শনিবার, ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ | ৯ ফাল্গুন ১৪৩১
Dhaka Prokash

দেশের ব্যাংকের সংখ্যা কমিয়ে আনা হচ্ছে

ছবি: সংগৃহীত

দেশের ব্যাংকের সংখ্যা কমতে পারে। দুর্বল ব্যাংকগুলোকে ভালো ব্যাংকের সঙ্গে একীভূত করার এ উদ্যোগ শিগগির গ্রহণের জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার ব্যাংকগুলোর এমডিদের পরামর্শ দিয়েছেন।

দেশের সরকারি-বেসরকারি ও বিদেশি খাতের ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালকদের (এমডি) সঙ্গে বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুষ্ঠিত ব্যাংকার্স সভায় এ পরামর্শ দেন গভর্নর। বৈঠকে উপস্থিত একাধিক সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

গত ৩১ জানুয়ারি, মতিঝিলে বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়। এর আগে সর্বশেষ ব্যাংকার্স সভা অনুষ্ঠিত হয় গত আগস্টে। প্রায় পাঁচ মাস পর অনুষ্ঠিত সভায় সব ডেপুটি গভর্নরসহ কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ঊর্ধ্বতন নির্বাহীরা উপস্থিত ছিলেন।

বৈঠক সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, ‘গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার বৈঠকে বলেছেন, দেশের ৬১ ব্যাংকের মধ্যে ৪০টির মতো ব্যাংক ভালো অবস্থায় আছে। বাকিগুলোর মধ্যে ৮-১০টি ব্যাংক একীভূত হতে পারে। এজন্য ভালো ও দুর্বল ব্যাংকের এমডিদের নিজেদের মধ্যে আলোচনা শুরুর পরামর্শ দিয়েছেন তিনি। ফলে ব্যাংকের সংখ্যা ৪২ থেকে ৪৫-এ নেমে আসতে পারে।

সভা শেষে মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকের এমডি সৈয়দ মাহবুবুর রহমান সাংবাদিকদের বলেন,`এখন ব্যাংক খাতে সংস্কার শুরু করতে হবে, এর বিকল্প নেই। দুর্বল ব্যাংকগুলোকে ভালো ব্যাংকের সঙ্গে একীভূত হওয়া নিয়ে আলোচনা শুরু করতে হবে। সভায় এমন নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

বিদ্যমান নীতিমালা অনুযায়ী, চলতি বছরের আর্থিক তথ্যের ভিত্তিতে আগামী বছরের মার্চ থেকে দুর্বল ব্যাংকের ব্যবসা সীমিত করে দেওয়া হবে। এরপরই একীভূত বা অধিগ্রহণের প্রক্রিয়া শুরু হবে। দুর্বল ব্যাংক চিহ্নিত করা হবে মূলধন ঘাটতি, উচ্চ খেলাপি ঋণ, তারল্য ও সুশাসনে কতটা ঘাটতি রয়েছে তার ভিত্তিতে।

এদিকে ভালো ব্যাংকের সঙ্গে দুর্বল ব্যাংকের একীভূত হওয়ার গভর্নরের পরামর্শের পর ব্যাংকারদের মধ্যে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে, কেন ভালো ব্যাংকগুলো দুর্বল ব্যাংকের দায়িত্ব নেবে। সেটি হলে ভালো ব্যাংকগুলোর আর্থিক সূচকও খারাপ হয়ে যেতে পারে। আবার দুর্বল ব্যাংকগুলোর প্রকৃত আর্থিক চিত্র কী, সেটিও পরিষ্কার না। কারণ, দুর্বল ব্যাংকগুলোর অনেক বেনামি ঋণ রয়েছে, যা খেলাপির হিসাবের বাইরে।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে বৈঠকে উপস্থিত একাধিক এমডি বলেন, এ মুহূর্তে ভালো ব্যাংকগুলোকে একীভূত করার কোনো উদ্যোগ ভালো ব্যাংকগুলো নেবে না। কারণ, তাতে ভালো ব্যাংকগুলোও সমস্যায় পড়তে পারে। বাংলাদেশ ব্যাংক এ বিষয়ে সুনির্দিষ্ট নির্দেশনা বা নীতিমালা না দেওয়া পর্যন্ত এ বিষয়ে কেউ নিজ থেকে এগিয়ে আসবে বলে মনে হয় না।

