prokash

১০ লাখ কোটি টাকার বিদেশি ঋণ রেখে গেছে শেখ হাসিনা সরকার

ছবি: ঢাকাপ্রকাশ গ্রাফিক্স

বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থানের মুখে পদত্যাগ করে দেশ ছাড়ার আগে ১০ লাখ কোটি টাকার বিদেশি ঋণ রেখে গেছেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকার।

বুধবার (১৮ সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশ ব্যাংকের এক প্রতিবেদনে উঠে এসেছে এ তথ্য।

প্রতিবেদন অনুযায়ী, চলতি বছরের জুন শেষে দেশে বিদেশি ঋণের মোট পরিমাণ ১০৩ দশমিক ৭৯ বিলিয়ন (১০ হাজার ৩৭৯ কোটি) ডলারে পৌঁছেছে। প্রতি ডলার ১২০ টাকা ধরে বাংলাদেশি মুদ্রায় এই ঋণের পরিমাণ দাঁড়ায় ১২ লাখ ৪৫ হাজার ৪৭৮ কোটি টাকা। এর মধ্যে ৮৩.২১ বিলিয়ন ডলার অর্থাৎ, প্রায় ৯ লাখ ৯৮ হাজার ৫৮০ কোটি টাকা সরকারের নেওয়া। এতে সরকারের নিজস্ব, কেন্দ্রীয় ব্যাংক, রাষ্ট্রমালিকানাধীন বাণিজ্যিক ব্যাংক ও সরকারি সংস্থার ঋণ রয়েছে। বাকি ঋণের দায় বেসরকারি খাতের।

অর্থনীতিবিদদের মতে, বেশি হারে সুদ ও কঠিন শর্তে নেওয়া এসব ঋণ সরকারি সংস্থাগুলোর দেওয়া পণ্য ও সেবার মূল্য বাড়িয়ে দিচ্ছে।

২০০৯ সালের ৬ জানুয়ারি শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সরকার গঠন করে আওয়ামী লীগ। ওই সময় অর্থাৎ ২০০৮-০৯ সাল শেষে সরকারের বিদেশি ঋণ ছিল ৫০ দশমিক ৩৬ বিলিয়ন ডলার। অর্থাৎ গত ১৫ বছর ৮ মাসের ব্যবধানে দেশে বিদেশি ঋণ বেড়েছে ৫৩ দশমিক ৪২ বিলিয়ন ডলার।

বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদন অনুসারে, চলতি বছরের মার্চ মাস শেষে সরকার ও বেসরকারি খাতে বিদেশি ঋণের স্থিতি ছিল ৯৯ দশমিক ৩০ বিলিয়ন (৯ হাজার ৯৩ কোটি) ডলার। অর্থাৎ তিন মাসেই প্রায় ৪ দশমিক ৪৮ বিলিয়ন ডলার বিদেশি ঋণ নেয় বিগত সরকার।

বিশ্লেষকদের মতে, সাবেক সরকারের যথাযথ ঋণ ব্যবস্থাপনা না থাকায় দেশি উৎস থেকে বেশি পরিমাণে ঋণ নেওয়া হয়েছে। যদিও বৈদেশিক মুদ্রায় বিদেশি ঋণ নেওয়াকে সবসময় স্বাগত জানান অর্থনীতিবিদ ও বিশেষজ্ঞরা। গত ১৫ বছরে অনেক বিদেশি ঋণও নেওয়া হয়েছে। তবে এসব ঋণের বেশির ভাগই নেওয়া হয়েছে দর–কষাকষি ও বাছবিচারহীনভাবে; যা সরকারের দায়-দেনা পরিস্থিতিতে চাপ বাড়িয়েছে।

