শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | ৫ আশ্বিন ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

৭ হাজার ৯২৪ কোটি টাকা খেলাপি ঋণ গোপন করেছে সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক!

সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক। ছবি: সংগৃহীত

বেনামে ঋণ দিয়ে ৭ হাজার ৯২৪ কোটি টাকার খেলাপি ঋণের পাহাড় গড়েছে সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক (এসআইবিএল)। দীর্ঘ দিন সেই তথ্য গোপন রেখেছে ব্যাংকটি, আর এ কাজে সহায়তায় করেছে খুদ কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এছাড়া এস আলম গ্রুপের মালিকানাধীন ব্যাংকটি প্রভিশন ঘাটতির ফলে লভ্যাংশও ঘোষণা করতে পারছে না।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পরিদর্শন রিপোর্টে দেখা যায়, ২০২৩ এর ডিসেম্বর শেষে সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংকের খেলাপি ঋণ দাঁড়িয়েছে ৯ হাজার ৫৬৮ কোটি টাকা। অথচ ব্যাংকটি কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কাছে রিপোর্টে দেখিয়েছে মাত্র ১ হাজার ৬৪৪ কোটি টাকা।

এছাড়া পরিদর্শন টিম ২০২৩ সালের ডিসেম্বর শেষে সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক লিমিটেডে (এসআইবিএল) প্রভিশন ঘাটতির পরিমাণ পেয়েছে ৮ হাজার ১২৭ কোটি টাকা। অথচ কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তার পরামর্শে প্রতিবেদনে দেখাতে হয়েছে মাত্র ৬৪ কোটি টাকা। এর মাধ্যমে ব্যাংকটির প্রভিশন ঘাটতি গোপন করেছে ৮ হাজার ৬৩ কোটি টাকা।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পরিদর্শক দলটি চলতি বছরের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত সরেজমিনে ব্যাংকটির প্রধান পাঁচটি শাখা, ১০টি শাখার অফ-সাইট ভিত্তিতে পর্যালোচনা ও ঢাকার বাইরের সাতটি শাখায় পরিদর্শন করে আর্থিক প্রতিবেদনের এসব অসঙ্গতি চিহ্নিত করে।

পরিদর্শন টিমে থাকা এক কর্মকর্তা বলেন, সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংকের ওপর পরিদর্শন করে ৮ হাজার কোটি টাকার অনিয়ম– মাত্র ৬৪ কোটি দেখিয়ে রিপোর্ট করতে হয়েছে।

তিনি বলেন, 'এমন অনিয়মের বিষয়ে আমাদের সংশ্লিষ্ট বিভাগের অতিরিক্ত পরিচালক, পরিচালক ও নির্বাহী পরিচালক পর্যন্ত রাজি ছিলেন না। তবে আমাদের সংশ্লিষ্ট সুপারভাইজিং মহাপরিচালক চাপ দিয়ে এমন রিপোর্ট দিতে বাধ্য করেন।'

তিনি আরও বলেন, 'কেন্দ্রীয় ব্যাংকের শীর্ষ সেই কর্মকর্তা আমাদের পরিদর্শন টিমকে বলেন এমন করে রিপোর্ট দিতে হবে– যাতে ১০ শতাংশ ডিভিডেন্ড (লভ্যাংশ) দেয়ার সুযোগ থাকে।'

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পরিদর্শন রিপোর্টে দেখা যায়, সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংকের বিতরণ করা মোট ঋণের মধ্যে শ্রেণিকরণযোগ্য পরিমাণ হচ্ছে ৯ হাজার ২৪২ কোটি টাকা। এর বিপরীতে প্রভিশন রাখার প্রয়োজন ৭ হাজার ৪১৯ কোটি টাকা। যদিও ব্যাংকের হিসেবে রক্ষিত প্রভিশন দেখানো হয়েছে ১ হাজার ৯২ কোটি টাকা। অর্থাৎ পরিদর্শন টিমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ঘাটতি রয়েছে ৬ হাজার ৩২৬ কোটি টাকা।

পরিদর্শন টিম, আদালত কর্তৃক স্থগিতাদেশ প্রাপ্ত বিনিয়োগের বিপরীতে প্রভিশন সংরক্ষণের দরকার ছিল আরো ১ হাজার ৭০৮ কোটি টাকার। যদিও ব্যাংকটি দেখিয়েছে মাত্র ৪০ কোটি ৯৭ লাখ টাকা। অর্থাৎ এখানে প্রভিশন ঘাটতি রয়েছে ১ হাজার ৬৬৭ কোটি টাকা।

এ ছাড়া অফশোর ব্যাংকিং ইউনিট (ওবিইউ) হতে বিনিয়োগ, অন্যান্য সম্পদের বিপরীতে রক্ষিতব্য প্রভিশন ছিল ১৫৪ কোটি টাকা। যদিও ব্যাংকটি তার রিপোর্টে এই দেখিয়েছে যে, এই দুটি খাতে তাদের প্রভিশনের প্রয়োজন ছিল মাত্র ২০ কোটি টাকা।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পরিদর্শন টিম ব্যাংকটির বিপুল পরিমাণ খেলাপি ঋণ ও প্রভিশন ঘাটতির তথ্য পেলেও– রিপোর্টে দেখানো হয়েছে খুবই কম।