২০২২ সালের ১২ জুলাই গভর্নর হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর ওই বছরের ৩ আগস্ট আব্দুর রউফ তালুকদার এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছিলেন, ব্যাংক খাতে সুশাসন প্রতিষ্ঠায় ১০টি দুর্বল ব্যাংককে চিহ্নিত করা হয়েছে। প্রতিটি ব্যাংকের অগ্রগতি বাংলাদেশ ব্যাংকের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা পর্যবেক্ষণ করবেন।

দুর্বল ব্যাংকের তালিকা আগামী বছর থেকে ব্যাংকার্স সভায় মুদ্রানীতির প্রধান বিষয়গুলো তুলে ধরার পরই ব্যাংকে সংকটের আগাম ও দ্রুত সংশোধনমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ সম্পর্কে (পিসিএ-ফ্রেমওয়ার্ক) আলোচনা হয়।

বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষ থেকে উপস্থিত এমডিদের জানানো হয়, যেসব ব্যাংকের প্রকৃত খেলাপি ঋণ ৫ শতাংশের বেশি এবং ঝুঁকিভিত্তিক সম্পদের বিপরীতে মূলধন সংরক্ষণের অনুপাত (সিআরআর) সাড়ে ১২ শতাংশের কম, সেসব ব্যাংককে চার ভাগে ভাগ করা হবে। এ ধরনের ব্যাংকের পরিচালন খরচের সীমা, লভ্যাংশ বিতরণ, নতুন শাখা খোলা, আমানত ও ঋণ বিতরণের সুবিধা বন্ধ করে দিতে পারবে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। ব্যাংকগুলোর ২০২৪ সালের আর্থিক প্রতিবেদনের ভিত্তিতে ২০২৫ সালের মার্চ থেকে এই নীতিমালা কার্যকর করা হবে।

ব্যাংকের শীর্ষ নির্বাহীদের সংগঠন অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স বাংলাদেশের (এবিবি) চেয়ারম্যান সেলিম আর এফ হোসেন সভা শেষে সাংবাদিকদের বলেন, ‘কেন্দ্রীয় ব্যাংক প্রতি প্রান্তিকে ব্যাংকগুলোর আর্থিক সূচকে পর্যালোচনার কথা বলেছে। আর্থিক সূচকে কেউ খারাপ করলে তাদের উন্নতির তাগিদ দিয়েছে। সার্বিক পরিস্থিতিতে ব্যাংক খাতের জন্য এটা জরুরি ছিল। এতে ব্যাংক খাতে স্থিতিশীলতা ফিরবে।’

সভা শেষে বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র মেজবাউল হক সাংবাদিকদের বলেন, ‘ব্যাংক একীভূত ও অধিগ্রহণের চর্চা সামনে শুরু হবে। শর্ত পূরণ করতে না পারলে পরিণতি কী হবে, তা মাথায় রাখতে সব ব্যাংকের এমডিদের বলা হয়েছে। আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতেহারেও আর্থিক খাতের শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনার কথা ছিল। সে অনুযায়ী বাংলাদেশ ব্যাংক কাজ করছে। খেলাপি ঋণ কমানো ও ব্যাংক খাতে সুশাসন ফেরানোর বিষয়ে সামনে নতুন ঘোষণা আসবে। কোনো ব্যাংক নিজেদের পরিস্থিতির উন্নতি করতে না পারলে একীভূত বা অধিগ্রহণ হয়ে যাবে।’


সভা সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, ডলার-সংকট কাটাতে নতুন উদ্যোগ নেওয়ার কথা জানানো হয়েছে সভায়। বিদেশ থেকে কোনো বাংলাদেশি যেকোনো পরিমাণ ডলার আনলে কেউ প্রশ্ন করবে না, এমন আইন করতে যাচ্ছে সরকার। পাশাপাশি কেন্দ্রীয় ব্যাংক চালু করবে ডলার-টাকা অদলবদল পদ্ধতি। এর মাধ্যমে ব্যাংকগুলো উদ্বৃত্ত ডলার কেন্দ্রীয় ব্যাংকে জমা দিয়ে টাকা নিতে পারবে। প্রয়োজন মতো সেই ডলার আবার টাকা জমা দিয়ে ফেরত নিতে পারবে।

আবার ব্যাংকে কোনো গ্রাহক বিদেশি মুদ্রা জমা রাখলে তার সুদের হার বাড়িয়ে ৭ থেকে ৯ শতাংশ করা হয়েছে। ব্যাংকের এমডিদের সেই তথ্য জানানো হয় সভায়। পাশাপাশি আমদানি-রপ্তানির আড়ালে অর্থপাচার কমে আসায় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পক্ষ থেকে এমডিদের ধন্যবাদ জানানো হয়।