অর্থনীতিবিদরা বলছেন, করোনা মহামারির কারণে বিশ্বব্যাপী আর্থিক সংকট তৈরি হওয়ার পর মার্কিন সুদের হার বেড়ে যায়। এর প্রভাবে বিদেশি ঋণেও সুদের হার বেড়ে যায়। পাশাপাশি দেশের টাকার বড় ধরনের অবমূল্যায়নের ফলে বিপাকে পড়ে বেসরকারি খাতের বিদেশি ঋণ নেওয়া ব্যবসায়ীরা। এজন্য বিদেশি ঋণ নেওয়ার চেয়ে পরিশোধে মনোযোগী হয় তারা। কিন্তু ডলারের দর স্থিতিশীল হওয়া ও দেশে ঋণে সুদের হার বাড়তে থাকায় বিদ্যমান পরিস্থিতির মধ্যেই ফের বিদেশি ঋণ নিতে শুরু করেছে ব্যবসায়ীরা।

প্রসঙ্গত, ২০০৯ সাল থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত শেখ হাসিনার সরকার যে মেগা প্রকল্পগুলো বাস্তবায়িত করেছে কিংবা বাস্তবায়ন করছে তারমধ্যে উল্লেখযোগ্য পদ্মা বহুমুখী সেতু, ঢাকা মেট্রোরেল, ঢাকা শাহজালাল বিমানবন্দরের থার্ড টার্মিনাল, ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্প, কর্ণফুলী টানেল, মাতারবাড়ি গভীর সমুদ্রবন্দর। মূলত এই মেগা প্রকল্পগুলো বাস্তবায়ন করতে গিয়েই বাংলাদেশের বৈদেশিক ঋণের পরিমাণ ছাড়িয়েছে ১০০ বিলিয়ন ডলার।

Header Ad
Header Ad

মাকে জামায়াত রুকন অপবাদ দিয়ে বাড়ি থেকে উচ্ছেদ করেন তুরিন আফরোজ: অভিযোগ মায়ের

সামসুন নাহার তাসলিম। ছবি: সংগৃহীত

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের সাবেক প্রসিকিউটর তুরিন আফরোজের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ এনেছেন তার মা সামসুন নাহার তাসলিম। সোমবার (৮ এপ্রিল) সুপ্রিম কোর্টের এনেক্স ভবনের রিপোর্টার্স রুমের সামনে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি অভিযোগ করেন, মেয়ে তুরিন আফরোজ তাকে 'জামায়াত রুকন' অপবাদ দিয়ে উত্তরার বাসা থেকে উচ্ছেদ করেছেন।

তিনি বলেন, “জামায়াতের সঙ্গে আমার কোনো সম্পর্ক না থাকলেও তুরিন প্রতিনিয়ত বিভিন্ন জায়গায় আমাকে জামায়াতের রুকন বলে অপপ্রচার চালিয়েছে। এতে করে আওয়ামী লীগের শাসনামলে ক্ষমতার অপব্যবহার করে সে আমাকে বাড়ি থেকে বের করে দেয়।”

সামসুন নাহার বলেন, “আমার স্বামী মারা যাওয়ার ১৮ দিন পর তুরিন আমাকে বাসা থেকে বের করে দেয়। আমার অপরাধ ছিল তার কিছু অনৈতিক কর্মকাণ্ডের প্রতিবাদ করা। ভাড়াটিয়াদের কাছ থেকে ভাড়া নেওয়া, বাড়িতে অপরিচিত লোকজনের আসা-যাওয়া নিয়ে প্রশ্ন তোলা ছিল তার মধ্যে অন্যতম।”

তিনি আরও বলেন, “ওর বাবা মারা যাওয়ার পর থেকে সে জোর করে বাসার ভাড়ার টাকা আদায় করে নেয়। আমি বাধা দিলে ডিজিএফআই, র্যাব, পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নাম নিয়ে ভয় দেখাত এবং ৫৭ ধারায় গ্রেফতার করিয়ে দেওয়ার হুমকিও দিত।”