বাংলাদেশ ব্যাংক সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংকের প্রকৃত তথ্য গোপন করে— পরবর্তীতে যেভাবে প্রতিবেদন দিয়েছে, তাতে দেখা যায় ব্যাংকটির মোট প্রভিশন সংরক্ষণ প্রয়োজন ছিল ১ হাজার ৩৭০ কোটি টাকা। আর ব্যাংকটি সংরক্ষণ করতে পেরেছে ১ হাজার ৩০৬ কোটি টাকা। অর্থাৎ মাত্র ৬৪ কোটি টাকা প্রভিশন ঘাটতি দেখানো হয়েছে।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রতিবেদনে বলা হয়, ব্যাংকের অর্থিক সুনাম রক্ষার্থে, এলসি মার্জিন ব্যয় কমাতে, বিশ্বব্যাপী অস্বাভাবিক মুদ্রাস্ফীতি, আমদানির জন্য পর্যাপ্ত বৈদেশিক মুদ্রা না থাকায়– ব্যাংকখাত সংকটময় সময় অতিবাহিত করছে। এ ছাড়া ব্যাংকিং ক্যাটাগরি অক্ষুণ্ণ রাখা– অন্তর্জাতিকভাবে রেটিংয়ের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত। তাই ব্যাংকটির সুনাম ও ভবিষ্যতে মজবুত আর্থিক ভিত্তি তৈরির জন্য এমন সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।

যদিও কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পরিদর্শন রিপোর্টে বলা হয়, সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংকের খেলাপি ঋণ ৯ হাজার ৩৭১ কোটি টাকা। এই খেলাপি ঋণের মধ্যে ৩০ শতাংশ আগামী জুনের মধ্যে, ৩০ শতাংশ আগস্টের মধ্যে ও অবশিষ্ট ৪০ শতাংশ ডিসেম্বর ২০২৪ এর মধ্যে প্রভিশন সংরক্ষণ করতে হবে।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তিন মাস পর পর করা ক্লাসিফায়েড লোন অ্যান্ড প্রভিশনিং রিপোর্টে দেখা গেছে, ২০২৩ এর ডিসেম্বর শেষে ব্যাংকটির মোট ঋণ ৩৫ হাজার ৮৭৮ কোটি টাকা। এরমধ্যে খেলাপি ঋণ দেখিয়েছে ১ হাজার ৬৪৪ কোটি টাকা। যদিও এ প্রতিবেদনে তাদের কোনো পরিমাণ প্রভিশন ঘাটতি দেখানো হয়নি।

Header Ad

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সব ধরনের রাজনীতি বন্ধ ঘোষণা

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) ক্যাম্পাসে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সব ধরনের রাজনীতি বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) রাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনে উপাচার্য লাউঞ্জে অনুষ্ঠিত এক জরুরি সিন্ডিকেট সভায় এ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।

সভা শেষে একাধিক সিন্ডিকেট সদস্য গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক সিন্ডিকেট সদস্য জানান, আজ সন্ধ্যা ৭টা থেকে রাত পৌনে ৯টা পর্যন্ত উপাচার্য লাউঞ্জে একটি জরুরি সিন্ডিকেট মিটিং হয়। সেখানে ২ ঘণ্টা আলোচনার পর এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

আরেকজন সিন্ডিকেট সদস্য জানান, একটি বিষয়ে আজকের অ্যাজেন্ডা ছিল, ছাত্র রাজনীতি। পরে শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারী সবাইকে যুক্ত করে রাজনীতি নিষিদ্ধ করা হয়েছে। পরবর্তীতে সমাজের বিভিন্ন স্তরের ব্যক্তিদের নিয়ে কমিটি করে এটিকে কোন ফরম্যাটে রাখা হবে—সেটির ভিত্তিতে ক্যাম্পাসে ছাত্ররাজনীতির সিদ্ধান্ত নির্ধারণ করা হবে।

কমিটির নেতৃত্বে সহ–উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক মামুন আহমেদ থাকতে পারেন বলে জানা গেছে।

উপাচার্য অধ্যাপক নিয়াজ আহমেদ খানের সভাপতিত্বে সভায় উপস্থিত ছিলেন উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক মামুন আহমেদ, উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক সায়মা হক বিদিশা, উপাচার্যের আমন্ত্রণে কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরীসহ সিন্ডিকেট সদস্যরা।

সরকারি ৬ ব্যাংকের এমডির নিয়োগ বাতিল

রাষ্ট্রায়ত্ত ৬ ব্যাংক। ছবি: সংগৃহীত

রাষ্ট্রায়ত্ত ৬ ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালকের (এমডি) চুক্তিভিক্তিক নিয়োগ বাতিল করেছে সরকার। বৃহস্পতিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) এ সংক্রান্ত আলাদা ছয়টি প্রজ্ঞাপন জারি করেছে অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ।