সভা শেষে এবিবির ভাইস চেয়ারম্যান মাসরুর আরেফিন সাংবাদিকদের বলেন, ‘বিদেশের বিভিন্ন ব্যাংকে থাকা আমাদের দেশীয় ব্যাংকগুলোর হিসাবে ডলার ফেরত আসার ব্যাপারে আমরা আশাবাদী। অবৈধভাবে যাঁরা অর্থপাচার করেছেন, তাঁরা আইনি নিশ্চয়তা ছাড়া সেই ডলার ফেরত আনবেন না। তবে বিদেশি মুদ্রা জমা রাখলে সুদহার বাড়ায় ব্যক্তি পর্যায়ের প্রবাসীরা ব্যাংকে ডলার জমা রাখতে আগ্রহী হবেন। কারণ, পৃথিবীর কোথাও ডলারের বিপরীতে এই ৮ থেকে ৯ শতাংশ মুনাফা দেওয়া হয় না। প্রবাসীদের কাছ থেকে ডলার সংগ্রহে যেসব দেশ ও শহরে বাংলাদেশিরা বেশি থাকেন, সেখানে শিগগির রোড শো করবে ব্যাংকগুলো। অনেক ব্যাংক এ জন্য বিশেষ পণ্য ও হটলাইন সেবা চালুর কাজ করছে।’

Header Ad
Header Ad

সার্ক পুনরুজ্জীবনের প্রশ্নে বাংলাদেশকে যে বার্তা দিলো ভারত

ওমানের মাসকটে অন্তর্বর্তী সরকারের পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন ও ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের বৈঠক। ছবি: সংগৃহীত

সম্প্রতি ওমানের রাজধানী মাস্কাটে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন ও ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের মধ্যে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে।

শুক্রবার ( ২১ ফেব্রুয়ারি) নয়াদিল্লিতে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সাপ্তাহিক ব্রিফিংয়ে এক প্রশ্নের জবাবে ভারত- বাংলাদেশের মধ্যকার উক্ত বৈঠকের আলোচ্য বিষয়ে কিছু তথ্য তুলে ধরেছেন মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সোয়াল।

তিনি বলেন, মাস্কাটে ওই বৈঠকে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র উপদেষ্টা সার্ক পুনরুজ্জীবনের প্রসঙ্গটি তুলেছিলেন। দক্ষিণ এশিয়ার সবাই জানে কোন দেশ ও তার কী ধরনের কর্মকাণ্ড সার্ককে কোণঠাসা করে রেখেছে। তৌহিদ হোসেনকে জয়শঙ্কর এ কথাও বলেছেন, সন্ত্রাসবাদের স্বাভাবিকীকরণ করাটা বাংলাদেশের উচিত নয়।

ব্রিফিংয়ে বাংলাদেশের কোনো কোনো উপদেষ্টার কিছু কিছু মন্তব্য নিয়েও প্রশ্ন করা হয়। জবাবে রণধীর জয়সোয়াল বলেন, ভারত এসব মন্তব্য নজরে রেখেছে। ওই ধরনের মন্তব্য ও বাংলাদেশের সঙ্গে কাজকর্মে তার প্রভাব–প্রতিক্রিয়ার বিষয়ও ভারতের গোচরে রয়েছে।

তিনি বলেন, এ ধরনের মন্তব্য অবশ্যই সহায়ক নয়। এর প্রতিক্রিয়া কী, তা তাদেরই ভেবে দেখা দরকার।

নয়াদিল্লিতে বাংলাদেশ ও ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিবি ও বিএসএফের মহাপরিচালকদের বৈঠক সদ্য শেষ হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার যৌথ সংবাদ সম্মেলনে বিজিবি মহাপরিচালক এক প্রশ্নের জবাবে বলেছিলেন, বাংলাদেশে ৫ আগস্টের পালাবদলের পর সংখ্যালঘু নির্যাতনের অভিযোগগুলো অতিরঞ্জিত, মিডিয়ার সৃষ্টি।

এ প্রসঙ্গে প্রতিক্রিয়া জানতে চাওয়া হলে জয়সোয়াল বলেন, গত কয়েক মাসে বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের ওপর কী হয়েছে, সে বিষয়ে সবাই অবগত। সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা নিয়ে ভারতের উদ্বেগ বারবার প্রকাশ করা হয়েছে।