সংবাদ সম্মেলনে তুরিন আফরোজের মা নতুন সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, “এখন নতুন সরকার এসেছে, আমি ড. ইউনূসের সরকারের কাছে আবেদন জানাই—আমার বাসা যেন আমাকে ফেরত দেওয়া হয়। আমি আমার দেশ ছেড়ে বিদেশে পড়ে থাকতে চাই না। এ দেশ আমার জন্মস্থান, আমার ৫০ বছরের সংসার এখানে। আমি এখানেই থাকতে চাই।”

এই বিষয়ে তুরিন আফরোজের কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।

Header Ad
Header Ad

ঢাকায় আসছেন ট্রাম্প প্রশাসনের দুই কূটনীতিক

অ্যান্ড্রু হেরাপ ও নিকোল চুলিক। ছবি: সংগৃহীত

আগামী ১৫ ও ১৬ এপ্রিল ঢাকায় আসছেন যুক্তরাষ্ট্রের ট্রাম্প প্রশাসনের দুই গুরুত্বপূর্ণ কূটনীতিক—দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়াবিষয়ক উপ-সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী নিকোল চুলিক এবং পূর্ব এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলবিষয়ক উপ-সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্ড্রু হেরাপ। কূটনৈতিক সূত্র জানিয়েছে, ঢাকা সফরকালে তারা বাংলাদেশ সরকারের সংস্কার উদ্যোগ এবং রোহিঙ্গা সংকট নিয়ে আলোচনা করবেন।

নিকোল চুলিক ১৫ এপ্রিল ঢাকায় পৌঁছাবেন এবং ১৫-১৮ এপ্রিল পর্যন্ত অবস্থান করবেন। তার সফরসঙ্গী হিসেবে মিয়ানমারে নিযুক্ত ভারপ্রাপ্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত সুসান স্টিভেনসনেরও ঢাকা সফরে যোগ দেওয়ার কথা রয়েছে। সফরকালে তিনি সরকারের প্রধান উপদেষ্টা, পররাষ্ট্র উপদেষ্টাসহ বিভিন্ন উচ্চপর্যায়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করবেন। একইসঙ্গে বিএনপি, জামায়াতে ইসলামীসহ কয়েকটি রাজনৈতিক দলের সঙ্গেও তার বৈঠকের পরিকল্পনা রয়েছে।

এদিকে, নিকোল চুলিকের সফরের একদিন পর ১৬ এপ্রিল ঢাকায় আসবেন যুক্তরাষ্ট্রের পূর্ব এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলবিষয়ক উপ-সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্ড্রু হেরাপ।

উল্লেখ্য, ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর এটিই হতে যাচ্ছে মার্কিন সরকারের উচ্চপর্যায়ের কোনো প্রতিনিধিদলের প্রথম বাংলাদেশ সফর, যা দুই দেশের কূটনৈতিক সম্পর্ক ও আঞ্চলিক ইস্যুতে সহযোগিতার নতুন মাত্রা তৈরি করতে পারে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকেরা।

Header Ad
Header Ad

বিক্ষোভের নামে লুটপাট নিয়ে যা বললেন মিজানুর রহমান আজহারী

মিজানুর রহমান আজহারী। ছবি: সংগৃহীত

বিক্ষোভের নামে লুটপাট চালানোকে নিন্দা জানিয়ে এটিকে ‘নিতান্তই ছোটলোকি’ বলে মন্তব্য করেছেন দেশের জনপ্রিয় ইসলামিক স্কলার মাওলানা মিজানুর রহমান আজহারী। মঙ্গলবার (৮ এপ্রিল) দুপুরে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দেওয়া এক পোস্টে তিনি এ মন্তব্য করেন।

আজহারি লেখেন, “বিক্ষোভের নামে লুটপাট নিতান্তই ছোটলোকি। যেসব অতি উৎসাহীরা এ গর্হিত কর্মকাণ্ডে জড়িয়েছে তারা সুযোগের অভাবে সৎ। তারা যেকোনো ভালো উদ্যোগকে মন্দ পরিণতির দিকে নিয়ে যায়। কোনো একটি স্মার্ট মুভকে মুহূর্তেই পণ্ড করে দেয়।”