ব্যাংকগুলো হলো- সোনালী, অগ্রণী, জনতা, রূপালী, বেসিক ও বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক (বিডিবিএল)।

অপসারণ করা ব্যাংক এমডিরা হলেন- সোনালী ব্যাংকের এমডি মো. আফজাল করিম, জনতা ব্যাংকের এমডি মো. আবদুল জব্বার, অগ্রণী ব্যাংকের এমডি মো. মুরশেদুল কবীর, রূপালী ব্যাংকের এমডি মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর, বেসিক ব্যাংকের এমডি মো. আনিসুর রহমান এবং বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকের (বিডিবিএল) এমডি মো. হাবিবুর রহমান গাজী।

ছয়টি ব্যাংকের চেয়ারম্যানকে চিঠি দিয়ে এমডির সঙ্গে সম্পাদিত চুক্তি বাতিলের বিষয়টি জানানো হয়েছে। তবে নতুন করে ব্যবস্থাপনা পরিচালক নিয়োগের বিষয়ে এখনও কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি।

প্রধান উপদেষ্টার সহকারী প্রেস সচিব হলেন সাংবাদিক সুচিস্মিতা তিথি ও নাইম আলী

সুচিস্মিতা তিথি ও নাইম আলী। ছবি: সংগৃহীত

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সহকারী প্রেস সচিব হিসেবে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ পেয়েছেন সাংবাদিক সুচিস্মিতা তিথি ও নাইম আলী।

বৃহস্পতিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের চুক্তি ও বৈদেশিক নিয়োগ শাখার সিনিয়র সহকারী সচিব নিলুফা ইয়াসমিনের সই করা প্রজ্ঞাপন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, ‘দুই সাংবাদিকের নামের পাশে সহকারী প্রেস সচিব পদে অন্য প্রতিষ্ঠান ও সংগঠনের সঙ্গে কর্ম-সম্পর্ক পরিত্যাগের শর্তে যোগদানের তারিখ থেকে প্রধান উপদেষ্টার মেয়াদকাল অথবা তার সন্তুষ্টি সাপেক্ষে (যেটি আগে ঘটে) জাতীয় বেতনস্কেল ২০১৫ এর গ্রেড-১ ভুক্ত ৫৩,০৬০ টাকা নির্ধারিত বেতনে প্রধান উপদেষ্টার সহকারী প্রেস সচিব পদে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দেয়া হলো।’

বলা হয়েছে, এই নিয়োগের অন্য শর্ত অনুমোদিত চুক্তিপত্র দ্বারা নির্ধারিত হবে। জনস্বার্থে এ আদেশ জারি করা হলো।

সর্বশেষ সংবাদ

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সব ধরনের রাজনীতি বন্ধ ঘোষণা
সরকারি ৬ ব্যাংকের এমডির নিয়োগ বাতিল
প্রধান উপদেষ্টার সহকারী প্রেস সচিব হলেন সাংবাদিক সুচিস্মিতা তিথি ও নাইম আলী
৫০০ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ চেয়ে ইন্ডিপেন্ডেন্ট টিভির বিরুদ্ধে মানহানির মামলা
অন্তর্বর্তীকালীন সরকার অধ্যাদেশের খসড়ার চূড়ান্ত অনুমোদন
ভারতের কাছে শেখ হাসিনাকে ফেরত চাইবে বাংলাদেশ: আসিফ নজরুল
সালমান শাহ এক অকৃত্রিম ভালোবাসার নাম: শাবনূর
সাবেক মন্ত্রী রেজাউল-এমপি হেনরিসহ ৩ জনের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা
মানুষটার শরীর দেখে বারবার আবরারের কথা মনে পড়েছে: সারজিস
দিল্লিতে মেয়ের সঙ্গে থাকছেন শেখ হাসিনা, ঘুরে বেড়াচ্ছেন পার্কে
ফিফা র‍্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষেই আর্জেন্টিনা, ব্রাজিল ও বাংলাদেশের অবস্থান কত?
ঢাবিতে যুবককে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় ছাত্রলীগ নেতাসহ ২ শিক্ষার্থী আটক
সৌদি আরবে হতে পারে আইপিএলের নিলাম
নিউইয়র্কে ড. ইউনূস-মোদির বৈঠক হচ্ছে না
শেখ হাসিনার ভারতেই থাকা উচিত : শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট
জাতিসংঘের ই-গভর্নমেন্ট সূচকে বাংলাদেশের উন্নতি
আগস্টে সড়ক দুর্ঘটনায় ৪৭৬ জনের মৃত্যু
ঢাবি ও জাবিতে পিটিয়ে হত্যা দুঃখজনক: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
সাড়ে ২০ লাখ টাকা খরচে চালু হচ্ছে কাজিপাড়া স্টেশন
এস আলম গ্রুপের তথ্য চেয়েছে সিঙ্গাপুরের আর্থিক গোয়েন্দা সংস্থা