তিনি বলেন, সম্প্রতি ওয়াশিংটনে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠকেও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ওই প্রসঙ্গ উত্থাপন করেন। যুক্তরাষ্ট্রকেও এ বিষয়ে ভারতের উদ্বেগের কথা জানানো হয়েছে।

Header Ad
Header Ad

জামায়াতের আমিরকে যানজট মুক্ত করতে গিয়ে প্রাণ দিলেন কর্মী

ছবিঃ সংগৃহীত

যানজটে আটকে থাকা বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমানের গাড়ি বহরকে সাইড করে দিতে গিয়ে বাস চাপায় নিহত হয়েছেন জসিম উদ্দিন (৫৩) নামে জামায়াতের একজন কর্মী।

নিহত জসিম উদ্দিন উপজেলার বাগমারা উত্তর ইউনিয়নের সৈয়দপুর পশ্চিম পাড়ার মৃত আলী আশ্রাফ মোল্লার ছেলে। তার স্ত্রী ও শিশুসহ তিন ছেলে সন্তান রয়েছে।

শুক্রবার (২১ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যা ৭টায় কুমিল্লা-নোয়াখালী আঞ্চলিক মহাসড়কের লালমাই উপজেলার সৈয়দপুর এলাকার ওয়ালটন শো-রুমের সামনে এই দুর্ঘটনা ঘটে।

প্রত্যক্ষদর্শী সৈয়দপুর গ্রামের বাসিন্দা মারুপ সিরাজী বলেন, লক্ষীপুর যাওয়ার পথে জামায়াত আমিরের বহরের ৪টি গাড়ি বাগমারা উত্তরবাজারে যানজটে আটকা পড়লে জামায়াতের নেতাকর্মীরা ট্রাফিকের দায়িত্ব পালন করছিলেন। হঠাৎ তিশা পরিবহনের ঢাকামুখী একটি দ্রুতগতির বাস ধাক্কা দিলে ট্রাফিকের দায়িত্ব পালনকারী জামায়াতের কর্মী জসিম উদ্দীনের মাথা থেতলে যায়। রক্তক্ষরণ হয়ে ঘটনাস্থলেই তিনি মৃত্যুবরণ করেন।

বাগমারা বাজারের ব্যবসায়ী মফিজুল ইসলাম মুন্না বলেন, কুমিল্লা-নোয়াখালী আঞ্চলিক মহাসড়ক চার লেনে উন্নীত হলেও বাগমারা বাজার অংশে অধিগ্রহণ জটিলতার কারণে দুই লেন করা হয়েছে।সে কারণে ২৪ ঘণ্টাই সড়কের এই অংশে যানজট লেগে থাকে। যানজট নিরসনে পুলিশ দায়িত্ব পালন করলে আজ হয়তো এমন মৃত্যু হতো না।

লালমাই উপজেলা জামায়াতের সেক্রেটারি মাওলানা ইমাম হোসেন বলেন, আমিরে জামায়াত লক্ষীপুর যাওয়ার পথে বাগমারা উত্তর বাজার বালুর মাঠে পথসভা করেন। পথসভাস্থলে পৌঁছার কিছুক্ষণ আগে তাঁর গাড়ি বহর যানজটে আটকা পড়ে।

তখন আমিসহ সংগঠনের ১৫/২০ জন কর্মী ট্রাফিকের দায়িত্ব শুরু করি। আমরা আমিরে জামায়াতকে নিয়ে পথসভায় চলে যাওয়ার পর জামায়াতের কর্মী জসিম উদ্দিন বাস চাপায় মারা যান।

লালমাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাহ আলম বলেন, বাগমারা উত্তরবাজারে বাস চাপায় জসিম উদ্দিন নামের একজন মারা গেছেন। মরদেহ নিহতের বাড়িতে রয়েছে। খবর পেয়েই নিহতের বাড়িতে গিয়েছি।

 

Header Ad
Header Ad

সুনামগঞ্জের মধ্যনগরে অনির্দিষ্টকালের জন্য ১৪৪ ধারা  

ছবিঃ সংগৃহীত

সুনামগঞ্জের মধ্যনগর বাজারে অনির্দিষ্ট কালের জন্য সভা-সমাবেশ ও মিছিল নিষিদ্ধ করে ১৪৪ ধারা জারি করেছে উপজেলা প্রশাসন। পুলিশের আসামি ধরাকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া এবং দলীয় অফিস ভাঙচুরের ঘটনায় এ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