তিনি আরও বলেন, “প্রতিবাদের প্রতিটি ধাপ হতে হবে যৌক্তিক ও বুদ্ধিদীপ্ত। কারণ মুমিনের আচরণ কখনোই এমন নয়।”

 

এর আগে সোমবার নিজের ফেসবুক পেজে দেওয়া এক ভিডিও বার্তায় ‘মার্চ ফর গাজা’ নামে ঢাকায় এক বিশাল বিক্ষোভ কর্মসূচির ঘোষণা দেন মিজানুর রহমান আজহারি। ফিলিস্তিনের গাজায় চলমান ইসরায়েলি আগ্রাসনের প্রতিবাদে আগামী ১২ এপ্রিল (শনিবার) এই কর্মসূচি আয়োজিত হবে। শাহবাগ থেকে শুরু হয়ে এটি মানিক মিয়া এভিনিউয়ে গিয়ে শেষ হবে বলে জানান তিনি।

তিনি আরও বলেন, “এই বিক্ষোভ হবে মানবতার পক্ষে, ন্যায়ের পক্ষে এবং গাজাবাসীদের পক্ষে। দল, মত, জাতি, পেশা নির্বিশেষে সবাইকে এই কর্মসূচিতে অংশগ্রহণের আহ্বান জানাচ্ছি।”

 

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

মাকে জামায়াত রুকন অপবাদ দিয়ে বাড়ি থেকে উচ্ছেদ করেন তুরিন আফরোজ: অভিযোগ মায়ের
ঢাকায় আসছেন ট্রাম্প প্রশাসনের দুই কূটনীতিক
বিক্ষোভের নামে লুটপাট নিয়ে যা বললেন মিজানুর রহমান আজহারী
ফরিদপুরে বাস দুর্ঘটনায় বাবা-ছেলেসহ ৫ জন নিহত, আহত অন্তত ৩০
উন্নত চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুরে গেলেন তামিম ইকবাল
ফেসবুকে লুটের মাল বিক্রির পোস্ট, সিলেটে ১৪ জন আটক
গাজায় ইসরায়েলি হামলায় আরও ৬০ ফিলিস্তিনি নিহত
১৫ এপ্রিল থেকে ৫৮ দিন বঙ্গোপসাগরে মাছ ধরা নিষিদ্ধ
খুলনায় ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনায় আটক ৩১ জন
স্বাধীনতা কনসার্ট সাময়িক স্থগিত করলো বিএনপি
শুল্ক ছাড়ে আলোচনায় আগ্রহী যুক্তরাষ্ট্র, চীনের ওপর ট্রাম্পের হুঁশিয়ারি
সন্তানকে ব্যবহার করে ‘ভিউ ব্যবসা’, ‘ক্রিম আপা’র ব্যাখ্যা চেয়েছে প্রশাসন
ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলাকারীদের গ্রেপ্তারের নির্দেশ আইজিপির
সীমান্ত এলাকার পরিস্থিতি নিয়ে চুয়াডাঙ্গায় বিজিবির মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত
গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর গণহত্যার তীব্র নিন্দা জানালো বাংলাদেশ
সতর্কতার মাত্রা বাড়াল ইরান, যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলকে প্রকাশ্য হুমকি
সাবেক নৌপ্রতিমন্ত্রী খালিদের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা
ভারত থেকে ৪০টি রেফ্রিজারেটেড মিল্ক ভ্যান আমদানি করছে সেনাবাহিনী
ফিলিস্তিনের পক্ষে মিছিল: ৫ বাংলাদেশিসহ ৪ শতাধিক শিক্ষার্থীর ভিসা বাতিল করলো যুক্তরাষ্ট্র
গাজায় গণহত্যার প্রতিবাদ: পাঁচ জেলায় বাটা-কেএফসিতে হামলা-ভাঙচুর