শুক্রবার (২১ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যা ৬টা থেকে ওই এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করে বিজ্ঞপ্তি দিয়েছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট উজ্জ্বল রায়।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, শুক্রবার সন্ধ্যায় আসামি ধরাকে কেন্দ্র করে মধ্যনগর উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক আব্দুল কাইয়ুম মজনু এবং যুবদল নেতা শহিদ মিয়ার লোকজনের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এ সময় বিএনপি ও যুবদলের অস্থায়ী অফিস ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনার পর থেকে মধ্যনগর বাজার এলাকায় উভয় পক্ষের মধ্যে চরম উত্তেজনা বিরাজ করে। রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের ঘটনার আশঙ্কা এবং সাধারণ মানুষের জানমালের নিরাপত্তায় শুক্রবার সন্ধ্যা থেকে পরবর্তী নির্দেশ দেওয়ার আগে পর্যন্ত বাজার এবং আশপাশের এলাকায় সভা-সমাবেশ মিছিল-মিটিং নিষিদ্ধ করা হয়।

মধ্যনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সজীব রহমান বলেন, ‘মধ্যনগর যুবদল নেতা শহিদ মিয়া ও সাবেক সাধারণ সম্পাদক আব্দুল কাঈযুম মজনুর লোকজনের মধ্যে পুলিশের আসামি ধরা নিয়ে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া হয়। পরে উভয় পক্ষের লোকজন বিএনপি ও যুবদলের অফিস ভাঙচুর করে। এতে বাজারের সাধারণ ব্যবসায়ী ও মানুষের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। বাজার ও আশপাশের এলাকায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে উপজেলা প্রশাসন ১৪৪ ধারা জারি করে। বিশৃঙ্খল অবস্থা এড়াতে বাজারে পুলিশের টহল বৃদ্ধি করা হয়েছে। পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত বাজার ও আশপাশের এলাকায় পুলিশ মোতায়েন থাকবে। এখন পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে।’

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

সার্ক পুনরুজ্জীবনের প্রশ্নে বাংলাদেশকে যে বার্তা দিলো ভারত
জামায়াতের আমিরকে যানজট মুক্ত করতে গিয়ে প্রাণ দিলেন কর্মী
সুনামগঞ্জের মধ্যনগরে অনির্দিষ্টকালের জন্য ১৪৪ ধারা  
একুশে টিভির জিডি, কর্মচারির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছে জামায়াত  
আফ্রিকার রানের চাপে বড় ব্যবধানে হারলো আফগানিস্তান
আগামীকাল দুই বিভাগে বৃষ্টি হতে পারে
অপারেশন ডেভিল হান্ট: ২৪ ঘণ্টায় গ্রেপ্তার ৪৬১
খিলগাঁওয়ে স-মিলে ভয়াবহ আগুন, নিয়ন্ত্রণে ফায়ার সার্ভিসের ১০ ইউনিট
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার
পশ্চিম তীরে নতুন করে হামলার নির্দেশ দিলেন নেতানিয়াহু
মেসির অটোগ্রাফ চেয়ে শাস্তি পেলেন রেফারি
আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে বেনাপোলে হয়নি দুই বাংলার মিলন মেলা
মাতৃভাষার গুরুত্ব ও ভবিষ্যৎ প্রসঙ্গে যা বললেন ড. ইউনূস
চলন্ত বাসে ডাকাতি ও শ্লীলতাহানি: তিন দিন পর মামলা, আতঙ্কে যাত্রীরা
বিপ্লবের আত্মত্যাগ উন্নত বাংলাদেশের পথে নতুন সম্ভাবনা সৃষ্টি করেছে : পররাষ্ট্রসচিব
জাতিসংঘের প্রতিবেদনে ২০২৪ সালে আওয়ামী সরকারের পতনের কারণ উদঘাটন
চ্যাম্পিয়নশিপের দল শেফিল্ডে মাসে ৪০ কোটি টাকা বেতন পাবেন হামজা চৌধুরী
পবিপ্রবিতে আবাসিক হলগুলোর নাম পরিবর্তন, মুছে ফেলা হলো শেখ পরিবারের নাম
ইসরায়েলের তেল আবিবে তিনটি বাসে বিস্ফোরণ
বিয়ের ছবি ভাইরাল, বললেন শুভকামনা জানানোর জন্য ধন্যবাদ